ঢাকা টেস্টে অভিষেক হচ্ছে জয়ের!



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
মাহমুদুল হাসান জয়

মাহমুদুল হাসান জয়

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের ওপেনাররা যেন কিছু্তেই জ্বলে উঠতে পারছেন না। কাটছে না তাদের রান খরা। ক্রিকেটের কোনো সংস্করণেই যে সাফল্য পাচ্ছেন না ওপেনাররা। এমন দুর্দশার মাঝে দলে চলছে ওপেনার সংকট। তারওপর পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে নেই সাইফ হাসান। টাইফয়েড জ্বর নিয়ে মাঠের বাইরে এখন তিনি। ইনজুরি নিয়ে তামিম ইকবাল তো আগে থেকেই মাঠের বাইরে। তাহলে ঢাকা টেস্টে সাদমান ইসলামের সঙ্গে বাংলাদেশের ইনিংস উদ্বোধন করবেন কে?

পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের আগে আজ শুক্রবার, ৩ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে লাল-সবুজের জার্সিধারীদের অধিনায়ক মুমিনুল হক জানান, ওপেনিংয়ে দেখা যেতে পারে ডানহাতি-বাঁহাতি কম্বিনেশন, ‘দেখেন ওপেনিং কম্বিনেশন ডান-বাম হতে পারে, হয়তো বাম হাতি দুইজনও হতে পারে, আসলে ডান বাম হওয়ারই চান্স বেশি।’ ডানহাতি-বাঁহাতি কম্বিনেশন হলে নিশ্চিত ডাক পাচ্ছেন না নাঈম শেখ। এক্ষেত্রে বাঁহাতি সাদমান ইসলামের উদ্বোধনী পার্টনার হিসেবে অভিষেক হয়ে যেতে পারে মাহমুদুল হাসান জয়ের।

কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, এভাবে জুনিয়র ক্রিকেটারদের পরীক্ষা ফেলে তাদের ক্যারিয়ারকেই কেন ঝুঁকিতে ফেলা হচ্ছে? উত্তরে মুমিনুলের ব্যাখ্যা, ‘আমার মনে হয় না। আপনারা যদি শেষ দেখেন এখানে কিন্তু জুনিয়র কাউকে আনা হয়নি এক্সপেরিমেন্টের জন্য। আপনি দেখেন, তামিম ভাই নাই তার জায়গা একটা ওপেনার দরকার ছিল। তো জয় আসছে, তারপর নাঈম এসেছে। সাকিব ভাই ছিল না, রাব্বি খেলল প্রথম ম্যাচ। রিয়াদ ভাই তো রিটায়ার্ড করল, তো এরকম জায়গায় নতুন কাউকে তো নিতে হবে। আমাদের তো অনেক বেশি খেলোয়াড়ও নাই। যারা নাই তাদের জায়গা খেলছে।’

চট্টগ্রাম টেস্টে সাকিব আল হাসানের অভাবটা ভালো করেই টের পেয়েছে টাইগাররা। চোট কাটিয়ে দলে জায়গা করে নিয়েছেন বিশ্বসেরা এ অলরাউন্ডার। তাই দুশ্চিন্তাও কমে গেছে অনেকটা। সাকিব থাকায় শেষ টেস্টে স্বাগতিক দলের কম্বিনেশন কেমন হবে? মুমিনুল বলেন, ‘সাকিব ভাই ঢুকলে তো একটু সহজ হয়, তা সবারই জানা। আর উনাকে দেখলাম, উনি ভালোই আছেন। অনুশীলন করেছেন, ভালোই লাগছে দেখে। আর টিম কম্বিনেশন হবে সাত ব্যাটসম্যান আর চার বোলারের। এ রকমই চিন্তা করেছি।’

   

আচমকা অবসরে পাকিস্তানের তারকা ক্রিকেটার



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হঠাৎ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের পাট চুকানোর ঘোষণা দিয়েছেন পাকিস্তানের তারকা নারী ক্রিকেটার বিসমাহ মারুফ। দীর্ঘ ১৭ বছরের খেলোয়াড়ি জীবনে পাকিস্তানের জার্সিতে রেকর্ড ১৩৬ ওয়ানডে খেলেছেন তিনি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়লেও লিগে খেলা চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ৩২ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার।

দীর্ঘসময় পাকিস্তানের নারী দলের নেতৃত্ব দেয়া বিসমাহর অধীনে মোট ৯৬টি ম্যাচ খেলেছে দল। ৬২ টি-টোয়েন্টি ও ৩৪টি ওয়ানডেতে পাকিস্তানের অধিনায়কত্ব করেছেন তিনি।

ব্যাট-বল তুলে রাখার সিদ্ধান্ত নেয়ার মুহূর্তে ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি-দুই ফরম্যাটেই পাকিস্তানের জার্সিতে সর্বোচ্চ রান বিসমাহর। ১৩৬ ওয়ানডেতে ২৯.৫৫ গড়ে তার রান ৩ হাজার ৩৬৯। এই ফরম্যাটে ২১ বার ফিফটি করলেও সেঞ্চুরির দেখা পাননি। টি-টোয়েন্টিতে ১৪০ ম্যাচে মারুফের রান ২৮৯৩, ফিফটি ১২টি।

আচমকা অবসরের সিদ্ধান্ত নেয়া প্রসঙ্গে মারুফ জানান, ‘আমি যে খেলাটিকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসি তা থেকে অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এটি আমার জন্য একটি অবিশ্বাস্য যাত্রা, চ্যালেঞ্জ, জয় এবং অবিস্মরণীয় স্মৃতিতে ভরা। আমি আমার পরিবারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে চাই, যারা আমার ক্রিকেট যাত্রায় শুরু থেকে এখন পর্যন্ত আমাকে সমর্থন করেছে।’

;

রনির তাণ্ডবে তামিম-মুশফিকদের হার



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের সুপার লিগ পর্বে টানা দ্বিতীয় জয় তুলে নিয়েছে মোহামেডান। রনি তালুকদারের বিস্ফোরক সেঞ্চুরিতে প্রাইম ব্যাংককে ৩৩ রানে হারিয়েছে সাদাকালোরা।

মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাট করতে হয় মোহামেডানকে। রনি তালুকদারের সেঞ্চুরি আর মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন এবং মেহেদী হাসান মিরাজের ফিফটিতে ব্যাটিংটা উপভোগ করে তারা। ৫০ ওভার শেষে তাদের স্কোরবোর্ডে শোভা পায় ৬ উইকেটে ৩১৭ রানের বড় সংগ্রহ।

১৩১ বলে ৮ চার এবং ৯ ছক্কায় ১৪১ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস আসে রনির ব্যাটে। রুবেল হোসেনের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ঠিক ৫০ রান করেন ফর্মে থাকা অঙ্কন। মিরাজ ২৯ বলে ৭ চার ও ১ ছয়ে খেলেন  ৫৩ রানের হার না মানা ইনিংস। প্রাইম ব্যাংকের পক্ষে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন শেখ মেহেদী।

জবাব দিতে নেমে মোহামেডানের স্কোর টপকে যাওয়ার চেষ্টা কম করেনি প্রাইম ব্যাংক। ওপেনার তামিম ইকবাল (১৪) ব্যর্থ হলেও লড়াই চালিয়ে যান শাহাদাত দিপু, শেখ মেহেদী, সানজামুলরা। তবে তাদের কেউই তিন অঙ্কের ঘর স্পর্শ করতে পারেননি। সেট হয়েও ফিরেছেন আক্ষেপ সঙ্গী করে।

প্রাইমের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৪ রান আসে শেখ মেহেদীর ব্যাটে। ৫১ রান করেন শাহাদাত দিপু। ১ রানের জন্য ফিফটি মিস হয় সানজামুলের। তাদের প্রচেষ্টার পরও ৪৮.৫ ওভারে ২৮৪ রানে গুটিয়ে যায় প্রাইম ব্যাংক। মোহামেডানের হয়ে সমান দুটি করে উইকেট নেন আবু হায়দার রনি, মুশফিক হাসান এবং নাসুম আহমেদ।

;

শেখ জামালের কাছে হেরে শিরোপা-স্বপ্ন শেষ শাইনপুকুরের



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে এবার চমকের পর চমক দেখিয়েছে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব। প্রথম পর্বে আবাহনীর পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পয়েন্ট নিয়ে সুপার লিগে জায়গা করে নেয় তারা। সুপার লিগেও প্রথম ম্যাচে জয় পেয়েছিল দলটি। তবে সুপার লিগের দ্বিতীয় ম্যাচে এসে হোঁচট খেতে হল তাদের। দলটিকে ৭ উইকেটে হারিয়ে দিয়েছে শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাব।

বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে টসে জিতে আগে ব্যাট করতে নামে শাইনপুকুর। জিসান আলম ও অধিনায়ক আকবর আলির ব্যাটে লড়াকু সংগ্রহ পায় তারা। ৪৬.১ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে তারা স্কোরবোর্ডে জমা করে ২৬৪ রান।

দুই রানের জন্য সেঞ্চুরি মিসের আক্ষেপে পোড়েন শাইনপুকুর ওপেনার জিসান আলম। তাইবুর রহমানের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে তাকে থামতে হয় ৯৮ রানে। ৬৪ রান আসে আকবর আলির ব্যাটে।

শেখ জামালের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন তাইবুর।

২৬৫ রান তাড়া করতে নেমে ওপেনার সাইফ হাসানের ফিফটি ও তিনে নামা ফজলে মাহমুদ রাব্বির সেঞ্চুরিতে ৪৬.২ ওভারেই লক্ষ্য পৌঁছে যায় শেখ জামাল।

নাহিদ রানার বলে তানজিদ হাসান তামিমের ক্যাচ হওয়ার আগে ৬৭ রান করেন সাইফ। অন্যদিকে সমান ছয়টি করে চার-ছক্কায় ১০১ রানের হার না মানা ইনিংসে দলকে জিতিয়ে তবেই মাঠ ছাড়েন ফজলে মাহমুদ।

এই হারে শিরোপার স্বপ্ন ফিকে হয়ে গেল শাইনপুকুরের। অন্যদিকে শিরোপার দৌড়ে না থাকলেও সুপার লিগে প্রথম জয়ের উৎসব করছে শেখ জামাল।

;

বিশ্বকাপে ‘ভালো কিছুর সম্ভাবনা’ দেখছেন সাকিব



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আগামী জুনে যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে বসবে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এই বিশ্ব আসরে বাংলাদেশ কেমন করবে সেটার জবাব আপাতত সময়ের কাছে তোলা। তবে এই টুর্নামেন্ট শুরুর কয়েক মাস আগেই খুব বেশি প্রত্যাশা বা মাতামাতি করতে নিষেধ করেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। সাবেক অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের কণ্ঠে অবশ্য অন্য সুর শোনা গেল।

 টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ভালো কিছু করবে বলে বিশ্বাস সাকিবের। বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন না দেখালেও অন্তত সমর্থকদের আনন্দ করার মতো কিছু উপলক্ষ্য এনে দিতে চান এই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার, ‘বিশ্বকাপ পাওয়ার মতো অবস্থায় আসছি কি না, এটা বলাটা একটু মুশকিল। তবে টি-টোয়েন্টিতে যে কেউ যে কাউকে হারাতে পারে, বড় ছোট দল নেই। বলছি না, ট্রফি জিততে পারব কি পারব না। তবে আমাদের ভালো কিছুর সম্ভাবনা আছে।’

সেজন্য সবার আগে নিজেদের সামর্থ্যে বিশ্বাস রাখার বার্তা সাকিবের। যুক্তরাষ্ট্রে  এক অনুষ্ঠানে প্রশ্নোত্তর পর্বে সাকিব বলেন, ‘আমাদের বিশ্বাসটা দরকার, ওই বিশ্বাসটা নিয়ে যদি খেলতে পারি, আমরা ভালো করব।’

গত বছর ভারতে বিশ্বকাপের পর চোখ ও আঙুলের চোট নিয়ে বেশ ভুগতে হয়েছে সাকিবকে। দীর্ঘ বিরতি শেষ গত মাসে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্ট দিয়ে জাতীয় দলের জার্সিতে মাঠে ফিরেছিলেন সাকিব। এর মাঝে অবশ্য দেশের দুই ঘরোয়া টুর্নামেন্ট বিপিএল এবং ডিপিএলে কিছু ম্যাচ খেলেছিলেন তিনি।

এবার জিম্বাবুয়ে সিরিজেও খেলতে চান সাকিব। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে নিজেকে প্রস্তুত করার জন্য জিম্বাবুয়ে সিরিজকে সুযোগ হিসেবে দেখছেন এই তারকা অলরাউন্ডার।

;