বাংলাদেশের মানুষ শুধু ফুটবল খেলেই না, ফুটবলের সঙ্গে বাসও করে-ফিফা সভাপতি



স্পোর্টস এডিটর, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
সাংবাদিক সম্মেলনে ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো, ছবি: বাফুফে

সাংবাদিক সম্মেলনে ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো, ছবি: বাফুফে

  • Font increase
  • Font Decrease

অবাক এবং বিস্ময় হওয়াটা গোপন রাখার কোন চেষ্টাই করলেন না ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো। মাত্র ১১ ঘন্টার জন্য বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন তিনি বৃহস্পতিবার ভোরে। তবে কয়েক ঘন্টার এই সফরেই ফিফা সভাপতি যা দেখলেন, যা বুঝলেন তাতেই বদলে গেল বাংলাদেশ ফুটবল সম্পর্কে তার চিন্তা-ভাবনার দিগন্ত।

সফরে তার শেষ কর্মসূচিতে প্যান প্যাসিফিক হোটেল সোনারগাঁওয়ে সাংবাদিক সম্মেলনের শুরুতেই ফিফা সভাপতি বললেন-‘এখানে আসার আগে অন্য কিছু শুনে ছিলাম। কিন্তু এখানে এসে নিজ চোখে যা দেখছি তাতে আমি অবাক। সত্যি বলতে কি আমি এটা আশাও করিনি। আমি ভেবে ছিলাম এমন এক দেশে এসেছি যেখানকার মানুষ কিছুটা ফুটবল জানে। তবে শুনে ছিলাম ঠিক ফুটবল নয়, অন্য একটা খেলা (আমি সেই খেলাটার নামও উচ্চারণ করতে চাই না) এখানকার স্থানীয় মানুষের সংস্কৃতির অংশ। কিন্তু আমি এখানে এসে দেখলাম তো ভিন্ন কিছু। এদের মানুষ শুধু ফুটবল খেলে না, শুধু ফুটবল তারা ভালোবাসেই না; তারা তো ফুটবল নিয়েই, ফুটবলের সঙ্গেই বাস করে। আর আপনারা সবাই জানেন নতুন ফিফার নতুন শ্লোগানই হচ্ছে ফুটবলের সঙ্গে বসবাস!’

শুধু বলার জন্য বলা নয়, সত্যিকার অর্থেই কাজ করে দেখানোর আদর্শে বিশ্বাসী ফিফা সভাপতি। নতুন ফিফার নতুন দর্শনের সেই ব্যাখ্যা করে ফিফা সভাপতি বলেন-‘দক্ষিণ এশিয়ার এই অংশে ফুটবল উন্নয়নে ফিফা কাজ করে যাচ্ছে। সেই কাজে আরো বেশি গতি আনা হবে। বাংলাদেশে মাত্র কয়েক ঘন্টার সফরে আমি যা জানতে পেরেছি তা সত্যিকার অর্থেই অনন্য। আমি এই সফর শেষ করে যখন ফিরছি তখন আমার এক চোখে অশ্রু, কিন্তু অন্য চোখে হাসি। এই অঞ্চলে ফুটবলের জন্য আমি কি করতে পারি সেই বিষয়ে আমি আত্মবিশ্বাসী এবং আশাবাদী।’

মাইক্রোফোনের পাশে রাখা একটি ফুটবল হাতে নিয়ে ফিফা সভাপতি তাতে আদরের হাত বুলিয়ে বলেন-‘এই ফুটবল যখন স্কুলের ছোট ছোট শিশুদের হাতে তুলে দিতে পারি তখন দেখি তাদের চোখে সেকি আনন্দের ঝিলিক। আমরা তাদের সেই হাসি এবং আশার দিগন্ত রঙিন করে দিতে চাই। সেই লক্ষ্যেই আমরা কাজ করছি।’

ঢাকা সফরে খুব বেশি কর্মসূচি ছিল না ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনোর। ভোরবেলা ঢাকায় পৌঁছান তিনি। বৃহস্পতিবার বিকালে ঢাকা ছাড়ার আগে বলতে গেলে তার কর্মসূচি ছিল তিনটা। সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। দুপুরে বাফুফে কার্যালয় পরিদর্শন করেন। সেখানে বাফুফে কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। আর মধ্যাহ্ন ভোজন শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে অংশ নেন। তার পরপরই নিজস্ব বিমানে করে লাওসের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন।

ঢাকায় প্রথমবারের মতো সংক্ষিপ্ত সফরে ফিফা সভাপতি বাংলাদেশ ফুটবল সম্পর্কে যে ধারণা নিয়ে গেলেন তার নাম আশা।

   

স্বপ্ন সত্যি হলো, অবশ্যই এটা সৈকতের প্রাপ্য



মাসুদুর রহমান মুকুল
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সৈকতকে তো আসলে শুধু আম্পায়ার হিসেবে চিনি না, তারও বহু আগে থেকে প্লেয়ার হিসেবে তাকে দেখে আসছি '৯০-থেকে। তখন থেকেই দেখেছি ওর ভেতর উদ্যম আছে। ও মানসিকভাবে অনেক শক্ত ও ডেডিকেশন অনেক হাই। ও যখন আম্পায়ারিংয়ে এসেছে তখন কিন্তু অনেক পরিশ্রম করে গেছে। সবকিছু মিলিয়ে ও যেই সংগ্রাম করে গেছে মাঠ ও মাঠের বাইরে তা অকল্পনীয়। সে যেটা অর্জন করেছে সেটা তার প্রাপ্য ছিল।

কোভিডের পর থেকে আমরা খুবই আশাবাদী ছিলাম, সৈকত আইসিসির এলিট প্যানেলে যাবে। কেননা, কোভিডের পর যেই সুযোগগুলো এসেছে সেসব সৈকত খুব ভালোভাবে কাজে লাগিয়েছে।

আর একটা বিষয়, এসব নিয়ে ভারতে যদি সিনেমা হতে পারে অদূর ভবিষ্যতে আমাদের সৈকতকে নিয়েও এমন সিনেমা হতে পারে।

সৈকতের সবচেয়ে বড় গুণ যেটা সে তার ভুলকে সুন্দরভাবে স্বীকার করে। ও যদি কোনো ভুল করে থাকে, সিদ্ধান্ত দেওয়ার ক্ষেত্রে বা সতীর্থদের সাথে কোনো বাজে ব্যবহারে করে থাকে; তাহলে সে কিন্তু সঙ্গে সঙ্গেই সেটা মেনে নেই। এটা হলো সৈকতের সবচেয়ে বড় গুণ। এছাড়াও সৈকত অনেক সাহসী একটা ছেলে। সে যদি মনে করে এই পথে এগোলে সঠিক; যদিও এই পথে এগোলে অনেক বাধা আসবে তবুও সে ওই সঠিক পথেই এগোয়। ইতিবাচকভাবে ওর জেদটা খুব ভালো।

টি-টোয়েন্টি ওয়ার্ল্ড কাপ তারপর বাকি অ্যাসাইনমেন্ট সামনে আসবে। পরে হয়তো টেস্ট ম্যাচগুলো আসবে। আর যখন নতুন কেউ এলিট প্যানেলে ঢুকে, এটা হলো একটা ঐতিহ্য- জানি না হবে কিনা। অ্যাশেজ মানে অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড দিয়ে এটা শুরু হয়।

সৈকত আমাদের জন্য বড় একটা পথ দেখিয়ে গেল যে, কষ্ট করলে ওখানে যাওয়া যায়। সৈকতের এই অর্জনটাকে আমরা যারা আম্পায়ারিং করছি বা যারা করবে আমাদের বোর্ডও এই অর্জনটাকে কাজে লাগাতে হবে। কাজে লাগানো বলতে আমি বুঝাচ্ছি, বিসিবি কিন্তু যারা অনেক ক্রিকেট খেলছে তাদের আম্পায়ারিংয়ে আসার জন্য উদ্বুদ্ধ করতে পারে। আর আমরাও যারা আম্পায়ারিং করছি তারা কিন্তু এলিট প্যানেলে যাওয়ার স্বপ্ন দেখতে পারি। আইসিসির এলিট প্যানেলে যাওয়ার মাঝখানের যেই পথচলাটা সেই পথচলাটা বা ত্যাগের জায়গাটা বোর্ড বা আমাদের ডিপার্টমেন্ট আরেকটু সহজ করে দেবে।

আসলে আম্পায়ারিং অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে বা বোর্ডের আমাদের ওই রকম যোগসূত্র নেই। আমারা আম্পায়াররা স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারি। তবে আমাদের মেইন কাজটা করবে অ্যাসোসিয়েশন বোর্ডের মাধ্যমে। যেমন আমাদের অর্থনৈতিক দিক যত উন্নত হবে তত আমাদের যোগ্য ছেলেরা আম্পায়ারিংয়ে আগ্রহী হবে।

সৈকত-মুকুল-গাজী বা তানভীর এখন যারা আছে বা অন্য যারা আছে এই পর্যন্ত আসতে হলে কিন্তু অনেক ত্যাগ করতে হবে নতুনদের। আর এই রাস্তাটুকু আসার জন্য উদ্যোগটা বোর্ড এবং অ্যাসোসিয়েশন থেকে নিতে হবে।

(সৈকতের) স্বপ্ন সত্যি হলো। এবং অবশ্যই সে এটার প্রাপ্য। সৈকতের ১৩ বছরের যুদ্ধ এটা। আইসিসি প্যানেলে সে দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে আম্পায়ারিং করছে। আমার ৬ বছর রানিং। আমিও স্বপ্ন দেখছি।

লেখক: বাংলাদেশি আম্পায়ার

;

আইসিসির এলিট প্যানেলে প্রথম বাংলাদেশি আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বহুকাল বাংলাদেশের আম্পায়াররা ছিলেন পাদপ্রদীপে আড়ালে। তবে সেদিন গত হয়েছে। দিনকয়েক আগে বাংলাদেশের চারজন নারী আম্পায়ার এবং একজন নারী রেফারি আইসিসির ডেভেলপমেন্ট প্যানেলে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিলেন। এবার আইসিসির এলিট প্যানেলের অংশ হলেন আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা।

আইসিসির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশের প্রথম আম্পায়ার হিসেবে আইসিসির এলিট প্যানেলে যুক্ত হয়েছেন শরফুদ্দৌলা।

২০০৬ সাল থেকে আইসিসির ইন্টারন্যাশনাল প্যানেলে আম্পায়ার হিসেবে কাজ করছেন শরফুদ্দৌলা। ২০১০ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ওয়ানডে ম্যাচ দিয়ে প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচে আম্পায়ারিং করেন তিনি।

এখন পর্যন্ত ১০ টেস্ট, ৬৩ ওয়ানডে এবং ৪৪ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে দায়িত্ব পালন করেন শরফুদ্দৌলা। ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপেও বেশ কয়েকটি ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন এই আম্পায়ার।

এলিট প্যানেলের সদস্য হওয়ার খবর পেয়ে আইসিসিকে শরফুদ্দৌলা বলেন, ‘আইসিসির এলিট প্যানেলের সদস্য হওয়া অত্যন্ত সম্মানের বিষয়। বাংলাদেশ থেকে প্রথম আম্পায়ার হিসেবে এলিট প্যানেলের সদস্য হওয়ায় উপলক্ষটা আরও বিশেষ হয়েছে। আমি এই আস্থার প্রতিদান দিতে চাই।’

এদিকে আইসিসির এলিট রেফারি প্যানেলের কলেবর ছোট করে ৬ জনে নামিয়ে আনা হয়েছে। বাদ পড়েছেন ২০০৩ সাল থেকে এই প্যানেলের সদস্য ক্রিস ব্রড।

;

চট্টগ্রাম টেস্ট দেখা যাবে ১০০ টাকায়



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেটে বড় ব্যবধানে হারতে হয়েছে বাংলাদেশ। ৩২৮ রানে হারের ক্ষতে প্রলেপ দেয়ার সুযোগ পাচ্ছেন শান্তরা। ৩০ মার্চ থেকে চট্টগ্রামে শুরু হবে দুই ম্যাচ সিরিজের শেষ টেস্ট। সে ম্যাচ মাঠে বসে উপভোগ করতে চট্টলার দর্শকদের কেমন খরচ হতে পারে, তা জানিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছে বিসিবি।

বিসিবির বিবৃতি অনুযায়ী সবচেয়ে দামি টিকিট গ্র্যান্ড স্ট্যান্ডের। সে গ্যালারিতে বসে খেলা দেখতে গুণতে হবে আপনাকে ১০০০ টাকা। এছাড়া রুফটপ হসপিটালিটির টিকিটও মিলবে সমান দামেই। আন্তর্জাতিক স্ট্যান্ডের টিকিটের দাম ৫০০ টাকা। ক্লাব হাউজের টিকিটের দাম ধরা হয়েছে ৩০০ টাকা। ইস্টার্ন স্ট্যান্ডের টিকিট পাওয়া যাবে ২০০ টাকায়। সর্বনিম্ন দাম ওয়েস্টার্ন স্ট্যান্ডে। সেখানকার টিকিটের দাম ১০০ টাকা করে।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের ওয়ানডে সিরিজের ম্যাচগুলোও হয়েছিল চট্টগ্রামে। তবে ওয়ানডের তুলনায় একই মাঠে টেস্টের টিকিটমূল্য তুলনামূলক কম। ওয়ানডের চেয়ে টেস্টে টিকিটমূল্য প্রায় ১০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত কমে গেছে।

টিকিটের প্রাপ্তিস্থানও জানিয়েছে বিসিবি। বিটাক মোড়ের কাছে সাগরিকা টিকেট কাউন্টারে পাওয়া যাবে টিকিট। পাওয়া যাবে ম্যাচের আগের দিন ও ম্যাচের দিন সকাল ৯:৩০ টা থেকে সন্ধ্যা ৪:৩০টা পর্যন্ত।

;

নিজের অবসর প্রসঙ্গে জানালেন লিওনেল মেসি



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বর্তমান ফুটবল বিশ্বের অন্যতম মহাতারকা এবং সর্বকালের সেরা ফুটবলারদের একজন, তিনি লিওনেল আন্দ্রেস মেসি। ফুটবল খেলে যতরকম সাফল্য অর্জন করা যায়, বিশ বছরের ক্যারিয়ারে তার প্রায় সবই নিজের নামে করে নিয়েছেন মেসি। সবশেষ ২০২২ কাতার বিশ্বকাপের শিরোপাটা তুলে ধরে নিজেকে নিয়ে গিয়েছেন অনন্য এক উচ্চতায়।

এত সাফল্যমণ্ডিত ও বর্নাঢ্য ফুটবল ক্যারিয়ারের মাঝে খারাপ সময়ও পার করতে হয়েছে তাকে। একের অধিকবার ফাইনালে নিজের দলকে না জেতাতে পারার আক্ষেপ তাকে ভেতর থেকে যন্ত্রণা দিয়েছে বেশ কয়েকদিন। ২০১৪, ২০১৫, ২০১৬- টানা তিন বছর তিনটি আন্তর্জাতিক ফাইনালে হারের পর হতাশায় তো ফুটবল থেকেই অবসরের ঘোষণা দিয়ে ফেলেছিলেন।

তবে হার মেনে নেওয়ার সময় সেটি ছিল না, তার আরও কিছু অর্জন করার বাকি, দেশের জন্য এবং নিজের জন্যও, এমনটাই তার মন বলছিল। তাইতো ২০১৮ বিশ্বকাপের আগে আবারও ফিরে এলেন। তবে রাশিয়া বিশ্বকাপেও তাকে হতাশা হজম করতে হয়েছে। তবুও থেমে থাকেননি মেসি, নিজের সর্বোচ্চটা ঢেলে দিয়েছেন মাঠের খেলায়, দেশের জন্য।

২০২১ সালে ব্রাজিলকে কোপা আমেরিকার ফাইনালে হারিয়ে প্রথমবার আর্জেন্টিনার জন্য আন্তর্জাতিক কোনো শিরোপা হাতে তুলে নেন মেসি। তখনই হয়তো বুঝেছিলেন যে আরও কিছু অর্জন বাকি আছে তার। কোপার শিরোপার পর ইউরো চ্যাম্পিয়ন ইতালিকে হারিয়ে জিতে নিলেন ফিনালিসিমার ট্রফিটাও। শেষে ২০২২ কাতার বিশ্বকাপের সোনালি ট্রফিটাও পেল মেসির হাতের স্পর্শ। ফুটবল যেন পূর্ণতা পেল ২০২২ সালের ১৮ই ডিসেম্বর রাতে।

অনেকে ধরেই নিয়েছিল বিশ্বকাপ অর্জনের পর হয়তো ফুটবলকে বিদায় জানাবেন লিওনেল মেসি। তবে না, নিজের ক্যারিয়ারটা আরেকটু দীর্ঘ করতে চান তিনি। আপাতত ২০২৪ কোপা আমেরিকাতে খেলবেন এমনটা নিশ্চিত করেছেন এই ফুটবল জাদুকর।

সম্প্রতি নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে এমবিসি’র ‘বিগ টাইম পডকাস্টে’ কথা বলেন তিনি। সেখানেই জানিয়েছেন কবে নিবেন অবসর। মেসি বলেন, ‘অবসরের মুহূর্তটা কেমন হবে জানি, যখন টের পাব আর পারফর্ম করতে পারছি না। নিজেকে উপভোগ করছি না, সতীর্থদের কোনো সাহায্য করতে পারছি না। আমি বুঝি কখন আমি ভালো খেলছি, কখন খারাপ খেলছি। যখন আমার মনে হবে এখন সেই সিদ্ধান্তটা নেওয়া সময় হয়েছে, আমার বয়স কত সেটি মনে না রেখেই অবসরের সিদ্ধান্ত নেব।’

ঠিক কবে অবসরে যাবেন এটি না বললেও মেসির কথা থেকে এটি পরিষ্কারভাবেই বোঝা যায় যে, এখনই থামছেন না তিনি। যতদিন সম্ভব নিজেকে টেনে নিতে থাকবেন ফুটবল স্বর্গেরাজ্যের অনন্য এক উচ্চতায়।  

;