বিতর্ক আর হোঁচটেই বছর শুরু ব্রাজিলের
জয় দিয়ে নতুন বছরটা শুরু করতে চেয়েছিল ব্রাজিল। কিন্তু বাস্তবে সেটা হলো না। হোঁচটেই শুরু হলো সেলেসাওদের নতুন বছর। পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের ১-১ গোলে রুখে দিয়েছে ইকুয়েডর। ৩২ ফাউলের মাথা গরমের ম্যাচে পয়েন্ট হারাল ব্রাজিল।
আর্জেন্টিনার মাঠে ব্রাজিলের বিদায়ী বছরটা শেষ হয়েছিল গোল শূন্য ড্র দিয়ে। এবার নতুন বছরটাও শুরু হলো ড্র দিয়ে। এ নিয়ে টানা দুই ম্যাচে জয় বঞ্চিত হলো তারা। দুটি ম্যাচই হলো প্রতিপক্ষের মাঠে। জানুয়ারি মাস শেষ হতে চললো। কিন্তু নতুন বছরে এই প্রথম মাঠে নামল ব্রাজিল।
সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় দুই হাজার ৮৫০ মিটার উঁচু ইকুয়েডরের রাজধানী কিটোয় ব্রাজিলের ম্যাচের শুরুটা ছিল দারুণ। স্বাগতিক ইকুয়েডরের মাঠে লড়াই শুরুর ছয় মিনিটের মধ্যেই এগিয়ে যায় অতিথিরা। দুর্বার এক আক্রমণ থেকে নেইমারহীন ব্রাজিলকে লিড এনে দেন ক্যাসেমিরো।
সমতায় ফিরতে মরিয়া ইকুয়েডর নয় মিনিট না যেতেই আরও বিপদে পড়ে যায়। শক্তি হারিয়ে দশ জনের দল হয়ে যায় আয়োজকরা। ফাউল করে সরাসরি লাল-কার্ড খেয়ে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন গোলরক্ষক আলেকজান্ডার ডোমিনগুয়েজ।
কাতার বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে পাঁচ মিনিট না যেতেই এবার শক্তি হারিয়ে ফেলে ব্রাজিল। দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন এমারসন। ম্যাচের প্রথম মিনিটেই মোইজেজ কাইসেদোকে বাজেভাবে ফাউল করেন ব্রাজিলের এ ডিফেন্ডার। পরে প্রতিপক্ষের আরেক খেলোয়াড় এস্ত্রাদাকে পেছন থেকে ফাউল করলে লাল কার্ড পান এমারসন। ফলে রক্ষণভাগের দৃঢ়তা কমে যায় সফরকারীদের। দু'দলই লড়তে থাকে দশজন ফুটবলার নিয়ে। দুটি লাল কার্ডই এসেছে ভিএআর'র সাহায্যে।
ম্যাচে আরও অনেক সিদ্ধান্তই দেখেছেন ফুটবল অনুরাগীরা। ব্রাজিল গোলরক্ষক আলিসন দুবার লাল কার্ড পেলেও ভিএআর তা বাতিল করে। ইকুয়েডরের দুটি পেনাল্টির পক্ষেও রায় দেয়নি প্রযুক্তি।
মাঠের লড়াইয়ে আধিপত্য বিস্তার করে খেলা ব্রাজিল লিডটা ধরে রেখেছিল ৭৪ মিনিট পর্যন্ত। কিন্তু পরের মিনিটেই তাদের রক্ষণ দুর্বলতার সুযোগ নেয় ইকুয়েডর। ফেলিক্স তোরেসের গোলে সমতায় ফেরে তারা।
পরে জয়সূচক গোলের দেখা পেতে চেষ্টার কোনো ত্রুটি রাখেনি ব্রাজিল। বেশ কিছু সুযোগও তৈরি হয়েছিল। কিন্তু সেগুলো কাজে লাগাতে পারেনি কোচ আদেনর লিওনার্দো বাচ্চির (তিতে) দল।
২০২২ কাতার বিশ্বকাপের টিকিট ব্রাজিল নিশ্চিত করেছে অনেক আগেই। ১৪ ম্যাচে ১১ জয় আর তিন ড্রয়ে ৩৬ পয়েন্ট নিয়ে দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বাছাইপর্বের তালিকায় এখনো শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে তারা।