ফের অস্ট্রেলিয়াকে হারাল টাইগাররা



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
আফিফ হোসেন

আফিফ হোসেন

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে অস্ট্রেলিয়াকে পাঁচ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। জয়টা এসেছে ৮ বল হাতে রেখেই।

জয়ের লক্ষ্য ছিল ১২২ রান। শেষ দিকে ম্যাচসেরা আফিফ হোসেনের দাপুটে ব্যাটিংয়ে ১৮.৪ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্য টপকে ১২৩ রান তুলে ফেলে টাইগাররা।

তবে লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় বাংলাদেশ। দলীয় ২১ রানে দুই টাইগার ওপেনার সৌম্য সরকার (০) ও নাঈম শেখকে (৯) হারিয়ে বিপদে পড়ে যায় স্বাগতিকরা। ব্যাটিং ধসের বিপদ থেকে উদ্ধার করতে ব্যাট হাতে দলের হাল ধরার আভাস দিয়ে ছিলেন সাকিব আল হাসান।

তবে বিশ্বসেরা এ অলরাউন্ডার খুব বেশিক্ষণ উইকেটে টিকতে পারেননি। ২৬ রানের ইনিংস খেলে অ্যান্ড্রু টাইয়ের বলে বোল্ড হন সাকিব। ব্যাটিং দৃঢ়তার আভাস দিয়ে মেহেদী হাসানও দলের প্রয়োজনে উইকেটে থিতু হতে পারেননি। ২৩ রানের বেশি তুলতে পারেননি মেহেদী। তৃতীয় উইকেট জুটিতে দুজনে মিলে এনে দেন ৩৭ রান।

মেহেদী হাসান ফিরলে দলীয় ৬৭ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফের খাদের কিনারায় পৌঁছায় যায় বাংলার দামাল ছেলেরা। ষষ্ঠ উইকেটে ৪০ রানের জুটি গড়ে দলকে টেনে তুলেন আফিফ হোসেন ও নুরুল হাসান সোহান।

৩৭* রানের হার না মানা দাপুটে এক ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়ে তবেই মাঠ ছাড়েন আফিফ। তাকে সঙ্গ দিয়ে ২২* রানে অপরাজিত থেকে যান উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান সোহান।

অস্ট্রেলিয়ার জার্সি গায়ে একটি উইকেট করে নেন মিচেল স্টার্ক, জশ হ্যাজলউড, অ্যাশটন অ্যাগার, অ্যাডাম জাম্পা ও অ্যান্ড্রু টাই।

তার আগে জয়ের জন্য বাংলাদেশের সামনে ১২২ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয় অস্ট্রেলিয়া। টস জিতে শুরুতে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে ১২১ রানের পুঁজি গড়ে সফরকারীরা।

টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা মোটেই ভালো ছিল না অস্ট্রেলিয়ার। দলীয় ৩১ রানেই নাই হয়ে যায় সফরকারীদের দুই উইকেট। ১৩ রানে বিদায় নেন ওপেনার অ্যালেক্স কেরি। ব্যক্তিগত ১১ রানে তাকে ফিরিয়ে দিয়ে ব্রেক থ্রু এনে দেন মেহেদী হাসান। ১০ রান করা অন্য উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান জশ ফিলিপ্পের উইকেট উপড়ে দেন মুস্তাফিজুর রহমান।

দলের বিপদ কাটিয়ে ব্যাট হাতে লড়ে যাচ্ছিলেন মিচেল মার্শ। বড় ইনিংসের আভাস দিয়েও শেষমেশ পারেননি। প্রথম ম্যাচের মতো দ্বিতীয় ম্যাচেও ফিফটি ছুঁতে পারেননি ওয়ানডাউনে নামা এ টপ-অর্ডার ব্যাটসম্যান। আগের ম্যাচের সমান ৪৫ রানে সাজঘরের পথ ধরেন তিনি। শরিফুলের বলে উইকেটের পিছনে নুরুল হাসানের গ্লাভসবন্দি হন মার্শ।

দলীয় স্কোরে ৩০ রান যোগ করেই সাকিব আল হাসানের ঘূর্ণি জাদুতে বোল্ড হয়ে ফেরেন ময়েস হেনরিকস। আউট হওয়ার আগে তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৫৭ রানের অনবদ্য এক পার্টনারশিপ গড়ে তবেই ফেরেন হেনরিকস। এরপরই ব্যাটিং ধস নামে অস্ট্রেলিয়ান শিবিরে। বাকি ব্যাটসম্যানদের মধ্যে দুই অঙ্ক স্পর্শ করেন কেবল মিচেল স্টার্ক (১৩*)।

তারকা পেসার মুস্তাফিজুর রহমান একাই শিকার করেছেন তিন উইকেট। সঙ্গে দুটি উইকেট থলেতে পুরেন তরুণ ফাস্ট বোলার শরিফুল ইসলাম। একটি করে উইকেট নেন সাকিব আল হাসান ও মেহেদী হাসান।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

অস্ট্রেলিয়া: ১২১/৭, ২০ ওভার (ফিলিপি ১০, কেয়ারি ১১, মার্শ ৪৫, হেনরিকেস ৩০, স্টার্ক ১৩*; মেহেদি ১/১২, সাকিব ১/২২, মুস্তাফিজ ৩/ ২৩ ও শরিফুল ২/২৭)।

বাংলাদেশ: ১২৩/৫, ১৮.৪ ওভার (সাকিব ২৬, মেহেদী ২৩, আফিফ ৩৭*, সোহান ২২*; স্টার্ক ১/২৮, হ্যাজলউড ১/২১, অ্যাগার ১/১৭, জ্যাম্পা ১/২৪ ও টাই ১/২৭)।

ফল: বাংলাদেশ ৫ উইকেটে জয়ী।

সিরিজ: পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে বাংলাদেশ।

ম্যাচসেরা: আফিফ হোসেন।

   

জুভেন্টাস থেকে ১১৩ কোটি টাকা পেতে চলেছেন রোনালদো



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রিয়াল মাদ্রিদের ক্যারিয়ারের লম্বা সময় পার করে ২০১৮ সালে ইতালিয়ান ক্লাব জুভেন্টাসে পাড়ি জমান রোনালদো। সেখানে তিন মৌসুম খেলে ২০২১ সালে ফের ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে যান এই পর্তুগিজ। বর্তমানে তিনি খেলেন সৌদি আরবে আল নাসরে। ২০২৩ সালে ইউরোপের পাট চুকিয়ে যান সেখানে। তবে বর্তমান ক্লাবের বেত্ন বা নিজের ব্যক্তিগত খাতের অ্যায় ছাড়া দ্রুতই মোটা অঙ্কের টাকা ঢুকতে চলেছে রোনালদোর অ্যাকাউন্টে। 

সাবেক ক্লাব জুভেন্টাস থেকে ৮৩ লাখ পাউন্ড বকেয়া বেতন পাচ্ছেন তিনি। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ১১৩ কোটি ৭১ লাখ টাকা। ইতালির এক আদালত রোনালদোর এই অর্থ পরিশোধ করার নির্দেশ দিয়েছে সেরি আর ক্লাবটিকে। 

এই বকেয়ার ঘটনা মূলত ২০২০-২১ মৌসুমে, করোনা মহামারীর সময়ে। সে সময় পুরো বিশ্ব গিয়েছিল থমকে। ব্যক্তিক্রম ঘটেনি ক্রীড়াঙ্গনেও। এতে জুভেন্টাসের থেকে দেরীতে বেতন নেওয়ার বিষয়ে রাজি হয়েছিলেন রোনালদো। তবে পরে সেটি পরিশোধ করেনি ইতালিয়ান ক্লাবটি। যদিও রোনালদো যেই অর্থ পেতে চলেছেন সেটি তার দাবি করা অর্থের প্রায় অর্ধেক। তার মতে, জুভেন্টাস থেকে তিনি পাওয়া ছিল ১ কোটি ৭০ লাখ পাউন্ডেরও বেশি। 

কর এবং অন্যান্য ফি বাদ দেওয়ার পরই এই অর্থ পাবেন রোনালদো। এদিকে বিষয়টি নিয়ে জানিয়েছে জুভেন্টাস ক্লাব কর্তৃপক্ষ। এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা আদালতের এই সিদ্ধান্ত পর্যালোচনা করছে।

;

হাবিবুরের সেঞ্চুরিতে সুপার লিগে গাজী গ্রুপ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে শেষ রাউন্ডের ম্যাচ বড় জয় পেয়ে সুপার লিগ নিশ্চিত করেছে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স। হাবিবুর রহমানের সেঞ্চুরিতে সিটি ক্লাবকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে তারা।

ফতুল্লার খানসাহেব ওসমান আলি স্টেডিয়ামে টসে জিতে সিটি ক্লাবকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় গাজী। তবে দলটির বেশিরভাগ ব্যাটার ক্রিজে থিতু হয়েও উইকেট ছুঁড়ে দিয়ে আসায় তাদের সংগ্রহ বড় হয়নি। সমান তিনটি করে চার-ছক্কায় সর্বোচ্চ ৩৮ রান এসেছে ওপেনার হাসানের ব্যাটে। ৩৭ রান করেন রাফসান আল মাহমুদ।

গাজী গ্রুপের পক্ষে ৩ উইকেট নেন রুয়েল মিয়া। দুটি করে উইকেট পান হুসনা হাবিব মেহেদী, মঈন খান এবং আব্দুল গাফফার সাকলাইন।

জবাব দিতে নেমে শুরুতেই ওপেনার মেহেদী মারুফকে হারালেও বিপদে পড়তে হয়নি গাজীকে। বরং তিনে নামা হাবিবুর রহমানের সঙ্গে সেঞ্চুরির সঙ্গে অন্য ওপেনার আনিসুল ইসলামের ফিফটিতে বড় জয় নিয়েই মাঠ ছাড়তে সক্ষম হয় তারা।

৮১ বলে ১০ চার এবং ৬ ছক্কায় ১০২ রানে অপরাজিত থেকে ম্যাচসেরা হন হাবিবুর। ১০ চার এবং ১ ছক্কায় ৬১ রান আসে আনিসুলের ব্যাটে।

এই জয়ে ১১ ম্যাচ থেকে ১৪ পয়েন্ট পেয়ে ষষ্ঠ দল হিসেবে সুপার লিগে নাম লিখিয়েছে গাজী। অন্যদিকে ১১ ম্যাচে কেবল ৪ পয়েন্ট পাওয়া সিটি ক্লাব রয়েছে ৯ নম্বরে।

;

বাংলাদেশ কেন এমন করছে, আকাশ চোপড়ার প্রশ্ন



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মুস্তাফিজুর রহমানের আইপিএল খেলা নিয়ে সরগরম দেশের ক্রিকেট। তাকে আইপিএলে নিরবচ্ছিন্নভাবে খেলতে দেয়া উচিৎ নাকি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য মাঝপথে ফিরিয়ে আনা উচিৎ, তা নিয়ে চলছে পক্ষে-বিপক্ষে আলোচনা। বাংলাদেশের বোর্ড কর্তা থেকে শুরু করে সাবেক ক্রিকেটাররা বিষয়টি নিয়ে মত দিলেও ভারতীয় কেউ এতদিন এ সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করেননি।

তবে সে ধারা ভেঙে এবার মুস্তাফিজ ইস্যুতে মুখ খুলেছেন ভারতের সাবেক ক্রিকেটার ও বর্তমান ধারাভাষ্যকার আকাশ চোপড়া। মুস্তাফিজকে আইপিএলের মাঝপথ থেকে জিম্বাবুয়ে সিরিজের জন্য ফিরিয়ে আনার বিষয়ে বিসিবির সিদ্ধান্তে বিস্ময় প্রকাশ করে নিজের ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিও পোস্ট করেছেন আকাশ। সেখানে তার প্রশ্ন, ‘মুস্তাফিজুর রহমান চলে যাচ্ছে। সে চেন্নাইয়ের হয়ে (পুরো মৌসুম) খেলতে পারবে না। শুধু আর কয়েকদিনের জন্য আছে। বাংলাদেশ কেন এমন করছে?’

চেন্নাইয়ের হয়ে চলতি মৌসুমে দারুণ পারফর্ম করছেন মুস্তাফিজ। ৬ ম্যাচ খেলে এরই মধ্যে ১০ উইকেট ঝুলিতে পুরেছেন। চেন্নাইয়ের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারিও এই বাংলাদেশি পেসার। এমন অবস্থায় চেন্নাই যদি পুরো মৌসুম তার সার্ভিস না পায়, সেক্ষেত্রে দলটি বিপদে পড়বে বলে মনে করেন আকাশ, ‘তাকে (মুস্তাফিজ) খেলতে দাও। সে চলে গেলে চেন্নাইয়ের ক্ষতি হবে।’

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ শুরুতে মুস্তাফিজকে আইপিএলে অংশ নেয়ার জন্য ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি দেয়। পরে ছুটির মেয়াদ একদিন বাড়িয়ে ১ মে পর্যন্ত করা হয়।

;

নাসুমের ফাইফার, মোহামেডানের সহজ জয়



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সবশেষ ম্যাচে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে হারতে হয়েছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবকে। আর তাতে পয়েন্ট টেবিলেও হোঁচট খেয়েছে দলটি। সেই ধাক্কা সামলে নিয়ে এদিন ডিপিএলে মিরপুরের ম্যাচে ব্রাদার্স ইউনিয়নকে গুঁড়িয়ে দিয়েছে মোহামেডান। নাসুম আহমেদের ফাইফারে মাত্র ১৩৫ রানেই আলআউট ব্রাদার্স। যা ব্যাট হাতে ৫ উইকেট হাতে রেখে মাত্র ২৩.২ ওভারে টপকে গেছে মোহামেডান।

এদিন বল হাতে শুরু থেকেই প্রতিপক্ষের ব্যাটারদের ওপর চড়াও হন নাসুম। নিজের প্রথম ওভারেই সাজঘরে ফেরান রহমাতুল্লাহ আলিকে। এরপর একে একে সাজঘরে ফিরিয়েছেন ইমতিয়াজ, মাহমুদুল হাসান, রাহাতুল ও ব্রাদার্স অধিনায়ক মনির হোসাইনকে। তার বোলিং তোপের সামনে সুবিধা করতে পারেননি ব্রাদার্সের তেমন কেউই।

বল হাতে নাসুম দারুণ সঙ্গ পেয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজের থেকেও। তার শিকার ৩ উইকেট। মোহামেডানের স্পিনারদের দাপুটে দিনে মাঝে মাহমুদুল হাসান ও রাহাতুল ফেরদৌসের ৪৫ রানে ভর করে কোনো রকমে ৩৪.৩ ওভারে স্কোরবোর্ডে ১৩৫ রানের পুঁজি পায় ব্রাদার্স।

জবাব দিতে নেমে ওপেনিং জুটিতেই জয়ের ভিত গড়ে ফেলে মোহামেডান। দলীয় ৬৬ রানে প্রথম উইকেট হারায় মোহামেডান। সাজঘরে ফেরেন ১০ রানে থাকা রনি তালুকদার। এরপর অবশ্য নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট পড়েছে মোহামেডানের। তবে উইকেটের একপ্রান্ত আগলে রেখেছিলেন দলটির অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। মিরাজকে সঙ্গে নিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন তিনি। শেষ পর্যন্ত ইমরুল অপরাজিত ছিলেন ৭১ বলে ৯২ রানে।

লিগে এটি মোহামেডানের ৮ম জয়। আর এ জয়ে ১১ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে দলটির অবস্থান তালিকার তিন নম্বরে। অন্যদিকে শীর্ষে থাকা আবাহনী ১১ ম্যাচের সবকটিতেই জয় নিয়ে পয়েন্ট ২২।

;