ফের পরীক্ষা দেবেন আশরাফুল, রাজ্জাক, নাসির
১১.২! মঙ্গলবার দুপুরে হঠাৎ করেই শাহরিয়ার নাফীসের ফেসবুক স্ট্যাটাস। অনেকেই বুঝতে পারছিলেন না এই সংখ্যা দিয়ে আসলে কী বুঝিয়েছেন জাতীয় দলের সাবেক এই ক্রিকেটার। কিন্তু কিছু সময় যেতেই স্পষ্ট হয়-নাফীস ফিটনেস টেস্টে পাশ!
জাতীয় ক্রিকেট লিগ (এনসিএল) শুরু হবে ১০ অক্টোবর। তার আগে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) শর্ত বেঁধে দিয়েছে-এনসিএলে খেলতে হলে ফিটনেসের পরীক্ষায় (বিপ টেস্ট) কমপক্ষে ‘১১’ পেতেই হবে। এই পরীক্ষার প্রথম পর্বে সিনিয়রদের মধ্যে পাশ নাফীস। তবে ‘ফেল’ করা ক্রিকেটারের সংখ্যাটাও কম নয়।
পাশ মার্ক না পাওয়া ক্রিকেটারদের মধ্যে আছেন- আব্দুর রাজ্জাক, মোহাম্মদ আশরাফুল, নাসির হোসেন, আরাফাত সানি, ইলিয়াস সানির মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটাররা। ফেল-এর তালিকায় রয়েছেন লিগে বেশ কয়েক বছর ধরে ব্যাট হাতে সফল তুষার ইমরানও। তবে হতাশার কিছু নেই, ফের ফিটনেস পরীক্ষা দিতে পারবেন তারা। এনসিএলের দলে বিবেচনায় আসতে পাশ করতে হবে তাদের।
জানা গেছে, আশরাফুল-নাসিররা ‘১০’ পেরোতে পারেননি। ৯-এর ঘরে আটকে গেছেন তারা।
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের আসরে আটটি বিভাগীয় দলের প্রাথমিক স্কোয়াডে থাকাদের দিতে হচ্ছে পরীক্ষা। মঙ্গলবার থেকেই বিপ টেস্ট নিতে শুরু করেছে বিসিবি।
অবশ্য এমন পরীক্ষা দিয়ে এনসিএলে খেলার যোগ্যতা অর্জনের নিয়মটি নতুন নয়। গতবারও প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের জন্য ফিটনেসের পরীক্ষা নিয়েছে বিসিবি। তখন অবশ্য বিপ টেস্টে ৯ পেলেই পাশ মার্ক পেতেন ক্রিকেটাররা। এবার বেড়েছে দুই ধাপ।
বাংলাদেশ ক্রিকেটের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করেই ফিটনেস ইস্যুতে কোন ছাড়া দিতে চাইছে না বিসিবি। অবশ্য আশরাফুল-নাসিরদের এনসিএল খেলার সম্ভাবনা শেষ হয়ে যায়নি। নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন মঙ্গলবার জানাচ্ছিলেন, ‘দেখুন, প্রয়োজন হলে ৫ বার পরীক্ষার সুযোগ নেবো। গতবারও এমনটা হয়েছে। ৪-৫ জন তারপরও পারেনি। তাদেরকে রাখা হয়নি। আমরা ভবিষ্যতের ক্রিকেটের জন্য একটা ব্র্যান্ড সেট করতে চাই। যার প্রথম শর্ত ফিটনেস এবং ফিল্ডিং।’
এভাবে ফিটনেস পরীক্ষা দিয়ে খেলার যোগ্যতা অর্জনের ব্যাপারটি ক্রিকেটাররা ইতিবাচকভাবেই দেখছে। বাশার জানাচ্ছিলেন, ‘এবার লেভেলটা একটু বাড়ানো হয়েছে। খেলোয়াড়রা এটি খুব ইতিবাচকভাবে নিয়েছে। এটা তাদের জন্যই ভালো, সবাই এটা উপলব্ধি করতে পেরেছে।’
সব মিলিয়ে ঢাকায় পাশের সংখ্যাটাই বেশি। নির্বাচক বাশার বলছিলেন, ‘ঢাকাতে এখন পর্যন্ত প্রায় ৯৬ শতাংশ পাশ করেছে। আমরা বলেছি যে, যদি কেউ পূরণ করতে না পারে, আমরা দ্বিতীয়-তৃতীয় বা চতুর্থবার নেব। ঢাকার বাইরের ফল এখনও হাতে পাইনি।’
এর অর্থ, এখনই হতাশার কিছু নেই, ফিটনেস পরীক্ষার সুযোগটা বেশ কয়েকবারই পাচ্ছেন আশরাফুল-নাসিররা।