মেসির গোলে বিশ্বকাপে টিকে রইল বাংলাদেশও!

  ‘মরুর বুকে বিশ্ব কাঁপে’


কবির য়াহমদ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লিওনেল মেসির চমৎকার গোল ও একটা গোলে সহায়তায় বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা প্রথম ম্যাচ জিতেছে। মেক্সিকোর বিপক্ষে দলটির এই জয় তাদেরকে টিকিয়ে রেখেছে বিশ্বকাপে।

কেবল কি আর্জেন্টিনাকে টিকিয়ে রাখল এই গোল? না, আর্জেন্টিনা ফুটবল দলের পাশাপাশি বাংলাদেশের অগণন ফুটবলপ্রেমিকেও বিশ্বকাপে টিকিয়ে রেখেছে এই গোল। আর্জেন্টিনার এই জয় না এলে বাংলাদেশের প্রায় অর্ধেকের বিশ্বকাপই শেষ হয়ে যেত অঘ্রাণের এই মধ্যরাতে। বাংলাদেশের অর্ধেক কিংবা তর্কসাপেক্ষে তারচেয়ে বেশি মানুষকে বিশ্বকাপে টিকিয়ে রাখতে লিওনেল মেসি ধন্যবাদ পেতেই পারেন।

এ ম্যাচের মাধ্যমে মেসি আর্জেন্টাইন ফুটবল কিংবদন্তি দিয়েগো ম্যারাডোনার বিশ্বকাপ রেকর্ডের সঙ্গে নিজের নাম যুক্ত করেছেন। ম্যারাডোনা বিশ্বকাপে খেলেছেন দেশটির পক্ষে সর্বোচ্চ ম্যাচ, ২১টি; মেসিও একই। এই ম্যাচগুলো থেকে ম্যারাডোনা গোল করেছেন ৮টি, মেসিরও গোল সংখ্যা একই। তাকে অভিনন্দন।

আর্জেন্টিনার জয়ে বাংলাদেশের জায়গায়-জায়গায় দলটির সমর্থকেরা মিছিল করেছে। তাদের এই মিছিলে আবেগ আছে, নিবেদন আছে এবং আছে নির্মোহ ভালোবাসা। তাদের এই আবেগকে সম্মান। এই আবেগের কারণে বিশ্বকাপ এলে থমকে যায় সবকিছু। কোটি চোখের দৃষ্টি নিবদ্ধ হয় টেলিভিশনে। এই খেলাপাগল মানুষেরা কোনো প্রাপ্তির আশা করে না। হৃদয়ের ডাকে তারা একেকটা দল সমর্থন করে। হৃদয় নিংড়ানো সেই ভালোবাসার কাছে বাকি সব তুচ্ছ। আর্জেন্টিনা সমর্থকেরাই কেবল নয়, একইভাবে আবেগী ব্রাজিল সমর্থকেরাও। তারাও প্রতি জয় উদযাপন করে।

কাতার বিশ্বকাপে সৌদি আরবের সঙ্গে অনাকাঙ্ক্ষিত হারে বিশ্বকাপ শুরু হয়েছিল আর্জেন্টিনার। সে হারে মনোবল ঠেকেছিল তলানিতে। মেক্সিকোর বিপক্ষে ম্যাচের শুরু থেকেই সেটা ছিল স্পষ্ট। এলোমেলো আর অনেকটাই উদ্দেশ্যহীন প্রথমার্ধ যেন বুঝিয়ে দিচ্ছিল চাপ সামলে নেওয়ার অক্ষমতার বিষয়টি। যদিও দ্বিতীয়ার্ধে ছিল অন্য ইঙ্গিত, অন্য পরিকল্পনা, এবং ফলাফল। তবু নির্বিষ প্রথমার্ধ অন্তত আর্জেন্টিনার নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেনি।

ফুটবল গোলের খেলা। শেষ পর্যন্ত গোলই সাফল্য-ব্যর্থতার নির্ণায়ক। দুই গোলে জিতেছে আর্জেন্টিনা। এটাই স্বস্তির, এটাই আনন্দের। এখানে যেখানে পরিকল্পিত এবং শৈল্পিক ফুটবলের আকাঙ্ক্ষা দর্শকের সেখানে কতটা তার বাস্তবায়ন সে হিসেব গৌণ হয়ে যায়।

বিশ্বকাপ জয়ের আকাঙ্ক্ষায় কাতারে এসে গ্রুপ পর্যায়ের ম্যাচ শেষের আগেই আর্জেন্টিনা পড়ে গেছে খাদের কিনারে। মেক্সিকোর বিপক্ষে এই জয় তাদেরকে দিয়েছে অক্সিজেন। এখন আশা আছে নকআউট পর্বে উন্নীত হওয়ার। শেষ ম্যাচটা ইউরোপের দেশ পোল্যান্ডের বিপক্ষে জিতলেই রাউন্ড অব সিক্সটিন।

ব্যক্তিগতভাবে আমি ব্রাজিল ফুটবল ভক্ত। ফুটবলে আর্জেন্টিনা আমাদের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী। যদিও ঐতিহ্যে-অর্জনে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার অনেক তফাৎ, তবু ফুটবল-বাণিজ্য আর তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা আমাদেরকে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেয়। আমরা মুখোমুখি হই, একে অন্যের ব্যর্থতা কামনা করে নিজেদের সাফল্যের ছক কষি। এই ছক যদিও কার্যকর কিছু নয়, তবু আনন্দের জন্যে; নিজের সঙ্গে নিজের খেলার জন্যে। বিশ্বকাপ ফুটবলে বিনোদনের যে সকল উপকরণ সেগুলো থেকে কীভাবে নিজেদের বিযুক্ত রাখি; তাই এত আয়োজন!

মাঠের খেলায় যেখানে আমাদের কোন যোগ নেই, সেখানে আমরা খেলি সামাজিক মাধ্যমে। প্রতিপক্ষকে হাসিঠাট্টায় পরাস্ত করতে চাই, প্রতিপক্ষও একইভাবে। এখানে যেখানে নেই কোন রেফারি সেখানে আমরা নিজেরাই প্রতিযোগী, নিজেরাই রেফারি। এটা আনন্দের জন্যে, স্রেফ বিনোদনের জন্যে। এই বিনোদনই আমাদের প্রাপ্তি।

চার বছর অপেক্ষার পর আসে বিশ্বকাপ ফুটবল। বিশ্বকাপকে কেন্দ্র করে আমরা দল-উপদলে বিভক্ত হলেও প্রকৃত অর্থে দূরে যাই না। খেলার সৌন্দর্য এখানেই। জয়ে আনন্দিত হই, পরাজয়ে হই ব্যথিত। আমাদের এই আনন্দ-বেদনার কাব্য ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা পর্যন্ত পৌঁছায় না, পৌঁছাবে না জেনে আমরা নিজেদের ব্যস্ত রাখি। ফুটবলের বৈশ্বিক আসরে নানা ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের বাণিজ্য আছে জেনেও আমরা নিজেদের যুক্ত করি। বিনোদনের জন্যে, স্রেফ বিনোদনের জন্যে।

ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা নাকি অন্য কেউ, কার হাতে উঠবে শিরোপা; এটা আমরা জানি না। তবে জানি এই বিশ্বকাপ আমাদের অনেককে হাসাবে, অনেককে কাঁদাবে। সচরাচর এমনই হয়। ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা আমাদের প্রতিবেশী নয়, তবে তাদের ফুটবল প্রতিবেশীর চাইতে বেশি কিছু বানিয়েছে। স্বজন বানিয়েছে, বানিয়েছে শুভাকাঙ্ক্ষী।

বিশ্বকাপের প্রতি মুহূর্তই হোক উপভোগের। আমরা ফুটবলকে উপভোগ করতে শিখেছি, উপভোগ করে যেতে চাই; আমৃত্যু।

   

রিয়ান ঝড়ের পর নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে রাজস্থানের জয় 



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

২০ বলে জয়ের জন্য তখন ৫৩ রান দরকার দিল্লি ক্যাপিটালসের। সেখানে জয়ের পাল্লা রাজস্থান রয়্যালসেরই ভারী ছিল। তবে এক ট্রিস্টান স্টাবসে চড়ে জয়ের স্বপ্ন বুনছিল রাজধানীর দলটি। এই প্রোটিয়া ব্যাটারের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ের বিপরীতে শেষ দিকে এসে রাজস্থানের পেসাররা দেখান নৈপুণ্য। এতেই শেষ পর্যন্ত ১২ রানের জয় পায় সঞ্জু স্যামসনের দল। 

এদিকে রাজস্থানের টানা দ্বিতীয় জয়ে এদিন ব্যাট হাতে বড় অবদান ছিল রিয়ান পরাগের। আইপিএলের ২০১৯ সালের আসরে অভিষেক পরাগের। সেই আসর থেকেই রাজস্থানের হয়ে খেলেন তিনি। নিয়মিত জায়গাও পান একাদশে। তবে পারফর্ম যেন একেবারেই শূন্যের কাতারে। এই আসরের আগে মোট ৫৪ ম্যাচে স্রেফ ৬০০ রান করেছিলেন এই ডানহাতি ব্যাটার। সেখানে দুটি ফিফটির মারে সর্বোচ্চ ইনিংস ছিল ৫৬ রানের। এমন বাজে পারফর্মে বেশ সমালোচিতও হচ্ছিলেন তিনি। যেন এন্টারটেইনমেন্টের জন্যই থাকেন দলে। তবে সেসব সমালোচনাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ২০২৪ সালে যেন দেখা মিলল নতুন রিয়ানের। আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে করেন ৪৩ রান। পরে আজকের দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে খেলেন ক্যারিয়ার সেরা অপরাজিত ৮৪ রানের বিধ্বংসী ইনিংস। এতেই ১৮৫ রানের বড় সংগ্রহ পায় রাজস্থান। ম্যাচে বাকি কাজ সারেন বোলাররা মিলে। 

জয়পুরে এদিন দিনের একমাত্র ম্যাচে টসে জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় দিল্লি। সেখানে আগে ব্যাট করতে নেমে ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৮৫ রান তোলে রাজস্থান। 

চ্যালেঞ্জিং সেই লক্ষ্য তাড়ায় শুরুতেই দিল্লিকে পেস তোপে ভোজ্ঞান নাদ্রে বার্গার। তবে ডেভিড ওয়ার্নার ও অধিনায়ক ঋষভ পন্তের জুটিতে জয়ের দিকেই এগোচ্ছিল দিল্লি। তবে দলীয় ১০৫ রানের মাথায় এই দুই বাঁহাতি ব্যাটার ফিরলে জয়ের পথ হয়ে পড়ে বেশ কঠিন। ৪৯ রান করে ফেরেন ওয়ার্নার। তবে হাল ছাড়েননি স্টাবস। লড়েছেন শেষ ওভার পর্যন্ত। তবে শেষ হাসি হাসে রাজস্থানই। ১৭৩ রানে থামে দিল্লির ইনিংস। রাজস্থানের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন বার্গার ও চাহাল। 

এর আগে ব্যাট করতে নেমে রাজস্থানের শুরুটাও ছিল ছন্দহীন। ৩৬ রানেই সাজঘরে দলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তিন ব্যাটার যশস্বী জয়সওয়াল, সঞ্জু স্যামসন ও জস বাটলার। সেখানে ধীরগতিতে এগিয়ে আগে চাপ সামাল দেন রিয়ান। শুরুর ২৬ বলে করেছিলেন ২৬ রান। পরে শেষ ১৯ বলে করেছেন ৫৮ রান। ৮৪ রানের এই বিধ্বংসী ইনিংসে ৭টি চার ও ৬টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন তিনি। এদিকে রিয়ানকে সঙ্গ দিয়ে ২৯ রানে ইনিংস খেলেন অশ্বিন। এবং শেষে এসে ধ্রুব জুরেলের ২০ রানের ক্যামিওতে ১৮৫ রানের লড়াকু পুঁজি পায় রাজস্থান। নান্দনিক এই ইনিংসের জবাবে ম্যাচসেরার খেতাবও জেতেন রিয়ান।

সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ

রাজস্থান রয়্যালসঃ ১৮৫/৫ (২০ ওভার) (রিয়ান ৮৪*, অশ্বিন ২৯; অক্ষর ১/২১, খলিল ১/২৪)

দিল্লি ক্যাপিটালসঃ ১৭৩/৫ (২০ ওভার) (ওয়ার্নার ৪৯, স্টাবস ৪৪*; চাহাল ২/১৯, বার্গার ২/২৯)

ফলঃ ১২ রানে জয়ী রাজস্থান

ম্যাচসেরাঃ রিয়ান পরাগ

  ‘মরুর বুকে বিশ্ব কাঁপে’

;

‘অধিনায়ক’ শান্তকে নিয়ে যা বললেন সাকিব



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গত বছরের ভারত বিশ্বকাপের ঠিক আগে দেশের শীর্ষ সারির এক টিভি চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সাকিব বলেছিলেন, ঠিক বিশ্বকাপ পর্যন্তই নেতৃত্বে থাকবেন তিনি। এর একদিন পরেও না। শেষ পর্যন্ত হয়েছেও তাই। বিশ্বকাপের পরই ছেড়েছেন দায়িত্ব। পরে লঙ্কান সিরিজের আগে পূর্ণকালীন তিন ফরম্যাটের নতুন অধিনায়ক হন নাজমুল হোসেন শান্ত।

এদিকে নেতৃত্ব তো ছেড়েছেনই, গত বছরের ৬ নভেম্বর বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচেই চোট পান সাকিব। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত খেলেনি আন্তর্জাতিক কোনো ম্যাচে। সেখান থেকে সাড়ে চার মাসেরও বেশি সময় পর ফের লঙ্কানদের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়েই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ফিরতে চলেছেন সাকিব।

দ্বিতীয় টেস্টে নিয়ে নিজের ভাবনা, শান্তর অধিনায়কত্ব এসব নিয়ে আজ (বৃহস্পতিবার) রূপায়ণ সিটি উত্তরার সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন সাকিব। সেখানে শান্তর লম্বা পথ দেখছেন দেশসেরা এই অলরাউন্ডার।

শান্তর অধিনায়কত্বে আস্থা রাখছেন সাকিব। জানালেন সাপোর্ট পেলে নেতৃত্বে শান্ত হয়ে উঠবেন দারুণ একজন। তবে শান্তর অধিনায়কত্ব নিয়ে এখনই কোনো মন্তব্য করতে চান না সাকিব, ‘খুবই আর্লি স্টেজ (শান্তর অধিনায়কত্বে মন্তব্য করা)। আমি  নিশ্চিত বিসিবি ওকে (শান্ত) লম্বা সময়ের কথা ভেবেই নিয়েছে। ওর শুরুটা খুব ভালো হয়েছে। কিছু ফলাফল ওর পক্ষে এসেছে যেটা ওকে সাহায্য করবে সামনে এগিয়ে যেতে। সবার সমর্থন থাকলে শান্ত অসাধারণ একজন অধিনায়ক হবে।’

  ‘মরুর বুকে বিশ্ব কাঁপে’

;

শামীমের ব্যাটে রূপগঞ্জের হাসি, ৫ উইকেট নিয়েও মলিন রিশাদের মুখ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

টানা চার জয়ের পর মোহামেডানের কাছে হেরে ছন্দপতন হয়েছিল লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের। তবে সে হার ভুলে আবার জয়ের ধারায় ফিরেছে রূপগঞ্জ। শামিম পাটোয়ারি এবং তৌফিক খান তুষারের জোড়া ফিফটিতে পারটেক্সকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে তারা।

ফতুল্লার খানসাহেব ওসমান আলি স্টেডিয়ামে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন পারটেক্স অধিনায়ক মিজানুর রহমান। কিন্তু অধিনায়ক বাদে দলটির অন্য কেউ সে সিদ্ধান্তের মান রাখতে পারেননি। দলীয় সর্বোচ্চ ৮৮ রানের ইনিংস খেলে মিজান নিজেই যা দলের স্কোরকে ভদ্রস্থ করার চেষ্টা করেছেন। তার ৮৮ রানের ইনিংসে চড়ে ৪৭.২ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে ১৯১ রান পর্যন্ত পৌঁছে।

রূপগঞ্জের পক্ষে সর্বোচ্চ তিনটি করে উইকেট নেন শহিদুল ইসলাম এবং শুভাগত হোম। মাশরাফি ৯ ওভার বল করে ৩০ রান দিলেও কোনো উইকেট পাননি।

তবে রূপগঞ্জের দুই ব্যাটার শামিম এবং তুষারের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ২৫.৩ ওভারেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় রূপগঞ্জ। ওপেনার তুষারের ব্যাটে আসে ৮৩ রান। আর ৪৩ বলে ৬ চার এবং ৮ ছক্কায় ৮৬ রানের হার না মানা ইনিংস খেল দলকে জয় এনে দেন ম্যাচসেরা শামিম।

এদিকে ৫ উইকেট নিয়েও শাইনপুকুরকে জেতাতে পারেননি স্পিনার রিশাদ হোসেন। টানা দ্বিতীয় জয় তুলে নেয়ার পথে শাইনপুকুরকে ২৬ রানে হারিয়ে ব্রাদার্স ইউনিয়ন। দিনের অপর ম্যাচে বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে সিটি ক্লাবকে ৩৮ রানে হারিয়ে টুর্নামেন্টে প্রথম জয়ের দেখা পেয়েছে গাজী টায়ার্স।

  ‘মরুর বুকে বিশ্ব কাঁপে’

;

‘লঙ্কানদের বিপক্ষে টেস্ট জেতা উচিৎ বাংলাদেশের’



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেট টেস্টে ৩২৮ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। এতে ১-০ তে পিছিয়ে স্বাগতিকরা। বড় হারের সে স্মৃতিকে পেছনে রেখে বাংলাদেশের সামনে এখন আরেকটি টেস্টের চ্যালেঞ্জ। চট্টগ্রামে লঙ্কানদের ধরাশায়ী সিরিজে সমতা ফেরাতে মরিয়া বাংলাদেশ, তাতে সিরিজ হার এড়ানোর পাশাপাশি প্রথম টেস্টে বড় হারের কষ্টও কিছুটা লাঘব হতে পারে।

গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচের আগে হেড কোচ চণ্ডিকা হাথুরুসিংহে ‘ব্যক্তিগত কারণে’ অস্ট্রেলিয়া গেছেন। কোচ না থাকায় কিছুটা ক্ষতির মুখে পড়বে বাংলাদেশ। তবে দল এবং একইসঙ্গে সমর্থকদের জন্য সুখবর, টেস্ট সিরিজে খেলার কথা না থাকলেও দ্বিতীয় টেস্ট দিয়ে দলে ফিরেছেন সাকিব আল হাসান। 

দলে ফিরেই সাকিব জানালেন, লঙ্কানদের বিপক্ষে টেস্ট জেতা উচিত বাংলাদেশের। টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডেতে ভালো ক্রিকেট খেলার পর এমনটাই চাইছেন সাকিব, ‘আশা তো সব সময় করি আমরা জিতব। কিন্তু টেস্ট ক্রিকেটে সব সময়ই আমরা স্ট্রাগল করেছি, আমাদের জন্য ডিফিকাল্ট। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি, আমাদের শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অনেক ভালো করা উচিত এবং টেস্ট ম্যাচ জেতা উচিত।’

অনভিজ্ঞ একটা দল নিয়ে টেস্ট ক্রিকেটের অথৈ সাগরে হাবুডুবু খেতে থাকা বাংলাদেশ দলের জন্য সাকিবের প্রত্যাবর্তন অনেক আনন্দের সংবাদ। প্রথম টেস্ট শেষে অধিনায়ক শান্ত সংবাদ সম্মেলনে সেটাই বলেছিলেন, ‘সাকিব ভাইয়ের অভিজ্ঞতা আমাদের কাজে লাগবে।’

  ‘মরুর বুকে বিশ্ব কাঁপে’

;