রাজশাহীকে হারিয়ে পয়েন্টের শীর্ষে খুলনা
ম্যাচ জয়ের জন্য শেষদিন মাত্র ১০৮ রানের প্রয়োজন ছিল খুলনার। নিজ মাঠে জয়ের সেই অপেক্ষা পুরো করতে বেশি সময় নেয়নিও তারা। সকালের সেশনেই খুলনা ম্যাচ জিতে মাঠ ছাড়ে। জিতল তারা ৭ উইকেটে। দলের জয় আনন্দের শেষদিনে রান ফেরার স্বস্তি পেলেন সৌম্য সরকারও। অপরাজিত ৫০ রান আসে সৌম্যের ব্যাট থেকে।
রোববার সকালের সেশনে ইমরুল ২২ ও মোহাম্মদ মিঠুন ২৭ রান করে ফিরে গেলেও সৌম্য সরকার একপ্রান্ত আঁকড়ে রাখেন। মেহেদি মিরাজকে সঙ্গে নিয়ে দলকে ৭ উইকেটের জয় এনে দিলেন সৌম্য।
বর্তমান চ্যাম্পিয়ন রাজশাহীকে হারিয়ে এই ম্যাচে খুলনা পেয়েছে সবমিলিয়ে ৯.৬ পয়েন্ট। এর আগে প্রথম রাউন্ডে খুলনা ড্র ম্যাচ থেকে পেয়েছিল ৪.১ পয়েন্ট। লিগের দুই রাউন্ড শেষে প্রথম স্তরে সর্বোচ্চ ১৩.৭৯ পয়েন্ট নিয়ে খুলনা এখন টেবিলের শীর্ষে।
ম্যাচের উভয় ইনিংসে রাজশাহী ব্যাটিংয়ে বেশিদুর বাড়তে পারেনি। প্রথম ইনিংসে ২৬১ রান তুললেও দ্বিতীয় দফায় তারা গুটিয়ে পড়ে মাত্র ১৭০ রানে। আর ইমরুল ও নুরুল হাসান সোহানের ব্যাটিং দৃঢ়তায় খুলনার প্রথম ইনিংস থামে ৩০৯ রানে। শেষ ইনিংসে ম্যাচ জিততে খুলনার সামনে টার্গেট দাড়ায় মোটেও ১২৩ রানের। তৃতীয়দিন ওপেনার এনামুল হক বিজয়কে হারিয়ে খুলনার সংগ্রহ দাঁড়ায় ৩ ওভারে ১৫ রান।
চতুর্থ এবং ম্যাচের শেষদিনের সকালে ২২.১ ওভারে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় খুলনা।
প্রথম ইনিংসে হার না মানা ৯৭ রানের সুবাদে ম্যাচ সেরা হন নুরুল হাসান সোহান।
রাজশাহী ১ম ইনিংস: ২৬১/১০।
খুলনা ১ম ইনিংস: ১০৮.৩ ওভারে ৩০৯/১০ (এনামুল ৩৪, সৌম্য ০, ইমরুল ৯৩, তুষার ৪৩, মিঠুন ৪, নুরুল হাসান সোহান ৯৭*, মিরাজ ৫, রাজ্জাক ১২, রুবেল ০, মুস্তাফিজ ৯, আল-আমিন ১; শফিউল ৩/৫৫, মোহর ১/৩৮, ফরহাদ রেজা ১/৪৪, তাইজুল ২/৯৭, সানজামুল ২/৬৫)।
রাজশাহী ২য় ইনিংস: (৬০ ওভারে ১৭০/১০ (মিজানুর ০, জুনায়েদ ৫, ফরহাদ ১১, শান্ত ৫৭, মুশফিক ৪৪, সানজামুল ২৫, ফরহাদ রেজা ০, শাকির ৯, তাইজুল ৯, শফিউল ১০; মুস্তাফিজ ২/১৮, আল-আমিন ৪/১৭, রাজ্জাক ৪/৬২)।
খুলনা ২য় ইনিংস: (২২.১ ওভারে ১২৩/৩, সৌম্য ৫০*, ইমরুল ২২, মিঠুন ২৭, মিরাজ ১৪*, সানজামুল ১/৩০)।
ফল: খুলনা ৭ উইকেটে জয়ী। ম্যাচ সেরা: নূরুল হাসান সোহান।