ভারতীয় বোলিংকে ছিঁড়েখুঁড়ে খাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া, সেঞ্চুরি উৎসবে স্মিথ
ব্যাটিংয়ে ঠিক যেন সিরিজের প্রথম ম্যাচকে ফিরিয়ে আনল অস্ট্রেলিয়া! ভেন্যু সেই একই, সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ড। এবারো অস্ট্রেলিয়া টসে জিতে ব্যাটিং করল। এবং প্রথম ম্যাচের মতোই চারশ ছুঁইছুই রান জমা করল স্কোরবোর্ডে। ৫০ ওভারে ৪ উইকেটে ৩৮৯ রান।
ঠিক প্রথম ম্যাচের মতোই অস্ট্রেলিয়ার সেই ব্যাটসম্যানরাই দ্বিতীয় ম্যাচেও ব্যাট হাতে ঝড় তুললেন। ওপেনিং জুটিতে ডেভিড ওয়ার্নার ও অ্যারেন ফিঞ্চ আরেকবার সেঞ্চুরির পার্টনারশিপ গড়লেন। দুজনেই হাফসেঞ্চুরি পেলেন। তবে প্রথম ম্যাচের সঙ্গে মিলের বিষয়ে সবকিছুকে ছাড়িয়ে গেলেন স্টিফেন স্মিথ। এই ম্যাচেও তিনি ঠিক ৬২ বলে সেঞ্চুরি পেলেন। একটু জানিয়ে দেই, প্রথম ম্যাচেও তার ৬২ বলে সেঞ্চুরি ছিল। সেই ম্যাচে স্মিথ থেমেছিলেন ৬৬ বলে ১০৫ রান তুলে। রোববার, ২৯ নভেম্বর থামলেন ৬৪ বলে ১০৪ রানে।
স্মিথ, ওয়ার্নার ও ফিঞ্চের সঙ্গে প্রথম ম্যাচের মতো মিল রেখে এই ম্যাচেও গ্রেগ ম্যাক্সওয়েল ভারতের বোলারদের মামুলি বানিয়ে দিলেন। ম্যাক্সওয়েল শেষের দিকে নেমে মাত্র ২৮ বলে অপরাজিত রইলেন ৬৩ রানে।
শুরুর পাওয়ার প্লেতে কিছুটা নিরাপদ ভঙ্গিতে সামনে বাড়লেও শেষের পাওয়ার প্লে’তেও অস্ট্রেলিয়া ব্যাটিং তাণ্ডব চালায় যেন। শেষ ১০ ওভারে মাত্র দুই উইকেট হারিয়ে অস্ট্রেলিয়া তুলে ১১৪ রান।
সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচেও অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটসম্যানরা ভারতীয় বোলারদের ‘ডালভাত’ বানিয়ে ছাড়ল! সবমিলিয়ে সাতজন বোলার ব্যবহার করেও ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি অস্ট্রেলিয়ার রান উৎসব থামাতে পারেননি। সামি, বুমরা, সাইনি এবং চাহাল-ভারতের মূল চার বোলারকে অস্ট্রেলিয়া যেন পাড়ার বোলার বানিয়ে দেয়। সহজ ব্যাটিং উইকেটে ব্যা্িটংয়ের সুযোগ কিভাবে কাজে লাগাতে হয়- পেছনের দুই ম্যাচে সেটা দারুণ দক্ষতার সঙ্গে করে দেখিয়েছে অস্ট্রেলিয়া।
যেভাবে সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে ব্যাটিং করেছে অস্ট্রেলিয়া তাতে মনে হচ্ছে তারা ঠিক ওয়ানডে নয়, টি- টোয়েন্টি খেলছে! প্রথম ম্যাচে ৩৭৪ পরের ম্যাচে ৩৮৯। জি¦ এটি ওয়ানডে সিরিজ!
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
অস্ট্রেলিয়া: ৩৮৯/৪ (৫০ ওভারে, ওয়ার্নার ৮৩, ফিঞ্চ ৬০, স্মিথ ১০৪, লাবুসানে ৭০, ম্যাক্সওয়েল ৬৩*, পান্ডিয়া ১/২৬)।