করোনা পরীক্ষাকে 'অস্বস্তিকর' বলছেন শান্ত
যেখানে শেষ করেছিলেন, সেখান থেকেই শুরু করতে চান তিনি। তবে এবার আর উইকেটে থিতু হয়ে ফিরে যেতে চান না! ইনিংসগুলো যেন লম্বা হয় সেই লক্ষ্যে পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। বৃহস্পতিবার মিরপুরের শেরে-বাংলা স্টেডিয়ামে দাঁড়িয়ে নাজমুল হোসেন শান্ত বলছিলেন, 'আমার মনে হয় লাস্ট দুই তিনটা ইনিংস ভালো ব্যাটিং হয়েছে। আমি সবচেয়ে যে জিনিসটা চাই তা হলো ইনিংসগুলো যেন লম্বা হয়। আর নিয়মিত পারফরম্যান্স যেন করতে পারি। আমার ব্যাটিংয়ের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হলো সেট হওয়া ইনিংসগুলো যেন বড় করতে পারি।'
ভুল বলেননি, এই তরুণ ব্যাটসম্যান সবশেষ টেস্টে খেলেছেন এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে। রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে তার দুই ইনিংস ছিল এরকম- ৪৪ ও ৩৮। এরপর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দেশের মাঠে ওয়ানডেতেও তার ব্যাটে এসেছে হাফ-সেঞ্চুরি। সুযোগ পেলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আসন্ন তিন টেস্টের সিরিজে ধরে রাখতে চান ধারাবাহিকতা। সঙ্গে ইনিংসগুলোও বড় করতে চান শান্ত।
লকডাউন শেষে মাঠে ফিরতে পেরেও খুশি এই ব্যাটসম্যান। মিরপুরে অনুশীলনের সুযোগটা পুরো মাত্রায় কাজে লাগাচ্ছেন। নাজমুল হোসেন শান্ত জানাচ্ছিলেন, 'দেখুন, লকডাউনটা কষ্টকর ছিল কারণ ক্রিকেট খেলা শুরু করার পর থেকে এরকম লম্বা একটা ব্রেক কখনোই পাইনি। বাসার মধ্যে এতদিন থাকা মাঠ ছাড়া, অনেক কঠিন ছিল। কিন্তু ইতিবাচক দিক হলো অনেকদিন পর আবার মাঠে ফিরতে পারছি, ভালো লাগছে।'
করোনাকালে ঘরবন্দী জীবনে নিজের অতীত ভুলগুলোও ব্যাখ্যা করার কাজে ব্যয় করেছেন শান্ত। সেই ভুল থেকেও শিক্ষা নিতে চান তিনি। বলেন, 'লকডাউনে ইতিবাচক দিক বলতে অতীতে যে ভুলগুলো ছিল বা অতীতে যেসব আমি ভালো করেছি ওসব নিয়ে চিন্তা করার খুব ভালো একটা সুযোগ ছিল। যেগুলো নিয়ে আমি কাজ করেছি। আমি মনে করি যে সামনে যদি সুযোগ পাই তাহলে এই অভিজ্ঞতাটা কাজে লাগবে। লকডাউনে ভালো বা খারাপ খেলা যেটাই বলি নিজের খেলাগুলো নিয়ে অ্যানালাইসিস করতে পেরেছি।'
করোনাকালে ক্রিকেটে মানিয়ে নেওয়াটাও সহজ হচ্ছে না। বিশেষ করে বারবার কোভিড টেস্টের দিকেও অস্বস্তি হচ্ছে। শান্ত বলছিলেন, 'টেস্টের কথা বলবো যে করোনা টেস্ট দুই দিন পর পর এই জিনিসটা একটু অস্বস্তিকর লাগে। নাকের ভেতর কিট দেওয়া, পরীক্ষা করা এ জিনিসটা আমার জন্য অস্বস্তিকর। আর কোয়ারেন্টিন থাকতে কারই ভালো লাগে না। এত সিকিউরিটির মধ্যে থাকা ভালো অনুভব করি না। কিন্তু আস্তে আস্তে মানিয়ে নিচ্ছি এবং এভাবেই অনুশীলন করতে হবে, খেলাধুলা করতে হবে।'