সেপারেশন চলছে, ডিভোর্স ডেট ৩০ জুন ২০২১!



এম. এম. কায়সার, স্পোর্টস এডিটর, বার্তা২৪.কম
আগামী মৌসুম শেষেই হবে বার্সা-মেসির বিচ্ছেদ

আগামী মৌসুম শেষেই হবে বার্সা-মেসির বিচ্ছেদ

  • Font increase
  • Font Decrease

সমস্যার আপাতত একটা সমাধান হয়েছে।

মেসি থাকছেন বার্সায়। চলে যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু নিজের এই ইচ্ছে পূরণের জন্য তাকে আদালত পর্যন্ত যেতে হতো। ভালোবাসার ক্লাবকে আদালতের আঙ্গিনায় টানতে চাননি তিনি। ৭০০ মিলিয়ন ইউরোর ট্রান্সফার ক্লজের বিষয়টা অবশ্যই বিতর্কের। আদালতে বিষয়টি গেলে হয়তো মেসি জিততেও পারতেন। কিন্তু ২০ বছর ধরে যে ক্লাবের সঙ্গে তার ভালোবাসা। সেই ভালোবাসা আদালতের বারান্দায় আইনজীবিরা কাঁটাছেড়া করছেন- এমন দৃশ্য মেসি দেখতে চাননি। আর তাই এই মৌসুম অর্থাৎ আরও একটা বছর আপাতত এফসি বার্সেলোনাতে থাকছেন তিনি।

বার্সেলোনার জার্সি গায়ে মাঠে মেসি ক্যারিয়ার জুড়ে অনেক ফুটবল ম্যাচ জিতেছেন। ম্যাচ হেরেছেনও। তবে মাঠের বাইরে ক্লাবের পরাজয় দেখতে চাননি তিনি। তাই এক প্রকার নিজে হেরেও দলকে তো জেতালেন!

বার্সায় শুরু এবং বার্সায় শেষ হবে আমার ফুটবল ক্যারিয়ার। একসময়ে এমন জনপ্রিয় ঘোষণা দেওয়া মেসিও কিন্তু বার্সা ছাড়তে চেয়েছেন। বার্সায় খেলে তারকা হয়েছেন। আবার নিজের প্রয়োজনে ক্লাব বদল করেছেন- এমন নজির একটা নয়, অনেক আছে। শুধু বার্সা কেন, এটা তো জাগতিক নিয়মই বটে! তবে মেসি বার্সা ছাড়ার ঘোষণা দেওয়ায় যে প্রতিক্রিয়া হয়েছে তাতে প্রশ্নটা আবার সামনে এসেছে-আসলে গুরুত্বের তালিকায় কে শীর্ষে; একা মেসি নাকি পুরো এফসি বার্সেলোনা?

বার্সেলোনার শ্লোগান হলো- ‘মোর দ্যান অ্যা ক্লাব’। সংক্ষিপ্ত অর্থে এর ব্যাখ্যাটা এমন- বার্সা নেহাৎ ৯০ মিনিটের ম্যাচ খেলা বা জেতার কোনো ক্লাব নয়। এটা ১ লাখ ৪৪ হাজার সদস্যের বিশাল সুখী এক পরিবার। বার্সা শুধু জিতেই না। শেখায়ও। তৈরি করে। গড়ে। শুধু নেহাৎ খেলা বা জয়ই নয়- সঙ্গে শেখায় মূল্যবোধ, মানবিকতা, লক্ষ্যার্জন, একজোট হয়ে থাকা এবং পারস্পরিক সম্মান ও শ্রদ্ধাবোধ। কাতালান সংস্কৃতির মৌলিকত্বের পতাকা উড়াচ্ছে এই ক্লাব। বার্সেলোনা শহরের সবচেয়ে চেনা এবং বড় পরিচয়ের অংশ হয়ে আছে এই ফুটবল ক্লাবটি।

সেই বার্সেলোনায় খেলা অনেক তারকার ভিড়ে লিওনেল মেসিই একমাত্র ফুটবলার যার নাম উচ্চারণের সঙ্গে বার্সা গর্বিত ভঙ্গিতে বলতেই পারে- ‘মেসি, মোর দ্যান অ্যা ফুটবলার!’

১২০ বছর পুরনো বার্সেলোনার ইতিহাসের সেরা অংশটা হলো ২০০৮ থেকে ২০১৬। সাফল্য, দাপট, কৃতিত্ব এবং প্রতিপক্ষের মর্যাদা অর্জন- এই উপাত্তের যোগফলে এটাই বার্সার সেরা সময়। আর সেই সেরা সময়ের সেরা খেলোয়াড় লিওনেল মেসি।

ক্লাব ইতিহাসের সর্বকালের সেরা সেই খেলোয়াড়ই যখন অন্য লিগে চ্যালেঞ্জের জন্য দলবদল করতে চাইলেন তখন তাকেই ‘বিশ্বাসঘাতক’ অপবাদ দিয়ে চাবুকের আঘাত!

মেসিকে যেতে না দেওয়ার এই লড়াই জিতে হয়তো এখন বার্সার প্রেসিডেন্ট মারিয়া বার্তোমেউ এবং বর্তমান পরিচালকরা ‘বড় ম্যাচ জেতার’ সুখ অনুভব করছেন। কিন্তু ২৫ আগস্টের রাত থেকে ৪ সেপ্টেম্বরের সন্ধ্যা পর্যন্ত এই ‘ম্যাচ’ যন্ত্রণার অসুখ, অবিশ্বাস এবং সন্দেহের কাঁটায় মেসির হৃৎপিণ্ড এফোঁড়-ওফোঁড় করেছে। সেই রক্তাক্ত যন্ত্রণা নিয়ে একটা মৌসুম বার্সার সঙ্গে মেসিকে ‘লিভ টুগেদার’ করতে হবে।

মেসি হয়তো এই পুরো মৌসুম জুড়ে সেরাটাই খেলবেন। আরও অনেক গোল পাবেন। দলকে জেতাবেন। সেপারেশনের এই সময়টায় ওতেই শান্তি-সান্ত্বনা না খোঁজার চেষ্টা করবেন।

- সেপারেশন?

ডিভোর্স চূড়ান্ত হওয়ার আগের সময়কে তো সেই নামেই ডাকা হয়! স্প্যানিশ ফুটবল সূচি জানাচ্ছে সামনের বছর ৩০ জুনে শেষ হবে লা লিগার মৌসুম। মেসির সঙ্গে বার্সার আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক শেষ সেদিনই।

মেসি, বার্সা ও বার্তোমেউ- এই ত্রয়ীর লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত কে জিতল?

বার্সার প্রতি মেসির ভালোবাসা জিতল। নাকি নিজের জেদ এবং বেনিয়া কূটকৌশলে মেসিকে পর্যদস্ত করার মধ্যে ব্যক্তিগত সুখের হুক্কায় ধোঁয়া ছাড়ছেন বার্তোমেউ?

- ‘তুমি অনেক যত্ন করে আমায় কষ্ট দিতে চেয়েছো, দিতে পারোনি। যদি বলি আমি কি হেরেছি, তুমি কি একটুও হারোনি...?’

মান্না দে’র বিখ্যাত এই গানটা স্প্যানিশ ভাষায় মেসি এখন বার্তোমেউকে শোনাতেই পারেন!

স্পেনের ফুটবল পত্রিকা মার্কাও তাদের সম্পাদকীয়তে সেই সত্যিটাই জানাচ্ছে, বার্সা-মেসি-বার্তোমেউ’র এই লড়াইয়ে কেউ জেতেনি। সত্যিকার অর্থে তিনপক্ষই হেরেছে।

বার্সেলোনা ছাড়ার ঘোষণা দিয়ে মেসি হেরেছেন। বেনিয়া কূটকৌশলের জোচ্চুরি আর মিথ্যাবাদী আচরণ দেখিয়ে হেরেছেন বার্তোমেউ। আর হ্যাঁ, বায়ার্ন মিউনিখের কাছে ৮-২ গোলের হারের চেয়ে বড় পরাজয় হয়েছে বার্সেলোনার মেসির দলবদলের জটিলতায়। প্রতিষ্ঠান হিসেবেও বার্সার এটা অনেক বড় একটা পরাজয়।

ইয়েস, মোর দ্যান এ ডিফিট...!

আরও পড়ুন-

একটি ‘ফুটবলীয়’ ডিভোর্স!

পাল্টে যাচ্ছে পাশা, মেসি কি থেকে যাচ্ছেন বার্সায়?

মেসি জানালেন-বার্সাই ভালবাসা, এখানেই থাকছি

   

বান্দরবানে আফিমসহ মাদক কারবারি আটক



Rasel
বান্দরবানে আফিমসহ মাদক কারবারি আটক

বান্দরবানে আফিমসহ মাদক কারবারি আটক

  • Font increase
  • Font Decrease

বান্দরবানে এক কেজি ৭০০ গ্রাম আফিমসহ এক মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) র‍্যাব-১৫ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (ল' অ্যান্ড মিডিয়া) আবু সালাম চৌধুরী এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

গ্রেফতার মাদক কারবারি হলেন উম্যামং মার্মা (৫২)। সে বান্দরবান সদরের কুহালং নতুন চড়ই পাড়া এলাকার মৃত ক্যশৈ অং মার্মার ছেলে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ২৩ এপ্রিল দিবাগত রাত দেড়টায় বান্দরবান সদরের কুহালং ইউপির পশ্চিম মুসলিম পাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে র‍্যাব। এসময় এক কেজি ৭০০ গ্রাম আফিমসহ গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার উম্যামং মার্মা গোল্ডেন ওয়েজ কেন্দ্রিক আন্তর্জাতিক আফিম পাচারকারী চক্রের সদস্য মর্মে স্বীকার করেছেন। মাদক কারবারির বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

;

ধর্ষণের অভিযোগে প্রিমিয়ার লিগের দুই ফুটবলার আটক



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ধর্ষণের অভিযোগে প্রিমিয়ার লিগে খেলা দুই ফুটবলারকে আটক করেছে ইংল্যান্ডের পুলিশ। গত শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) দুই ফুটবলারের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগ পেয়ে সপ্তাহান্তে পুলিশ তাদের আটক করে।

ব্রিটিশ দৈনিক ইন্ডিপেন্ডেন্ট জানিয়েছে, শনিবার (২০ এপ্রিল) ধর্ষণে প্ররোচনা ও সাহায্য করার অভিযোগে একজন ফুটবলারকে আটক করে পুলিশ। এরপর রবিবার অপর এক ফুটবলারকে ধর্ষণের অভিযোগে আটক করা হয়।

জানা গেছে, প্রথম ফুটবলারকে তার ক্লাবের স্টেডিয়ামে জিজ্ঞাসাবাদ করেন পুলিশ কর্মকর্তারা। পরে একই দিন রাতে তাকে আটক করা হয়।

দুইজন ফুটবলার একই প্রিমিয়ার লিগ ক্লাবের খেলেন বলেও ইন্ডিপেন্ডেন্টের প্রতিবেদনে নিশ্চিত করা হয়। আটক করার পরপরই অবশ্য দুজন জামিনে মুক্ত হয়েছেন।

পুলিশের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত দুই ফুটবলারেরই বয়স ১৯। তবে এই দুই ফুটবলারের ক্লাব এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি বলে জানিয়েছে অপর এক ব্রিটিশ দৈনিক সান। তাদেরকে ক্লাব কোনো ধরনের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে কিনা সেটাও জানা যায়নি।

;

মুস্তাফিজদের নয়, দোষ শিশিরের



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লক্ষ্ণৌ সুপারজায়ান্টসের বিপক্ষে ঘরের মাঠেও চেন্নাই সুপার কিংস পেরে উঠল না। শেষ ওভারে ১৭ রান প্রয়োজন ছিল লক্ষ্ণৌয়ের, কিন্তু মুস্তাফিজ সে ওভারে বোলিংয়ে এসে তিনটি বৈধ ডেলিভারিতেই খরচ করেছেন ১৯ রান। ম্যাচটি ৬ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারতে হয় তাদের।

২১০ রানের বড় সংগ্রহ নিয়েও বোলারদের ব্যর্থতায় হারের মুখ দেখতে হয় চেন্নাইকে। শুধু মুস্তাফিজই, দলের অন্য বোলাররাও লক্ষ্ণৌয়ের ব্যাটিংয়ের সামনে খাবি খেয়েছেন। তাদের শাসন করেই ১২৪ রানের অবিশ্বাস্য হার না মানা ইনিংস খেলে লক্ষ্ণৌকে জয় এনে দেন মার্কাস স্টয়নিস।

এমন দুর্দান্ত ইনিংস দেখে প্রতিপক্ষ শিবিরে থেকেও প্রশংসা না করে পারেননি চেন্নাই অধিনায়ক এবং লক্ষ্ণৌয়ের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করা ব্যাটার রুতুরাজ গায়কোয়াড়, ‘পরাজয় মেনে নেওয়া সবসময়ই কঠিন। লক্ষ্ণৌ ভালো করেছে। ১৩তম ওভার পর্যন্ত ম্যাচ আমাদের হাতেই ছিল। স্টয়নিস দুর্দান্ত ব্যাট করেছে। ওকে টুপি খোলা অভিনন্দন।’ 

তবে ২১০ রান ডিফেন্ড করতে না পারার পরও বোলারদের দায় দিচ্ছেন না চেন্নাই অধিনায়ক, ‘এই ম্যাচে শিশির প্রভাব রেখেছে। শিশিরের কারণে স্পিনাররা সুবিধা করতে পারেনি। তা না হলে আরেকটু ভালো হতে পারত। যদিও এটি খেলারই অংশ। যা আপনার হাতে নেই সেটি আপনি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না।’

;

বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে আর্জেন্টিনার তেভেজ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে আর্জেন্টিনার সাবেক ফুটবলার কার্লোস তেভেজকে। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) তাকে আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েনস আইরেসের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা হওয়ার কথা।

ম্যানচেস্টারের দুই ক্লাব সিটি এবং ইউনাইটেডের হয়ে খেলা এই ফুটবলার অবসরের পর এখন আর্জেন্টাইন ক্লাব ইন্দিপেন্দিয়েন্তের হেড কোচের দায়িত্বে রয়েছেন। ক্লাবটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ (সাবেক টুইটার) দেয়া এক বিবৃতিতে জানায়, সান ইসিদ্রোর ত্রিনিদাদ হাসপাতালে প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তার অবস্থা ‘সন্তোষজনক’।

তবে সতর্কতাবশত তেভেজকে আরও কিছুদিন হাসপাতালে রাখা হবে বলেও ইন্দিপেন্দিয়েন্তের বিবৃতিতে জানানো হয়।

২০০৪ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত আর্জেন্টিনার জার্সিতে নিয়মিত দেখা যায় তেভেজকে। ২০২২ সালে বুটজোড়া তুলে রাখার ঘোষণা দেয়ার পর কিছু সময় রোজারিও সেন্ট্রালের দায়িত্বে ছিলেন। ২০২৩ সালের আগস্টে ইন্দিপেন্দিয়েন্তের ডাগআউটে দাঁড়ান।

;