বাংলাদেশ ১৫৩, সিরিজ জয়ের সঞ্চয় হলো কি?



আপন তারিক, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, রাজকোট (ভারত) থেকে
স্ট্যাম্পিংয়ের শিকার সৌম্য সরকার

স্ট্যাম্পিংয়ের শিকার সৌম্য সরকার

  • Font increase
  • Font Decrease

দিল্লির বায়ুদূষণে ঠিকঠাক মতো নিঃশ্বাস নিতে পারলেও রাজকোটের বিশুদ্ধ বাতাসে যেন দম বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল ব্যাটসম্যানদের। না হলে উইকেটে পা রেখেই এভাবে অস্থির হয়ে উঠবেন কেন? উইকেটে রান ছিল। সেটা দুই ওপেনার লিটন দাস ও মোহাম্মদ নাঈম বুঝিয়েও ছিলেন। প্রথম দশ ওভারে ১ উইকেটে ৭৮। কিন্তু এরপর এমন কোনো বোলিং হয়নি যে পরের ৬০ বলে ৫ উইকেট হারিয়ে ৭৫ রান উঠবে। উইকেট ছুঁড়ে আসলে স্কোর বড় হয় কী করে!

সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে চ্যালেঞ্জিং স্কোর করতে পারেনি বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে তুলেছে ১৫৩ রান। রাজকোটের সৌরাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন মাঠে সিরিজ জয়ের সঞ্চয় পেলো কি টাইগাররা?

রান তাড়ায় দল দুর্দান্ত- স্রেফ এ কারণেই টস জিতে শুরুতে বল করার সিদ্ধান্ত নেন রোহিত শর্মা। দিল্লিতে আগের ম্যাচেই শুরুতে ব্যাট করতে নেমে বড় পুঁজি না গড়েই শেষ হয়ে যায় ভারতের ইনিংস। তবে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা অবশ্য মন্দ ছিল না বাংলাদেশের।

বিশেষ করে পাওয়ার প্লেতে দলকে পথ দেখিয়েছেন লিটন দাস ও ওপেনিংয়ে নামা মোহাম্মদ নাঈম শেখ। প্রথম ৬ ওভারেই দলের সংগ্রহ বিনা উইকেটে ৫৪ রান। মনে হচ্ছিল ব্যাটিং উইকেটে সুযোগটা কাজে লাগাবে দল। বেশ মেজাজেই ছিলেন দুই ওপেনার।

ভারতীয় পেসার খলিল আহমেদকে পাত্তাই দিলেন না দুই ওপেনার। প্রথম ম্যাচে তার শেষ ওভারের শেষ চার বলে মুশফিক হাঁকিয়ে ছিলেন টানা চারটি বাউন্ডারি। এবার বল করতে এসেই প্রথম তিন বলেই বাউন্ডারি!

প্রথম উইকেট জুটি অবশ্য এরপর বেশি দূর এগোতে পারেনি। রান আউটের ফাঁদে কাটা পড়েন লিটন। তার আগে তুলে নেন ২১ বলে ২৯!

অবশ্য আউটের জন্য নিজেই অনুশোচনায় পড়েন এই ওপেনার। কারণ ভুলটা যে তারই। রিশাব পান্ত দারুণ ফিল্ডিংয়ে ফেরান লিটনকে। তিনি ফিরতেই ভাঙে ৪৫ বলে ৬০ রানের উদ্বোধনী জুটি। অবশ্য এর আগে রিশাবই প্রাণ দিয়েছেন লিটনকে। তার ভুলে টিকে যান টাইগার ওপেনার।

যুজবেন্দ্র চেহেলের বলে আক্রমণাত্মক লিটন ব্যাট হাতে এগিয়ে গিয়ে ঠিক সময় মতো ফিরতে পারেননি! কিন্তু স্ট্যাম্পিংয়ের সহজ সুযোগে বল ধরে বেলস ফেলে দেন পান্ত। যদিও টিভি রিপ্লেতে দেখা যায়, বল ধরার সময় পান্তের গ্লাভসের সামনের অংশ ছিল স্ট্যাম্পের সামনে! ব্যস, প্রাণে বাঁচেন তিনি। স্ট্যাম্পিংয়ের জন্য যা ক্রিকেট আইন আছে তা হলো- উইকেটকিপারকে বল ধরতে হয় স্ট্যাম্পের পেছন থেকে। তবে প্রাণ পেয়ে সেই সুযোগটা লিটন কাজে লাগাতে পারলেন কোথায়?

সঙ্গী হারিয়ে কেমন যেন অস্থির হয়ে উঠেন নাঈম। মাটি কামড়ানো শটে ভালোই খেলছিলেন। কিন্তু ধৈর্য হারিয়ে সর্বনাশ। ওয়াশিংটন সুন্দরের বলে স্লগ সুইপ করলেও মিড উইকেটে দাঁড়িয়ে বল মুঠোবন্দী করেন শ্রেয়াস আইয়ার। ৩১ বলে ৩৬ রান করেন নাঈম।

আর বাংলাদেশ ১০ ওভারে তুলে ৭৮ রান। তারপর হতাশ করেন আগের ম্যাচের জয়ের নায়ক মুশফিকুর রহিম। দিল্লিতে ৬০ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে দলকে এনে দেন ৭ উইকেটের ঐতিহাসিক জয়। কিন্তু এবার মাত্র ৪ রানেই যুজবেন্দ্র চাহালের শিকার।

তারপর উইকেট পতনের বৃত্ত থেকে আর বেড়িয়ে আসা হয়নি! আগের ম্যাচে ৩৯ রান করা সৌম্য সরকার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু বড় ইনিংস খেলে দলের বিপর্যয়ে প্রতিরোধ গড়তে পারলেন কোথায়? ২০ বলে ৩০ রান তুলে চাহালের শিকার ওয়ান ডাউনে খেলতে নামা এই ব্যাটসম্যান।

যদিও আউট কীনা সেটা জানতে থার্ড আম্পায়ারের সাহায্য নিতে হয়। সেখানে শুরুতে অবশ্য ভুল করে শুরুতে ‘নট আউট’ ঘোষণা দেন তিনি। কিন্তু এরপরই জানান সৌম্য আউট। তারপর কিছু করতে পারেননি আফিফ হোসেনও। দলের বিপর্যয়ে এই তরুণ আক্রমণাত্মক হয়ে মাশুল গুনেন। খলিল আহমেদের বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে আউট (৮ বলে ৬)। গর্জে উঠল সৌরাষ্ট্রের গ্যালারি!

তারপরও দল তাকিয়ে ছিল মাহমুদউল্লাহর দিকে। কিন্তু অধিনায়কও ঝড় তুলতে পারেননি। দিপক চাহারের বলে শর্ট থার্ড ম্যানে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। ২১ বলে ৩০ রান দলকে জাগিয়ে দিতে পারল না! গর্জন নিয়ে রোহিত শর্মাদেরও মাঠ ছাড়ার মঞ্চ অনেকটাই তৈরি। কারণ রাজকোটের ব্যাটিং উইকেটে যে পুঁজিটা চ্যালেঞ্জিং মনে হচ্ছে না! সিরিজে সমতার জন্য লড়তে থাকা ভারতকে কী আটকাতে পারবে বোলাররা?

সংক্ষিপ্ত স্কোর-

বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১৫৩/৬ (লিটন ২৯, নাঈম ৩৬, সৌম্য ৩০, মুশফিক ৪, মাহমুদউল্লাহ ৩০, আফিফ ৬, মোসাদ্দেক ৭*, আমিনুল ৫*; চাহার ১/২৫, খলিল ১/৪৪, সুন্দর ১/২৫, চাহাল ২/২৮)।

   

হারের দিনে ‘অনন্য মাইলফলক’ পন্তের



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

২০২২ সালের ৩০ ডিসেম্বর। আদতে দিনটি অন্যান্য দিনের মতো সাধারণ হলেও দিনটি যেন কোনোভাবেই মনে রাখতে চান না ভারতীয় ক্রিকেটার ঋষভ পন্ত। দিল্লি-দেরাদুন মহাসড়কে সেদিন ভয়ঙ্কর এক দুর্ঘটনার শিকার হন তিনি। গাড়িতে সঙ্গে সঙ্গে লেগে যায় আগুন। মাথা এবং পায়ে মারাত্মক চোট পেয়েছিলেন। যেন মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছিলেন। অনেকে ভেবেছিলেন আর হয়তো ব্যাট-প্যাডে দেখা যাবে না পন্তকে। 

তবে চোটের সঙ্গে যেন ক্রিকেট ম্যাচের মতোই লড়লেন পন্ত। মাঠে ফিরলেন নির্ধারিত সময়ের আগেই। আসরের দ্বিতীয় দিনে গত ২৩ মার্চ পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে ৪৫৩ দিন পর মাঠে খেলায় ফিরলেন পন্ত। এবার আসরের দ্বিতীয় ম্যাচে গড়লেন অনন্য এক মাইলফলক। গতকালের রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে ১২ রানে হারে দিল্লি ক্যাপিটালস। তার দল হারলেও পন্ত করেছেন ‘সেঞ্চুরি’। আইপিএলে এটি ছিল এই উইকেটরক্ষক ব্যাটারের শততম ম্যাচ। ২০১৬ আসর থেকে এখন পর্যন্ত প্রত্যেকটি আসরে (২০২৩ বাদে) দিল্লির হয়েই খেলেছেন পন্ত। 

মাইলফলক ছোঁয়ার দিনে ব্যাট হাতে ২৬ বলে ২৮ রান করেন পন্ত। ১৮৬ রানের লক্ষ্যে শুরুটা ভালো পেলেও মাঝে খেই হারিয়ে শেষ পর্যন্ত আর জয়ের দুয়ারে পৌঁছাতে পারেনি রাজধানীর দলটি। 

আইপিএলে পন্তের ক্যারিয়ারটা চোখে পড়ার মতোনই। ১০০ ম্যাচে ৩৪.৩৩ ব্যাটিং গড়ে ২৮৮৪ রান করেছেন তিনি। যেখানে আছে ১৫টি ফিফটি ও একটি সেঞ্চুরির মার। স্ট্রাইক রেটটাও ১৫০ ছুঁইছুঁই। 

উইকেটের পেছনেও বেশ নির্ভার তিনি। এখন পর্যন্ত টুর্নামেন্টটিতে উইকেটের পেছেন নিয়েছেন ৬৬টি ক্যাচ ও ১৯বার করেছেন ষ্ট্যাম্পিং। 

;

টিভিতে যা দেখবেন আজ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আইপিএলে দিনের একমাত্র ম্যাচে মাঠে নামছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ও কলকাতা নাইট রাইডার্স। এছাড়াও টিভিতে যা যা থাকছে আজ।

 

আইপিএল

রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু–কলকাতা নাইট রাইডার্স

রাত ৮টা, স্টার স্পোর্টস ১, টি স্পোর্টস ও গাজী টিভি

 

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার ফুটবল লিগ

শেখ জামাল–শেখ রাসেল

বিকেল ৩টা ১৫ মিনিট, টি স্পোর্টস

 

লা লিগা

কাদিজ–গ্রানাদা

রাত ২টা, র‍্যাবিটহোল, স্পোর্টস ১৮–১

;

রিয়ান ঝড়ের পর নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে রাজস্থানের জয় 



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

২০ বলে জয়ের জন্য তখন ৫৩ রান দরকার দিল্লি ক্যাপিটালসের। সেখানে জয়ের পাল্লা রাজস্থান রয়্যালসেরই ভারী ছিল। তবে এক ট্রিস্টান স্টাবসে চড়ে জয়ের স্বপ্ন বুনছিল রাজধানীর দলটি। এই প্রোটিয়া ব্যাটারের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ের বিপরীতে শেষ দিকে এসে রাজস্থানের পেসাররা দেখান নৈপুণ্য। এতেই শেষ পর্যন্ত ১২ রানের জয় পায় সঞ্জু স্যামসনের দল। 

এদিকে রাজস্থানের টানা দ্বিতীয় জয়ে এদিন ব্যাট হাতে বড় অবদান ছিল রিয়ান পরাগের। আইপিএলের ২০১৯ সালের আসরে অভিষেক পরাগের। সেই আসর থেকেই রাজস্থানের হয়ে খেলেন তিনি। নিয়মিত জায়গাও পান একাদশে। তবে পারফর্ম যেন একেবারেই শূন্যের কাতারে। এই আসরের আগে মোট ৫৪ ম্যাচে স্রেফ ৬০০ রান করেছিলেন এই ডানহাতি ব্যাটার। সেখানে দুটি ফিফটির মারে সর্বোচ্চ ইনিংস ছিল ৫৬ রানের। এমন বাজে পারফর্মে বেশ সমালোচিতও হচ্ছিলেন তিনি। যেন এন্টারটেইনমেন্টের জন্যই থাকেন দলে। তবে সেসব সমালোচনাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ২০২৪ সালে যেন দেখা মিলল নতুন রিয়ানের। আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে করেন ৪৩ রান। পরে আজকের দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে খেলেন ক্যারিয়ার সেরা অপরাজিত ৮৪ রানের বিধ্বংসী ইনিংস। এতেই ১৮৫ রানের বড় সংগ্রহ পায় রাজস্থান। ম্যাচে বাকি কাজ সারেন বোলাররা মিলে। 

জয়পুরে এদিন দিনের একমাত্র ম্যাচে টসে জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় দিল্লি। সেখানে আগে ব্যাট করতে নেমে ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৮৫ রান তোলে রাজস্থান। 

চ্যালেঞ্জিং সেই লক্ষ্য তাড়ায় শুরুতেই দিল্লিকে পেস তোপে ভোজ্ঞান নাদ্রে বার্গার। তবে ডেভিড ওয়ার্নার ও অধিনায়ক ঋষভ পন্তের জুটিতে জয়ের দিকেই এগোচ্ছিল দিল্লি। তবে দলীয় ১০৫ রানের মাথায় এই দুই বাঁহাতি ব্যাটার ফিরলে জয়ের পথ হয়ে পড়ে বেশ কঠিন। ৪৯ রান করে ফেরেন ওয়ার্নার। তবে হাল ছাড়েননি স্টাবস। লড়েছেন শেষ ওভার পর্যন্ত। তবে শেষ হাসি হাসে রাজস্থানই। ১৭৩ রানে থামে দিল্লির ইনিংস। রাজস্থানের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন বার্গার ও চাহাল। 

এর আগে ব্যাট করতে নেমে রাজস্থানের শুরুটাও ছিল ছন্দহীন। ৩৬ রানেই সাজঘরে দলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তিন ব্যাটার যশস্বী জয়সওয়াল, সঞ্জু স্যামসন ও জস বাটলার। সেখানে ধীরগতিতে এগিয়ে আগে চাপ সামাল দেন রিয়ান। শুরুর ২৬ বলে করেছিলেন ২৬ রান। পরে শেষ ১৯ বলে করেছেন ৫৮ রান। ৮৪ রানের এই বিধ্বংসী ইনিংসে ৭টি চার ও ৬টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন তিনি। এদিকে রিয়ানকে সঙ্গ দিয়ে ২৯ রানে ইনিংস খেলেন অশ্বিন। এবং শেষে এসে ধ্রুব জুরেলের ২০ রানের ক্যামিওতে ১৮৫ রানের লড়াকু পুঁজি পায় রাজস্থান। নান্দনিক এই ইনিংসের জবাবে ম্যাচসেরার খেতাবও জেতেন রিয়ান।

সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ

রাজস্থান রয়্যালসঃ ১৮৫/৫ (২০ ওভার) (রিয়ান ৮৪*, অশ্বিন ২৯; অক্ষর ১/২১, খলিল ১/২৪)

দিল্লি ক্যাপিটালসঃ ১৭৩/৫ (২০ ওভার) (ওয়ার্নার ৪৯, স্টাবস ৪৪*; চাহাল ২/১৯, বার্গার ২/২৯)

ফলঃ ১২ রানে জয়ী রাজস্থান

ম্যাচসেরাঃ রিয়ান পরাগ

;

‘অধিনায়ক’ শান্তকে নিয়ে যা বললেন সাকিব



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গত বছরের ভারত বিশ্বকাপের ঠিক আগে দেশের শীর্ষ সারির এক টিভি চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সাকিব বলেছিলেন, ঠিক বিশ্বকাপ পর্যন্তই নেতৃত্বে থাকবেন তিনি। এর একদিন পরেও না। শেষ পর্যন্ত হয়েছেও তাই। বিশ্বকাপের পরই ছেড়েছেন দায়িত্ব। পরে লঙ্কান সিরিজের আগে পূর্ণকালীন তিন ফরম্যাটের নতুন অধিনায়ক হন নাজমুল হোসেন শান্ত।

এদিকে নেতৃত্ব তো ছেড়েছেনই, গত বছরের ৬ নভেম্বর বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচেই চোট পান সাকিব। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত খেলেনি আন্তর্জাতিক কোনো ম্যাচে। সেখান থেকে সাড়ে চার মাসেরও বেশি সময় পর ফের লঙ্কানদের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়েই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ফিরতে চলেছেন সাকিব।

দ্বিতীয় টেস্টে নিয়ে নিজের ভাবনা, শান্তর অধিনায়কত্ব এসব নিয়ে আজ (বৃহস্পতিবার) রূপায়ণ সিটি উত্তরার সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন সাকিব। সেখানে শান্তর লম্বা পথ দেখছেন দেশসেরা এই অলরাউন্ডার।

শান্তর অধিনায়কত্বে আস্থা রাখছেন সাকিব। জানালেন সাপোর্ট পেলে নেতৃত্বে শান্ত হয়ে উঠবেন দারুণ একজন। তবে শান্তর অধিনায়কত্ব নিয়ে এখনই কোনো মন্তব্য করতে চান না সাকিব, ‘খুবই আর্লি স্টেজ (শান্তর অধিনায়কত্বে মন্তব্য করা)। আমি  নিশ্চিত বিসিবি ওকে (শান্ত) লম্বা সময়ের কথা ভেবেই নিয়েছে। ওর শুরুটা খুব ভালো হয়েছে। কিছু ফলাফল ওর পক্ষে এসেছে যেটা ওকে সাহায্য করবে সামনে এগিয়ে যেতে। সবার সমর্থন থাকলে শান্ত অসাধারণ একজন অধিনায়ক হবে।’

;