অধিনায়ক তামিমের হাফসেঞ্চুরি, বরিশালের জয়
১৩২ রানে গুটিয়ে গিয়ে ব্যাটিংয়েই মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী ম্যাচের অর্ধেকটা হেরে এসেছিল। বাকি অর্ধেক হারল তারা প্রতিপক্ষ ফরচুন বরিশালের অধিনায়ক তামিম ইকবালের ব্যাটে। ৬১ বলে অপরাজিত ৭৭ রান করে তামিম তার দলকে প্রথম জয় এনে দিলেন। বরিশাল ম্যাচ জিতলো ৫ উইকেটে।
শেষের দিকে ম্যাচে ফিরে আসার চেষ্টা চালিয়েছিল রাজশাহী। কিন্তু তামিম ইকবাল ২ ছক্কা ও ১০ বাউন্ডারিতে হার না মানা ৭৭ রান করে বরিশালের ড্রেসিংরুমকে আশ্বস্ত করেন।
দুই ম্যাচে এক হার ও এক জয় নিয়ে বরিশালের পয়েন্ট তালিকায় নাম লেখাল। আর রাজশাহী টানা দুই ম্যাচে জয়ের পর টুর্নামেন্টে এই প্রথম হারের মুখ দেখল।
শনিবার, ২৮ নভেম্বর রাতের ম্যাচে বরিশাল অধিনায়ক তামিম টসে জিতে বোলিং বেছে নেন। পেসার কামরুল ইসলাম রাব্বী ও স্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজের চমৎকার বোলিংয়ে রাজশাহীর ইনিংস গুটিয়ে যায় মাত্র ১৩২ রানে।
কামরুল রাব্বী ৪ ওভারে ২১ রানে তুলে নেন ৪ উইকেট। মিরাজের শিকার ৪ ওভারে ১৮ রানে ২ উইকেট। রাজশাহীর দুই ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত ও আনিসুল ইসলাম ইমন উইকেটে সেট হয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি। মিডল অর্ডারে ফজলে মাহমুদ এবং লেট অর্ডারে মেহেদি হাসানের ত্রিশোর্ধ ইনিংসে রাজশাহীর ইনিংস পৌছায় ১৩২ রানে।
স্কোর মামুলি দেখে তামিম ইকবাল তার ব্যাটিং কৌশল বদলে ফেলেন। শেষ পর্যন্ত থেকে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়ার পরিকল্পনা নেন। ৪৬ বলে তামিম হাফসেঞ্চুরি পান। সহজেই জয়ের পথে যাচ্ছিলো বরিশাল। কিন্তু পেসার মাকিদুল ইসলাম তার তৃতীয় ওভারে এসে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়ার মতো বোলিং করেন। নিজের সেই ওভারে তৌহিদ হৃদয় এবং আফিফ হোসেনকে তুলে নেন তিনি। ফেরাতে পারতেন তামিম ইকবালকেও। কিন্তু রেজাউর সেই ক্যাচটা রাখতে পারলেন কই?
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী: ১৩২/৯ (২০ ওভারে, নাজমুল হোসেন ২৪, আনিসুল ২৪, ফজলে মাহমুদ ৩১, মেহেদি ৩৪, রাব্বী ৪/২১, মেহেদি মিরাজ ২/১৮)।
ফরচুন বরিশাল: ১৩৬/৫ (১৯ ওভারে, তামিম ৭৭*, পারভেজ ২৩, মাকিদুল ২/২৭)।
ফল: ফরচুন বরিশাল ৫ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচ সেরা: তামিম ইকবাল।