৯৮ রানে রান আউট আফিফ, দলের সংগ্রহ ২৬৪
রান আউট হয়ে ড্রেসিংরুমে ফেরার পথটুকু নিশ্চয়ই অনেক লম্বা মনে হচ্ছিল আফিফ হোসেন ধ্রব’র জন্য! মাত্র ২ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস হলে মন-মেজাজ তো খিঁচড়ে থাকবেই। তারওপর আবার এই রান আউটের বেশিভাগের দায় যখন অপর প্রান্তের ব্যাটসম্যানের ওপর যায়! দৌড়ানোর জন্য ডাকলেন ঠিকই মুশফিক। কিন্তু নিজেই আবার ফিরে গেলেন নিজের চত্বরে। আফিফ আর নিজের ক্রিজে ফিরতে পারলেন কই। ৯৮ রানে রানআউটের লম্বা দুঃখ নিয়ে ড্রেসিংরুমে ফিরলেন। তবে ইনিংস শেষে দলের স্কোরবোর্ডে ৮ উইকেটে ২৬৪ রানের সঞ্চয় দেখে নিশ্চয়ই সেঞ্চুরি মিসের দুঃখ তার দূর হওয়ার কথা। দলের স্কোর তো বড় হয়েছে!
মিরপুর শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নাজমুল হোসেন একাদশ টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে বড় বিপদে পড়ে। ৩১ রানে হারায় তারা তিন উইকেট। যথারীতি এই ম্যাচেও ব্যর্থ হয়েছেন সৌম্য সরকার। ৪ বলে দুই বাউন্ডারিতে ৮ রান তোলা সৌম্য সরকার ইনসাইড এজ হয়ে বোল্ড হয়েছেন রুবেল হোসেনের গতির কাছে। পাওয়ার প্লেতে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন এবং নতুন ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমনের উইকেট হারিয়ে দল ধুঁকছিল। সঙ্কট আরো বাড়তে পারতো নাজমুল হোসেন একাদশের যদি স্লিপে মুশফিকের ক্যাচটা মেহেদি হাসান মিরাজ রাখতে পারতেন। মুশফিক তখন মাত্র ১ রানে। পেসার সুমন খানের বলে মাথার ওপর দিয়ে যাওয়া বলে স্লিপে দাঁড়িয়ে মিরাজ হাতে লাগিয়েও তালুতে রাখতে পারলেন না! সেই জীবন পাওয়া মুশফিক করলেন ৯২ বলে ৫২ রানের ইনিংস। সঙ্গী হিসেবে থাকা আফিফ হোসেন ধ্রব’র ব্যাটিংয়ে তখন সৌন্দর্য্যরে ছটা! ঠিক যেন সাকিব আল হাসানের স্মৃতি ফিরিয়ে এনেছিলেন এই তরুণ বাঁহাতি! সেঞ্চুরিটা তার পাওনা ছিল। কিন্তু মুশফিকের ভুল করে ৯৮ রানে রান আউট হয়ে ফিরলেন আফিফ। চতুর্থ এই উইকেট জুটিতে রান উঠে ১৪৭।
মুশফিকের হাফসেঞ্চুরি এবং আফিফের সেঞ্চুরি ছুঁই ছুঁই ইনিংসের পর ব্যাট হাতে আরেকবার নিজেকে চেনালেন ইরফান সুকুর। প্রথম ম্যাচের মতো এই ম্যাচেও ব্যাট হাতে ঔজ্জ্বল্যে ছড়ালেন সুকুর। ২ ছক্কা ও ৪ বাউন্ডারিতে ৩১ বলে তার অপরাজিত ৪৮ রান নাজমুল হোসেন একাদশের সংগ্রহকে পৌছে দিল ২৬৪ রানের স্বস্তির জায়গায়।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: নাজমুল হোসেন একাদশ: ২৬৪/৮ (৫০ ওভারে, পারভেজ ১৯, সৌম্য ৮, নাজমুল ৩, মুশফিক ৫২, আফিফ ৯৮, তৌহিদ হৃদয় ২৭, ইরফান সুকুর ৪৮*, এবাদত ২/৬০, রুবেল ৩/৫৩, সুমন খান ১/৫২)।