দিয়োগো ম্যারাডোনা: আর্জেন্টিনার ট্র্যাজিক ফুটবল আইকন



মানসুরা চামেলী, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
দিয়োগো ম্যারাডোনা

দিয়োগো ম্যারাডোনা

  • Font increase
  • Font Decrease

চোখ-ধাঁধানো, কুখ্যাতি, অসাধারণ, বিরল প্রতিভা, বিতর্ক- এই সবের সংমিশ্রণ দিয়োগো ম্যারাডোনা। তিনি ছিলেন ফুটবলের এক আইকন, কিন্তু নানা দোষে যুক্ত। ফুটবলের অনন্য প্রতিভাধর ও বিচক্ষণ খেলোয়াড়। অলৌকিকতা, দূরদৃষ্টি, চমৎকারিত্ব এবং ক্ষিপ্র গতি, খেলায় কখন কি ঘটতে পারে তা আগে থেকে বুঝে ফেলার ক্ষমতা- এমন বিরল সংমিশ্রণ গোটা বিশ্বের ভক্তদের মন্ত্রমুগ্ধ করে রেখেছিলেন তিনি ম্যারাডোনা।

তার বিতর্কিত ‘ঈশ্বরের হাতে গোল’ করে যেমন নিন্দিত হয়েছিলেন, তেমননি ভক্তরা ভালোবেসেছিলেন। এবং মাদককাণ্ড ও ব্যক্তিগত নানা বিষয়ে নিজেকে বিতর্কিত করে তুলেছিলেন এই কিংবদন্তী।

৬০ বছর আগে আর্জেন্টিনার বুইয়েন এইরেসের শান্টি শহরে জন্ম দিয়াগো ম্যারাডোনার জন্ম। দরিদ্র পরিবার থেকে ফুটবলের সুপার স্টার হয়েছিলেন তিনি।

‘ঈশ্বরের হাতে গোল’

অনেক তাকে ব্রাজিলের কিংবদন্তী ফুটবলার পেলের থেকে প্রতিভাবান মনে করেন। এক জরিপে পেলেকে পেছনে ফেলে 'বিংশ শতাব্দীর শ্রেষ্ঠতম ফুটবলার' হয়েছিলেন ম্যারাডোনা। পরে অবশ্য ফিফা পেলে ও ম্যারাডোনা সম্মান দিতে সেই নিয়ম পাল্টায়।

ম্যারাডোনা অল্প বয়স থেকেই চমকপ্রদ নৈপূণ্য দেখিয়ে লস সেবোলিটাস যুব দলকে ১৩৬ ম্যাচে টানা অপরাজিত থাকার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। মাত্র ১৬ বছর বয়সে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখেন ম্যারাডোনা।

বেটে এবং গাঁট্টাগোট্টা, উচ্চতা মাত্র ৫ ফুট ৫ ইঞ্চি; শারীরিক গঠনে ঠিক অন্যান্য অ্যাথলেটদের মতো ছিলেন না। তবে তার দক্ষতা, নৈপূণ্য, দৃষ্টি, বল নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা, ড্রিবলিং করা এবং গতি তার ওজন সমস্যার থেকে বেশি আলোচিত হয়েছে।

তার নেতৃত্বে ১৯৮৬ সালের মেক্সিকো বিশ্ব জেতে আর্জেন্টিনা

ম্যারাডোনার উত্থান-পতনের ক্যারিয়ারে আর্জেন্টিনার হয়ে ৯১ ম্যাচে ৩৪টি গোল করেছেন; যাকে একটি গল্পই বলা যায়। তার নেতৃত্বে ১৯৮৬ সালের মেক্সিকো বিশ্ব জেতে আর্জেন্টিনা। এর চার বছর পর আবার আর্জেন্টিনাকে ফাইনালে নেন তিনি।

ছিয়াশির বিশ্বকাপের সেই কোয়ার্টার ফাইনাল এমনিতেই ছিল উত্তেজনাপূর্ণ। সে সময়ে আর্জেন্টিনা ও ইংল্যান্ডের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের উত্তাপ ম্যাচটিকে এমনিতেই তাতিয়ে রেখেছিল। ফুটবল ম্যাচ নয়, যেন যুদ্ধের উত্তাপ। ৫১ মিনিট গোল শূন্য থাকার পর ম্যারাডোনা বিপক্ষ গোলরক্ষক পিটার শিল্টনের সাথে ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং জালে বল খোঁচা দিয়ে গোল করে ম্যারাডোনা। এই গোল নিয়েই যত বিতর্ক।

পরে নিজেই সেই গোলের ব্যাখ্যায় বলেছিলেন, ঈশ্বরই তার হাত দিয়ে গোলটা করিয়ে নিয়েছেন! উত্তর ছিল এমন, ‘ম্যারাডোনার খানিকটা মাথা আর ঈশ্বরের খানিকটা হাত, এ দিয়েই গোল!’

ম্যারাডোনার উত্থান-পতনের ক্যারিয়ারে আর্জেন্টিনার হয়ে ৯১ ম্যাচে ৩৪টি গোল করেছেন

অবশ্য ওই বিতর্কিত ওই গোলের চার মিনিট পর তার দ্বিতীয় গোলটি আসে। সেটি ছিল অনন্য, অসাধারণ। বেশ কয়েকজন খোলোয়াড় ও গোলকিপারকে ফাঁকি দিয়ে তিনি জালে বল জড়ান। ফুটবল বিশেষজ্ঞরা তার এই গোল দুর্দান্ত ও সত্যিকারের ফুটবল প্রতিভা বলে মন্তব্য করেন।

ম্যারাডোনা দু'বার ক্লাব পরিবর্তনে রেকর্ডটি করেছিলেন- ১৯৮২ সালে বোকা জুনিয়র্সকে ছেড়ে স্প্যানিস ক্লাব বার্সেলোনায় যান ৩ মিলিয়ন পাউন্ডে। এর দুই বছর পর ৫ মিলিয়ন পাউন্ডে ইতালির ক্লাব নেপোলিতে যোগ দেন ম্যারাডোনা।

১৯৮৬–৮৭ ও ১৯৮৯–৯০ মৌসুমে সিরি এ চ্যাম্পিয়নশিপ জিতে এবং ১৯৮৯–৮৮ ও ১৯৮৮–৮৯ মৌসুমে তারা রানার-আপ হয়। শুধু তাই নয় ১৯৮৭ সালে কোপা ইতালিয়াও জিতে নাপোলি। এছাড়া ১৯৮৯ সালে রানারআপ হয়। নাপোলির হয়ে ম্যারাডোনা ১৯৮৭–৮৮ মৌসুমের সিরি এ-তে সর্বোচ্চ গোলদাতা হন।

এক সময় কোকেনের নেশায় বুঁদ হয়ে পড়েন ম্যারাডোনা। ওই সময় ক্রাইম সিন্ডিকেটের সাথে যুক্ত হয়েছিলেন। বিচিত্র এক মানুষের নাম দিয়েগো ম্যারাডোনা। বলা হয়ে থাকে বিতর্ক আর ম্যারাডোনা হাত ধরাধরি করে চলতেন। ১৯৯০ সাল সন্তানের পিতৃত্ব সংক্রান্ত মামলায় জরিমানা হয় তার।

এক সময় কোকেনের নেশায় বুঁদ হয়ে পড়েন ম্যারাডোনা

ইতালিতে অনুষ্ঠিত ১৯৯০ এর বিশ্বকাপে ফাইনালে জার্মানির কাছে ১-০ ব্যবধানে হেরে যাওয়ার পরের বছর ডোপ টেস্টে পজেটিভ আসায় ১৫ মাসের নিষেধাজ্ঞার দেওয়া হয় তাকে। এরপর ১৯৯৪ সালে যুক্তরাষ্ট বিশ্ব তার জীবনের সব কিছু ওলট-পালট হয়ে যায়। ডোপ টেস্টে ধরা পড়ায় বিশ্বকাপে নিষিদ্ধ করে ফিফা। এরপর তার ফুটবল ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যায়। ১৯৯৪ এর বিশ্বকাপের তিন বছর পর আবারও ড্রোপ টেস্টে পজেটিভ আসায়  অবসর নেন ফুটবলের এ জাদুকর। তবে পুরো জীবনে বিতর্ক তার পিছু ছাড়েনি।

ড্রাগ রাখার দায়ে ২ বছর জেল খাটতে হয়েছিলো ম্যারাডোনাকে। এমনকি সাংবাদিকদের দিকে গুলি ছুড়ে কুখ্যাতি কুড়িয়েছিলেন ম্যারাডোনা।

মদপান ও কোকেনের অভ্যাসের কারণে তার স্বাস্থ্যগত জটিলতা দেখা দেয়। স্থূলতা সমস্যা দেখা দেয়, এক পর্যায়ে ১২৮ কেজি ওজন হয় তার। ২০০৪ সালে ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হন। ওজন কমাতে সার্জারি করেছিলেন তিনি। মাদকাসক্তি থেকে মুক্তি লাভের আশায় কিউবাতে নিরাময় কেন্দ্রে ছিলেন।

এত বিতর্কের পরও ২০০৮ সালে আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন ঘোষণা করে ডিসেম্বর ২০১০ থেকে আর্জেন্টিনার জাতীয় ফুটবল দলের কোচ ম্যারাডোনা।আর্জেন্টিনা ওইবার কোয়ার্টার ফাইনালে জার্মানির কাছে হেরে বিদায় নেয়।

একবার তার পোষা কুকুর তাকে কামড়ে দেয়ায় তার ঠোঁট অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে নতুন করে বানাতে হয়েছিল।

   

বান্দরবানে আফিমসহ মাদক কারবারি আটক



Rasel
বান্দরবানে আফিমসহ মাদক কারবারি আটক

বান্দরবানে আফিমসহ মাদক কারবারি আটক

  • Font increase
  • Font Decrease

বান্দরবানে এক কেজি ৭০০ গ্রাম আফিমসহ এক মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) র‍্যাব-১৫ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (ল' অ্যান্ড মিডিয়া) আবু সালাম চৌধুরী এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

গ্রেফতার মাদক কারবারি হলেন উম্যামং মার্মা (৫২)। সে বান্দরবান সদরের কুহালং নতুন চড়ই পাড়া এলাকার মৃত ক্যশৈ অং মার্মার ছেলে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ২৩ এপ্রিল দিবাগত রাত দেড়টায় বান্দরবান সদরের কুহালং ইউপির পশ্চিম মুসলিম পাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে র‍্যাব। এসময় এক কেজি ৭০০ গ্রাম আফিমসহ গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার উম্যামং মার্মা গোল্ডেন ওয়েজ কেন্দ্রিক আন্তর্জাতিক আফিম পাচারকারী চক্রের সদস্য মর্মে স্বীকার করেছেন। মাদক কারবারির বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

;

ধর্ষণের অভিযোগে প্রিমিয়ার লিগের দুই ফুটবলার আটক



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ধর্ষণের অভিযোগে প্রিমিয়ার লিগে খেলা দুই ফুটবলারকে আটক করেছে ইংল্যান্ডের পুলিশ। গত শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) দুই ফুটবলারের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগ পেয়ে সপ্তাহান্তে পুলিশ তাদের আটক করে।

ব্রিটিশ দৈনিক ইন্ডিপেন্ডেন্ট জানিয়েছে, শনিবার (২০ এপ্রিল) ধর্ষণে প্ররোচনা ও সাহায্য করার অভিযোগে একজন ফুটবলারকে আটক করে পুলিশ। এরপর রবিবার অপর এক ফুটবলারকে ধর্ষণের অভিযোগে আটক করা হয়।

জানা গেছে, প্রথম ফুটবলারকে তার ক্লাবের স্টেডিয়ামে জিজ্ঞাসাবাদ করেন পুলিশ কর্মকর্তারা। পরে একই দিন রাতে তাকে আটক করা হয়।

দুইজন ফুটবলার একই প্রিমিয়ার লিগ ক্লাবের খেলেন বলেও ইন্ডিপেন্ডেন্টের প্রতিবেদনে নিশ্চিত করা হয়। আটক করার পরপরই অবশ্য দুজন জামিনে মুক্ত হয়েছেন।

পুলিশের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত দুই ফুটবলারেরই বয়স ১৯। তবে এই দুই ফুটবলারের ক্লাব এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি বলে জানিয়েছে অপর এক ব্রিটিশ দৈনিক সান। তাদেরকে ক্লাব কোনো ধরনের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে কিনা সেটাও জানা যায়নি।

;

মুস্তাফিজদের নয়, দোষ শিশিরের



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লক্ষ্ণৌ সুপারজায়ান্টসের বিপক্ষে ঘরের মাঠেও চেন্নাই সুপার কিংস পেরে উঠল না। শেষ ওভারে ১৭ রান প্রয়োজন ছিল লক্ষ্ণৌয়ের, কিন্তু মুস্তাফিজ সে ওভারে বোলিংয়ে এসে তিনটি বৈধ ডেলিভারিতেই খরচ করেছেন ১৯ রান। ম্যাচটি ৬ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারতে হয় তাদের।

২১০ রানের বড় সংগ্রহ নিয়েও বোলারদের ব্যর্থতায় হারের মুখ দেখতে হয় চেন্নাইকে। শুধু মুস্তাফিজই, দলের অন্য বোলাররাও লক্ষ্ণৌয়ের ব্যাটিংয়ের সামনে খাবি খেয়েছেন। তাদের শাসন করেই ১২৪ রানের অবিশ্বাস্য হার না মানা ইনিংস খেলে লক্ষ্ণৌকে জয় এনে দেন মার্কাস স্টয়নিস।

এমন দুর্দান্ত ইনিংস দেখে প্রতিপক্ষ শিবিরে থেকেও প্রশংসা না করে পারেননি চেন্নাই অধিনায়ক এবং লক্ষ্ণৌয়ের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করা ব্যাটার রুতুরাজ গায়কোয়াড়, ‘পরাজয় মেনে নেওয়া সবসময়ই কঠিন। লক্ষ্ণৌ ভালো করেছে। ১৩তম ওভার পর্যন্ত ম্যাচ আমাদের হাতেই ছিল। স্টয়নিস দুর্দান্ত ব্যাট করেছে। ওকে টুপি খোলা অভিনন্দন।’ 

তবে ২১০ রান ডিফেন্ড করতে না পারার পরও বোলারদের দায় দিচ্ছেন না চেন্নাই অধিনায়ক, ‘এই ম্যাচে শিশির প্রভাব রেখেছে। শিশিরের কারণে স্পিনাররা সুবিধা করতে পারেনি। তা না হলে আরেকটু ভালো হতে পারত। যদিও এটি খেলারই অংশ। যা আপনার হাতে নেই সেটি আপনি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না।’

;

বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে আর্জেন্টিনার তেভেজ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে আর্জেন্টিনার সাবেক ফুটবলার কার্লোস তেভেজকে। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) তাকে আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েনস আইরেসের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা হওয়ার কথা।

ম্যানচেস্টারের দুই ক্লাব সিটি এবং ইউনাইটেডের হয়ে খেলা এই ফুটবলার অবসরের পর এখন আর্জেন্টাইন ক্লাব ইন্দিপেন্দিয়েন্তের হেড কোচের দায়িত্বে রয়েছেন। ক্লাবটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ (সাবেক টুইটার) দেয়া এক বিবৃতিতে জানায়, সান ইসিদ্রোর ত্রিনিদাদ হাসপাতালে প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তার অবস্থা ‘সন্তোষজনক’।

তবে সতর্কতাবশত তেভেজকে আরও কিছুদিন হাসপাতালে রাখা হবে বলেও ইন্দিপেন্দিয়েন্তের বিবৃতিতে জানানো হয়।

২০০৪ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত আর্জেন্টিনার জার্সিতে নিয়মিত দেখা যায় তেভেজকে। ২০২২ সালে বুটজোড়া তুলে রাখার ঘোষণা দেয়ার পর কিছু সময় রোজারিও সেন্ট্রালের দায়িত্বে ছিলেন। ২০২৩ সালের আগস্টে ইন্দিপেন্দিয়েন্তের ডাগআউটে দাঁড়ান।

;