বন্ধ প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের বেতন-ভাতা দিচ্ছেন নেইমার
অনেক দিন ধরেই শিশুদের নিয়ে কাজ করছেন মহানুভব নেইমার। সুবিধা বঞ্চিত বাচ্চাদের দেখভালের জন্য নিজের নামে একটি ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেছেন ব্রাজিলিয়ান এ সুপারস্টার। নিজের জন্মভূমির প্রেইয়া গ্রান্দে এলাকায় প্রতিষ্ঠানটি তিন হাজার অসহায় ও দুস্থ শিশুর সেবায় নিয়োজিত।
কিন্তু করোনাকালে আর্থিক সঙ্কটে বন্ধ রয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। ইনস্টিটিউটের কার্যক্রম বন্ধ হলেও চাকরি হারায়নি কোনো কর্মী। করোনার অজুহাতে এক শতাংশ বেতন-ভাতাও কর্তন করা হয়নি কারোর। বেতন-ভাতাও বন্ধ হয়নি। প্রতিষ্ঠানের ১৪২ জন কর্মীর সবাই বেতন-ভাতা পাচ্ছেন ঠিক আগের মতোই।
বেতন-ভাতার সঙ্গে কর্মীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টিও দেখভাল করা হচ্ছে প্রতিষ্ঠানের তরফ থেকে। আর এসব হচ্ছে নেইমারের বদান্যতায়। সব দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন পিএসজি’র এ মেগাস্টার।
O Dia da Saúde e Nutrição faz parte do calendário oficial do Ministério da Saúde. O INJR agradece a todos os seus profissionais da saúde!#institutoneymarjr #injr #projetosocial #neymarjr pic.twitter.com/6Lx4TeuU57 — Instituto Neymar Jr (@InstitutoNJr) March 31, 2021
এ জন্য প্রতি মাসে দয়ালু নেইমারকে নিজের পকেট থেকে গুনতে হচ্ছে ৯০ হাজার ইউরো। বাংলাদেশি টাকায় তা প্রায় ৯১ লাখ টাকা। করোনা মহামারি যত দিন চলবে, নেইমার তার এই মহৎ কর্ম ততদিন চালিয়ে যাবেন। বন্ধ হবে না কর্মীদের বেতন-ভাতার সঙ্গে অন্যান্য সুবিধাদিও।
খবরটি নিশ্চিত করে নেইমারের বাবা নেইমার সিনিয়র বলেন, ‘আমি ও আমার পরিবার প্রতিষ্ঠানের ১৪২ জন কর্মীর আর্থিক সুরক্ষার বিষয়টি দেখছি। সবাই পুরো বেতন-ভাতা পাচ্ছে। কর্মীদের বেতন দিচ্ছি নিজেদের পকেট থেকে।’