পিএনজিকে হারাতেই ঘাম ঝরে গেল ওয়েস্ট ইন্ডিজের

  • স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের উদ্বোধনী দিনে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে প্রথমবারের মতো পাপুয়া নিউ গিনির মুখোমুখি হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শক্তি-সামর্থ্য, পরিসংখ্যান, সমীকরণ সব বিচারেই পিএনজির থেকে ঢের এগিয়ে ক্যারিবীয়রা। তবে আইসিসির সহযোগী দেশটির বিপক্ষে জয়টা এলেও তা মোটেও অনায়াস ছিল না স্বাগতিকদের জন্য। বাছাইপর্বে ছয়টি ম্যাচের ছয়টিতেই জিতে মূলপর্বে জায়গা করে নেওয়া ওশেনিয়ার দেশটি লড়াইটা ভালোভাবেই চালাল ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে। তবে শেষ হাসি হাসল রাসেল-পুরানরা। ৫ উইকেটে জয় দিয়েই বিশ্বকাপ মিশন শুরু করলো আসরের সহ-আয়োজক দেশটি।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অবশ্য এটিই দল দুটির প্রথম মুখোমুখি নয়। এর আগে ২০১৮ সালে ওয়ানডেতে মুখোমুখি হয়েছিল তারা। সেখানে ৬ উইকেটে জিতেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

বিজ্ঞাপন

২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো খেলার পর ২০২২ আসরে তারা কোয়ালিফাই করতে পেরেছিল না, তবে এই আসরের বাছাইপর্বে অনেকটা দাপট দেখিয়েই মূলপর্বে জায়গা করে পিএনজি। পূর্ব এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল থেকে একমাত্র দল হিসেবে বিশ্বকাপের মূলপর্বের টিকিট কাটে তারা। এবং বাছাইপর্বে ছয়টি ম্যাচের সবগুলোতেই জিতেছিল আসাদ ভালার দলটি।

বিশ্বকাপের উদ্বোধনী দিনে জয় পেল দুই সহ-আয়োজক দেশ। এর আগে কানাডার বিপক্ষে ৭ উইকেটে দাপুটে জয় পায় যুক্তরাষ্ট্র। এবার ঘরের মাঠে জিতল ওয়েস্ট ইন্ডিজও।

গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে টসে জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় ক্যারিবীয়রা। সেখানে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৩৬ রানের লড়াকু পুঁজি পায় পিএনজি।

লক্ষ্যটা সহজের কাতারে থাকলেও শুরুতেই চাপে পড়ে স্বাগতিকরা। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে জনসন চার্লস। এর তিন বল গড়ানোর পর নামে বৃষ্টি। অবশ্য সেটি বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি এবং দ্রুতই শুরু হয় খেলা। সেখানে এবার আরেক ওপেনার ব্র্যান্ডন কিংকে নিয়ে ৫৩ রানের জুটি গড়েন নিকোলাস পুরান। পরের ওভারে ফেরেন কিংও। পরে রস্টন চেজ একপ্রান্ত আগলে রাখলেও অধিনায়ক পাওয়েল ও রাদারফোর্ডও ফেরেন দ্রুতই। ১৬ ওভারে তখন ৫ উইকেটে সংগ্রহ ৯৭।

শেষ চার ওভারে তাই জয়ের জন্য দরকার ৪০ রান। ব্যাটিংটা সাদামাটা হলেও বোলিংয়ে ম্যাচ জমিয়ে তুলেছিল ওশেনিয়ার দলটি। তবে চেজ-রাসের নৈপুণ্যে আর কোনো উইকেট হারায়নি স্বাগতিকরা এবং এক ওভার হাতে রেখেই পৌঁছে যায় লক্ষ্যে। চেজ করেন দলীয় সর্বোচ্চ অপরাজিত ৪২ রান এবং জেতেন ম্যাচসেরার খেতাব। এছাড়া কিং করেন ৩৪ রান এবং পুরানের ব্যাটে আসে ২৭ রান। সেখানে পিএনজির হয়ে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন অধিনায়ক ভালা। তিনি ব্যাট হাতেও করেছিলেন ২১ রান।

এদিকে এর আগে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ৭ রানের মধ্যেই ২ উইকেট হারিয়ে শুরুতে চাপে পড়েছিল পিএনজিও। সেসে বাউকে নিয়ে অধিনায়ক আসাদ ভালা সেই চাপ সামলে  কিছুটা থিতু হবার দিকে এগোলেও পাওয়ার প্লের শেষ বলে ফেরেন তিনিও। দলীয় ৫০ রানের মাথায় হিরি হিরিও অধিনায়কের পথ ধরলে ততক্ষণে ৪ উইকেট হারিয়ে বসে ওশেনিয়ার দলটি। পরে দলের বাকি কেউ স্কোরবোর্ডে যোগ করতে ব্যর্থ হলে বাউয়ের দলীয় সর্বোচ্চ ৫০ রান এবং শেষ দিকে কিপলিন দোরিগার ২৫ রানের ক্যামিওতে শেষ পর্যন্ত ১৩৬ রানের লড়াকু সংগ্রহ পায় পিএনজি। সেখানে ক্যারিবীয়দের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন আন্দ্রে রাসেল ও আলজারি জোসেফ।