‘আগস্ট মানে হারানোর বেদনা, হায়নাদের অট্টহাসি আর ষড়যন্ত্রের গন্ধ’



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

  • Font increase
  • Font Decrease

চলছে শোকাবহ আগস্ট। এ মাসে আমরা হারিয়েছি পরিবারের সদস্যসহ হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি স্বাধীনতার স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানেকে। ষড়যন্ত্রের কুশীলবরা শুধু রূপ পরিবর্তন করে, হারায় না। আগস্ট আসলে তাই আমরা দুশ্চিন্তায় থাকি। আগস্ট মানেই হারানোর বেদনা, হায়নাদের অট্টহাসি আর ষড়যন্ত্রের গন্ধ।

রোববার (২ আগস্ট) রাতে যুক্তরাজ্য শাখা আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক স্মরণসভায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের একথা বলেন। সম্প্রতি আওয়ামী লীগের প্রয়াত নেতাদের অকাল মৃত্যুতে এই সভার আয়োজন করা হয়। তিনি তার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে স্মরণসভায় যুক্ত হন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, সেদিন বিদেশে ছিলেন বলে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহেনা প্রাণে বেঁচে গেছেন। যে বুলেট ১৫ আগস্ট রাতের অন্ধকারে হানা দিয়েছিল সেই বুলেট ২১ আগস্ট আরও নির্মম হয়ে হানা দিয়েছিল বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে গ্রেনেড হামলার মধ্য দিয়ে। ১৫ আগস্টের প্রাইম টার্গেট ছিলেন বঙ্গবন্ধু, আর ২১ আগস্টের প্রাইম টার্গেট ছিলেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। ষড়যন্ত্রের কুশীলবরা শুধু রূপ পরিবর্তন করে, হারায় না। আগস্ট আসলে তাই আমরা দুশ্চিন্তায় থাকি। আগস্ট মাসে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা, শেখ রেহেনাসহ পরিবারের বেঁচে থাকা সদস্যরাও দুশ্চিন্তায় পড়ে যান। ষড়যন্ত্রকারীরা এখনো পিছু ছাড়েনি। ষড়যন্ত্রকারীরা আজও চলমান।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ১৫ ও ২১ আগস্টের ষড়যন্ত্রকারীদের অব্যাহত অপচেষ্টা আজও চলমান, সকলকে সতর্ক থাকতে হবে উন্নয়ন-অগ্রযাত্রা বিরোধী এই অপশক্তি সম্পর্কে।

তিনি প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ নাসিম, অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন, শেখ আবদুল্লাহ, বদরুদ্দীন আহমেদ কামরানসহ অন্যান্য নেতাদের আত্মার শান্তি কামনা করে বলেন তাদের অবদান দেশ ও জাতি শ্রদ্ধাবনত চিত্তে আজীবন স্মরণ করবেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনার সহযোদ্ধা হিসেবে তারা আজীবন নিরলস কাজ করে গেছেন দল ও জাতীর জন্য।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ একটি সম্প্রসারিত পরিবার, দেশ-বিদেশে যেখানেই এ পরিবারের সদস্যগণ অবস্থান করুক- প্রত্যেকের সাথে প্রত্যেকেই বিনিসুতার মালার মত অবিচ্ছেদ্য এক বন্ধনে আবদ্ধ।

সেতুমন্ত্রী বলেন, জাতির আদর্শের ঠিকানা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আর আস্থার বাতিঘর দেশরত্ন শেখ হাসিনা। যে যেখানেই জীবন-জীবিকার প্রয়োজনে অবস্থান করুক না কেন সবাই হৃদয়ের গভীরে লালন করে লাল সবুজের বাংলাদেশ।

ওবায়দুল কাদের বলেন, জাতির চেতনার উৎসমূলে ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি’, আমাদের স্বপ্নের সোনালী দিগন্ত জুড়ে আলো ছড়ায় বঙ্গবন্ধু কন্যার দেখানো সমৃদ্ধ বাংলাদেশের স্বপ্ন।

তিনি বলেন, আমরা সমৃদ্ধি অর্জনের পথ ধরে হাঁটি আর সে পথ নকশায় বিশ্বাসের অফুরন্ত শক্তি যোগায় ডিজিটাল বাংলাদেশ, যার রূপকার নতুন প্রজন্মের অহংকার সজীব ওয়াজেদ জয়।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশের অনেক সীমাবদ্ধতা স্বত্বেও অসীম সাহসিকতায় মোকাবিলা করছে এ মহামারি। আমরা আমাদের শক্তি ও মনোবল অর্জন করেছি বারবার মৃত্যুর মঞ্চ থেকে ফিরে আসা হিমালয়সম এক সাহসী ও মানবিক নেতৃত্ব থেকে, যার নাম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, তার দক্ষতা, দূরদর্শিতা এবং সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্তগ্রহণ ও বাস্তবায়নের ফলে বিশেষজ্ঞদের সকল পূর্বাভাস ভুল প্রমাণ করে সংক্রমণ এখন আমাদের নিয়ন্ত্রণে।

ওবায়দুল কাদের যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ নেতাদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে যে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে তার বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকুন এবং সরকারের ইতিবাচক অর্জনগুলো তুলে ধরে তা প্রচার করুন।

দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের কঠোর অবস্থানের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, স্বাস্থ্যখাতসহ বিভিন্ন অনিয়মের বিরুদ্ধে নিজেদের দলের লোককেও বা দলীয় পরিচয়ে কাউকে শেখ হাসিনা ছাড় দেননি। শেখ হাসিনা সরকারের অবস্থান অত্যন্ত কঠোর। ইতিমধ্যে এটা স্পষ্টভাবে প্রমাণিত। দলীয় পরিচয়ে কোনো অনিয়মকারীর ঢাল হতে পারে না। এই দলে ইতিমধ্যে প্রমাণিত হয়েছে। সাম্প্রতিক শুদ্ধি অভিযান জনমানুষের মুখে দেশে-বিদেশে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছে।

স্মরণসভায় যুক্তরাজ্য শাখা আওয়ামী লীগের সভাপতি সোলতান শরিফ ও সাধারণ সম্পাদক সাজিদুর রহমান ফারুকসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

   

৭ বছর পর কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দীর্ঘ ৭ বছর পর ময়মনসিংহের ত্রিশালে অবস্থিত জাতীয় কবি কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ছাত্রলীগের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) রাতে ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এক বছরের জন্য এই কমিটি ঘোষণা করেন।

বাংলা ভাষা ও বাংলা সাহিত্য বিভাগের শিক্ষার্থী আল মাহমুদ কায়েসকে সভাপতি এবং একই বিভাগের শিক্ষার্থী রাশেদুল ইসলাম সরকার রিয়েলকে সাধারণ সম্পাদক করে ৫২ সদস্য বিশিষ্ট এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটিতে ৩৪ জনকে সহ-সভাপতি, ৮ জনকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং ৮ জনকে সাংগঠনিক সম্পাদক পদে নির্বাচিত করা হয়েছে।

এক বছরের কমিটিতে ৬ বছর অতিবাহিত হওয়ার পর গত বছরের ৪ জুলাই জাতীয় কবি কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করার পর নতুন কমিটির জন্য নেতাকর্মীদের কাছ থেকে সিভি আহবান করে এবং গত বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর জাতীয় কবি কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মি সভার আয়োজন করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। কর্মি সভার প্রায় ৬ মাস পর ছাত্রলীগের নতুন কমিটি ঘোষণা করলো কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।

;

আমার স্ত্রী ভারতীয় শাড়ি দিয়ে কাঁথা সেলাই করেছে: রিজভী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপি নেতারা শাল পোড়ান, কিন্তু বউদের শাড়ি পোড়ান না কেন?- প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের জবাবে দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী বলেছেন, আমার নানার বাড়ি ভারতে। বিয়ের পর ভারতে একবার গিয়েছিলাম, আমার ছোট মামা সেখানে থাকেন। আসার সময় আমার স্ত্রীকে একটি শাড়ি দিয়েছিল তারা। আমি কয়েকদিন আগে আমার স্ত্রীকে জিজ্ঞেস করলাম ওই শাড়িটা কই? আমার স্ত্রী বললেন ওটা দিয়ে তো অনেক আগেই কাঁথা সেলাই করা হয়েছে। আমাদের দেশে একটা রেওয়াজ আছে পুরাতন শাড়ি দিয়ে কাঁথা সেলাই করা। আমি মনে করি ডামি সরকারকে যে দেশ প্রকাশ্যে সমর্থন করে সেদেশের পণ্য বর্জন করা ন্যায়সঙ্গত।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে 'আমরা বিএনপি পরিবার' আয়োজিত গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে গুম, খুন ও পঙ্গুত্বের শিকার পরিবারের মধ্যে ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

রিজভী বলেন, শেখ হাসিনা, আপনি দেশের স্বার্থ নিয়ে তামাশা করেন? আপনি বলেছেন আওয়ামী লীগের নেতারা পালিয়ে গেলে যুদ্ধটা করলো কে? যুদ্ধ করেছে এ দেশের কৃষক, শ্রমিক, ছাত্র, যুবকেরা।

তিনি বলেন, ২০১৪ সালে পার্শ্ববর্তী দেশের কূটনীতিক এসে ভোটারবিহীন সরকারকে প্রকাশ্যে সমর্থন দিয়ে গেলেন। ২০১৮ সালে রাতে ভোট হলো, সে নির্বাচনও তারা স্বীকৃতি দিলেন। এবার ২০২৪ সালে এত বড় একটা ডামি নির্বাচন হয়ে গেলো, তারপরও প্রকাশ্যে তারা বলছেন আমরা এই সরকারের পাশে আছি। অথচ ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা বলছে আমরা সুষ্ঠু নির্বাচনের পক্ষে, আমরা কোনো দলের পক্ষে নই। যারা একটি ভোট ডাকাত সরকারকে প্রকাশ্যে সমর্থন করে সে দেশের পণ্য বর্জন করা ন্যায়সঙ্গত। তাদের বিরুদ্ধে যে সামাজিক আন্দোলন গড়ে উঠেছে আমরা সেই আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করি।

বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, কেউ মারা গেলে তার আত্মার মাগফেরাত করার মধ্যেও একটা শান্তি আছে। গুম হওয়া একটি পরিবার তার আত্মার মাগফেরাতও কামনা করতে পারে না, তার কবরে গিয়ে মোনাজাতও করতে পারে না। সরকার এমন ভয়াবহ পরিবেশ সৃষ্টি করেছে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ সেলের আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুম্মন। এছাড়া বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মীর হেলালসহ বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

;

দেশের প্রত্যেক মানুষ স্বাধীনতার সুফল পাচ্ছে: ওবায়দুল কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশের প্রত্যেক মানুষ এখন স্বাধীনতার সুফল পাচ্ছেন। অগণতান্ত্রিক ও উগ্র সাম্প্রদায়িক অপশক্তির প্রতিভূ বিএনপির ফ্যাসিবাদী দর্শনে জনগণ কখনো সাড়া দেয়নি, দেবেও না। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না বলেই বিএনপি স্বাধীনতার মর্মার্থকে অকার্যকর করতে চায়।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) এক বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। বিএনপির সাম্প্রতিক বক্তব্যকে নেতাদের মিথ্যা, বানোয়াট ও দুরভিসন্ধিমূলক আখ্যা দিয়ে এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের ঘর-বাড়ি ও ব্যবসা-বাণিজ্য দখল করে নেওয়া হচ্ছে বলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল মিথ্যাচার করেছেন। তিনি সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য-প্রমাণ না দিয়ে ঢালাওভাবে বানোয়াট ও ভিত্তিহীন বক্তব্য দিয়েছেন। বরং আমরা দেখতে পাচ্ছি, বিএনপির নেতাকর্মীরা বহাল তবিয়তে ব্যবসা-বাণিজ্য করছেন। কোথাও রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হচ্ছেন না।

তিনি বলেন, অথচ ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতাসীন হওয়ার পর রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে লাখ লাখ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে ঘর-বাড়ি ছাড়তে হয়েছিল। নৌকায় ভোট দেওয়ার অপরাধে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের নির্মম অত্যাচার নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছিল। বিএনপি-জামায়াতের ক্যাডারবাহিনী দ্বারা হাজার হাজার নারী ধর্ষিত হয়েছিল। সারাদেশে আওয়ামী লীগের ২১ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছিল।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর খুনি জিয়া-মোশতাক চক্র মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ধূলিসাৎ করে। সামরিক স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান নিজের অবৈধ ও অসাংবিধানিক ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করতে ধর্মের কার্ড ব্যবহার করেন। তিনি ধর্মভিত্তিক রাজনীতি প্রচলন করেন। তিনিই রাষ্ট্র ও সমাজের সকল স্তরে সাম্প্রদায়িকতার বিষবৃক্ষের বীজ বপন এবং উগ্র-সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীকে রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত করেন। তখন থেকে বিভেদের রাজনীতির গোড়াপত্তন হয়। বিরোধীদল বিশেষ করে আওয়ামী লীগকে নির্মূল করতে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় অত্যাচার-নির্যাতনের স্টিম রোলার চালানো হয়।

তিনি বলেন, বিএনপি সর্বদা জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। পাকিস্তানি ভাবাদর্শকে পুঁজি করে রাজনীতি করা বিএনপির একান্ত কাম্যই হলো যেকোনো উপায়ে ক্ষমতা দখল, জনকল্যাণ নয়। তারা ক্ষমতায় গিয়ে নিজেরে আখের গুছিয়ে নিয়েছিল। বাংলার জনগণ তাদের দ্বারা প্রতারণার শিকার হয়েছিল। সুতরাং জনগণ এই প্রতারক গোষ্ঠীকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না।

;

চুয়াডাঙ্গায় বিএনপি-জামায়াতের ৪৭ নেতা-কর্মী কারাগারে



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চুয়াডাঙ্গা
চুয়াডাঙ্গায় বিএনপি-জামায়াতের ৪৭ নেতা-কর্মী কারাগারে

চুয়াডাঙ্গায় বিএনপি-জামায়াতের ৪৭ নেতা-কর্মী কারাগারে

  • Font increase
  • Font Decrease

চুয়াডাঙ্গায় নাশকতা মামলায় বিএনপি-জামায়াতের ৪৭ নেতা-কর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

হাইকোর্ট থেকে নেয়া আগাম জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সকালে নিম্ন আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে জেলা ও দায়রা জজ মো. জিয়া হায়দার তা নামঞ্জুর করে তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এসময় ৩ নেতা-কর্মীর জামিন দেন তিনি।

এদিকে, একে একে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিলে হাজিরা দিতে আসা প্রায় ৫৩ জন নেতা-কর্মী আদালত থেকে পালিয়ে যান।

বিএনপি দলীয় আইনজীবী অ্যাড. শাহাজাহান মুকুল জানান, নাশকতা মামলায় হাইকোর্ট থেকে ৬ সপ্তাহের আগাম জামিনে ছিলেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। আগামী রোববার (৩১ মার্চ) আগাম জামিনের মেয়াদ শেষ হবে। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ১০৭ জন নেতা-কর্মী চুয়াডাঙ্গা জেলা জজ আদালতে হাজির হয়ে পুনরায় জামিন আবেদন করেন। এদের মধ্যে ৭ জনকে জামিন ও ৪৭ জনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন জেলা ও দায়রা জজ মো. জিয়া হায়দার। এসময় আদালত থেকে ৫৩ জন নেতা-কর্মী হাজিরা না দিয়ে চলে যান। তিনি আরও জানান, তারা ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।

এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সদস্যসচিব শরীফুজ্জামান শরীফ বলেন, বর্তমান ফ্যাসিস্ট সরকার বিচার বিভাগ, পুলিশ-প্রশাসনসহ সবকিছু হাতের মধ্যে নিয়ে নিয়েছে। মানুষের বিচার বিভাগের প্রতি যে আস্থা ছিল, সেটিও হারিয়ে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, তারা প্রকৃত ন্যায়বিচার পাননি। আদালত ফরমায়েশিভাবে নেতা-কর্মীদের কারাগারে পাঠিয়েছে।

;