পাওয়ার প্লে’তে নায়ক পেসার শফিউল
সিরিজের শেষ ম্যাচে ভারতের পাওয়ার প্লে’র ইনিংসে সব ‘পাওয়ার’ দেখালেন বাংলাদেশের পেসার শফিউল ইসলাম। একাই ফেরালেন ভারতের দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও শিখর ধাওয়ানকে। শ্রেয়াশ আয়ারের উইকেটও থাকতে পারতো তার নামের পাশে। কিন্তু পয়েন্টে আয়ারের সেই ক্যাচ যে হাতে নিয়েও ফেলে দিলেন আমিনুল ইসলাম বিপ্লব।
৬ ওভার শেষে ভারতের স্কোর ৪১ রানে ২ উইকেট। দুটোই শফিউলের। শুরুর ৩ ওভারে ১ মেডেনসহ ১৯ রানে ২ উইকেট শফিউলের। একেই বলে ‘পাওয়ার বোলিং’!
দিল্লির টি-টোয়েন্টির মতো নাগপুরের ম্যাচেও বাংলাদেশকে শুরুতে এই সাফল্য এনে দিলেন শফিউল ইসলাম। রাজকোটে বাংলাদেশকে হারানো ম্যাচের সেরা তারকা ছিলেন ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা। দারুণ ফর্মে থাকা ভারত অধিনায়ককে শফিউল সিরিজের শেষ ম্যাচে ফেরালেন ২ রানে। অফস্ট্যাম্পের বাইরে পড়া শফিউলের ব্যাটে হালকা চালে শট খেলার চেষ্টা করেন রোহিত। বল তার ব্যাটের কানায় লেগে লেগস্ট্যাম্প ভেঙ্গে দেয়।
দলীয় ৩ রানে প্রথম উইকেট হারায় ভারত।
শফিউল তার প্রথম ওভারেই এই সাফল্য পান। তৃতীয় বলে রোহিতকে বোল্ড করেন। তার সেই ওভার থেকে ভারত কোনো রানই তুলতে পারেনি। মেডেন উইকেট পান শফিউল। সিরিজে এই প্রথম উভয় দলের পক্ষ থেকে কোনো বোলার ওভারে কোনো রান না দিয়ে উইকেট শিকারের কৃতিত্ব গড়লেন।
খানিকবাদে নিজের তৃতীয় ওভারে ফের সাফল্যের হাসি শফিউলের মুখে। ক্রমশ বিপদজনক হয়ে উঠা আরেক ওপেনার শিখর ধাওয়ানকেও আউট করেন শফিউল। লেগসাইডের বল ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে ক্যাচ তুলেন শিখর। বাউন্ডারি লাইনের সামনে দাঁড়িয়ে আত্মবিশ্বাসী কায়দায় ক্যাচ ধরেন মাহমুদউল্লাহ।
৩৫ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় ভারত।
শফিউলের সেই ওভারে আরেকটি সাফল্য থেকে বঞ্চিত হয় বাংলাদেশ। নতুন ব্যাটসম্যান শ্রেয়াশ আয়ার তার খেলা দ্বিতীয় বলেই ক্যাচ তুলেন। পয়েন্ট পজিশনে সহজ সেই ক্যাচটা আরো সহজ ভঙ্গিতে ফেলে দিলেন আমিনুল ইসলাম বিপ্লব! শূন্য রানে জীবন পান শ্রেয়াশ আয়ার।
পাওয়ার প্লে শেষে ভারতের স্কোর দাঁড়ায় ৪১ রানে ২ উইকেট। আমিনুল ক্যাচটা হাতে রাখতে পারলে উইকেটের সংখ্যাটা তিন হতো।
সিরিজের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ জিতেছিল ৭ উইকেটে। পরের ম্যাচে রাজকোটে ভারত জিতে সিরিজে সমতা আনে। নাগপুরে জয়ী দল সিরিজের ট্রফি নিয়ে উল্লাস করবে।