স্বপ্নের প্রথম ফাইনালে নেইমারের পিএসজি
ময়দানের লড়াইয়ে প্যারিস সেন্ট জার্মেই ছিল ফেভারিট। প্যারিসের জায়ান্ট ক্লাবটি খেললও ফেভারিটের মতোই। লিসবনে ফুটবল প্রেমীদের জন্য দারুণ উপভোগ্য এক সেমিফাইনাল ম্যাচই উপহার দিলো নেইমাররা। যোগ্য দল হিসেবেই ছিনিয়ে নিল জয়।
জার্মান প্রতিপক্ষ আরবি লেইপজিগকে হারিয়ে দিলো ৩-০ গোলে। নান্দনিক ফুটবলের পসরা সাজিয়ে পিএসজি প্রথমবারের মতো পৌঁছে গেল চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে।
পিএসজি’কে ১৩তম মিনিটেই এগিয়ে দেন মারকুইনহস। প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার আগেই গোল ব্যবধান দ্বিগুণ করেন অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া। বিরতির পর ফরাসি চ্যাম্পিয়নদের তৃতীয় গোল এনে দেন হুয়ান বার্নাত।
ফিটনেস ফিরে পাওয়া কাইলিয়ান এমবাপ্পে ও নেইমার ভয় ধরিয়ে দিয়েছিলেন লেইপজিগের রক্ষণভাগে। তাতে করে প্রথমার্ধেই ধরা ছোঁয়ার বাইরে চলে যেতে পারত কোচ টমাস টাচেলের দল। পোস্ট বাধা হয়ে দাঁড়ানোয় সেটা আর সম্ভব হয়নি। নষ্ট হয় অন্তত দুটি সুযোগ। পোস্ট ঘেঁষে যাওয়ায় গোল বঞ্চিত হয় পিএসজি।
শেষ আটের ম্যাচে পিছিয়ে পড়েও যার গোলে ঘুরে দাঁড়িয়ে ছিল ইউরোপের অন্যতম খরুচে দল পিএসজি। সেই মারকুইনহস এবার দলকে শুরুতেই এগিয়ে দেন। ডি মারিয়ার ফ্রি-কিকে মাথা ছুঁয়ে উপহার দেন প্রথম গোল।
লেইপজিগ গোলরক্ষক পিটার গুলাচসি ক্লিয়ার করতে বলে কিক দিয়ে বসেন। কিন্তু বল চলে যায় পিএসজির দখলে। শেষে নেইমারের ফ্লিক থেকে বল পেয়ে খুব কাছ থেকে নিখুঁত নিশানায় জালে বল জড়িয়ে দেন আর্জেন্টাইন ফরওয়ার্ড ডি মারিয়া।
দ্বিতীয়ার্ধে পিএসজি’র জয়ে সিল মোহর এঁকে দেন হোয়ান বার্নাত। বলে মাথা স্পর্শ করে জয়ের ব্যবধান বাড়িয়ে দেন। যদিও লেইপজিগ অফসাইডের অভিযোগ এনে ছিল। কিন্তু পরে দেখা যায় অনসাইডেই ছিলেন গোলদাতা। কেননা নর্ডি মুকিয়েলে স্লিপ খেয়ে এগিয়ে গিয়েছিলেন।
আজ রাতে (বুধবার, ১৯ আগস্ট) ফাইনালে উঠার লড়াইয়ে নামবে পাঁচবারের ইউরোপ চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন মিউনিখ। তাদের প্রতিপক্ষ আরেক ফরাসি ক্লাব অলিম্পিক লিঁও। এ ম্যাচের বিজয়ী দল রোববারের ফাইনালে মুখোমুখি হবে পিএসজি’র।