পাকিস্তান অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ ছাঁটাই!
কঠিন সিদ্ধান্তটা জানিয়ে দিল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। অধিনায়ক পদ থেকে সরফরাজ আহমেদকে বিদায় করে দিয়েছে তারা। শুধু অধিনায়কত্ব হারাননি সরফরাজ, টেস্ট এবং টি-টোয়েন্টি দল থেকেও বাদ পড়েছেন তিনি। কারণ হিসেবে পিসিবি শুধু একটা বিষয় উল্লেখ করেছে- সার্বিক ফর্ম তার মোটেও ভাল ছিল না।
টেস্টে নতুন অধিনায়ক হিসেবে ব্যাটসম্যান আজহার আলীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আর টি-টোয়েন্টির অধিনায়কত্ব পেয়েছেন ব্যাটসম্যান বাবর আজম।
বাকিই রইল ওয়ানডের অধিনায়কত্ব। সেই বিষয়ে এখনো চুড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি পাকিস্তান। বিশ্বকাপে পাকিস্তান দলের অধিনায়ক ছিলেন সরফরাজ। সেখানেও তার এবং দলের পারফরমেন্স মোটেও ভাল কিছু ছিল না। সেমিফাইনালের আগেই বিদায় নেয় পাকিস্তান। সামনের লম্বা সময়ে পাকিস্তানের কোনো ওয়ানডে সিরিজ নেই। তাই ওয়ানডেতে অধিনায়ক পদে কে থাকছেন সেই সিদ্ধান্ত নিতে অনেক সময় পাচ্ছে পাকিস্তান। সামনের বছরের জুলাইয়ে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে পাকিস্তান তাদের পরবর্তী ওয়ানডে সিরিজ খেলতে নামবে। তবে সার্বিক যা অবস্থা তাতে ওয়ানডেতেও সরফরাজ ছাঁটাই হচ্ছেন সেটা নিশ্চিত প্রায়।
পিসিবি চেয়ারম্যান এহসান মানি জানান-‘সরফরাজকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্তটা ছিল বেশ কঠিন। কিন্তু দলের সার্বিক স্বার্থেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
পিসিবির এই কঠিন সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছেন সদ্য সাবেক হওয়া পাকিস্তানি অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ-‘পাকিস্তানের মতো একটি দলের নেতৃত্ব দিতে পারাটা অনেক গৌরবের বিষয়। আমার এই অধিনায়কত্বের যাত্রাপথে যারা সহায়তা করেছিলেন সেই সব কোচ, নির্বাচক এবং খেলোয়াড়দের আমি ধন্যবাদ দিতে চাই। নতুন অধিনায়ক আজহার আলী এবং বাবর আজমকে আমি স্বাগত জানাই। আশা করছি আর্ন্তজাতিক ক্রিকেটে পাকিস্তান দল আরো অনেক বেশি শক্তিশালী হবে।’
পাকিস্তান টেস্ট দলের নতুন অধিনায়ক আজহার আলী জানিয়েছেন- ‘যে আস্থা ও বিশ্বাস নিয়ে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড আমাকে অধিনায়কত্বের দায়িত্ব দিয়েছে, তাদের সেই আস্থা আমি অক্ষুণ্ন রাখার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাবো।’
টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের নতুন অধিনায়ক বাবর আজম জানান-‘অধিনায়কত্বের এই দায়িত্ব পাওয়াটা এখন পর্যন্ত ক্রিকেটার হিসেবে আমার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় বিষয়।’
টেস্টে পাকিস্তানের অধিনায়ক হিসেবে ১৩ টেস্টে মাত্র ৪টিতে জিতেছেন সরফরাজ আহমেদ। হেরেছেন ৮টি টেস্টে। ড্র করেছেন মাত্র ১ টেস্ট। টেস্টে অধিনায়ক হিসেবে তার জয়ের হার ৩০.৭৭ শতাংশ।
টি-টোয়েন্টির অধিনায়ক হিসেবে তার জয়ের রেকর্ড বেশ ভাল। ৩৭ ম্যাচে জিতেছেন ২৯টিতে। হার মাত্র ৮টিতে। তবে সমস্যা হলো এসব ম্যাচে ব্যাট হাতে তার পারফরমেন্স মোটেও উল্লেখ করার মত কিছু যে নেই!