খেলোয়ারদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বর্জন শুরু
শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) থেকে চার দিনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বর্জনের কর্মসূচী শুরু করেছে যুক্তরাজ্যের খেলোয়ারা। বর্জনের তালিকায় থাকছে ফেসবুক, টুইটার এবং ইনস্টাগ্রাম। বর্ণবিদ্বেষ এবং ফুটবলারদের নিয়ে ব্যঙ্গ ও ক্রমাগত বিদ্রূপাত্নক মন্তব্যের প্রতিবাদে তারা এ বর্জনের ডাক দিয়েছিল গত সপ্তাহে। শুক্রবার থেকে এই বর্জন শুরু হয়ে আগামী সোমবার (৩ মে) পর্যন্ত চলবে।
সমন্বিতভাবে বর্জনের ডাক দেয়া খেলুড়ে প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে যুক্তরাজ্যের ফুটবল ক্লাবগুলো, ইংল্যান্ড ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এফএ), প্রিমিয়ার লীগ, ইংলিশ ফুটবল লীগ, মেয়েদের সুপার লীগ ও চ্যাম্পিয়নশিপ, রাগবি ইউনিয়ন, রাগবি লীগ এবং নামকরা কর্পোরেট ব্যক্তিবর্গ।
সামাজিক মাধ্যমে ছাড়ানো এসব বিব্রতকর বিষয় নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরেই সরব ছিলেন ফুটবলের নীতি নির্ধারকরা। এ জন্য গেল ফেব্রুয়ারিতে ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গ এবং টুইটার প্রধান জ্যাক ডর্সি বরাবর চিঠিও দিয়েছিলেন তারা। কিন্তু তাতে প্রতিকার মেলেনি খুব একটা। তাই অনেকটা বাধ্য হয়েই বয়কটের সিদ্ধান্ত।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগের প্রধান নির্বাহী অফিসার রিচার্ড মাস্টার্স এক বিবৃতিতে বলেন, ‘কোনো প্রকার বর্ণবাদী আচরণই গ্রহণযোগ্য নয়। খেলোয়াড়েরা যে ভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বর্ণবাদের শিকার হচ্ছেন, তা চলতে দেওয়া যায় না।’ ইংল্যান্ড ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের কর্তা এডলিন বলেন, ‘ইংল্যান্ডের ফুটবল ও সমাজের সঙ্গে যুক্ত অনেক মানুষ নিয়মিতভাবে বৈষম্যমূলক আচরণের শিকার হচ্ছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। যারা এই ঘৃণ্য কাজ করছে, তারা শাস্তি পাওয়া ছাড়াই পার পেয়ে যাচ্ছেন, যেটা মেনে নেওয়া যায় না।’
এছাড়া বর্জন শুরু করার আগে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক খেলোয়ার ফেসবুক, টুইটার ও ইনস্টাগ্রামে পোষ্ট দিয়ে বর্ণবাদ ও আক্রমানত্নক মন্তব্যের বিষয়টি তুলে ধরে এর বিষয়ে প্রতিকার দাবি করেন।