চট্টগ্রামের চারে চার
শেষ ওভারে ম্যাচ জিততে চাই ১৪ রান। কিন্তু শেষ ওভারে বোলার যখন মুস্তাফিজ তখন এটা কঠিন টার্গেটই বটে! হলোও সেটাই। তবে চেষ্টা একটা চালিয়েছিল ঠিকই মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী। ফিনিসিংটা যে হলো না। ম্যাচ হারল তারা একেবারে ন্যূনতম ব্যবধানে, ১ রানে।
গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের ১৭৬ রানের জবাবে রাজশাহী থেমে গেল ১৭৫ রানে। ১ রানে ম্যাচ জিতে চট্টগ্রাম চার ম্যাচের চারটিতেই জয় তুলে নিল। টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুনের দলটাই একমাত্র অপরাজিত।
চট্টগ্রামের দুই ওপেনার লিটন দাস ও সৌম্য সরকার এই ম্যাচেও দলকে বড় জুটি উপহার দেন। ৭.২ ওভারে ওপেনিং জুটিতে চট্টগ্রাম পায় ৬২ রান। ২৫ বলে ৩৪ রান করে সৌম্য সরকার ফিরে গেলেও লিটন দাস ঠিকই দাপুটে ব্যাটিংয়ের আরেকটি নমুনা রাখেন। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে ৫৩ বলে লিটন করেন হার না মানা ৭৮ রান। ৯ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় সাজানো লিটনের ইনিংসটি জানান দিল এবারের টুর্নামেন্টে সেরা ব্যাটসম্যানের ট্রফির দিকেই নজরটা আছে তার বেশ।
লিটন- মোসাদ্দেকের চতুর্থ উইকেট জুটিতে চট্টগ্রাম ৬৪ রান যোগ করে। মোসাদ্দেক ২৮ বলে ৪২ রানের নিখুঁত একটি টি-টোয়েন্টি ইনিংস খেলেন। রাজশাহীর বোলিংয়ে সেরা পারফর্মার মুকিদুল ইসলাম। ৩০ রানে ৩ উইকেট পান তিনি।
রান তাড়ায় নেমে রাজশাহী ভালই শুরু করেছিল। নাজমুল হোসেন শান্ত ও আনিসুল ইসলাম ইমনের ব্যাটিংয়ে ম্যাচ জয়ের স্বপ্নের ভিত পেয়ে যায় রাজশাহী। কিন্তু পরের ব্যাটসম্যানরা যে সেই সাফল্য ধরে রাখতে পারলেন না। ৫.৪ ওভারে শান্ত-ইমনের ওপেনিং জুটিতে আসে ৫৬ রান। শান্ত ফিরেন ১৪ বলে ২৫ রানের ইনিংস খেলে। মোহাম্মদ আশরাফুল একবার ক্যাচ দিয়ে জীবন পেলেও ইনিংসটা বড় করতে যথারীতি আরেকবার ব্যর্থ। ১৯ বলে ২০ রান করে যে কায়দায় আশরাফুল আউট হলেন তাতে রাজশাহীর পরের ম্যাচে একাদশে তার জায়গা এখন সংশয়ে।
মিডলঅর্ডারে মেহেদি হাসান মেহেদি ১৭ বলে ২৫ রান করে ম্যাচটা রাজশাহীর মুঠোয় রাখেন। কিন্তু লম্বা ব্যাটিং লাইনআপ নিয়ে সাজানো রাজশাহীর ব্যাটিংয়ে শেষের দিকের ব্যাটসম্যানরা যে চ্যালেঞ্জ জিততে পারলেন না।
মুস্তাফিজ ৩ এবং শরিফুল ২ উইকেট নিয়ে দলের জয়ে বড় ভূমিকা রাখেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
চট্টগ্রাম: ১৭৬/৫ (২০ ওভারে, লিটন ৭৮, সৌম্য ৩৪, মোসাদ্দেক ৪২, মুকিদুল ৩/৩০)।
রাজশাহী: ১৭৫/৭ (২০ ওভারে, আনিসুল ৫৮, শান্ত ২৫, আশরাফুল ২০, মেহেদি ২৫, মুস্তাফিজুর ৩/৩৭, শরিফুল ২/৪১)।
ফল: চট্টগ্রাম ১ রানে জয়ী।
ম্যাচ সেরা: লিটন দাস।