তৃতীয় রাউন্ডেও দারুণ পারফরম্যান্স উপহার দিয়েছেন নোভাক জোকোভিচ। স্বদেশী মিওমির কেচমানোভিচকে ধরাশায়ী করে উইম্বলডনের শেষ ষোলর টিকিট কেটেছেন ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন এ সার্বিয়ান সুপারস্টার।
সার্বিয়ান তরুণ কেচমানোভিচকে প্রথম সেটে ৬-০ স্রেফ উড়িয়ে দিয়েছেন জোকোভিচ। পরে দ্বিতীয় সেট ৬-৩ ও তৃতীয় সেট ৬-৪ গেমে জিতে প্রি কোয়ার্টার-ফাইনালে পৌঁছে গেছেন জোকোভিচ।
প্রথম রাউন্ডে দক্ষিণ কোরিয়ান কিওন সুন-উই প্রতিরোধ গড়েও থামাতে পারেননি নোভাক জোকোভিচকে। পরে দ্বিতীয় রাউন্ডে সরাসরি সেটে শীর্ষ বাছাই কুপোকাত করেন অস্ট্রেলিয়ার থানাসি কোকিনাকিসকে।
শেষ ষোলতে উঠে গেছেন স্প্যানিশ তারকা কার্লোস আলকারাজও। জার্মান প্রতিপক্ষ অস্কার ওট্টেকে ৬-৩, ৬-১ ও ৬-১ গেমে হারিয়েছেন তিনি।
শচিন টেন্ডুলকরের সঙ্গে একসঙ্গে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছেন বিনোদ কাম্বলি। স্কুল জীবন থেকে তারা বন্ধু। কিন্তু বর্তমানে আর্থিক অনটনে ভুগছেন কাম্বলি। ক্রিকেট সংক্রান্ত কোনও চাকরি খুঁজছেন ভারতীয় দলের সাবেক এই তারকা। বর্তমানে বিনোদের একমাত্র উপার্জন খাত বিসিসিআই-এর থেকে পাওয়া ৩০ হাজার রুপি পেনশন।
২০১৯ সালে টি-টোয়েন্টি মুম্বাই লিগে কোচ ছিলেন কাম্বলি। ওই সময় সমস্যা ছিল না কিন্তু করোনার পর সমস্যাটা বাড়ে। বন্ধু শচিন টেন্ডুলকর একাধিকবার সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। শচিনের মিডলসেক্স গ্লোবাল একাডেমিতে মেন্টর হিসেবে কাজ করছিলেন। শচিনের একাডেমি মুম্বাইয়ের নেরুলে, কাম্বলির বাড়ি থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে। এত দূরে কাজ করতে সমস্যা হচ্ছিল ৫০ বছর বয়সী এই সাবেক ক্রিকেটারের। তাই সে সম্প্রতি দায়িত্ব দিয়েছেন। এরপর থেকে তিনি বেকার দিনযাপন করছেন।
কাম্বলি জানান, ভোর ৫টায় উঠে ট্যাক্সিতে ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে যেতাম। খুবই কষ্ট হত। তারপর আবার সন্ধ্যায় বিকেসি-র মাঠে কোচিং করাতাম। কিন্তু এই বয়সে এত ধকল নিতে পারছিলাম না।
কাম্বলি আরও বলেন, আমি একজন অবসরপ্রাপ্ত ক্রিকেটার। যার সংসার চলে বিসিসিআইয়ের পেনশনে। তার জন্য আমি বোর্ডের কাছে কৃতজ্ঞ। বর্তমানে যেভাবে দৈনন্দিন জিনিসের দাম বাড়ছে তাতে সংসার চালানোর ব্যাপক অসুবিধা হচ্ছে।
চাকরির অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, এমসিএ (মুম্বাই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন)-এর থেকেও সাহায্য চেয়েছিলাম আমি। কিছু সাহায্য পাওয়ার আশায় আমি এমসিতে গিয়েছিলাম। আমারা একটা পরিবার রয়েছে যা আমাকে দেখতে হয়। এমসিএ-কে বলেছিলাম কখনও যদি আমায় প্রয়োজন পরে আমায় বলবেন, তা ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামেই হোক বা বিকেসি স্টেডিয়ামে। আমায় মুম্বাই ক্রিকেট অনেক কিছু দিয়েছে কিন্তু অবসরের পর ক্রিকেট আর নেই কোথাও। কিন্তু জীবনে স্টেডি থাকতে হলে অ্যাসাইমেন্টস থাকা প্রয়োজন। আমি শুধু এমসিএ সভাপতি এবং সচিবের কাছে অনুরোধই করতে পারি।
এ সময় বাল্যবন্ধু শচিন তার বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে অবগত বলে জানান কাম্বলি। তিনি বলেন, শচিন সব সময় আমার পাশে ছিল। সাহায্য করেছে। ওর কাছে এখন চাওয়ার কিছু নাই। ও আমার খুব ভালো বন্ধু।
১৯৯১ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত ভারতের হয়ে ১০৪টি ওডাই এবং ১৭টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন বিনোদ কাম্বলি। দুই ফরম্যাট মিলিয়ে তার সংগ্রহ ৩৫৬১ রান। টেস্ট ক্রিকেটে চারটি শতরান এবং একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দুইটি শতরান রয়েছে তার।
আন্তর্জাতিক ফুটবলে ভারতকে অনির্দিষ্টকালের জন্য নিষিদ্ধ করেছে ফিফা। ফুটবলীয় কার্যক্রমে তৃতীয় পক্ষ হস্তক্ষেপ করার অভিযোগে অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশনকে (এআইএফএফ) নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ফুটবল দুনিয়ার অভিভাবক সংস্থাটি।
বিবৃতিতে খবরটি নিশ্চিত করে ফিফা জানিয়েছে, ‘ব্যুরো অব ফিফা কাউন্সিল সর্বসম্মতভাবে অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশনকে (এআইএফএফ) নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কারণ এই সংস্থায় তৃতীয় পক্ষের অনুচিত প্রভাবের ফলে ফিফা সনদের পরিষ্কার লঙ্ঘন হয়েছে।’
সাবেক সভাপতি প্রফুল প্যাটেলকে সরিয়ে এআইএফএফের দায়িত্ব পেয়েছে ভারতের সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে গঠিত কমিটি অব অ্যাডমিনিস্ট্রেটরস (সিওএ)। যাদের ওপর নির্বাচনেরও দায়িত্ব বর্তেছে। তবে আদালতের এই হস্তক্ষেপ মেনে নেয়নি ফিফা।
নিষেধাজ্ঞার কারণে আগামী অক্টোবরে ভারতের মাটিতে হতে যাওয়া অনূর্ধ্ব-১৭ নারী বিশ্বকাপও স্থগিত হয়ে গেছে। শিগগিরই এই টুর্নামেন্টের ভাগ্য নির্ধারণ করবে ফিফা।
টি-টোয়েন্টি সংস্করণের আসন্ন এশিয়া কাপে ভয়-ডরহীন ক্রিকেট খেলতে চায় টাইগাররা। তবে ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম সংস্করণে লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের পারফরম্যান্সের যে হাল তাতে করে ট্রফি জয়ের স্বপ্ন দেখছেন না টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন।
আজ সোমবার (১৫ আগস্ট) গণমাধ্যমকে বিসিবি পরিচালক সুজন বলেন, ‘অবশ্যই আমরা ওই (ফিয়ারলেস) ধরণের ক্রিকেট খেলতে চাই। বলছি না, আমরা বাংলাদেশ হঠাৎ করে বদলে গিয়ে এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে যাব। কিন্তু আমরা ওই পথটা ধরতে চাই কীভাবে এই ফরম্যাটে ভালো করতে পারি। ১২০ বলের খেলা আপনার সময়টা খুব কম যে আপনি ওই সিদ্ধান্তটা নিবেন। যেটা আমরা ওয়ানডেতে পারি।’
রিয়াদ-সাকিব নিয়ে সুজন বলেন, ‘দিন শেষে আমরা সবাই বিসিবিতে কাজ করি বাংলাদেশ ক্রিকেটকে ভালো করার জন্য। এখানে আমাদের কোনো স্বার্থ নেই, সাকিবও আমার কিছু না রিয়াদও আমার কিছু না। বলতে গেলে আমাদের সতীর্থ ক্রিকেটার, হয়তো আমরা সিনিয়র, ওরা জুনিয়র। ওরা এখনো খেলছে, আমরা ওদের সাথে কাজ করি, আমরা চাই বাংলাদেশ দলের সাফল্য। সাফল্যটা কীভাবে আসবে কার হাত ধরে আসবে আমরা জানি না। মনে হয়েছে সাকিব আমাদের সেরা বিকল্প। আমি বিশ্বাস করি সাকিব সেরা বিকল্প।’
ওপেনিং নিয়ে সুজন যোগ করেন, ‘স্বীকৃত ওপেনার বিজয় ও পারভেজ ইমন। বাকি অনেকেই কিন্তু স্থানীয় ক্রিকেটে ওপেন করেছে। আফগানিস্তানের যে বোলিং অ্যাটাক সেই বোলিং অ্যাটাকে আমরা কাকে ওপেন করাবো সেটা নিয়ে ভাবছি। মুশফিক হতে পারে। ইউ নেভার নো, সাকিবও হতে পারে। মিরাজ হতে পারে, শেখ মেহেদীও ওপেন করেছে। অনেকগুলো অপশন আছে। কম্বিনেশনের জন্য আমরা চিন্তা করছি।’