চ্যাম্পিয়ন লিভারপুলের জালে অ্যাস্টন ভিলার গোলবন্যা



স্পোর্টস এডিটর, বার্তা২৪.কম
হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়লেন লিভারপুলের তারকারা

হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়লেন লিভারপুলের তারকারা

  • Font increase
  • Font Decrease

ছোট্ট করে সবার আগে দুই দলের পরিচয়।

লিভারপুল, ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের গেলবারের চ্যাম্পিয়ন।

অ্যাস্টন ভিলা, গেলবার কোনমতে শেষদিনে রেলিগেশন এড়ানো দল।

নতুন মৌসুমের শুরুতে দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ে ফলটা হলো বিশাল! অ্যাস্টন ভিলা ৭, লিভারপুল ২!

জি, আপনি ভুল পড়ছেন না! চোখ কচলানোরও প্রয়োজন নেই। লিভারপুলকে গোল বন্যায় ভাসিয়ে দিয়েছে অ্যাস্টন ভিলা। চলতি লিগে এটি লিভারপুলের প্রথম হার। আর প্রথম হারটাই হলো এতো বিশাল যে পরের ম্যাচে নামার আগে তাদের বাজির দর কমতে বাধ্য!

ঠিক কি হয়েছিল এই ম্যাচে? সেই হিসেব মেলাতে অনেকদিন সময় লাগবে লিভারপুরের ভক্ত-সমর্থকদের। ইংলিশ প্রিমিয়ার ফুটবল লিগে (ইপিএলে) অনেক অবিশ্বাস্য ফলাফলের ফুটবল ম্যাচের তালিকায় লেখা হয়ে গেল এই ম্যাচও!

যতবারই এই ম্যাচের কথা মনে পড়বে; তখনই সন্দেহ এবং অবিশ্বাসের দোলা জাগবে- সত্যি তো!

১৯৬৩ সালের পর এই প্রথম লিভারপুল কোন ম্যাচে ৭ গোল হজম করল। ডিফেন্সের ভুল। গোলকিপারের ভুল। স্ট্রাইকারদের ভুল। এক প্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্ত জুড়ে এই ম্যাচে শুধু ভুল আর ভুলই করে গেল লিভারপুল।

বিরতির আগেই লিভারপুলের জালে ৪ গোল! ওলিও ওয়াটকিন্স হ্যাটট্রিক করে বসলেন প্রথমার্ধেই। ৪, ২২ ও ৩৯ মিনিটে গোল পান তিনি। ৩৩ মিনিটের সময় সালাহ একটি গোল শোধ করলেও অ্যাস্টন ভিলার গোল বন্যা থামাতে পারেনি লিভারপুল দ্বিতীয়ার্ধেও।

শেষ অর্ধে আরো তিন গোল লিভারপুলের জালে। ৫৫ মিনিটের সময় বার্কেলোর গোলে ম্যাচের স্কোরলাইন ৫-১! মিনিট পাঁচ পরে মোহাম্মদ সালাহ ম্যাচে তার এবং লিভারপুলের দ্বিতীয় গোল করেন। কিন্তু ততক্ষণে যে অ্যাস্টন ভিলাকে গোলের নেশায় পেয়ে বসেছে। স্ট্রাইকার জ্যাক গ্রেলিস করেন শেষের দুই গোল। লিভারপুলের তিনটি গোলে সরাসরি সহায়তাও আছে তার।

খেলার শেষ বাঁশি বাজায় লিভারপুল যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচল- যাক বাবা, আর গোল খেতে হবে না; খেলা তো শেষ!

৭-২ গোলের এমন জয় পেয়ে অ্যাস্টন ভিলাও নিজেদের গায়ে চিমটি দিচ্ছে- সত্যি তো এটা! দলের কোচ ডিন স্মিথ বলেন-‘এমন এবং এত বড় জয়ের স্বপ্নও দেখিনি আমরা। আমার পুরো দলের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দুর্দান্ত পারফরমেন্স ছিল। আমরা গোলের সুযোগ তৈরি করেছি। গোল করেছি। সেই সঙ্গে ডিফেন্সও দক্ষতার সঙ্গে ঠিক রেখেছি।’

লিভারপুলের চ্যাম্পিয়ন কোচ ইর্য়েগন ক্লপের ক্যারিয়ারে সবচেয়ে বড় ব্যবধানে হার এটি। ম্যাচ শেষে ক্লপ বলছিলেন, ‘বলতেই হবে অ্যাস্টন ভিলা খুবই ভাল ফুটবল খেলেছে। শারীরিক শক্তি দিয়েও তারা এগিয়ে ছিল। স্মার্ট ফুটবল খেলেছে তারা। যা করেছে সেটা সরাসরি করেছে। আমরা সেটা করতে পারিনি। আমরা অনেক বড় বড় সুযোগ পেয়েছি, কিন্তু সেটা ব্যবহার করতে পারিনি। তবে যখন আপনি ৭ গোল হজম করবেন তখন নিশ্চয়ই বলার উপায় নেই ম্যাচটা ৭-৭ গোলের হতে পারতো! প্রথম গোলটাই খেলাম আমরা বড় ভুলে। সেই ভুলের মাত্রা আর কমলো কই?’

   

রনির তাণ্ডবে তামিম-মুশফিকদের হার



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের সুপার লিগ পর্বে টানা দ্বিতীয় জয় তুলে নিয়েছে মোহামেডান। রনি তালুকদারের বিস্ফোরক সেঞ্চুরিতে প্রাইম ব্যাংককে ৩৩ রানে হারিয়েছে সাদাকালোরা।

মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাট করতে হয় মোহামেডানকে। রনি তালুকদারের সেঞ্চুরি আর মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন এবং মেহেদী হাসান মিরাজের ফিফটিতে ব্যাটিংটা উপভোগ করে তারা। ৫০ ওভার শেষে তাদের স্কোরবোর্ডে শোভা পায় ৬ উইকেটে ৩১৭ রানের বড় সংগ্রহ।

১৩১ বলে ৮ চার এবং ৯ ছক্কায় ১৪১ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস আসে রনির ব্যাটে। রুবেল হোসেনের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ঠিক ৫০ রান করেন ফর্মে থাকা অঙ্কন। মিরাজ ২৯ বলে ৭ চার ও ১ ছয়ে খেলেন  ৫৩ রানের হার না মানা ইনিংস। প্রাইম ব্যাংকের পক্ষে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন শেখ মেহেদী।

জবাব দিতে নেমে মোহামেডানের স্কোর টপকে যাওয়ার চেষ্টা কম করেনি প্রাইম ব্যাংক। ওপেনার তামিম ইকবাল (১৪) ব্যর্থ হলেও লড়াই চালিয়ে যান শাহাদাত দিপু, শেখ মেহেদী, সানজামুলরা। তবে তাদের কেউই তিন অঙ্কের ঘর স্পর্শ করতে পারেননি। সেট হয়েও ফিরেছেন আক্ষেপ সঙ্গী করে।

প্রাইমের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৪ রান আসে শেখ মেহেদীর ব্যাটে। ৫১ রান করেন শাহাদাত দিপু। ১ রানের জন্য ফিফটি মিস হয় সানজামুলের। তাদের প্রচেষ্টার পরও ৪৮.৫ ওভারে ২৮৪ রানে গুটিয়ে যায় প্রাইম ব্যাংক। মোহামেডানের হয়ে সমান দুটি করে উইকেট নেন আবু হায়দার রনি, মুশফিক হাসান এবং নাসুম আহমেদ।

;

শেখ জামালের কাছে হেরে শিরোপা-স্বপ্ন শেষ শাইনপুকুরের



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে এবার চমকের পর চমক দেখিয়েছে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব। প্রথম পর্বে আবাহনীর পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পয়েন্ট নিয়ে সুপার লিগে জায়গা করে নেয় তারা। সুপার লিগেও প্রথম ম্যাচে জয় পেয়েছিল দলটি। তবে সুপার লিগের দ্বিতীয় ম্যাচে এসে হোঁচট খেতে হল তাদের। দলটিকে ৭ উইকেটে হারিয়ে দিয়েছে শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাব।

বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে টসে জিতে আগে ব্যাট করতে নামে শাইনপুকুর। জিসান আলম ও অধিনায়ক আকবর আলির ব্যাটে লড়াকু সংগ্রহ পায় তারা। ৪৬.১ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে তারা স্কোরবোর্ডে জমা করে ২৬৪ রান।

দুই রানের জন্য সেঞ্চুরি মিসের আক্ষেপে পোড়েন শাইনপুকুর ওপেনার জিসান আলম। তাইবুর রহমানের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে তাকে থামতে হয় ৯৮ রানে। ৬৪ রান আসে আকবর আলির ব্যাটে।

শেখ জামালের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন তাইবুর।

২৬৫ রান তাড়া করতে নেমে ওপেনার সাইফ হাসানের ফিফটি ও তিনে নামা ফজলে মাহমুদ রাব্বির সেঞ্চুরিতে ৪৬.২ ওভারেই লক্ষ্য পৌঁছে যায় শেখ জামাল।

নাহিদ রানার বলে তানজিদ হাসান তামিমের ক্যাচ হওয়ার আগে ৬৭ রান করেন সাইফ। অন্যদিকে সমান ছয়টি করে চার-ছক্কায় ১০১ রানের হার না মানা ইনিংসে দলকে জিতিয়ে তবেই মাঠ ছাড়েন ফজলে মাহমুদ।

এই হারে শিরোপার স্বপ্ন ফিকে হয়ে গেল শাইনপুকুরের। অন্যদিকে শিরোপার দৌড়ে না থাকলেও সুপার লিগে প্রথম জয়ের উৎসব করছে শেখ জামাল।

;

বিশ্বকাপে ‘ভালো কিছুর সম্ভাবনা’ দেখছেন সাকিব



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আগামী জুনে যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে বসবে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এই বিশ্ব আসরে বাংলাদেশ কেমন করবে সেটার জবাব আপাতত সময়ের কাছে তোলা। তবে এই টুর্নামেন্ট শুরুর কয়েক মাস আগেই খুব বেশি প্রত্যাশা বা মাতামাতি করতে নিষেধ করেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। সাবেক অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের কণ্ঠে অবশ্য অন্য সুর শোনা গেল।

 টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ভালো কিছু করবে বলে বিশ্বাস সাকিবের। বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন না দেখালেও অন্তত সমর্থকদের আনন্দ করার মতো কিছু উপলক্ষ্য এনে দিতে চান এই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার, ‘বিশ্বকাপ পাওয়ার মতো অবস্থায় আসছি কি না, এটা বলাটা একটু মুশকিল। তবে টি-টোয়েন্টিতে যে কেউ যে কাউকে হারাতে পারে, বড় ছোট দল নেই। বলছি না, ট্রফি জিততে পারব কি পারব না। তবে আমাদের ভালো কিছুর সম্ভাবনা আছে।’

সেজন্য সবার আগে নিজেদের সামর্থ্যে বিশ্বাস রাখার বার্তা সাকিবের। যুক্তরাষ্ট্রে  এক অনুষ্ঠানে প্রশ্নোত্তর পর্বে সাকিব বলেন, ‘আমাদের বিশ্বাসটা দরকার, ওই বিশ্বাসটা নিয়ে যদি খেলতে পারি, আমরা ভালো করব।’

গত বছর ভারতে বিশ্বকাপের পর চোখ ও আঙুলের চোট নিয়ে বেশ ভুগতে হয়েছে সাকিবকে। দীর্ঘ বিরতি শেষ গত মাসে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্ট দিয়ে জাতীয় দলের জার্সিতে মাঠে ফিরেছিলেন সাকিব। এর মাঝে অবশ্য দেশের দুই ঘরোয়া টুর্নামেন্ট বিপিএল এবং ডিপিএলে কিছু ম্যাচ খেলেছিলেন তিনি।

এবার জিম্বাবুয়ে সিরিজেও খেলতে চান সাকিব। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে নিজেকে প্রস্তুত করার জন্য জিম্বাবুয়ে সিরিজকে সুযোগ হিসেবে দেখছেন এই তারকা অলরাউন্ডার।

;

শান্তর সেঞ্চুরিতে শিরোপার আরও কাছে আবাহনী



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে শিরোপার আরও কাছে পৌঁছে গেল আবাহনী লিমিটেড। গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সকে ১৭১ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে দিয়েছে আকাশি-হলুদরা।

ফতুল্লার খানসাহেব ওসমান আলি স্টেডিয়ামে টসে জিতে আগে ব্যাট করে আবাহনী। দুই ওপেনার নাঈম শেখ ও লিটন দাস সমান ৩৩ রানে ফেরেন। তিনে নেমে সেঞ্চুরির দেখা পান অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। ৮৪ বলে ৮ চার এবং ৬ ছক্কায় ১০১ রান আসে তার ব্যাটে।

চার এবং পাঁচে নেমে ফিফটি করেন এনামুল হক বিজয় ও তাওহিদ হৃদয়। দ্রুতলয়ে ব্যাট চালিয়ে ৬৮ রান করেন এনামুল, হৃদয় অপরাজিত থাকেন ৫৮ রানে। শেষদিকে ১৭ বলে ৩৩ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। তাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ৫০ ওভার ব্যাট করে ৫ উইকেটে ৩৪৩ রান করে আবাহনী।

প্রাইম ব্যাংকের পক্ষে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন শেখ পারভেজ জীবন।

জবাব দিতে গাজী গ্রুপ খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি। দলটির মিডল অর্ডার ব্যাটার সর্বোচ্চ ৬২ রানের ইনিংস খেলেন। তবে আবাহনীর রানপাহাড় টপকানোর জন্য তা মোটেও যথেষ্ট ছিল না। অন্য ব্যাটারদের গড়পড়তা পারফরম্যান্স ৩৫.১ ওভারে ১৭২ রানে অলআউট হয়ে যায় গাজী।

আবাহনীর পক্ষে ৪৪ রান খরচায় ৪ উইকেট নেন স্পিনার রাকিবুল হাসান। দুটি করে উইকেট যায় তানজিম হাসান সাকিব ও সৈকতের ঝুলিতে।

প্রথম পর্বে ১১ ম্যাচের সবকটিতে জয় পায় আবাহনী, এখন সুপার লিগেও দুই ম্যাচ জিতে শিরোপার সুবাস পাচ্ছে তারা।

 

;