টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যে রেকর্ডের সামনে দাঁড়িয়ে সাকিব

  • স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

দুদিন বাদেই শুরু হতে যাচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর। প্রথম আসরটি ছিল ২০০৭ সালে, দক্ষিণ আফ্রিকা। সেই দক্ষিণ আফ্রিকা ঘুরে বিশ্বকাপ যখন যৌথভাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রের দুয়ারে তখন এবারের ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কেবল একটা ম্যাচেই মাঠে নামলেই রোহিত শর্মা এবং সাকিব আল হাসান গড়ে ফেলবেন অদ্ভুত এবং বিরল এক কীর্তি। দুজনের সামনেই সুযোগ সবগুলো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মাঠে নামার কীর্তি।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সাকিবের দেশ বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত নক-আউটে না খেললেও ব্যাটে-বলে অনন্য সাকিব। বল হাতে বিশ্বকাপে একমাত্র বোলার হিসেবে চল্লিশের বেশি উইকেট এই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের। ব্যাট হাতে নবম সর্বোচ্চ রান। দুটো মিলে হয় ৪৭ উইকেট আর ৭৪২ রান। যেখানে সাতশ এর অধিক রান করা কারও নেই দশ উইকেটও। কিংবা যারা ত্রিশ উইকেট শিকার করেছেন তাদের কারও নেই সাড়ে ৫০০ রানও।

বিজ্ঞাপন

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম আসরে সুপার এইটসহ বাংলাদেশ খেলেছে মোট পাঁচ ম্যাচ। সেখানে সবগুলো ম্যাচ খেলে সাকিব নিয়েছেন ছয় উইকেট এবং ব্যাট হাতে করেন ৬৭ রান। এরপর ২০০৯ সালে ইংল্যান্ডে দ্বিতীয় আসরে বাংলাদেশ খেলে কেবল গ্রুপপর্বে দুই ম্যাচ। বল হাতে দুই উইকেট নিলেও রান করেছেন মাত্র ১৫। ম্যাচ দুটি ছিলো ভারত এবং আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে।

২০১০ সালে ক্যারিবিয় দ্বীপে অস্ট্রেলিয়া এবং পাকিস্তানের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। দুই ম্যাচে ক্যাপ্টেন সাকিবের রান ৭৫ এবং উইকেট চারটা। ২০১২ সালে লঙ্কানদের মাটিতে পাকিস্তান এবং কিউইদের বিপক্ষে লড়ে বাংলাদেশ। সেখানে সাকিবের রান ৯৫। পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলেছিলেন ক্যারিয়ার সেরা ৮৪ রানের ইনিংসটা। তবে বল হাতে ছিলেন উইকেটশূণ্য।

২০১৪ আসরটি প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হয় বাংলাদেশে। সেখানে প্রথম রাউন্ড এবং গ্রুপপর্বসহ স্বাগতিকরা খেলেছিল সাত ম্যাচ। সবগুলো ম্যাচ খেলে সাকিবের রান ১৮৬ এবং উইকেট সংখ্যা আট।

২০১৬ তে ভারতের মাটিতে ২০১৪ এর প্যাটার্নেই সমান সাত ম্যাচ খেলে বাংলাদেশ। সাত ইনিংসে সাকিবের রান ১২৯ আর ছয় ইনিংসে ১০। ২০২১ আসরে চোটের কারণে সাকিব মিস করেন দুই ম্যাচ। ছয় ম্যাচে করেন ১৩১ রান। বল হাতে ১১ উইকেট। চোটের কারণে ম্যাচ দুটি না মিস হলে এতদিনে হয়তো রেকর্ডটি হয়ে যেত সাকিবের। ২০২২ সালে সাকিবের ক্যাপ্টেন্সিতে বাংলাদেশ খেলে পাঁচ ম্যাচ। ক্যাপ্টেনের ব্যাট থেকে আসে মাত্র ৪৪ রান। বল হাতে ছয় উইকেট। এতেই বিশ্বকাপে সাকিবের উইকেট সংখ্যা দাঁড়ায় ৪৭-এ।  এতে আর মাত্র তিন উইকেট শিকার করলেই সাকিব হয়ে যাবেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে উইকেটের হাফ-সেঞ্চুরি করা প্রথম বোলার।