ফিলিস্তিন ইস্যুতে কথা বলে চাকরিচ্যুত সাংবাদিকের পাশে খাজা
-
-
|

ছবি: সংগৃহীত
লঙ্কানদের বিপক্ষে টেস্টে রেকর্ড গড়া ইনিংস খেলে আলোচনায় এসেছিলেন অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার ওসমান খাজা। একাই ২৩২ রানের বিশাল ইনিংস ছুড়ে দিয়েছিলেন স্বাগতিক লঙ্কানদের দিকে। আবারো খবরের শিরোনাম হয়েছেন ৩৮ বছর বয়সী খাজা। ফিলিস্তিন ইস্যুতে কথা বলায় চাকরি হারানো এক সাংবাদিককে নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন অজি তারকা এই ব্যাটার।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে গাজায় শিশু ও নারী হত্যার বিরুদ্ধে রিটুইট করছিলেন অস্ট্রেলিয়ান ক্রীড়া সাংবাদিক ও ধারাভাষ্যকার পিটার ল্যালর। শ্রীলঙ্কা-অস্ট্রেলিয়া সিরিজেও এসইএন রেডিওর ধারাভাষ্যের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। কিন্তু গাজা ইস্যুতে ‘একপাক্ষিক’ লেখার অভিযোগ এনে তাঁকে সিরিজের ধারাভাষ্যের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়। আর তাতেই এই ইস্যুতে সরব হয়েছেন পাকিস্তানি বংশোদ্ভুত খাজা।
অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার নিজের ইন্সট্রাগ্রামে লিখেছেন, ‘গাজার জনগণের পক্ষে দাঁড়ানো মানেই ইহুদি-বিদ্বেষ নয়। এবং অস্ট্রেলিয়ায় আমার ইহুদি ভাই-বোনদের সঙ্গে কোনো বিরোধ নেই। বরং ইসরায়েল সরকার ও তাদের নিন্দনীয় কর্মকাণ্ডই এখানে জড়িত। সেখানে ন্যায়বিচার ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠিত হওয়া উচিত।’
নিজের টুইট সর্ম্পকে ল্যালর বলেন,‘আমার রিটুইট করা বেশিরভাগ পোস্টই ফিলিস্তিনিদের দুর্দশা সম্পর্কে। এত নিরীহ মানুষকে যখন হত্যা করা হচ্ছে, তখন আমি চুপ থাকতে পারি না। আমি নিজেকে একজন সহানুভূতিশীল ব্যক্তি মনে করি। আমি বিশ্বাস করি, এত নিরীহ মানুষের ওপর হত্যাকাণ্ড চালানো ও শহর গুঁড়িয়ে দেওয়ার পেছনে যে-ই দায়ী থাকুক না কেন, আমি তাঁর বিরুদ্ধে কথা বলে যাব।’
ল্যালরকে চাকরিচ্যুত করা নিয়ে এনইএন রেডিওর প্রধান ক্রেইগ হাচিসন বলেছেন, ‘আমরা পিটকে (ল্যালর) একজন সাংবাদিক ও দীর্ঘদিন ধরে ক্রিকেট অবদান রাখার জন্য সম্মান করি। কিন্তু আমাদের সম্প্রদায়ের অনেক পরিবার বর্তমানে যে ভয় অনুভব করছে, সেটা নিয়েও আমাদের ভাবতে হবে। তাঁদের প্রতিও আমাদের সম্মান দেখাতে হবে।’
উল্লেখ্য এর আগে ২০২৩ সালেও গাজা ইস্যুতে সরব ছিলেন খাজা। সেবার পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে গাজার পক্ষে বিশেষ বার্তা সম্বলিত জুতা পড়ে খেলতে নেমেছিলেন খাজা। যদিও আইসিসির আপত্তির মুখে সেটা ঢেকে দিয়ে খেলতে হয় তাকে।