গোলাপি বলের টেস্ট নিয়ে রোমাঞ্চিত ইমরুল
বলের ওজন এবং আকৃতি একই। পার্থক্য শুধু রংয়ে। আর এই রংয়ের কারণেই ব্যাটিং কৌশল নিয়েই নতুন কিছু চিন্তা করতে হচ্ছে ব্যাটসম্যানদের।
বাংলাদেশের টেস্ট দলের ক্রিকেটারদের কাছে আগ্রহ এবং রোমাঞ্চের নতুন নাম- গোলাপি বল!
ভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের দ্বিতীয় এবং শেষ টেস্ট ম্যাচ হবে দিনরাতে গোলাপি বলে। লাল বলে টেস্ট ম্যাচ খেলে অভ্যস্ত বাংলাদেশ দল এখন গোলাপি বলেও অনুশীলন করছে। সেই অনুশীলনের প্রথম পর্বে মঙ্গলবার মিরপুরে হোম অব ক্রিকেটে অংশ নিলেন ইমরুল কায়েস ও মেহেদি হাসান মিরাজ। ইমরুল ব্যাটিং করে গেলেন। মিরাজ স্পিন।
- তা কেমন হলো গোলাপি বলের সঙ্গে প্রথম মোলাকাত?
অনুশীলন শেষে সাংবাদিকদের কাছে নিজের সেই অভিজ্ঞতা তুলে ধরলেন অভিজ্ঞ ওপেনার ইমরুল কায়েস-‘আমি প্রথমবারের মতো এই গোলাপি বলে আজ অনুশীলন করলাম। আরো কয়েকদিন এই বলে অনুশীলন করতে পারলে মানিয়ে নিতে পারবো। তবে প্রথম দিনের অনুশীলন শেষে আমার কাছে মনে হচ্ছে গোলাপি বলে সুইংটা একটু বেশি থাকে। ইডেন টেস্টের আগেও আমরা অনুশীলনের জন্য কিছুটা সময় পাবো। তখন সেই অনুশীলনেও গোলাপি বলে আমাদের অভ্যস্ততা তৈরি করতে হবে।’
সিরিজের প্রথম টেস্ট ইন্দোরে শুরু হবে ১৪ নভেম্বর। সেই টেস্ট হবে আবার লাল বলে। তাই শুধু গোলাপি বল নিয়েও পড়ে থাকলেই চলবে না। লাল-গোলাপি দুই বলেই অনুশীলনে সময় কাটাতে হবে বাংলাদেশ টেস্ট দলকে।
টেস্ট খেলুড়ে বেশ কয়েকটি দেশ গোলাপি বলে টেস্ট খেলেছে। সেই ক্লাবে এবারই প্রথম যোগ দিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ও ভারত।
ইমরুল তাই মানছেন হিসেবটা বেশ বরাবর অবস্থানেই আছে-‘আমরা তো এমন বলে খেলতে ঠিক অভ্যস্ত নই। তবে মনে রাখতে হবে ভারতও কিন্তু এখনো পর্যন্ত গোলাপি বলে টেস্ট ম্যাচ খেলেনি। আমাদের মতো ওরাও এবারই প্রথমবারের মতো গোলাপি বলে টেস্ট ম্যাচ খেলতে যাচ্ছে। তাই বলা যায় দুটো দলই এই বিষয়ে সমান সমান অবস্থানেই আছে। দুটো দলের জন্যই এই বলে নতুন একটা অভিজ্ঞতা হবে। আমি বেশ রোমাঞ্চিত।’
শুধু রংই আলাদা নয়, কাজেও কিছুটা পার্থক্য আছে লাল এবং গোলাপি বলে। সেই ব্যাখ্যায় ইমরুল জানালেন- ‘বলের সিম তো একই রকম হয়। নতুন যা হলো লাল বলের সাইন নষ্ট হতে একটু বেশি সময় লাগে। কিন্তু গোলাপি বলে আমি আজ খেলে যে অভিজ্ঞতা পেলাম তাতে বলতে পারি এই বলের সাইনের স্থায়িত্ব একটু কম করবে। তবে যতক্ষণ বলের সাইন থাকবে ততক্ষণ সুইং অবশ্য বেশি হবে।’
ফ্লাডলাইডের আলোয় গতির সঙ্গে সুইং! যে কোনো পেস বোলারের জন্য এটা আদর্শ ক্ষেত্র। আর শুরুর ব্যাটসম্যানদের জন্য সেটাই যে সবচেয়ে বড় সমস্যা। আর শুরুর সেই বাড়তি সুইং সামাল দিতে হবে ইমরুল কায়েসকেই!
দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে তরুণ সাদমান ইসলামের সঙ্গে সিনিয়র ওপেনার হিসেবে তাকেই বেছে নিয়েছেন নির্বাচকরা।