ফুটবলার আঁখির পরিবারের স্বপ্ন পূরণ



সুজন সরকার, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিরাজগঞ্জ
নারী ফুটবলার আঁখির পরিবারের স্বপ্ন পূরণ

নারী ফুটবলার আঁখির পরিবারের স্বপ্ন পূরণ

  • Font increase
  • Font Decrease

সিরাজগঞ্জের মেয়ে নারী ফুটবলার আঁখি এখন জেলার সকলের নয়নের মনি। নানা অভাবে বেড়ে ওঠা আঁখি এখন অনেক মেয়েরই আদর্শ। আঁখির পরিবার, বন্ধু-বান্ধবীসহ স্থানীয়রা বলছেন, আঁখিদের মতো গ্রামাঞ্চল থেকে ওঠে আসা মেয়েরাই এখন দেশের নাম ছড়িয়ে দিচ্ছে বিশ্বজুড়ে।

নারী সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপে নতুন ইতিহাস গড়েছে বাংলাদেশ। নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে সাফ নারী ফুটবলের শিরোপা জয়ে দেশবাসীরা আনন্দিত ও উল্লসিত করছে। একই আনন্দ চলছে আঁখির জন্মভুমির বাড়িতেও। জেলার শাহজাদপুর উপজেলার পারকোলা গ্রামের আক্তার হোসেন ও নাছিমা বেগম দম্পতির দুই সন্তানের ছোট আঁখি।


শিরোপা জয়ের পর শাহজাদপুরের আঁখিসহ তার পরিবারের সদস্যরা পাচ্ছেন বাহবা। এই বাহবার পেছনে রয়েছে অনেক কষ্ট ও ত্যাগ। আঁখির গ্রামে যারা অতীতে কটুকথাসহ নানা ধরনের নৈতিবাচক মন্তব্য করতেন, তারাই এখন আঁখিসহ তার পরিবারকে নিয়ে প্রশংসা করছেন জানালেন, আঁখির হাতেখড়ি দেওয়া শিক্ষক পাড়কোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক মো. মনসুর রহমান।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শিক্ষক মনসুর রহমানের সহযোগিতায় দরিদ্র তাঁত শ্রমিক আকতার হোসেনের মেয়ে আঁখি বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব নারী ফুটবল খেলায় অংশগ্রহণ করেন। প্রথমে উপজেলা, জেলা, রাজশাহী, ঢাকায়। এরপর আর থামতে হয়নি আঁখিকে। অনূর্ধ্ব ১৫ জাতীয় দলেও খেলার সুযোগ পায় আঁখি। নারী হয়ে ফুটবল খেলে বলে এক সময় গ্রামবাসী তাকে কটুকথা ও অনেক ধরনের নৈতিবাচক মন্তব্য করেছেন। সেই তারাই এখন আঁখিকে বাহবা দিচ্ছেন, প্রশংসা করছেন। কারণ আঁখি এখন বাংলাদেশের নারী ফুটবল দলের তারকা খেলোয়াড়। গত ডিসেম্বরে ভারতকে হারিয়ে সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ ফুটবলে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে লাল সবুজের দল। আর সে কারণেই কটুকথাকারীরা এখন প্রশংসা করছেন আঁখির।


আঁখির বড় ভাই নাজমুল ইসলাম বলেন, আমাদের সংসার এখন সুখের। আমাদের আর কোন কষ্ট নেই। আগে আমাদের অভাব ছিলো। মা মাঝে মধ্যেই আশ-পাশের বাড়িসহ নানা বাড়ি থেকে চাল-ডাল আনতো। এখন আর আনতে হয় না।

স্থানীয় আঁখির বান্ধুবি মনোয়ারা, তিশা ও উর্মি জানান, আমরা আঁখির সাথেই পড়েছি। ও ছোট বেলা থেকেই ফুটবল, দৌড় ও জাম্পিং খেলায় প্রথম হতো। আঁখি আমাদেরসহ সকলের গর্ব।

পাড়কোলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আলাউদ্দিন হোসেন জানান, ২০১১ সালে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব নারী ফুটবল খেলা শুরু হয়। পরের বছর আঁখিকে নিয়ে দল গঠন করেন সহকর্মী মনসুর রহমান। তিনি নিজেও একজন সাবেক ফুটবলার ছিলেন।


তাঁত শ্রমিক আঁখির বাবা আকতার হোসেন জানান, গ্রামের প্রাইমারি স্কুলের মনসুর স্যার এবং ইব্রাহিম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের লাকী ম্যাডাম আমার মেয়ে আঁখিকে অনেক সহযোগিতা করেছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশাপাশি ওই দু’জন শিক্ষকের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। আঁখির জন্য আজ আমি গর্বিত ও সম্মানিত। প্রধানমন্ত্রী উপহার হিসেবে ১৫ লাখ দিয়েছেন। সে অর্থ দিয়ে আমি জমি কিনে চাষাবাদ করে সংসার চালাচ্ছি।

ইব্রাহিম পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যায়ের প্রধান শিক্ষক কামরুন নাহার জানান, নারী ফুটবলের জয়ের পেছনে আছে বঙ্গমাতা টুর্নামেন্ট। আঁখির উঠে আসা এই টুর্নামেন্ট দিয়েই। ২০১৪ সালে আমাদের বিদ্যালয়ে ভর্তির পর বঙ্গমাতা ফুটবল টুর্নামেন্ট খেলে আঁখি। এরপরে নাম লেখায় বিকেএসপিতে। সেখান থেকে ডাক পায় ২০১৫ সালে তাজিকিস্তানে অনুষ্ঠিত এএফসি অনূর্ধ্ব-১৪ আঞ্চলিক চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ গ্রহণকারী বাংলাদেশ দলে। সেখানেও চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশ। আঁখি, পারভীন, জেসমিনসহ ১২ জনকে নিয়ে আমাদের বিদ্যালয়ের শিক্ষক শামসুন নাহার লাকী নারী ফুটবল খোলোয়ারদের একটি দল গঠন করেন। ৮ জন বিকেএসপিতে সুযোগ পেলেও অন্যান্যরা ঝড়ে পড়ে। এত দারিদ্রদের মধ্যেও তাঁত শ্রমিক কন্যা আঁখি দমেনি।


জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের সভাপতি কামরুল হাসান হিলটন জানান, নারী ফুটবলার আঁখি সিরাজগঞ্জের গর্বিত সন্তান। পুরো খেলা আমি মাঠেই দেখেছি। মুহূর্তের ভিতরে ওভারলেকিং ছাড়া লং পাসের মাধ্যমে প্রতিপক্ষকে সবসময় চাপে রেখেছিল। তার এই অসামান্য অবদানে জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে আমরা আঁখিকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই।

জেলা প্রশাসক ড. ফারুক আহাম্মদ বলেন, বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা ফুটবল টুর্নামেন্ট আঁখির ফুটবলে হাতেখড়ি। এর পরে জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে খেলার সুযোগ পায়। এখন জাতীয় দলের হয়ে খেলছে। বর্তমানে আঁখির খেলার মান অসাধারণ। সাফের শিরোপা লড়াইয়ে দেশের হয়ে অবদান রাখায় আমরা আনন্দিত। জেলা প্রশাসনের পক্ষ্য থেকে আগামীতে তাকে সংবর্ধনা দেয়া হবে।

   

১৫ উইকেটের দিনে বাংলাদেশকে এগিয়ে রাখছেন মিরাজ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি- সংগৃহীত

ছবি- সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মিরপুর টেস্টের প্রথম দিনটা ছিল বোলারদের। আরও নির্দিষ্ট করে বললে মিরপুরের উইকেট আজ দু’হাত ভরে দিয়েছে স্পিনারদের। নিউজিল্যান্ডের স্যান্টনার-এজাজরা তো দাপট দেখিয়েছেন-ই, তবে শেষবেলায় তাইজুল-মিরাজদের ঘূর্ণিতে চালকের আসনটা বাংলাদেশের জন্যই বরাদ্দ থেকেছে।

১৭২ রানে অলআউট হয়ে যাওয়ার পর এক সেশনে ৫৫ রান খরচায় কিউইদের পাঁচ উইকেট তুলে নেয়ায় এমনটাই মত অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজের, ‘ম্যাচ এখন যে অবস্থানে আছে, তাতে আমার মনে হচ্ছে আমরাই এগিয়ে।’

বোলিং দিয়ে শেষবেলায় প্রথম দিনটা নিজেদের করে নিলেও ব্যাটিং নিয়ে আক্ষেপের কথা জানিয়েছেন মিরাজ, ‘আমরা এই উইকেট হিসেবে ৪০-৫০ রান কম করেছি। এমনটা আমাদের নিয়মিত হচ্ছে, যেমন ৪০০’র উইকেটে আমরা ৩৫০ করে আসছি। এটা কীভাবে কমিয়ে আনা যায় তার চেষ্টা করছি আমরা, এ নিয়ে নিয়মিত আলাপও হচ্ছে আমাদের।’

ব্যাটিং আশানুরূপ না হলেও উইকেটের হাবভাব দেখে মিরাজ বুঝেছিলেন, কিউইরাও এই উইকেটে ঠিক সুবিধা করতে পারবে না, ‘যেভাবে উইকেটকে আচরণ করতে দেখেছি, তাতে মনে হয়েছে, ভালো জায়গায় বল করলে আমরাও সফল হব। আমরা তাই করেছি এখন পর্যন্ত।’

টেস্টের প্রথম দিনেই ১৫ উইকেট নেই। দ্বিতীয় টেস্টটা কালই শেষ হয়ে যায় কি না, সেটাও এখন এক সম্ভাবনা। তবে মিরাজের মনোযোগ সময়ে নয়, ফলাফলে। তার কথা, ‘টেস্ট ক্রিকেটে যে কোনো পরিস্থিতি আসতে পারে। দুই দিনে নয় আসলে, খেলাটা পাঁচ দিনের, যত সময় লাগুক, ফলটা আমাদের পক্ষে আনতে চাই আমরা। অতি আত্মবিশ্বাসী নই আমরা।’

;

বাফুফের সঙ্গে নতুন চুক্তি কাবরেরার



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি- সংগৃহীত

ছবি- সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ডিসেম্বরের পর বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের ডাগআউটে হাভিয়ের কাবরেরাকে দেখা যাবে কিনা তা নিয়ে সন্দিহান ছিলেন দেশের ফুটবলপ্রেমীরা। সাম্প্রতিক সময়ের ফুটবলে বাংলাদেশের নবজাগরণের অন্যতম কারিগর কাবরেরাকে রেখে বার্তাই ছিল সব মহল থেকে। এবার সেটা নিশ্চিত করল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)।

বুধবার (৬ ডিসেম্বর) জাতীয় টিমস কমিটির সভাপতি এবং বাফুফের সহ-সভাপতি কাজী নাবিল আহমদের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

নতুন চুক্তির ফলে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত জামাল ভূঁইয়াদের দায়িত্বে থাকবেন কাবরেরা। জানা গেছে, নতুন চুক্তির জন্য আগের চেয়ে দ্বিগুণ অর্থ দাবি করেছিলেন জাতীয় দলের এই স্প্যানিশ হেড কোচ। তবে তার দাবি পূরণ না হলেও নতুন চুক্তিতে আগের চেয়ে তার বেতন বেশ বৃদ্ধি পেয়েছে বলেই জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

চুক্তি সম্পাদন করে ছুটিতে স্পেনে যাবেন কাবরেরা। নতুন বছরে আবার বাংলাদেশে ফিরবেন তিনি।

বছর দুয়েক আগে জাতীয় দলের দায়িত্ব নেন কাবরেরা। প্রথম বছর খুব একটা আশাব্যঞ্জক না হলেও দ্বিতীয় বছরে আশার কিরণ দেখা গেছে। তার অধীনে বাংলাদেশের খেলার ধরন যেমন প্রাণবন্ত হয়েছে, তেমনি তরুণ খেলোয়াড়দের ধারাবাহিক পারফরম্যান্স ফুটবলে নতুন দিনের স্বপ্ন দেখাচ্ছে সমর্থকদের।

কাবরেরার অধীনে এখন পর্যন্ত ১৩টি ম্যাচ খেলে পাঁচ ম্যাচে জয়ের হাসি হেসেছে বাংলাদেশ। হেরেছে ও ড্র করেছেন সমান চারটি করে ম্যাচে। ২০০৯ সালের পর প্রথমবার তার অধীনেই  সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে সেমিফাইনাল খেলেছেন। বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ঘরের মাঠে লেবাননের মতো শক্তিশালী দলের বিপক্ষে ড্র-ই বা কম কীসে!

;

‘না হাঁটতে পারা পর্যন্ত আইপিএল খেলে যাব’



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি- সংগৃহীত

ছবি- সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বকাপে দুর্দান্ত ফর্মে ছিলেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, চোট নিয়েই করেছেন ডাবল সেঞ্চুরির বিশ্বরেকর্ড। এবার তিনি ঘোষণা দিলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত তিনি হাঁটতে পারবেন , ততক্ষণ তিনি আইপিএলে দর্শকদের বিনোদন দিয়ে যাবেন।

ভারত থেকে দেশে ফেরার পর এক সপ্তাহ বিশ্রামের পর বৃহস্পতিবার রাতে ব্রিসবেনের বিপক্ষে বিগ ব্যাশ লিগের উদ্বোধনী ম্যাচে মেলবোর্ন স্টার্সের নেতৃত্ব দেবেন ম্যাক্সওয়েল।

আগামী বছর রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হয়ে খেলতে যাবেন ম্যাক্সওয়েল। ৩৫ বছর বয়সী এই হার্ড-হিটার আশা করছেন, জুনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে যত বেশি অজিরা আইপিএলের অভিজ্ঞতা পাবেন, সেটা ততই বিশ্বকাপে কাজে লাগবে।

বুধবার মেলবোর্ন বিমানবন্দরে ম্যাক্সওয়েল বলেছেন, 'আইপিএল সম্ভবত আমার খেলা শেষ টুর্নামেন্ট হবে, কারণ আমি হাঁটতে না পারা পর্যন্ত আইপিএলে খেলব।‘

তিনি আরও বলেন, ‘পুরো ক্যারিয়ারে আইপিএল আমার জন্য সবচেয়ে কার্যকর ও ভালো হয়েছে। যাদের সঙ্গে আমার দেখা হয়েছে, যে কোচদের অধীনে আমি খেলেছি, যে সব আন্তর্জাতিক খেলোয়াড়ের সঙ্গে আমি কাঁধে কাঁধ মিলিইয়ে খেলেছি, সেই টুর্নামেন্টটি আমার পুরো ক্যারিয়ারের জন্য অনেক উপকারী হয়েছে।‘

বেঙ্গালুরুর সতীর্থদের নিয়ে তিনি বলেন, ‘আপনি দুই মাস ধরে এবি (ডি ভিলিয়ার্স) এবং বিরাট (কোহলি) এর সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়েছেন, অন্যান্য খেলা দেখার সময় তাদের সাথে কথা বলছেন। এটি সবচেয়ে বড় শেখার অভিজ্ঞতা যা যেকোনো খেলোয়াড় চাইতে পারে।‘

ম্যাক্সওয়েল আশা করেন, আরও বেশকিছু অস্ট্রেলিয়ান খেলোয়াড় আইপিএলে খেলতে পারবে এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতো কন্ডিশনে তা কাজে লাগাতে পারবে।

;

মিরপুর টেস্টের প্রথম দিনে শেষ হাসি হেসেছে বাংলাদেশই



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মিরপুরের এই টেস্ট শুরুর আগেই সবাই ধরে নিয়েছিলেন, এই ম্যাচ হবে একটি স্পিন স্বর্গে। হলোও তাই। এদিন প্রত্যেকটি উইকেটই নিয়েছেন স্পিনাররা। প্রথম ইনিংস শেষে বাংলাদেশ ১৭২ রানে অলআউট হয়। তবে এ দিন শেষে, কিউইদের ইনিংসের ৫ উইকেট হারিয়ে ম্যাচে ফিরেছে বাংলাদেশ। প্রথম দিন শেষে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ৫৫ রান।

নিজেদের ইনিংসের শুরু থেকেই বাংলাদেশ স্পিনারদের বিপক্ষে অসহায় ছিল কিউই ব্যাটাররা। দলীয় ২০ থেকে ২২ রানের মধ্যেই আউট হন দুই কিউই ওপেনার টম ল্যাথাম এবং ডেভন কনওয়ে। মাত্র ১ রান করে মেহেদী হাসান মিরাজের বলে আউট হন অফফর্মে থাকা ব্যাটার হেনরি নিকোলস। এরপর ম্যাচের দ্বাদশ ওভারে জোড়া আঘাত হানেন মিরাজ, ফেরান আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান কেন উইলিয়ামসন এবং কিউই উইকেটকিপার ব্যাটার টম ব্লান্ডেলকে।

বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ এবং ২ উইকেট নিয়েছেন বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম।

এর আগে, টসে জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকে সাবধানী অবস্থানে থেকে পেসারদের খেলতে থাকেন দুই ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় ও জাকির হাসান। তবে বিপত্তি আসে স্পিনার এলেই। অষ্টম ওভারে একাদশে ফেরা মিচেল সান্টনারকে বলে থামান কিউই অধিনায়ক টিম সাউদি। সেখানে নিজের দ্বিতীয় ওভারেই দলকে ব্রেক থ্রু এনে দেন সান্টনার।

ব্যাটিং ব্যর্থতার আরেকটি দিনে উইলিয়ামসনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন জাকির (৮)। পরের ওভারের ফিরলেন আরেক ওপেনার জয়ও (১৪)। অ্যাজাজ প্যাটেলের বলে উইকেটে পেছনে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নের পথে হাঁটেন এই ডানহাতি ব্যাটার।

এরপর মুমিনুল হককে নিয়ে চাপ সামলে এগোনোর আশা দেখান অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে সেখানে আবারও বাঁধা দেন সান্টনার-অ্যাজাজ। দলীয় ৪১ রানের মাথায় মুমিনুল (৫) ফেরার পরের ওভারে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেরেন শান্ত (৯)।

 শুরুর সেই চাপ বেশ ভালোভাবেই সামলে নিয়েছিলেন মুশফিকুর রহিম ও শাহাদত হোসেন দিপু। তবে ৪১তম ওভারে দেশের ক্রিকেট সাক্ষী হলো অদ্ভুত এক ঘটনার। প্রথম বাংলাদেশি এবং ছেলেদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১২তম ব্যাটার হিসেবে  ‘অবস্ট্রাকটিং দ্য ফিল্ড’ আউট হন মুশফিক। এর আগে ব্যক্তিগত খাতায় যোগ করেন ৩৫ রান।

 বাকি ব্যাটাররাও ছিলেন যাওয়া আসার মধ্যেই। দ্বিতীয় সেশনে ১৪৯ রানে পৌঁছানোর পর তৃতীয় সেশনে ২৩ রান যোগ করে থামে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস।সান্টনার ও ফিলিপস নেন তিনটি করে উইকেট। সান্টনার নেন দুটি উইকেট।

;