আমিরাত সিরিজ জিতল টাইগাররা



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
লিটন দাস ও মেহেদী হাসান মিরাজ

লিটন দাস ও মেহেদী হাসান মিরাজ

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রথম ম্যাচে জয় এসেছিল ৭ রানে। তবে দ্বিতীয় ম্যাচেও টাইগারদের হাতে ধরা দিল জয়। তবে একটু বড় ব্যবধানে। সংযুক্ত আরব আমিরাতকে দেশের ছেলেরা হারাল ৩২ রানে।

দুরন্ত এ জয়ে দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ২-০ ব্যবধানে নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। এই সিরিজ ট্রফি দিয়েই অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে অনুষ্ঠিতব্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি পর্ব শুরু করল লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।

জয়ের জন্য ১৭০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৩৭ রানে গুটিয়ে গেছে আমিরাত।

আমিরাতের হয়ে ফিফটি হাঁকান আমিরাত ক্যাপ্টেন চুনডাঙ্গাপোইল রিজওয়ান। অপরাজিত থেকে যান ৩৬ বলে ২ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় ৫১ রানের ইনিংস খেলে। ৪২ রান আসে বাসিল হামিদের ব্যাট থেকে। দুজনে মিলে ৭২ বলে লিখেন ৯০ রানের পার্টনারশিপ। 

বাংলাদেশের হয়ে দুটি উইকেট শিকার করেন মোসাদ্দেক হোসেন। একটি করে উইকেট নেন এবাদত হোসেন, নাসুম আহমেদ ও  তাসকিন আহমেদ।

টস হেরে শুরুতে ব্যাটিংয়ে নেমে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে ৫ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের ছেলেরা গড়ে ১৬৯ রানের পাহাড়সম পুঁজি। 

ওপেনার সাব্বির রহমান (১২) সাজঘরে ফিরলেও অসাধারণ ব্যাটিং দৃঢ়তায় ব্যাটাররা দলকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন বড় সংগ্রহের পথে। ক্রিজের এক প্রান্ত আগলে রেখে ব্যাটিং ঝলক দেখান মেহেদী হাসান মিরাজ। ৩৭ বলে ৫ বাউন্ডারিতে ৪৬ রানের চমৎকার এক ইনিংস খেলেন তারকা এ অলরাউন্ডার। তাকে সঙ্গ দেয়ার চেষ্টা করেন লিটন দাস।

তবে এ স্টার ব্যাটার ইনিংস বড় করতে পারেননি। বিদায় নেন ২০ বলে ৪ বাউন্ডারিতে দলীয় স্কোরে ২৫ রান যোগ করে। আর আফিফ হোসেন এনে দেন ২০ রান।

ম্যাচের সেরা মিরাজ আউট হলেও ব্যাট হাতে লড়াই করেন মোসাদ্দেক হোসেন। সাহস দেখালেও ব্যাক্তিগত ইনিংসটি বড় করতে পারেননি। মোসাদ্দেকের ব্যাট ছুঁয়ে ২২ বলে ২ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় আসে ২৭ রান। শেষ দিকে ঝড়ো ইনিংস খেলেন ইয়াসির আলী রাব্বী। অপরাজিত থেকে যান ১৩ বলে ২১* রান করে। নুরুল হাসান সোহান যোগ করেন ১৯* রান।

আমিরাতের জার্সি গায়ে ২ উইকেট শিকার করে আয়ান আফজাল খান। তার সঙ্গে একটি করে উইকেট নেন সাবির আলী, কার্তিক মেয়াপ্পন ও আরিয়ান লাকরা।

   

মমিনুল-শান্তর জুটিতে চা বিরতির আগে স্বস্তিতে বাংলাদেশ



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেট টেস্টে তৃতীয় দিনের শুরুতে দলের গুরুত্বপূর্ণ সময় দুটি উইকেট এনে দেন মমিনুল। এরপর নিলেন ব্যাটিংয়ের দায়িত্বও। তিন রানের ব্যবধানে দুই ওপেনার ফেরার পর সেই চাপ সামলে দারুণভাবে এগোচ্ছেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। তাকে যোগ্য সঙ্গ দিচ্ছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। 

চা বিরতিতে যাওয়ার আগে ৩৮ ওভার শেষে ২ উইকেট হারিয়ে ১১১ রান তুলেছে স্বাগতিকরা। এতে ১০৪ রানে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ।

কিউইদের ৩১৭ রানে আটকে দিনের প্রথম সেশনেই ব্যাট করত নামে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। সেখানে শুরু থেকে ধিরস্থিরভাবে ভাবে ব্যাট করে প্রথম সেশন শেষ করে স্বাগতিকরা। তবে বিপত্তি আসে দ্বিতীয় সেশনের শুরুতেই। পরপর দুই ওভারেই ফেরেন দুই ওপেনার জাকির হাসান ও মাহমুদুল হাসান জয়। 

দলীয় ২৩ রানের মাথায় লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে ফেরেন ওপেনার জাকির হাসান (১৭)। সেই অ্যাজাজ প্যাটেলের বলে। প্রথম ইনিংসে তার অফ স্ট্যাম্পের বাইরের বল টার্ন নিয়ে লাগে স্ট্যাম্পে। এবার ঠিক একই রকম বলেই আউট হলেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। 

পরের ওভারেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন আরেক ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় (৮)। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশে হয়ে সর্বোচ্চ ৮৬ রান করা এই ব্যাটার এবার হলেন দুর্ভাগার শিকার। নাজমুল হাসান শান্তর এক স্ট্রেইট ড্রাইভ বোলারের হাতে লেগে নন-স্ট্রাইক স্ট্যাম্পে লাগলে রান আউটের শিকার হন জয়। 

সেই চাপ বেশ ভালোভাবেই সামলে নিয়েছেন পিচে বর্তমানের অপরাজিত দুই ব্যাটার মমিনুল ও শান্ত। ৪৮ রানে ব্যাট করছেন শান্ত, অপর প্রান্তে মমিনুল অপরাজিত আছেন ৩৮ রানে। 





;

চব্বিশেই শেষ বিদায়



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবিঃ সংগৃহীত

ছবিঃ সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ব্লাড ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করেছেন দীর্ঘদিন ধরে। একটু একটু করে এগিয়ে গিয়েছেন মৃত্যুর পথে। অথচ জীবনের শেষ দিন অব্ধি চালিয়ে গিয়েছেন ভালোবাসার ক্রিকেটটাকে। ঢাকা ২য় বিভাগ ক্রিকেট লিগের চলতি মৌসুমেও গোপীবাগ ফ্রেন্ডস অ্যাসোসিয়েশন ক্লাবের হয়ে খেলেছেন সাতটি ম্যাচ। সতীর্থদের কাউকে বুঝতে দেননি ভেতরে কি কঠিন রোগ বয়ে বেড়াচ্ছেন তিনি।

খেলার মাঠের লড়াইয়ের মতো জীবনের মাঠেও বেঁচে থাকার লড়াইটা চালিয়ে যাচ্ছিলেন ২৪ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডার। স্বপ্ন ছিল; একদিন সব ঠিক হলে জাতীয় দলের জার্সিতে মাঠে নামবেন, দেশের হয়ে লড়বেন বিশ্বমঞ্চে। তবে সেই স্বপ্নটা ছুঁয়ে দেখা হলো না তার। হেরে গেলেন জীবন যুদ্ধে।

হার না মানার প্রতিশ্রুতি নিয়ে ক্রিকেট খেলা শুরু করা হৃদয় হার মানলেন ক্যান্সারের কাছে। বুধবার মৃত্যুবরণ করেন তিনি। তার এই অকাল মৃত্যুতে তাই শোকের ছায়া নেমেছে বাংলাদেশ ক্রিকেটে। হৃদয়ের মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড বিসিবি।

জাতীয় দলের ক্রিকেটার সাইফউদ্দিনকেও ছুঁয়ে গেছে হৃদয়ের এই অকাল মৃত্যু। ফেসবুক পোস্টে এই ক্রিকেটার লিখেছেন, ‘ছোট ভাই হৃদয় আমাদের মাঝে আর নেই। অনেক স্বপ্ন নিয়ে ঢাকা দ্বিতীয় বিভাগ ক্রিকেট লিগ খেলতে ঢাকায় অবস্থান করেছিল। প্রথমে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে পরবর্তীতে ব্লাড ক্যান্সার এবং ব্রেন স্ট্রোক করে মারা যায়।’

সাইফউদ্দিন আরও লিখেছেন, ‘বসবাস করার জন্য ঢাকা অযোগ্য শহর। মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষা একদম নেই বললেই চলে| কিছুদিন আগে ছেলেটা বিয়ে করেছিল কত স্বপ্ন ছিল তার পরিবার নিয়ে বাঁচার। কিন্তু এই নিয়তি তাকে আর থাকতে দিল না। ক্ষণস্থায়ী জীবনের জন্য আমরা কত কিছু না করি তাও আমাদের সিস্টেম চেঞ্জ হবে না। ভালো থাকিস ওপারে।’

হৃদয়ের অকাল মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে তার ক্লাব "গোপীবাগ ফ্রেন্ডস এসোসিয়েশন"। শোক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ক্লাবটি তাদের অনুভূতি ব্যক্ত করে – ‘আমাদের "গোপীবাগ ফ্রেন্ডস এসোসিয়েশন" এর উদীয়মান ক্রিকেট খেলোয়াড় আব্দুল আলীম হৃদয়  (২৪) ব্লাড ক্যান্সার এ আক্রান্ত হয়ে আজগর আলী হাসপাতালের আইসিইউ তে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায়  ইন্তেকাল করেন (ইন্না-লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আমরা "গোপীবাগ ফ্রেন্ডস এসোসিয়েশন" এর সকল কর্মকর্তা ও খেলোয়াড়রা তার মৃত্যুতে গভীরভাবে শোকাহত। আমরা মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবাবের প্রতি বিশেষ সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। আমীন।‘

;

দ্বিতীয় সেশনের শুরুতেই চাপে বাংলাদেশ 



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দিনের প্রথম সেশনে মমিনুলের দুর্দান্ত বোলিংয়ে কিউইদের দ্রুতই থামায় স্বাগতিকরা। সেখান থেকে ব্যাটিংয়ে নেমে বেশ বুঝেশুনেই প্রথম সেশন শেষ করে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। তবে দ্বিতীয় সেশনের শুরুতেই চাপে পড়ে যায় তারা। পরপর দুই ওভারেই সাজঘরে ফেরেন দুই ওপেনার।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ১৬ ওভার শেষে ২ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩২ রান। 

দলীয় ২৩ রানের মাথায় লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে ফেরেন ওপেনার জাকির হাসান (১৭)। সেই অ্যাজাজ প্যাটেলের বলে। প্রথম ইনিংসে তার অফ স্ট্যাম্পের বাইরের বল টার্ন নিয়ে লাগে স্ট্যাম্পে। এবার ঠিক একই রকম বলেই আউট হলেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। 

পরের ওভারেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন আরেক ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় (৮)। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশে হয়ে সর্বোচ্চ ৮৬ রান করা এই ব্যাটার এবার হলেন দুর্ভাগার শিকার। নাজমুল হাসান শান্তর এক স্ট্রেইট ড্রাইভ বোলারের হাতে লেগে নন-স্ট্রাইক স্ট্যাম্পে লাগলে রান আউটের শিকার হন জয়। 

;

আর্সেনালের গোল উৎসবের রাতে ইউনাইটেডের হোঁচট



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ড্র করলেই নিশ্চিত হতো শেষ ষোলোর জায়গা। তবে চ্যাম্পিয়নস লিগের গতকাল (বুধবার) রাতের ম্যাচে কেবল জয়ই না, ফ্রেঞ্চ ক্লাব লঁসের জালে রীতিমত গোল উৎসব চালিয়েছে আর্সেনাল। ৬-০ ব্যবধানের সেই জয়ে নিজেদের গ্রুপ সেরা হয়ে পরের রাউন্ডে পৌঁছাল গানাররা।

অন্যদিকে আরেক ইংলিশ ক্লাব দেখল আরেকটি হতাশার রাত। আগের চার ম্যাচে কেবল এক ম্যাচ জিতে শেষ ষোলোর পথ ইতিমধ্যেই দুর্গম করে ফেলেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। সেই কাটা ঘায়ে আরও একটু নুনের ছিটা দিল তুর্কি ক্লাব গালাতাসারাই। শুরুতেই দুই গোলে এগিয়ে থেকে সহজ জয়ের দিকে থাকা রেড ডেভিলরা শেষ পর্যন্ত ড্র করল ৩-৩ গোলে

এমিরেটস স্টেডিয়ামে জয়ের দিনে বড় জয়ের দিনে আর্সেনাল গড়েছে এক ইতিহাস। প্রথমার্ধেই গানাররা করেছে পাঁচ গোল। চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচের প্রথমার্ধে কোনো ইংলিশ ক্লাবের পাঁচ গোল করার ঘটনা এই প্রথম।

ম্যাচের ১৩তম মিনিটে গোল উৎসবের সূচনা করেন জার্মান মিডফিল্ডার কাই হাভার্টস। প্রথমার্ধে এরপর একে একে গোল করেন গাব্রিয়েল জেসুস, বুকায়ো সাকা, গাব্রিয়েল মার্তিনেল্লি ও মার্তিন ওদেগার্দ।

ম্যাচের ৮৩তম মিনিটে পেনাল্টি পায় আর্সেনাল। সেখানে জর্জিনিয়োর সফল স্পট কিকে ম্যাচের শেষ গোল পায় গানাররা।

অন্যদিকে, গালাতাসারাইয়ের মাঠে আলেহান্দ্রো গারনাচো ও  ব্রুনো ফের্নান্দেসের গোলে ১৮ মিনিটেই এগিয়ে যায় ইউনাইটেড। ২৯তম মিনিটে স্বাগতিকদের হয়ে ব্যবধান কমান মরক্কান মিডফিল্ডার হাকিম জিয়েশ। সেখানে প্রথম ভুলটি করেন ইউনাইটেড গোলরক্ষক আন্দ্রে ওনানা। যদিও জিয়েশের নেওয়া ফ্রি-কিকে কিছুটা ডিফ্লেকশন ছিল।

দ্বিতীয়ার্ধের ১০ মিনিট না পেরোতেই ব্যবধান বাড়ায় রেড ডেভিলরা। তবে সেই ৩-১ ব্যবধান থেকে ১৭ মিনিট পরই স্কোরলাইন দাড়ায় ৩-৩-এ। ৬২তম মিনিটে আবারও গালাতাসারাইয়ের ফ্রি-কিক, সেখানে আবারও জিয়েশ, আবারও ওনানার ভুল। এবার বল পুরোই ছিল ওনানার নাগাল, তবে হাত ফসকে জড়ায় জালে। ৭১তম মিনিটে আকতারকোগলু গোলে সমতা পায় স্বাগতিকরা।

এতেই শেষ ষোলোর দৌড়ে অনেকটাই পিছিয়ে পড়ল এরিক টেন হাগের দল। পাঁচ ম্যাচে কেবল ৪ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ ‘এ’- এর তলানিতে তারা। শেষ ষোলোতে যেতে হলে শেষ ম্যাচ জয় ছাড়াও তাকিয়ে থাকতে হবে বাকি দুই দলের ম্যাচের দিকে।

;