সিনিয়রদের ব্যাটিং শেখাল মাহাদির ৮২ রানের ইনিংস
একেই বলে দলকে উদ্ধার!
স্কোরবোর্ডে মাত্র ১২৫ রান জমা হতেই তামিম ইকবাল একাদশ ৮ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল। তখনো ইনিংস শেষ হতে ১৫ ওভার বাকি। সেই ১৫ ওভারে শেখ মাহাদি হাসান ও তাইজুল ইসলাম দলের ব্যাটিংকে গর্ত থেকে টেনে তুললেন। উদ্ধারকাজ সারলেন। ৫০ ওভার শেষে দলের স্কোর ৯ উইকেটে ২২১ রানের ভদ্রগোছের একটা চেহারা পেল!
৯ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে মাহাদি হাসান করলেন ৫৭ বলে ৮২ রানের দারুণ প্রশংসনীয় ইনিংস। সঙ্গী হিসেবে সিনিয়র ক্রিকেটার তাইজুল ইসলামও করলেন ৪৩ বলে অপরাজিত ২০ রান। দলের ২১১ রানে স্কোরে অধিনায়ক তামিম ইকবালের কৃতিত্ব ৪৫ বলে ৩৩ রান। আর মিডলঅর্ডারে শাহাদাত হোসেন দীপুর সংগ্রহ ৫২ বলে ৩১। দলের শীর্ষব্যাটসম্যানদের বেশিরভাগই প্রথম ম্যাচের মতো এই ম্যাচেও একই ভুল করলেন; যাকে বলে উইকেট বিসর্জন!
৬.৩ ওভারে ৪৪ রানে দলের দ্বিতীয় উইকেট পড়ার পর তামিম ইকবাল একাদশের ব্যাটসম্যানদের আসা-যাওয়া শুরু হয়। সেই ধাক্কায় ৮ উইকেটে দলের স্কোর দাঁড়ায় ১২৫ রানে। সেই অবস্থা থেকে দলকে উদ্ধারকাজে নামেন শেখ মাহাদি হাসান ও তাইজুল ইসলাম। দুজনের জুটিতে যোগ হয় ৯৫ রান। ইনিংসের শেষ ওভারে আউট হওয়ার আগে মাহাদি হাসানের ব্যাট হাসল ৫৭ বলে ৮২ রান নিয়ে। ৩ ছক্কা ও ৯ বাউন্ডারিতে তার এই ইনিংস উদ্ধারের ব্যাটিং নিশ্চিতভাবেই নির্বাচকদের বাড়তি মনোযোগ কাড়ছে।
প্রথম ম্যাচে মাত্র ১০৩ রানে অলআউট!
অনেকদিন পরে খেলতে নামায় তামিম ইকবাল একাদশের ব্যাটসম্যানের সেই ব্যর্থতাকে সবাই ‘দুর্ঘটনা’ বলেই মানছিলেন। দুদিন পরেই সেই দল একই মাঠে নামল। এবার প্রতিপক্ষ ভিন্ন। কিন্তু দলের ব্যাটিং ব্যর্থতার চেহারা সেই আগেরটাই! ৩৫ ওভারে ১২৫ রানে নেই ৮ উইকেট! লেজের সারির ব্যাটসম্যানদের কল্যাণে দলের সেই স্কোর ৪০ ওভারে পৌঁছায় ১৫৪ রানে। বিকেলের বৃষ্টি এসে যেন তামিম ইকবাল একাদশের ব্যাটসম্যানদের লজ্জা থেকে বাঁচাল। খেলা বৃষ্টির কারণে বন্ধ হল! ৬৭ মিনিট পর খেলা ফের শুরু হলে শেষের সারির দুই ব্যাটসম্যান ব্যাট হাতে দলকে পৌঁছে দিলেন দুশো’র উপরে। ৯ ও ১০ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে শেখ মাহাদি হাসান ও তাইজুল ইসলাম ব্যাট হাতে যা করলেন সেটা দলের শীর্ষ সারির বাকি সব ব্যাটসম্যানদের জন্য একটা বড় শিক্ষা।
নাজমুল ইসলাম একাদশের বোলাররা এই ম্যাচেও ভাল পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন। তবে পেসার আল আমিন ৪৩ রানে ৩ উইকেট নিয়ে এই তালিকায় নাম্বার ওয়ান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
তামিম ইকবাল একাদশ: ২২১/৯ (৫০ ওভারে, তামিম ৩৩, তানজিদ ৮, আনামুল ১২, মিথুন ৪, শাহাদাত ৩১, মোসাদ্দেক ১২, আকবর আলী ২, সাইফুদ্দিন ৩, মাহাদি হাসান ৮২, তাইজুল ২০*, সাইফুল ১*, আল আমিন ৩/৪৩, নাঈম হাসান ২/২৮, রিশাদ ২/২১, তাসকিন ১/৪১ ও মুগ্ধ ১/৪৪)।