একক অনুশীলনে ফিরলেন নারী ক্রিকেটাররাও
করোনাভাইরাস মহামারী এখনো আছে। বেশ জোরে সোরেই আছে। কবে শেষ হবে এই সময়টা সুনির্দিষ্টভাবে কারোর জানা নেই। আর তাই অনির্দিষ্টকালের জন্যও সবকিছু বন্ধ থাকতে পারে না। স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিধি-বিধান মেনেই ধীরে ধীরে সব স্বাভাবিকত্বে ফিরতে হবে। সেই প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে জাতীয় ক্রিকেট দলের ক্রিকেটাররা একক অনুশীলনে ফিরেছেন কদিন আগে। এবার সেই কর্মসূচিতে যোগ দিলেন নারী ক্রিকেটাররাও।
১০ আগস্ট দেশের চারটি ভেন্যুতে বেশ কয়েকজন নারী ক্রিকেটার এককভাবে অনুশীলনে অংশ নিয়েছেন। মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে শামীমা সুলতানা, শারমিন সুপ্তা, জাহানারা আলম ও নাহিদা আক্তার বিভিন্ন ক্রিকেটীয় অনুশীলনে অংশ নেন।
খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে সালমা খাতুন ও রুমানা আহমেদ এবং বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে খাদিজাতুল কোবরা ও শারমিন সুলতানা করোনাকালীন এই সময়টায় প্রথমবারের মতো মাঠে অনুশীলনে নামেন।
দীর্ঘ সময়ের পর মাঠে ফেরার সেই অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে নাহিদা আক্তার বলছিলেন- ‘অনেক দিন পরে মাঠে নামতে পেরে খুবই ভালো লাগছে। দীর্ঘ পাঁচ মাস পর মাঠে এলাম। আহ্ কতদিন পরে প্রাকটিস করলাম। জিমে অংশ নিলাম। ব্যাটিং-বোলিংও করেছি কিছুটা। অনেক দিনের অনভ্যস্থতার জন্য শুরুতে একটু সমস্যা হয়েছে, তারপরও নিজেদের জায়গায় ফিরতে পারার তো একটা অন্য রকম আনন্দ আছে। করোনাকালীন এই পরিস্থিতিতে মেনে চলার জন্য বিসিবি যে নির্দেশনা দিয়েছিল, আমরা সবাই বাড়িতে সেটা অনুসরণ করার চেষ্টা করেছি।’
করোনাকালের এই সময়টায় বাসায়ও ক্রিকেটীয় সূচি মেনে চলেছেন নারী ক্রিকেটাররা। সেটাই জানাচ্ছিলেন নাহিদা- ‘বাসায় আমরা ফ্রিহ্যান্ড কাজ করেছি। বিসিবি’র ফিজিও ও ট্রেনাররা যে সূচি দিয়েছিলেন সেটা মেনে চলার চেষ্টা করেছি। নিজেদের যতদূর সম্ভব ফিট রাখার চেষ্টায় ছিলাম সবাই। এই পরিস্থিতি শুধু বাংলাদেশে নয়, পুরো পৃথিবী জুড়ে। কিছুদিন আগে আমাদের ভার্চুয়ালি দু-তিনটা সেশন হয়েছে, সেখানে আমরা অংশ নেওয়ার পর এখন অনেকেই মানসিকভাবে অনেক শক্তিশালী হয়েছি। এই পরিস্থিতিতে কিভাবে নিজেদের ঠিক রাখতে হবে, সেই বিষয়ে অনেক কিছু সেই সেশনে আমরা জানতে পেরেছি। এখন ধীরে ধীরে পুরোদস্তুরভাবে মাঠে ফিরে আসার প্রস্তুতি নিচ্ছি আমরা।’
১১ আগস্ট, মঙ্গলবার ক্রিকেটারদের একক অনুশীলন নেই। অনুশীলনের সূচিতে এই দিনকে ছুটি হিসেবে রাখা হয়েছে।