বিসিবির পরিচালক পদেও তাহলে বিদেশি আনা হোক-দাবি কোচ সালাউদ্দিনের



স্পোর্টস এডিটর, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
তিন কোচ নাজমুল আবেদিন ফাহিম, কাজী সালাউদ্দিন ও সারোয়ার ইমরান

তিন কোচ নাজমুল আবেদিন ফাহিম, কাজী সালাউদ্দিন ও সারোয়ার ইমরান

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশি পণ্য কিনে হও ধন্য!

স্বদেশি পণ্যের প্রচারে বেশ আবেগি এই স্লোগান। তবে সমস্যা হলো বাজারে গিয়েই সবাই বেশি উৎসাহ দেখান-‘ভাই বিদেশি কিছু নাই, দেখান না!’

পণ্যের প্রতি এই বিদেশপ্রীতি তো আমাদের আগে থেকেই ছিল, ‘পণ্যের’ সেই তালিকায় এখন যোগ হয়েছে ক্রিকেট কোচ! ক্রিকেট কোচও এখন আর দেশি দিয়ে চলে না। বিদেশি ইম্পোর্টেড ক্রিকেট কোচ চাই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি)।  জাতীয় দলের হেড কোচ থেকে শুরু করে সব পর্যায়ের কোচের পদেই এখন বিদেশিদের ভিড়। সর্বশেষ আরেকটি ফরমান জারি করেছে বিসিবি; জানিয়ে দিয়েছে সামনের বিপিএলেও সাত দলের সবাইকে বিদেশি কোচ রাখতে হবে। যারা প্রধান কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
 -ভাবছেন শুধু এটুকুই!

আরে না, আরো আছে। বিপিএলের এবারের প্রতিটি দলে একজন করে বিদেশি ফাস্ট বোলারও রাখতে হবে।

বিসিবি’র এই বিদেশি কোচ নিয়োগের প্রতি এত প্রীতি কেন? তাহলে কি স্বদেশি দক্ষ কোচ ক্রিকেট কোচ নেই বাংলাদেশে? নাকি নিজ দেশের কোচের ওপর আস্থা নেই বিসিবি’র?
 
এমনতর অনেক প্রশ্ন কেবল আজ থেকে নয়, অনেকদিন থেকেই উষ্মা ছড়াচ্ছে। অভিযোগ অনুযোগ আছে, প্রচুর ডলার খরচ করে বিদেশ থেকে ক্রিকেট কোচ আনে বিসিবি, অথচ স্বদেশি কোচদের দক্ষতা তাদের চোখে পড়ে না।

এমন অবহেলার শিকার করে বেশ কয়েকজন দেশি কোচ বিসিবির চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন। যে তালিকায় সর্বশেষ উদাহরণ নাজমুল আবেদিন ফাহিম ও সারোয়ার ইমরান। যথাযোগ্য মর্যাদা না পাওয়ায় এই দুই সিনিয়র ক্রিকেট কোচ বিসিবি’র চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়েছেন।
 
দেশি কোচদের প্রতি বিসিবির এহেন আস্থাহীনতা ও দীনহীন দৃষ্টিভঙ্গির কড়া সমালোচনা করেছেন দেশের আরেক নামী কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। জাতীয় দলের সাবেক এই ফিল্ডিং কোচ দাবি তুলেছেন-‘কোচ, ট্রেনার, ফিজিও সহ সবই যদি বিদেশি আনা হয়, তাহলে বিসিবি’র তো উচিত বিদেশি পরিচালক দিয়ে বোর্ড পরিচালনা করা!’

বৃহস্পতিবার রাতে নিজের ফেসবুক স্ট্যাটাসে মোহাম্মদ সালাউদ্দিন লেখেন-‘আজ একটা ব্যাপার উপলদ্ধি করলাম, দেশের কোচদের মান ভাল না, ট্রেনাররা চলে না, ফিজিওরা তো ফাজলামি করছে এতদিন। সব বিদেশি আসবে, ভাল কথা। কিন্তু তাহলে কেন কোন বিদেশি ডিরেক্টর (পরিচালক) আনবেন না? কারণ কোচ, ট্রেনার, ফিজিও, খেলোয়াড়ও যখন আর্ন্তজাতিক মানের না, তাহলে আপনারা (বিসিবির পরিচালকরা) নিজেদের আর্ন্তজাতিক মানের ভাবেন কেমন? আপনারাও তো আমাদের মতই। আপনাদেরও (বিসিবি’র) উচিত বিদেশি ডিরেক্টর নিয়ে আসা।’

বোঝাই যাচ্ছে ক্রমশ স্বদেশি কোচদের প্রতি বিসিবির নিদারুণ অবহেলায় ক্ষোভ প্রকাশ করেই কৃতি এই কোচ এমন মন্তব্য করেছেন।

বিপিএলে দু’বারের চ্যাম্পিয়ন দলের কোচ কাজী সালাউদ্দিন। নামী দামি বিদেশি কোচদের বিপক্ষে লড়ে দু’বার কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে চ্যাম্পিয়ন ট্রফি এনে দিয়েছেন তিনি। এমন স্বদেশি কোচরা যখন নিজ দেশের ক্রিকেট বোর্ডের কাছে যথাযোগ্য মর্যাদা পান না তখন সেটা তাদের সন্মানে বড় আঘাত করে।
 
সালাউদ্দিন মন্তব্য করেন-‘ ভাই, আজ নিজ দেশে আমরা পরবাসী যেন! অনেক বোর্ড পরিচালক ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে বোর্ডে আছেন, এরা এখন পর্যন্ত একটাও আর্ন্তজাতিক মানের কোচিং স্টাফ বের করতে পারেন না-এটাই তো তাদের জন্য অনেক বড় লজ্জার ব্যাপার! বোর্ডে দেশি যারা আমরা কোচিং করাই, ট্রেনার, ফিজিও এমনকি গ্রাউন্ডসম্যানদের জন্যও আমার দুঃখ হয়-সারাজীবন এরা সাপোর্টিং রোলই করে যাবে, হিরোর রোল আর পাবে না!’

দেশি কোচদের নিয়ে বিসিবি’র অবহেলা প্রসঙ্গে মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের এই ফেসবুকের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া ক্রিকইনফোর বাংলাদেশ প্রতিনিধি মোহাম্মদ ইসাম ঠাট্টার মেজাজে লেখেন-‘ শুধু বিদেশি নির্বাচকদের আনা এখন বাকি! আমি তো হাতুরেসিংহের সময় থেকেই বলে আসছি শ্রীলঙ্কান নির্বাচকদেরও নিয়ে আসা হোক।’

   

লক্ষ্ণৌয়ের কাছে পাত্তাই পেল না মুস্তাফিজের চেন্নাই



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঘরের মাঠে চেন্নাই সুপার কিংসকে নিয়ে রীতিমত ছেলেখেলা করল লক্ষ্ণৌ সুপারজায়ান্টস। চেন্নাইকে ১৭৬ রানে আটকে দিয়ে কুইন্টন ডি কক আর কেএল রাহুলের জোড়া ফিফটিতে এক ওভার এবং ৮ উইকেট হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় তারা।

লক্ষ্ণৌয়ের একানা স্পোর্টস সিটি স্টেডিয়ামে টসভাগ্য স্বাগতিকদের পক্ষে ছিল। টস জিতে আগে অতিথিদের ব্যাটিংয়ে পাঠান লক্ষ্ণৌ অধিনায়ক কেএল রাহুল। আইপিএলের চলতি আসরে দুইশ রানকে মামুলি বানিয়ে ফেলেছে বেশ কয়েকটি দল। তবে লম্বা ব্যাটিং লাইনআপ নিয়েও তাদের সঙ্গে কুলিয়ে উঠতে পারছে না চেন্নাই। আইপিএলে নিজেদের সপ্তম ম্যাচে এসেও সে 'ম্যাজিক ফিগার' ছোঁয়া হয়নি তাদের।

রবীন্দ্র জাদেজার ৪০ বলে অপরাজিত ৫৭ রানের সঙ্গে রাহানে (৩৬) আর মঈনের (৩০) ছোট দুটি ইনিংসে লড়াকু সংগ্রহ পায় চেন্নাই। শেষদিকে মহেন্দ্র সিং ধোনির ৯ বলে ২৮ রানের জাদুকরী ক্যামিও'র কথা ভুলে গেলে চলবে না। তাতে ২০ ওভারে চেন্নাইয়ের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৬ উইকেটে ১৭৬।

লক্ষ্ণৌয়ের পক্ষে ৩ ওভার বল করে ১৬ রান খরচায় সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন ক্রুনাল পান্ডিয়া।

জবাব দিতে নেমে মুস্তাফিজ-তুষারদের তুলোধুনো করে ওপেনিং জুটিতেই ডি কক-রাহুল মিলে তুলে ফেলেন ১৩৪ রান। ১৫তম ওভারের শেষ বলে মুস্তাফিজ যখন ডি কককে ধোনির ক্যাচ বানিয়ে ফেরান, ম্যাচ তখন লক্ষ্ণৌয়ের করতলে। তাই তো সেই উইকেটের উদযাপনও তেমন হল না বললেই চলে। ফেরার আগে ৫৪ রান করে দিয়ে গেছেন ডি কক।

লক্ষ্ণৌকে জয়ের দোরগোড়ায় রেখে মাতিশা পাতিরানার বলে আউট হয়েছেন ৮২ রান করা লক্ষ্ণৌ অধিনায়ক রাহুল। বাকি কাজটা নির্ঝঞ্ঝাটে সেরেছেন নিকোলাস পুরান (২৩*) ও মার্কাস স্টয়নিস (৮*)।

বল হাতে আরও একবার চেন্নাইয়ের সবচেয়ে খরুচে বোলার মুস্তাফিজ। একটি উইকেট পেলেও ৪ ওভারে খরচ করেছেন ৪৩ রান।

এই জয়ে লক্ষ্ণৌয়ের পয়েন্ট হয়েছে চেন্নাইয়ের সমান ৮। তবে নেট রানরেটের ব্যবধানে চেন্নাই এখন টেবিলের তিনে, আর লক্ষ্ণৌয়ের অবস্থান ৫ নম্বরে।

;

মাঠ ছাড়ল মোহামেডান, পিছিয়ে থেকেও জয়ী আবাহনী



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অঘোষিত ফাইনাল! প্রিমিয়ার হকি লিগে আবাহনী-মোহামেডানের হাইভোল্টেজ ম্যাচ নিয়ে উত্তাপ কম ছিল না। ম্যাচের আগেই রাসেল মাহমুদ জিমির তিন হলুদ কার্ডে পাওয়া নিষেধাজ্ঞা নিয়ে একচোট বিতর্ক হয়ে গেছে। অন্তত মাঠের খেলা বিতর্ক মুক্ত থাকুক, সংশ্লিষ্টদের সেটাই প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু মাঠের খেলাতেও আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে রইল বিতর্ক। তাতে নির্ধারিত সময়ের প্রায় ১৭ মিনিট ২৭ সেকেন্ড আগেই শেষ হল আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচ। ২-৩ গোলে পিছিয়ে থেকেও জিতল আবাহনী। এগিয়ে থেকেও শিরোপা হাতছাড়া মোহামেডানের।

মওলানা ভাসানি হকি স্টেডিয়ামে প্রথম দুই কোয়ার্টারে দুই গোল করে অনেকটা এগিয়ে যায় আবাহনী। তিন মিনিটে পেনাল্টি কর্নার থেকে আফফান ইউসুফ এবং দ্বিতীয় কোয়ার্টারে আবার সেই পেনাল্টি কর্নার থেকেই পুস্কর খিসা মিমোর গোলে এগিয়ে যায় তারা।

এর মাঝে দ্বিতীয় কোয়ার্টারে পেনাল্টি কর্নার নিয়ে আম্পায়ারদের সঙ্গে মোহামেডান খেলোয়াড়দের বচসায় খেলা বন্ধ ছিল কিছুক্ষণ।

তৃতীয় কোয়ার্টারে রাজসিকভাবে ম্যাচে ফেরে মোহামেডান। ফয়সাল বিন সারির হ্যাটট্রিকে ম্যাচে এগিয়ে যায় সাদাকালোরা। প্রথমে রিভার্স হিটে ফিল্ড গোল এবং পরে পেনাল্টি কর্নার থেকে আরও দুই গোল করে মোহামেডানকে চালকের আসনে নিয়ে আসেন তিনি।

তবে তৃতীয় কোয়ার্টারে যখন ঘড়ির কাটায় আর কেবল ২ মিনিট ২৭ সেকেন্ড বাকি, তখন দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে হঠাৎ একপ্রকার হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়। দুই আম্পায়ার দীর্ঘ আলোচনার পর মোহামেডানের মালয়েশিয়ান খেলোয়াড় মিজুন এবং আবাহনীর আফফান ইউসুফকে হলুদ কার্ড দেখান। আর মোহামেডানের সিয়াম, দ্বীন ইসলাম এবং আবাহনীর নাইমউদ্দিনকে সরাসরি লাল কার্ড দেখতে হয়।

কার্ডের প্রতিবাদ জানিয়ে তাৎক্ষণিক মাঠ ছেড়ে ডাগআউটে চলে যায় মোহামেডানের খেলোয়াড়রা। সেখান থেকে মোহামেডানের কর্মকর্তা এবং খেলোয়াড়দের সঙ্গে আম্পায়ারদের অনেক আলোচনা হয়। তবে আম্পায়ারদের সিদ্ধান্ত মানতে না পারায় শেষ পর্যন্ত আর মাঠে নামেনি তারা।  উপায়ান্তর না দেখে আম্পায়াররা শেষ বাঁশি বাজিয়ে এক কোয়ার্টার এবং আরেক কোয়ার্টারের ২ মিনিট ২৭ সেকেন্ড বাকি থাকতেই শেষ বাঁশি বাজিয়ে দেন।

২-৩ গোলে পিছিয়ে থেকেও জয় পেয়ে যায় আবাহনী। এতে মেরিনার্সের সমান ৩৭ পয়েন্ট এখন আকাশি-হলুদদেরও। এখন এই দুই দলের মধ্যে প্লে-অফের মাধ্যমে শিরোপা নিষ্পত্তি হওয়ার কথা। আর যে মোহামেডানের এই ম্যাচ জিতলেই শিরোপা উৎসব করার কথা, ৩৫ পয়েন্ট নিয়ে এখন তারা শিরোপার দৌড়েই আর নেই।

;

দারুণ প্রত্যাবর্তনে আবাহনীর দাপুটে জয়



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ ফুটবলে প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখে জয় পেয়েছে আবাহনী। শুরুতে পিছিয়ে পড়েও দুই বিদেশির গোল ঘুরে দাঁড়িয়ে জয় তুলে নিয়েছে আকাশি-হলুদরা।

গোপালগঞ্জের শেখ ফজলুল হক মনি স্টেডিয়ামে ম্যাচের অষ্টম মিনিটেই পিছিয়ে পড়ে আবাহনী। আবু তোরের পাস ধরে বক্সের বাইরে থেকে ডান পায়ের মাটি কামড়ানো শট নেন আব্দুল্লাহ। আবাহনীর গোলকিপার শহিদুল আলম সোহেল ঝাঁপিয়ে পড়েও সে শট প্রতিহত করতে পারেননি।

২৬ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করার সুযোগ পেয়েছিল শেখ জামাল। দলটির অধিনায়ক ইগর লেইতে বক্সের বাইরে থেকে জোরালো শট নিলেও তা শেষ পর্যন্ত অল্পের জন্য লক্ষ্যচ্যুত হয়।

মিনিট দুয়েক পরই এই মিসের মূল্য চুকাতে হয় শেখ জামালকে। বাম প্রান্ত থেকে আবাহনীর কর্নেলিয়াসের শেখ জামালের শট শাখজদ শেমানভ ব্লক করলেও ফিরতি শটে বল জালে পাঠিয়ে দেন জোনাথান ফার্নান্দেস।

সমতায় ফেরার পর দাপট বাড়ে আবাহনীর। ৩৩ মিনিটে আবাহনীকে এগিয়ে নেয়ার সুবর্ণ সুযোগ পান প্রথম গোলের নায়ক জোনাথান। কিন্তু শেখ জামাল গোলকিপারকে এক পেয়েও পরাস্ত করতে ব্যর্থ হন।

তবে প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে আর কোনো ভুল করেনি আবাহনী। মধ্যমাঠ থেকে জোনাথানের থ্রু বল ধরে কর্নেলিয়াসের দিকে পাস বাড়ান ওয়াশিংটন। আলতো শটে বল জালে জড়িয়ে আবাহনীর হয়ে জয়সূচক গোলটি করেন সেই কর্নেলিয়াস। দ্বিতীয়ার্ধে আর কোনো গোল না হলে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে আকাশি-হলদুরা।

এই জয়ে ১২ ম্যাচে ২২ পয়েন্ট নিয়ে তিনেই রইল আবাহনী। তবে হেরে যাওয়ার ফলে পাঁচে নেমে গেছে সমানসংখ্যক ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট পাওয়া জামাল। দিনের অন্য ম্যাচে শেখ রাসেলকে ১-০ গোলে হারিয়ে চারে উঠে এসেছে বাংলাদেশ পুলিশ। তাদের পয়েন্ট ১৭।

;

‘হকির স্বার্থে’ অঘোষিত ফাইনালে খেলছে মোহামেডান



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গ্রীন ডেল্টা প্রিমিয়ার হকি লিগ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার অন্ত নেই। ম্যাচ অফিসিয়ালদের বিভিন্ন সিদ্ধান্তসহ নানা ইস্যুতে বিতর্ক লেগেই রয়েছে। আজ (শুক্রবার) আবাহনী-মোহামেডানের অঘোষিত ফাইনালের আগেও ডালপালা মেলেছে বিতর্ক। তিন হলুদ কার্ড দেখা মোহামেডানের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় রাসেল মাহমুদ জিমির নিষেধাজ্ঞা নিয়ে সরগরম হকির মাঠ।

জানা গেছে, কোনো খেলোয়াড় দুই হলুদ কার্ড দেখলে বাইলজ অনুযায়ী সেই দলকে নিষেধাজ্ঞার শঙ্কার কথা তার দলকে ফেডারেশনের জানানোর কথা। তবে এক্ষেত্রে হকি ফেডারেশন সেটা না করে বরং তিন হলুদ কার্ড দেখার পর জিমিকে সরাসরি নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। যার ফলে আবাহনীর বিপক্ষে আজ তার মাঠে নামার সুযোগ নেই।

এই বিষয়টি নিয়েই মুখোমুখি অবস্থানে  চলে এসেছিল মোহামেডান এবং হকি ফেডারেশন। আজ আবাহনীর বিরুদ্ধে ম্যাচটি জিতলেই শিরোপা উঠবে সাদাকালোদের হাতে। অথচ এমন একটা ম্যাচ তারা না খেলার হুমকি দিয়েছিল জিমির নিষেধাজ্ঞার ইস্যুতে।

শেহস পর্যন্ত অবশ্য তারা সে সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে। ‘হকির স্বার্থে’ তারা ম্যাচটি খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে সঙ্গে এও জানিয়ে রেখেছে, ম্যাচ চলাকালে কোনো অনিয়ম হলে তৎক্ষণাৎ মাঠ ছাড়তে পিছপা হবেন না তারা।

উল্লেখ্য, এই ম্যাচের আগে মোহামেডানের পয়েন্ট ১৪ ম্যাচে ৩৫। অন্যদিকে আবাহনীর ৩৪ ও মেরিনার্সের ঝুলিতে ৩৭ পয়েন্ট। মোহামেডানকে আবাহনী হারিয়ে দিলে মেরিনার্সের মতো তাদের পয়েন্টও হবে ৩৭। বাইলজ অনুযায়ী তখন আবাহনী-মেরিনার্স প্লে-অফ ম্যাচের মাধ্যমে নির্ধারিত হবে শিরোপা। মোহামেডানের জন্য হিসেব সহজ, জিতলেই চ্যাম্পিয়ন। মোহামেডান-আবাহনী ড্র করলে শিরোপা উৎসব করবে মেরিনার্স।

;