রাতেই নিউইয়র্কের ফ্লাইটে উঠছেন সাকিব
যুক্তরাষ্ট্রে পরিবারের কাছে ফিরছেন সাকিব আল হাসান। শুক্রবার ভোর রাতে কাতার এয়ারওয়েজের ফ্লাইটে উঠছেন তিনি। ফিরে যাচ্ছেন নিউইয়র্কে স্ত্রী ও দুই কন্যা সন্তানের কাছে।
সেপ্টেম্বরের শুরুতে দেশে ফিরেছিলেন সাকিব। ফিটনেস এবং ক্রিকেট অনুশীলন নিয়ে পুরো সেপ্টেম্বর ব্যস্ত ছিলেন। চলতি বছরের ২৯ অক্টোবর তার আইসিসি’র এক বছরের নিষেধাজ্ঞার শাস্তি শেষ হচ্ছে। ক্রিকেট জুয়াড়ির সঙ্গে যোগাযোগের বিষয়টি যথাযথ কর্তৃপক্ষকে না জানানোর অপরাধে সাকিবকে আইসিসি এক বছর সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নিষেধাজ্ঞার শাস্তি দেয়। সেই নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে সাকিব ক্রিকেটে ফেরার অপেক্ষায় ছিলেন।
বিসিবি জানিয়েছিল শ্রীলঙ্কা সফরেই জাতীয় দলে ফিরবেন সাকিব। সেই সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে তাকে খেলানোর পরিকল্পনা ছিল বিসিবি’র। কিন্তু শ্রীলঙ্কা সফরই যে আপাতত হচ্ছে না। শ্রীলঙ্কার কোয়ারেন্টিনের শর্ত বিসিবি’র পক্ষে মানা সম্ভবপর নয়- এটা জানিয়ে বাংলাদেশ এই সফরে আপাতত যাচ্ছে না। তবে বিসিবি ঘরোয়া ক্রিকেট শুরুর দিকে এখন মনোযোগ দিচ্ছে। কিন্তু সাকিব যে ২৯ অক্টোবরের আগে কোনো ধরনের ক্রিকেটে অংশ নিতে পারবেন না। তাই মাঝের এই সময়টায় যুক্তরাষ্ট্রে পরিবারের কাছে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
করোনাকালের শুরু থেকেই সাকিব অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রে তার পরিবারের সঙ্গেই ছিলেন।
সেপ্টেম্বরের শুরু থেকে বিকেএসপি’তে ফিরে ফিটনেস এবং ক্রিকেট অনুশীলন শুরু করেন তিনি। এই ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই সাকিবের ক্রিকেটে হাতেখড়ি হয়েছিল। বিকেএসপি’র দুই ক্রিকেট প্রশিক্ষক নাজমুল আবেদিন ফাহিম এবং মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের তত্ত্বাবধানে এবারের ফিটনেস এবং ক্রিকেট অনুশীলনে অংশ নেন সাকিব। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরে আসতে নিজেকে তৈরি করছিলেন। কিন্তু যেহেতু দেশের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটই এখন পিছিয়ে গেছে- তাই সাকিব ছুটি কাটাতে পরিবারের সঙ্গেই সময় কাটানোর পরিকল্পনা নিয়েছেন।