বিশ্বকাপের আগে মিরপুরের স্মৃতি ফেরালেন কোহলি

  • স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

দরজায় কড়া নাড়ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। সাকিব আল হাসান, রোহিত শর্মা, কেন উইলিয়ানসন, ডেভিড ওয়ার্নার ছাড়া আরও কয়েক তারকা ক্রিকেটারের এটিই হতে চলেছে শেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। সেই তালিকায় আরও একটি নাম বিরাট কোহলি। বিশ্বকাপের আগে ভারতের দলে তার থাকা নিয়ে শুরু হয়েছিল আলোচনা। তবে আইপিএলে আরও একবার ব্যাট হাতে ছন্দ দেখিয়ে অন্যতম দাবীদার হিসেবে বিশ্বকাপ দলে জায়গা করেন কোহলি। 

আইপিএলের লম্বা সময় শেষের পর আপাতত ছুটিতে আছেন কোহলি। এখনো যোগ দেননি বিশ্বকাপ দলের সঙ্গে। এটিকে হয়তো নিজের শেষ বিশ্বকাপই মানছেন কোহলি নিজেও। পরের ওয়ানডে বিশ্বকাপ ২০২৭ সালে, অর্থাৎ আরও তিন বছর পর। সেই খানে কোহলির খেলা না খেলা থাকুক প্রশ্ন হিসেবেই। তবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে নিজের প্রথম বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচের স্মৃতি ফেরালেন ভারতের এই তারকা ব্যাটার। এতে হয়তো যেন নিজেও গুনছেন বিশ্বকাপ থেকে বিদায়ের প্রহর।

বিজ্ঞাপন

কোহলির প্রথম বিশ্বকাপ ম্যাচটি ছিল ২০১১ ওয়ানডে বিশ্বকাপে মিরপুরে, বাংলাদেশের বিপক্ষে। সেই ম্যাচে বাংলাদেশকে ৮৭ রান হারিয়েছিল তৎকালের মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বাধীন দলটি। সেই ম্যাচে বীরেন্দ্র শেবাগের ১৭৫ রানের নান্দনিক এক ইনিংসের জবাবে ৩৭০ রানের বিশাল সংগ্রহ পেয়েছিল ভারত। সেখানে নিজের বিশ্বকাপ অভিষেক ম্যাচেই সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন কোহলি। ৮৩ বলে অপরাজিত ছিলেন ১০০ রানে। 

সেই ম্যাচের স্মৃতি ফিরিয়ে এক সাক্ষাৎকারে কোহলি বলেন, ‘আমি প্রথম বিশ্বকাপ ম্যাচ খেলেছিলাম ঢাকায় বাংলাদেশের বিপক্ষে। মিথ্যে বলব না, সেই ম্যাচের আগে আমি অনেক চাপে ছিলাম। ঘাবড়ে গিয়েছিলাম। তবে একইসঙ্গে বিশ্বকাপ খেলার উত্তেজনাও ছিল। আমি সেই দলের সবচেয়ে কনিষ্ঠ সদস্য ছিলাম। আমি ভারতীয় ক্রিকেটের সব কিংবদন্তিদের সঙ্গে খেলতে যাচ্ছিলাম। হ্যাঁ, আমি মিথ্যা বলব না আমি ভীত ছিলাম। আর তাছাড়া আপনি যখন বিশ্বকাপ খেলতে নামেন তখন অন্যরকম উত্তেজনা থাকে এবং আমি তা অনুভব করতে পারি।’

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে কোহলিকে নিয়ে পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার মিসবাহ-উল-হক বলে, চাপটা যেন উপভোগ করেন কোহলি এবং সেখানে আরও ভালো খেলেন তিনি। এবার কোহলি অনেকটা বাতলে দিলেন যে চাপে পড়েই নিজেকে পোক্ত বানিয়েছেন, মানসিক দিক করেছেন শক্ত। ‘এটার (চাপ) একটা ভালো দিক আছে। নতুন পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার জন্য শরীর ও মন প্রস্তুত হওয়ার সময় পায়। সচেতন থাকা যায়। কোনোকিছু হালকাভাবে নেওয়ার মানসিকতা তৈরি হয় না। সেই চাপই আমাকে সতর্ক এবং প্রস্তুত থাকতে সাহায্য করেছিল। নিজের খেলা নিয়ে ভাবতে বাধ্য করেছিল।’