এশিয়া কাপের সেরা একাদশে সাকিব



বার্তা২৪ স্পোর্টস
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ক্রিকেটের জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ইএসপিএন প্রকাশ করেছে তাদের এশিয়া কাপ একাদশ। যে একাদশে আছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। এবারের আসরে ৫ ম্যাচে ৫ ইনিংসে ৪৩.২৫ গড়ে ১৭৩ রান করেন সাকিব। সেই সাথে বল হাতে ৫ ইনিংসে ৩ উইকেট নিয়েছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। একাদশে সাকিবের জায়গা হয়েছে ছয় নাম্বার ব্যাটিং পজিশনে।

৬ ইনিংসে ৭৫.৫০ গড়ে ৩০২ রান করে একাদশে ওপেনার হিসেবে আছেন ভারতীয় উদ্বোধনী ব্যাটার শুভমান গিল। টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহকও এই ডানহাতি ব্যাটার। বাংলাদেশের সাথে খেলেছেন ১২১ রানের ইনিংস। ওপেনিংয়ে গিলের জাতীয় দলের পার্টনার এবং অধিনায়ক রোহিত শর্মা এই একাদশেরও ওপেনার এবং অধিনায়ক। সদ্য শেষ হওয়া এশিয়া কাপে ব্যাট করেছেন ১০৭.৭৭ স্ট্রাইক রেটে। রান করেছেন ১৯৪; গড় ৪৮.৫০।

নাম্বার থ্রি'তে জায়গা করে নিয়েছেন কুশাল মেন্ডিস। টুর্নামেন্টে ছয় ইনিংসে ৪৫ গড়ে করেছেন ২৭০ রান। স্ট্রাইক রেট ৮৫ এর বেশি। সেঞ্চুরি না থাকলেও পাকিস্তানের বিপক্ষে আছে ম্যাচ জেতানো ৯২ রানের ইনিংস।

চার নাম্বারে আছেন ভারতীয় উইকেটরক্ষক ব্যাটার লোকেশ রাহুল। পাকিস্তানের বিপক্ষে অপরাজিত ১১১ রানে ভর করে টুর্নামেন্টে তিন ইনিংসে তার ব্যাট থেকে এসেছে ১৬৯ রান। গড় ৮৪.৫০ আর স্ট্রাইক রেট ৮৯.৪১। এরপরই আরেক লঙ্কান চারিথ আসালাঙ্কার নাম। দলকে ফাইনালে উঠাতে বড় ভূমিকা রাখা পাকিস্তানের বিপক্ষে অপরাজিত ৪৯ রানের ইনিংস টুর্নামেন্টেরই অন্যতম সেরা ইনিংস। এর পাশাপাশি বাংলাদেশের বিপক্ষে অপরাজিত ৬২ রানের ইনিংস। সবমিলিয়ে ৬ ইনিংসে ১৭৯ রান।

এরপরের নামটা সাকিব আল হাসানের। নাম্বার সেভেন অর্থাৎ সাকিবের পরেই আছেন ভারতীয় হার্ডহিটার এবং অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়া। দুই ইনিংসে করেছেন ৯২ রান, যেখানে সর্বোচ্চ দলের বিপদে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৮৭ রান। এর পাশাপাশি বল হাতে মাত্র ১১.৩৩ গড়ে ৬ উইকেট।

স্পিন আক্রমণে আছেন দুনিথ ভেল্লালাগে। ছয় ইনিংসে ১০ উইকেট এর পাশাপাশি ব্যাট হাতে ২৮.৬৬ গড়ে ৮৬ রান। একাদশে পেস আক্রমণে অবধারিতভাবেই আছেন শাহীন শাহ আফ্রিদি। এশিয়া কাপে দল ফাইনাল না খেললেও তার আছে পাঁচ ইনিংসে ১০ উইকেট। ইনিংসে সর্বোচ্চ চার উইকেট। স্পিন আক্রমণের অন্যজন কুলদীপ যাদব। টুর্নামেন্টের সেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হওয়া এই স্পিনার চার ইনিংসে শিকার করেছেন নয় উইকেট। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শিকার করেছেন মাত্র ২৫ রানে পাঁচ উইকেট। বোলিং গড় ১১.৪৪ আর ইকোনমি মাত্র ৩.৬১।

একাদশের অবশিষ্ট জন ফাইনাল লঙ্কানদের বোলিং লাইন আপ একাই দুমড়েমুচড়ে দেওয়া পেসার মোহাম্মদ সিরাজ। টুর্নামেন্টে মাত্র চার ইনিংসেই শিকার ১০ উইকেট। সেরা ২১ রানে ৬ উইকেট। গড় ১২.২০ আর ইকোনমি ৪.৬৩।

   

নিষিদ্ধ নাসির, খেলতে পারবেন না ঘরোয়া ক্রিকেটেও



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের জার্সিতে নাসির হোসেন সবশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন সেই ২০১৮ সালে। এরপর মাঠের চেয়ে মাঠের বাইরের ইস্যুতেই সবচেয়ে বেশি আলোচনায় আসতে হয়েছে তাকে। তবুও ফেরার স্বপ্ন দেখছিলেন নাসির। ঘরোয়া ক্রিকেটে পারফর্ম করে চেয়েছিলেন জাতীয় দলে ফিরতে। ফেরা আর হলো না তার। উল্টো এবার দেশের ক্রিকেটেই নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে বসেছেন এক সময়ের প্রতিভাবান এই ক্রিকেটার।

নাসিরের বিরুদ্ধে এবার অভিযোগ তুলেছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি। সেই অভিযোগে বলা হয়েছে ২০২১ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবি টি-টেন লিগে অনিয়ম করেছেন নাসির। ৭৫০ ডলার মূল্যের (বাংলাদেশি টাকায় ৭৫ হাজার ৫০০) একটি গিফট নিয়েছেন। তবে এ বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তাদেরকে কিছুই জানাননি তিনি। ম্যাচ গড়াপেটার জন্য তিনি কোনো প্রস্তাব পেয়েছেন কিনা; সে বিষয়টিও পরিষ্কার করেননি নাসির। ফলে তার বিরুদ্ধে আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ আনে আইসিসি।

আইসিসির এই অভিযোগ এখনও প্রমাণিত না হলেও, অভিযোগটি আমলে নিয়ে নাসিরকে এক রকম নিষিদ্ধ করেছে বিসিবি। আসন্ন বিপিএলের প্লেয়ার্স ড্রাফটেও রাখা হয়নি নাসিরকে। বলা হচ্ছে আগামীতে বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটেও দেখা যাবে না নাসিরকে। বিষয়টি নিয়ে বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন বলেন, ‘নাসিরের বিরুদ্ধে আইসিসি দুর্নীতির অভিযোগ এনেছে। কারও বিরুদ্ধে এরকম অভিযোগ এলে যে কোনো টুর্নামেন্টে তার অংশগ্রহণে সীমাবদ্ধতা আসে।’

বিপিএল ড্রাফটে না থাকলেও আগামীতে ঘরোয়া ক্রিকেটে নাসিরকে দেখা যাবে কিনা এ নিয়ে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু জানিয়েছেন, ‘আমরা নাসিরকে বিপিএল ড্রাফটে রাখিনি। আইসিসি ক্লিয়ার না করা পর্যন্ত বাংলাদেশের কোনো টুর্নামেন্টেই খেলবে না সে।’

;

বাংলাদেশকে গোলবন্যায় ভাসাল জাপান



বার্তা২৪ স্পোর্টস
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ন্যূনতম প্রতিদ্বন্দ্বিতাও গড়তে পারল না বাংলাদেশ। সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়ন জাপানের কাছে স্রেফ উড়ে গেল লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। ৮-০ গোলের বড় হারে শুরু হলো বাংলাদেশের মেয়েদের এশিয়ান গেমস মিশন।

জাপানের চেয়ে শক্তিমত্তায় ঢের পিছিয়ে বাংলাদেশ। হাংঝুতে ম্যাচের শুরু থেকেই শক্তির পার্থক্য বুঝিয়ে দেয় জাপানের মেয়েরা। একের পর আক্রমণে ঘায়েল করে বাংলাদেশকে।

ওয়েংজু অলিম্পিক স্পোর্টস সেন্টারে ম্যাচের সপ্তম মিনিটে রেমিনার গোলে এগিয়ে যায় জাপান। পরের মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন মোমোকো। ঘড়ির কাটা ১৫ মিনিট ছুঁতেই ৩-০ গোলে এগিয়ে যায় জাপান। বাংলাদেশের জালে হানা দিয়ে ম্যাচের নিজের দ্বিতীয় গোল পেয়ে যান রেমিনা। 

প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে শিকোশি মায়া গোলমুখ উন্মুক্ত করলে ৪-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় জাপান।

বিরতির পর আরও চার গোল হজম করে বাংলাদেশ। ৪৭ মিনিটে হাইজিকা মায়া, ৫৬ মিনিটে কোতোনা, ৭৭ মিনিটে মোমোকো ও ৮২ মিনিটে কোতোনার আবারও লক্ষ্যভেদ করলে বড় হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় বাংলাদেশকে। বড় হারের পরও বাংলাদেশের মেয়েদের প্রাপ্তি, বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে খেলার অভিজ্ঞতা।

এশিয়ান গেমস ফুটবলে বাংলাদেশের মেয়েদের পরের ম্যাচের প্রতিপক্ষ ভিয়েতনাম। আর শেষ ম্যাচ খেলবে নেপালের বিপক্ষে। পরের রাউন্ডে যেতে হলে এই দুই ম্যাচের ফল পক্ষে আনতেই হবে সাইফুল বারী টিটুর শিষ্যদের।

;

ভিয়েতনামের পর ফিলিপাইনের কাছেও হার বাংলাদেশের



বার্তা২৪ স্পোর্টস
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের ফুটবলে সাফল্যের গল্পগুলো নারী ফুটবলেই বেশি রচিত হয়েছে। তবে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৭ নারী এশিয়া কাপের বাছাইপর্বে সে ধারা ধরে রাখতে পারছেন না বাংলাদেশের মেয়েরা। এই টুর্নামেন্টে প্রথম ম্যাচে ভিয়েতনামের কাছে ২-০ গোলে হেরেছিলেন সাগরিকারা। এবার ফিলিপাইনের কাছেও হেরে বসেছেন, ব্যবধান ৩-১।

ভিয়েতনামের হ্যানয় যুব ফুটবল প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ম্যাচের মাত্র ৩ মিনিটেই পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশ। ইসাবেলার গোলে এগিয়ে যায় ফিলিপাইন। গোল হজমের পর দ্রুত প্রতিক্রিয়ায় মিনিট খানেকের ভেতরেই সমতায় ফেরে বাংলাদেশ। একক প্রচেষ্টায় গোল করে লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের সমতা এনে দেন সাগরিকা।

ম্যাচের ৩১ মিনিট এবং যোগ করা সময়ের পঞ্চম মিনিটে আরও ২ গোল করে বাংলাদেশকে চূড়ান্ত হতাশায় ডোবায় ফিলিপাইন।

২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ বাছাইপর্বে ফিলিপাইনকে ১০-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশের মেয়েরা। অথচ এবার সে দলটির সঙ্গে ঠিকঠাক লড়াইটাও করতে পারল বাংলাদেশ।

গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর একই মাঠে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।

;

বিশ্বকাপে কে কত পাবে জানাল আইসিসি



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ভারত বিশ্বকাপ সামনে রেখে নিজেদের সেরা প্রস্তুতিতে ব্যস্ত দলগুলো। টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়া প্রতিটি দলেরই লক্ষ্য অভিন্ন। স্বপ্নের বিশ্বকাপ ট্রফিতে হাত রাখা। সঙ্গে মিলবে মোটা অংকের প্রাইজমানিও। এতদিন সেটি নিয়েই ছিল ধোঁয়াশা। অবশেষে বিশ্বকাপের প্রাইজমানি আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি।

১৩ তম সংস্করণের জন্য মোট ১ কোটি ডলার মূল্যের প্রাইজমানি ঘোষণা দিয়েছে আইসিসি। যার মধ্যে সর্বোচ্চ ৪ মিলিয়ন ডলার বা বাংলাদেশি টাকায় ৪৩ কোটি ৪৯ লাখ টাকা পাবে চ্যাম্পিয়ন দল।

এছাড়াও সব মিলিয়ে এবারের বিশ্বকাপের জন্য মোট ১০ মিলিয়ন ডলারের প্রাইজমানি ঘোষণা করেছে আইসিসি। বাংলাদেশি টাকায় যার পরিমাণ দাঁড়ায় ১০৯ কোটি ৭২ লাখ ৮৬ হাজারেরও বেশি। এর মধ্যে বিশ্বকাপ জয়ী দল পাবে সর্বাধিক ৪ মিলিয়ন ডলার বা ৪৩ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। রানার্স-আপ দল পাবে চ্যাম্পিয়ন দলের অর্ধেক টাকা অর্থাৎ ২ মিলিয়ন ডলার।

এছাড়াও গ্রুপ পর্বে অংশ নেওয়া প্রতিটি দল তাদের প্রতিটি জয়ের জন্য ৪০ হাজার ডলার করে পাবে। এমনকি কোনো ম্যাচে জয় না পেয়ে নকআউট পর্বের আগেই বিদায় নিলেও ১ লাখ ডলার পাবে টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারী দলগুলো। এর বাইরেও বড় খবর আছে আরেকটি। আগামী ২০২৫ নারী বিশ্বকাপেও পরুষদের সমান প্রাইজমানি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে আইসিসি।

বিশ্বকাপের প্রাইজমানি বণ্টন

অবস্থান হার মোট
চ্যাম্পিয়ন ৪০ লাখ ডলার ৪০ লাখ ডলার
রানার্স-আপ ২০ লাখ ডলার ২০ লাখ ডলার
সেমিফাইনালিস্ট ৮ লাখ ডলার ১৬ লাখ ডলার
গ্রুপ পর্ব ১ লাখ ডলার ৬ লাখ ডলার
প্রতিটি জয় ৪০ হাজার ডলার ১৮ লাখ
মোট ১ কোটি ডলার

;