শীর্ষ থেকে শেষ ষোলোতে নেদারল্যান্ডস
‘মরুর বুকে বিশ্ব কাঁপে’আগের ম্যাচেই বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকে বাদ পড়ে যাওয়া কাতারকে হারিয়ে গ্রুপের শীর্ষ দল হিসেবে শেষ ষোলোতে জায়গা করে নিয়েছে নেদারল্যান্ডস।
মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) আল বাইত স্টেডিয়ামে ‘এ’ গ্রুপের শেষ রাউন্ডের ম্যাচে ডাচরা স্বাগতিকদের হারিয়েছে ২-০ গোলের ব্যবধানে।
বিশ্বকাপের ৯২ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম স্বাগতিক দল গ্রুপ পর্যায়ে কোন ম্যাচ না জিতে, কোন পয়েন্ট না পেয়ে বিদায় নিল। এরআগে ২০১০ বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকা স্বাগতিক হয়েও গ্রুপ পর্যায় থেকে বাদ পড়লেও কাতারের মত এভাবে পয়েন্টহীন ছিল না।
গত বিশ্বকাপ না খেলা নেদারল্যান্ডসের হয়ে এই ম্যাচেও গোল করেছেন কোডি গ্যাকপো। নেদারল্যান্ডসের চতুর্থ খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্বকাপে টানা তিন ম্যাচে গোল করলেন কোডি হাকপো।
ডাচদের হয়ে অপর গোলটি করেন ফ্র্যাঙ্কি ডি ইয়ং।
শুরু থেকে আক্রমণে যাওয়া নেদারল্যান্ডস এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল ম্যাচের চতুর্থ মিনিটেই। মেমফিস ডিপাইয়ের শট রক্ষণে প্রতিহত হয়, এরপর বাইরে মারেন ডিফেন্ডার ডালে ব্লিন্ড। চতুর্দশ মিনিটে মিস করেন মেমফিস ডিপাই। ডি-বক্সের ভেতর থেকে তার নেওয়া শট উড়ে যায় ক্রসবারের ওপর দিয়ে।
২৬তম মিনিটে ডাচরা প্রথম গোল পায়। গোলদাতা এবারও কোডি গ্যাকপো। ডেভি ক্লাসেনের সঙ্গে বল দেওয়া-নেওয়া করে চার পাশে ঘিরে থাকা প্রতিপক্ষের কয়েকজন খেলোয়াড়ের মাঝ দিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে পড়ে ডান পায়ের নিখুঁত শটে কাতারের জাল কাঁপান ২৩ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড।
ম্যাচের ৪৯তম মিনিটে ক্লাসেনের ক্রসে কাছ থেকে মেমফিসের শট গোলরক্ষক মেশাল বারশাম ঠেকানোর পর জালে বল পাঠান ফ্র্যাঙ্কি ডি ইয়ং।
৬৬তম মিনিটে ক্লাসেনের বদলি নামা স্টিভেন বেরহাস বল জালে পাঠালে আক্রমণের শুরুতে গ্যাকপোর হাতে বল লাগায় গোল বাতিল করেন রেফারি।
গ্রুপের অপর ম্যাচে ইকুয়েডরকে ২-১ গোলে হারিয়েছে সেনেগাল। এনিয়ে তৃতীয়বার বিশ্বকাপ খেলা সেনেগাল গ্রুপের দ্বিতীয় দল হিসেবে দ্বিতীয়বারের মত নকআউট পর্বে উন্নীত হলো। গত বিশ্বকাপে সেনেগাল গ্রুপ পর্যায় থেকে বাদ পড়লেও ২০০২ বিশ্বকাপে আফ্রিকার দেশটি কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত পৌঁছেছিল।