বিশ্বকাপে এত বাজে আগে খেলেনি কোন স্বাগতিক

  ‘মরুর বুকে বিশ্ব কাঁপে’
  • স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

‘এ’ গ্রুপের শেষ রাউন্ডের ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ২-০ গোলে পরাজয়ের মাধ্যমে স্বাগতিক কাতার শেষ করেছে তাদের বিশ্বকাপ যাত্রা।

বিশ্বকাপে ২০০ মিলিয়ন ডলার খরচ করা উপসাগরীয় দেশটির অর্জনের খাতায় কেবলই শূন্য। ফুটবল বিশ্বকাপের ৯২ বছরের ইতিহাসে এরআগে এমন বাজে খেলেনি কোন স্বাগতিক।

বিজ্ঞাপন

গ্রুপ পর্যায়ের তিন ম্যাচে অংশ নিয়ে ৭টি গোল হজমের বিপরীতে করতে পেরেছে মাত্র ১টি গোল। তিন ম্যাচের প্রতিটিই হেরেছে তারা। গড়তে পারেনি ন্যূনতম প্রতিদ্বন্দ্বিতাও।

নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে কাতার গোলের জন্যে শট নিয়েছিল ৫টি, তার ৩টি ছিল লক্ষ্যে। সেনেগালের বিপক্ষে গোলের জন্যে শট নিয়েছিল ১০টি, তার ৩টি ছিল লক্ষ্যে। ইকুয়েডরের বিপক্ষে গোলের জন্যে শট নিয়েছিল ৫টি, যার একটিও ছিল না লক্ষ্যে।

বিজ্ঞাপন

বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে ইকুয়েডরের বিপক্ষে ২-০ গোলে পরাজিত হওয়ার পর দ্বিতীয় ম্যাচে সেনেগালের কাছে হার মানে তারা ৩-১ গোলে। প্রথম দুই ম্যাচ শেষেই নিশ্চিত হয়ে যায় বিশ্বকাপের প্রথম পর্ব থেকে বাদ পড়া। নেদারল্যান্ডের বিপক্ষে গ্রুপ পর্যায়ের ম্যাচে পরাজয়ের মাধ্যমে ইতিহাসে প্রথম দল হিসেবে তারা কোন পয়েন্ট অর্জন না করেই বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিল।

২০১০ বিশ্বকাপের স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার পর কাতার হচ্ছে দ্বিতীয় আয়োজক দেশ যারা গ্রুপ পর্যায় থেকে বাদ পড়ল। দক্ষিণ আফ্রিকা নিজেদের মাটিতে অনুষ্ঠিত সেই বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচে মেক্সিকোর বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র করেছিল। দ্বিতীয় ম্যাচে তারা উরুগুয়ের বিপক্ষে ৩-০ গোলে হারলেও শেষ ম্যাচে ফ্রান্সকে হারিয়ে দিয়েছিল ২-১ গোলে। ওই বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকা তিন ম্যাচ থেকে চার পয়েন্ট সংগ্রহ করে, কিন্তু গোল পার্থক্যে যেতে পারেনি শেষ ষোলোতে।

এ পর্যন্ত আটটি দল বিশ্বকাপ জিতেছে। ব্রাজিল ও স্পেন ছাড়া ছয়টি আয়োজক দেশ নিজেদের দেশে আয়োজিত বিশ্বকাপে অন্তত একবার করে জিতেছে। এরবাইরে বাকি আয়োজকেরাও করেছিল ভালো ফলাফল।

২০১৮ বিশ্বকাপের আয়োজক রাশিয়া কোয়ার্টার ফাইনাল; ২০১৪ সালের আয়োজক ব্রাজিল চতুর্থ; ২০১০ বিশ্বকাপের আয়োজক দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম পর্ব; ২০০৬ বিশ্বকাপের আয়োজক জার্মানি তৃতীয়; ২০০২ বিশ্বকাপের সহ-আয়োজক দক্ষিণ কোরিয়া চতুর্থ এবং জাপান নকআউট পর্ব; ১৯৯৮ সালের আয়োজক ফ্রান্স চ্যাম্পিয়ন; ১৯৯৪ সালের আয়োজক যুক্তরাষ্ট্র নকআউট পর্ব; ১৯৯০ সালের আয়োজক ইতালি তৃতীয়; ১৯৮৬ সালের আয়োজক মেক্সিকো কোয়ার্টার ফাইনাল; ১৯৮২ সালের আয়োজক স্পেন নকআউট পর্ব; ১৯৭৮ সালের আয়োজক আর্জেন্টিনা চ্যাম্পিয়ন; ১৯৭৪ সালের আয়োজক পশ্চিম জার্মানি চ্যাম্পিয়ন; ১৯৭০ সালের আয়োজক মেক্সিকো কোয়ার্টার ফাইনাল; ১৯৬৬ সালের আয়োজক ইংল্যান্ড চ্যাম্পিয়ন; ১৯৬২ সালের আয়োজক চিলি তৃতীয়; ১৯৫৮ সালের আয়োজক সুইডেন রানার্সআপ; ১৯৫৪ সালের আয়োজক সুইজারল্যান্ড কোয়ার্টার ফাইনাল; ১৯৫০ সালের আয়োজক ব্রাজিল রানার্সআপ; ১৯৩৮ সালের আয়োজক ফ্রান্স কোয়ার্টার ফাইনাল; ১৯৩৪ সালের আয়োজক ইতালি চ্যাম্পিয়ন, এবং ১৯৩০ সালের আয়োজক উরুগুয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়।