'জনগণের সমর্থন ছাড়া ক্ষমতায় থাকলে শাহেদদের উত্থান হবেই'
ছবি: বার্তা২৪.কম
জনগণের সমর্থন ছাড়া ক্ষমতায় থাকলে শাহেদদের উত্থান হবে, সাবরিনার উত্থান হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
রিজভী বলেন, 'আপনি দিনের ভোট রাতে নিবেন তাহলে কি সমাজে শাহেদ-সাবরিনার উত্থান হবে না? ভোট কেন্দ্রে ভোটাররা নেই নির্বাচন কমিশন বলে দিল- সুষ্ঠু ভোট হয়েছে এবং ৪০%, ৪৫%, ৫০%, ৬০%, ৭০% ভোট কাস্ট হয়েছে। অথচ ভোট কেন্দ্রে ভোটার নেই। চতুষ্পদ জন্তু ঘুরে বেড়াচ্ছে। সংবাদপত্র চাপের মধ্যেও, হুমকির মধ্যেও তারা এগুলো প্রকাশ করেছে, এমনকি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোও এগুলো প্রকাশ করেছে। তাহলে এই সমাজে শাহেদদের উত্থান হবে না কেন? যারা ভোট নিয়ে জালিয়াতি করে তারা মানুষের অসুস্থতা নিয়ে জালিয়াতি করবে না কেন?
সোমবার (২০ জুলাই) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দল আয়োজিত করোনাকালীন বাজেটে মৎস্যজীবী খাতকে উপেক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে সীমাহীন দুর্নীতি লুটপাট অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে এক মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, আজকে করোনার পরীক্ষা কমে গেছে কেন? আমরা তো হাতেগোনা দুই একটা হাসপাতালের কথা জানি। কিন্তু এরকম আরো যে কত হাসপাতালে মানুষের জীবন নিয়ে অনাচার চলছে তার কোনো ইয়াত্তা নেই। করোনা আক্রান্ত মানুষের যদি নেগেটিভ সার্টিফিকেট দেওয়া হয়, আর যার করোনা হয়নি তাকে যদি পজিটিভ সার্টিফিকেট দেওয়া হয় তাহলে এই দেশ কিসের উপর চলছে আপনারা নিজেই বলুন। আজ নানাভাবে আতঙ্কিত মানুষ, তার উপরে হাসপাতালে ভুয়া সার্টিফিকেট পায় যদি অসুস্থরা এরপরে কি মানুষ যাবে হাসপাতালে করোনা পরীক্ষার জন্য? মানুষ যাবে না। মানুষ যাবে না এইজন্যই যে, মানুষ আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে আছে।
সীমান্ত প্রসঙ্গ টেকে বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, আমার দেশের সীমানায় ঢুকে অন্য দেশ মাছ ধরে নিয়ে যায় তাহলে আমার দেশের সার্বভৌমত্ব কোথায়? আমার মাছ আমি খেতে পারবো না, অন্য দেশ এসে ধরে নিয়ে যাবে। এই পরিস্থিতিতে উত্তরণ ঘটাতে হলে অবশ্যই গণতন্ত্রের পুনরুজ্জীবন ঘটতে হবে, অবশ্যই সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে আবারও রাজপথ উত্তাল করতে হবে। তাছাড়া কোনো নিরাপত্তা থাকবে না, কারো জীবনের কোনো নিরাপত্তা থাকবে না।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি আলহাজ্ব রফিকুল ইসলাম মাহাতাবের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে সংগঠনের সদস্য সচিব আব্দুর রহিম এবং কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ইসমাইল হোসেন সিরাজীসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
