তীব্র সমালোচনার মুখে ইউনাইটেড গোলরক্ষক ওনানা
ইংলিশ জায়ান্ট ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বর্তমান গোলরক্ষক আন্দ্রে ওনানা। ক্লাবে এসেই কয়েকটি ম্যাচে দারুণ কিছু সেভ দিয়ে এসেছিলেন লাইমলাইটে, কুড়িয়েছিলেন সুনাম। কিন্তু বর্তমানে তাকে নিয়ে ‘ট্রল’ হওয়াটা যেন দৈনন্দিন ব্যাপারে পরিণত হয়েছে।
সময়টা ভালো কাটছে না ক্যামেরুনের এই গোলকিপারের। সাম্প্রতিক সময়ে ব্যক্তিগত বাজে ফর্ম এবং দলের ব্যর্থতার কারণে ওনানাকে হজম করতে হচ্ছে ইউনাইটেড সমর্থকদের নানা কটু কথা। তার উপর এবার নতুন সমালোচনা শুরু হলো তাকে নিয়ে।
নেশন্স কাপে গিনির বিপক্ষে জাতীয় দলের হয়ে খেলতে পারেননি তিনি। কারণটা হলো তিনি বিমান ধরতে দেরি করেছিলেন। তার পরিবর্তে ফাব্রিস ওন্দোয়াকে নিয়েই রওনা দেয় তার দল। প্রথম ম্যাচ গিনির সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করে ক্যামেরুন।
দেরিতে রওনা দেওয়ার কারণ হিসেবে ওনানা জানান গত রোববার টটেনহ্যাম হটস্পারের বিপক্ষে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ম্যাচ। ২-২ ড্রয়ের ওই ম্যাচ খেলে রওনা দেন তিনি। বিমানে পাঁচ হাজার মাইল পাড়ি দেওয়ার পর আরও দেড়শ মাইল তাকে যেতে হয় সড়ক পথ দিয়ে। অবশেষে গন্তব্যে পৌঁছে তিনি জানতে পারেন যে ম্যাচের স্কোয়াডে রাখা হয়নি তাকে।
জাতীয় দলের প্রয়োজনে যথাসময়ে সাড়া না দেওয়ায় ওনানার কড়া সমালোচনা করেন এমানুয়েল আদেবায়ের। স্কাই স্পোর্টসকে তিনি বলেন, ‘দেশকে সম্মান করেননি ওনানা। আমিও তার মতো খেলোয়াড় ছিলাম এবং দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলাম। আমি কখনোই এমনটা করিনি।‘
তীব্র সমালোচনা সামলে ওনানা জানিয়েছেন, ‘আমার সমালোচনা হচ্ছে, হতে দিন। আমি এসবে অভ্যস্ত। দেশের জন্য যেটা ভালো, আমি সেটাই করি। ক্লাব অথবা জাতীয় দল বেছে নেওয়া হচ্ছে আমার কাছে বাবা এবং মায়ের মধ্যে কাউকে বেছে নেওয়ার মতো। কিন্তু নিজ দেশই আমার কাছে প্রথম এবং এ কারণেই আমি এখানে এসেছি। আমরা একতাবদ্ধ। এখানে জিততেই এসেছি আমরা।'
এর আগেও বিশ্বকাপ চলাকালীন সময়ে দলের ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে বিতর্ক বেঁধেছিল ওনানার। একের পর এক এরকম সমালোচনা এবং বিতর্কের মধ্যে খেলার মাঠে নিজের পারফরম্যান্সের উন্নতি ঘটাতে পারছেন না ওনানা। তবে তিনি আশা করেন শীঘ্রই খারাপ সময় পার করে মাঠের খেলা দিয়ে সমর্থকদের খুশি করতে পারবেন।