ক্রিকেট ছাড়লেও স্পোর্টস ম্যানেজমেন্ট থেকে মিডিয়া অ্যানকরিং পেরিয়ে রাজনীতিতে ঝলক দেয় সৌরভ গাঙ্গুলির নাম। একদিকে বিজেপির শীর্ষনাম ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে বাড়িতে নৈশভোজে আপ্যায়নের পরদিনই আরেক অনুষ্ঠানে কলকাতার মেয়র ও তৃণমূলের শীর্ষনেতা ফিরহাদ হাকিম ববির সঙ্গে নজরকাড়া উপস্থিতিতে দেখা যায় তাকে। সেই সৌরভ দক্ষিণ কলকাতার বেহালার জন্মভিটা ছেড়ে আবাস গড়ছেন মধ্য কলকাতার কোটি কোটি টাকার বাংলোয়।
খেলা, রাজনীতি, আলোচনার মধ্যমণি ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড সভাপতি সৌরভ কলকাতায় নতুন বাড়ি কেনার খবরের পেছনে ছড়াচ্ছে এন্তার কৌতূহল। ৪৮ বছর পরে বেহালার পৈতৃক বাড়ি ছেড়ে সৌরভ পরিবারের সঙ্গে থাকবেন মধ্য কলকাতার লোয়ার রডন স্ট্রিটে। ২৩.৬ কাটা প্লটের ওপর দু-তলা বাড়ি কিনলেন তিনি ভারতীয় ৪০ কোটি টাকায়।
মধ্য কলকাতার ব্যস্ত এলাকায় বাড়ি হলেও প্রাসাদপম বাড়িতে যথেষ্ট প্রাইভেসি থাকছে। রিয়েল এস্টেট বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মধ্য কলকাতার এই বাংলোর রাজকীয়তা অতুলনীয়, সৌরভের স্ত্রী ডোনা, কন্যা সানা এবং মা নিরূপা দেবী যে সম্পত্তির যুগ্ম অংশীদার।
অবসরের একদশক পরেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট মহলে যথেষ্ট সমাদৃত তিনি। ক্রিকেট প্রশাসক হিসাবেও সফল তিনি। বর্তমানে বেহালার বীরেন রায় রোডে পরিবারের সঙ্গে থাকেন তিনি। জন্ম, বেড়ে ওঠা সবই বেহালায়।
দ্যা টেলিগ্রাফ-এ সৌরভ জানিয়েছেন, “নিজের বাড়ির জন্য দারুণ লাগছে। মধ্য কলকাতায় থাকাও বেশ সুবিধাজনক। তবে যে স্থানে ৪৮ বছর কাটিয়েছি, তা ছেড়ে যাওয়া বেশ কঠিন।”
জানা যাচ্ছে, সৌরভের স্ত্রী ডোনা, মা নিরুপা দেবী এবং কন্যা সানা প্রত্যেকেই এই সম্পত্তির যুগ্ম অংশীদার। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্যবসায়ী অনুপমা বাগড়ি, তাঁর কাকা কেশব দাস বিনানি এবং তাঁর পুত্র নিকুঞ্জের কাছ থেকে গোটা প্লট কিনেছিলেন সৌরভ।
কলকাতার পাওনিয়ার প্রপার্টি ম্যানেজমেন্টের চেয়ারম্যান এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টর জিতেন্দ্র খৈতান জানিয়েছেন, কলকাতার রিয়েল এস্টেট ক্ষেত্রে উচ্চবিত্তদের যে যথেষ্ট আকর্ষণ রয়েছে, তা এই বিষয়েই স্পষ্ট। তিনি বলেছেন, “কলকাতার রিয়েল এস্টেট মার্কেট যে অক্ষুণ্ন, তা কোভিড পরবর্তী সময়ে ভালো লক্ষণ। এইচএনআর (বিশাল সম্পত্তির মালিকানা ব্যক্তিবর্গ)-এর কাছেও এই শহর বেশ জনপ্রিয়। এই ঘটনাতেই তা বোঝা যাচ্ছে।”