শুধু টসই জিতল বাংলাদেশ, প্রথম দিন ভারতের



আপন তারিক, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ইন্দোর (ভারত) থেকে
রোহিত শর্মার উইকেট নিয়ে যেন উড়ছেন আবু জায়েদ চৌধুরী, ছবি: সংগৃহীত

রোহিত শর্মার উইকেট নিয়ে যেন উড়ছেন আবু জায়েদ চৌধুরী, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সকালে মুমিনুল হকের সিদ্ধান্ত চমকে দিয়েছিল সুনীল গাভাস্কারকে! ভারতীয় এই কিংবদন্তি সমালোচনা না করলেও বাংলাদেশ অধিনায়ককে পরামর্শ দিয়েছিলেন, 'শুরুতে দারুণ সতর্ক থাকতে, কারণ বিরাট কোহলিদের পেস আক্রমণ দুর্দান্ত!

সতর্ক থাকেনি বাংলাদেশ। ভারতের পেস আক্রমণ সামাল দিতে আদৌ হোমওয়ার্ক ছিল কীনা সেই প্রশ্নটাও তো উঠল। বিশেষ করে টাইগার ব্যাটসম্যানদের আউট হওয়ার ধরন সেই আগেরই মতো। ইন্দোরের হোলকার স্টেডিয়ামের উইকেটে পেসারদের জন্য কতোটা কী ছিল সেটা পরের ব্যাপার। সত্য এটাই-বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি!

ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথম ম্যাচটা খেলতে নেমেই চাপে টাইগাররা। ইন্দোর টেস্টে দল ১ম ইনিংসে ১৫০ রানে অলআউট। এরপর টেস্টের প্রথম দিন শেষে বৃহস্পতিবার ভারত তুলেছে ১ উইকেট হারিয়ে ৮৬ রান! সফরকারীদের চেয়ে ৬৪ রানে পিছিয়ে তারা!

টস জয়ের সঙ্গে দিনে একটাই সাফল্য-রোহিত শর্মার উইকেট। তাকে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে দেননি আবু জায়েদ চৌধুরী। তার অফ স্টাম্পের বাইরে পিচ করা বলে জায়গায় দাঁড়িয়ে ড্রাইভ করতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন লিটন দাস। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজে জোড়া সেঞ্চুরি ও একটি ডাবল শতক হাঁকানো রোহিত ফেরেন ১৪ বলে ৬ রানে।

তারপর দিনের বাকিটা সময় কাটিয়ে দেন মায়াঙ্ক আগারওয়াল (৩৭) ও চেতেশ্বর পূজারা (৪৩)। এরমধ্যে অবশ্য আবু জায়েদের বলে আগারওয়ালকে স্লিপে প্রাণ দেন ইমরুল। সহজ ক্যাচ ফেলে দেন তিনি।

সকালে টস ভাগ্যটা মুমিনুলের সঙ্গে থাকলেও এরপর কোনো কিছুই আর পক্ষে ছিল তার। এদিনই নেতৃত্বে অভিষেক হলো এই ব্যাটসম্যানের। সাকিব আল হাসান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিষিদ্ধ হওয়ায় তাকে অধিনায়কত্ব দেয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। টেস্টে বাংলাদেশের ১১তম অধিনায়কের প্রথম দিনটা মোটেও মনে রাখার মতো হলো না।

ইন্দোরের উইকেটে মুমিনুলের সিদ্ধান্তটা যৌক্তিক করে তুলতে পারেননি কোনো ব্যাটসম্যানই। হোলকারের প্রেসবক্সে বসে ব্যর্থতার বিস্ময়কর প্রদর্শনী দেখতে হয়েছে! প্রথম সেশনে দল হারাল ৩ উইকেট। লাঞ্চের পর দ্বিতীয় সেশনে ৪ উইকেট। তারপর চা বিরতি থেকে এসেই বাকি তিন উইকেট তুলে নেয় ভারতীয় বোলাররা!

ইমরুলের বিদায়ে শুরু, এবাদত হোসেনের পতনে শেষ! মাঝে যা হলো কোনোটাই সুখকর কিছু নয়। শুধুই ব্যর্থতার সাতকাহন!

সকালে খেলা শুরু হতেই যেন ছটফট করছিলেন ইমরুল কায়েস। মনে হচ্ছিল উমেশ যাদবকে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে কখন ফিরবেন সাজঘরে, সেই তাড়া! উমেশের লাফিয়ে উঠা বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান ইমরুল। তার ব্যাটে ১৮ বলে ৬। দলের ১ উইকেটে ১২।

তারপর এই উইকেট পতনের এই মিছিল থেকে বের হতে পারেনি দল। চটজলদি ফিরে যান আরেক ওপেনার সাদমান ইসলাম। তিনি আরেক পেসার ইশান্ত শর্মার শিকার। জায়গায় দাঁড়িয়ে নবিসের মতো ড্রাইভ খেললে আর যাই হোক রেহাই মিলে না। বল সাদমানের ব্যাটের কানায় লেগে চলে যায় উইকেটকিপার ঋদ্ধিমান সাহার গ্লাভসে। তিনিও করেন ৬।

ক্যাচ ভাসিয়েও প্রাণে বেঁচে যান মুমিনুল। রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বলে কাট করতে গিয়ে টাইমিং মিস। বল তার ব্যাট ছুঁইয়ে চলে যায় স্লিপে। কিন্তু আজিঙ্কা রাহানে হাতে জমাতে পারেননি বল। ৩ রানে জীবন পেয়ে মনে হচ্ছিল বড় একটা ইনিংস খেলে ফেলবেন মুমিনুল। মোহাম্মদ শামির বলে মোহাম্মদ মিঠুন (১৩) ফিরে গেলেও অধিনায়ক লড়ে যাচ্ছিলেন।

প্রাণ পেয়ে ছিলেন জাতীয় দলের আরেক অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিমও। উমেশ যাদবের বলে স্লিপে ক্যাচ ভাসিয়ে ছিলেন তিনি। কিন্তু বিরাট কোহলি হাতে বল জমাতে পারেননি। তখন মুশির রান মাত্র ৩।

কিন্তু কী আশ্চর্য, জীবন পেয়েও মুমিনুল কিংবা মুশফিক কেউই কাজে লাগাতে পারলেন না! ব্যর্থ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ আর মেহেদী হাসান মিরাজও! মুশফিক আরও একবার প্রাণ পেয়ে ছিলেন। লাঞ্চের পর রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বলে ক্যাচ তুলে দেন স্লিপে। এবার আজিঙ্কা রাহানে মিস করায় রক্ষা।

হাফসেঞ্চুরির পথে থাকা মুমিনুলকে ফেরান রবিচন্দ্রন অশ্বিন। মুমিনুল হকের উইকেট ভেঙে দেন তিনি। বল টার্ন করবে ভেবে ছেড়ে দিতে গিয়ে সর্বনাশ। বল টার্ন করে ভেঙে দেয় অফ স্টাম্প। অধিনায়ক ফেরেন ৮০ বলে ৩৭ রানে। তার আগে মুশফিকের সঙ্গে গড়েন চতুর্থ উইকেটে ৬৮ রানের জুটি।

ম্যাচে ক্যাচ মিসের মহড়া দিয়েছে ভারতীয় ফিল্ডাররা। যার পথ ধরে মুশফিকের পর মাহমুদউল্লাহও জীবন পেয়ে ছিলেন। কিন্তু কোনো সুযোগই কাজে লাগেনি। বাজে শট খেলে ফেরেন মাহমুদউল্লাহ। দলকে ভয়াবহ চাপে ঠেলে দিয়ে সাজঘরে ফেরেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান। অশ্বিনের ডেলিভারিতে মাহমুদউল্লাহ স্টাম্পের বাইরে গিয়ে সুইপ করতে গিয়ে ভুল করে বসেন। বোল্ড! ১০ রানে সাজঘরে ফেরেন তিনি।

তারপর মুশফিকুর রহিমও পথ ধরেন প্যাভিলিয়নের। মোহাম্মদ শামির শিকার তিনি। ১০৫ বলে ৪৩ রান করে বোল্ড এই তারকা ক্রিকেটার। তারপর ক্রিজে নেই বোল্ড মেহেদী হাসান মিরাজ। গোল্ডেন ডাক! শামির বলে ডিফেন্স করতে গিয়ে মিস করলেন। রিভিউ না নিয়েই সাজঘরের পথ ধরেন তিনি। যদিও টেলিভিশন রিপ্লে বলছিল বল লেগ স্টাম্প মিস করতো!

চা বিরতির পর প্রথম বলেই উইকেট নেন ইশান্ত শর্মা। লিটন দাসকে ফুল লেংথ বলে বোকা বানিয়ে টাইগারদের আরও কোণঠাসা করে ফেলেন এই পেসার। ৩৪ বলে ২১ রান করে ফেরেন লিটন। তারপরের দুই ব্যাটসম্যান তাইজুল ইসলাম ও এবাদতও সিনিয়রদের অনুসরণ করে গেলেন!

শামি তুলে নেন ৩ উইকেট। দুটি করে শিকার উমেশ যাদব, অশ্বিন ও ইশান্ত শর্মার।

ইন্দোরের এই ম্যাচ দিয়েই বাংলাদেশের পথ চলা শুরু হলো আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ মানে টেস্ট খেলুড়ে ১০ দেশের মধ্যে (আফগানিস্তান ও আয়ারল্যান্ড এই লড়াইয়ে নেই) সেরা হওয়ার লড়াই। দু’বছর ধরে চলবে এ প্রতিযোগিতা। এই লড়াইয়ে পয়েন্টের শীর্ষে থাকা দলের হাতেই উঠবে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ট্রফি।

সংক্ষিপ্ত স্কোর-

বাংলাদেশ: ৫৮.৩ ওভারে ১৫০/১০ (সাদমান ৬, ইমরুল ৬, মুমিনুল ৩৭, মিঠুন ১৩, মুশফিক ৪৩, মাহমুদউল্লাহ ১০, লিটন ২১, মিরাজ ০, তাইজুল ১, আবু জায়েদ , ইবাদত; ইশান্ত ২/২০, উমেশ ২/৪৭, শামি ৩/২৭ ও অশ্বিন ২/৪৩)।

ভারত: ২৬ ওভারে ৮৬/১ (মায়াঙ্ক ৩৭, পূজারা ৪৩, রোহিত ৬; আবু জায়েদ ১/২১।

#প্রথম দিন শেষে

   

রিয়ান ঝড়ের পর নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে রাজস্থানের জয় 



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

২০ বলে জয়ের জন্য তখন ৫৩ রান দরকার দিল্লি ক্যাপিটালসের। সেখানে জয়ের পাল্লা রাজস্থান রয়্যালসেরই ভারী ছিল। তবে এক ট্রিস্টান স্টাবসে চড়ে জয়ের স্বপ্ন বুনছিল রাজধানীর দলটি। এই প্রোটিয়া ব্যাটারের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ের বিপরীতে শেষ দিকে এসে রাজস্থানের পেসাররা দেখান নৈপুণ্য। এতেই শেষ পর্যন্ত ১২ রানের জয় পায় সঞ্জু স্যামসনের দল। 

এদিকে রাজস্থানের টানা দ্বিতীয় জয়ে এদিন ব্যাট হাতে বড় অবদান ছিল রিয়ান পরাগের। আইপিএলের ২০১৯ সালের আসরে অভিষেক পরাগের। সেই আসর থেকেই রাজস্থানের হয়ে খেলেন তিনি। নিয়মিত জায়গাও পান একাদশে। তবে পারফর্ম যেন একেবারেই শূন্যের কাতারে। এই আসরের আগে মোট ৫৪ ম্যাচে স্রেফ ৬০০ রান করেছিলেন এই ডানহাতি ব্যাটার। সেখানে দুটি ফিফটির মারে সর্বোচ্চ ইনিংস ছিল ৫৬ রানের। এমন বাজে পারফর্মে বেশ সমালোচিতও হচ্ছিলেন তিনি। যেন এন্টারটেইনমেন্টের জন্যই থাকেন দলে। তবে সেসব সমালোচনাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ২০২৪ সালে যেন দেখা মিলল নতুন রিয়ানের। আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে করেন ৪৩ রান। পরে আজকের দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে খেলেন ক্যারিয়ার সেরা অপরাজিত ৮৪ রানের বিধ্বংসী ইনিংস। এতেই ১৮৫ রানের বড় সংগ্রহ পায় রাজস্থান। ম্যাচে বাকি কাজ সারেন বোলাররা মিলে। 

জয়পুরে এদিন দিনের একমাত্র ম্যাচে টসে জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় দিল্লি। সেখানে আগে ব্যাট করতে নেমে ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৮৫ রান তোলে রাজস্থান। 

চ্যালেঞ্জিং সেই লক্ষ্য তাড়ায় শুরুতেই দিল্লিকে পেস তোপে ভোজ্ঞান নাদ্রে বার্গার। তবে ডেভিড ওয়ার্নার ও অধিনায়ক ঋষভ পন্তের জুটিতে জয়ের দিকেই এগোচ্ছিল দিল্লি। তবে দলীয় ১০৫ রানের মাথায় এই দুই বাঁহাতি ব্যাটার ফিরলে জয়ের পথ হয়ে পড়ে বেশ কঠিন। ৪৯ রান করে ফেরেন ওয়ার্নার। তবে হাল ছাড়েননি স্টাবস। লড়েছেন শেষ ওভার পর্যন্ত। তবে শেষ হাসি হাসে রাজস্থানই। ১৭৩ রানে থামে দিল্লির ইনিংস। রাজস্থানের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন বার্গার ও চাহাল। 

এর আগে ব্যাট করতে নেমে রাজস্থানের শুরুটাও ছিল ছন্দহীন। ৩৬ রানেই সাজঘরে দলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তিন ব্যাটার যশস্বী জয়সওয়াল, সঞ্জু স্যামসন ও জস বাটলার। সেখানে ধীরগতিতে এগিয়ে আগে চাপ সামাল দেন রিয়ান। শুরুর ২৬ বলে করেছিলেন ২৬ রান। পরে শেষ ১৯ বলে করেছেন ৫৮ রান। ৮৪ রানের এই বিধ্বংসী ইনিংসে ৭টি চার ও ৬টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন তিনি। এদিকে রিয়ানকে সঙ্গ দিয়ে ২৯ রানে ইনিংস খেলেন অশ্বিন। এবং শেষে এসে ধ্রুব জুরেলের ২০ রানের ক্যামিওতে ১৮৫ রানের লড়াকু পুঁজি পায় রাজস্থান। নান্দনিক এই ইনিংসের জবাবে ম্যাচসেরার খেতাবও জেতেন রিয়ান।

সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ

রাজস্থান রয়্যালসঃ ১৮৫/৫ (২০ ওভার) (রিয়ান ৮৪*, অশ্বিন ২৯; অক্ষর ১/২১, খলিল ১/২৪)

দিল্লি ক্যাপিটালসঃ ১৭৩/৫ (২০ ওভার) (ওয়ার্নার ৪৯, স্টাবস ৪৪*; চাহাল ২/১৯, বার্গার ২/২৯)

ফলঃ ১২ রানে জয়ী রাজস্থান

ম্যাচসেরাঃ রিয়ান পরাগ

;

‘অধিনায়ক’ শান্তকে নিয়ে যা বললেন সাকিব



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গত বছরের ভারত বিশ্বকাপের ঠিক আগে দেশের শীর্ষ সারির এক টিভি চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সাকিব বলেছিলেন, ঠিক বিশ্বকাপ পর্যন্তই নেতৃত্বে থাকবেন তিনি। এর একদিন পরেও না। শেষ পর্যন্ত হয়েছেও তাই। বিশ্বকাপের পরই ছেড়েছেন দায়িত্ব। পরে লঙ্কান সিরিজের আগে পূর্ণকালীন তিন ফরম্যাটের নতুন অধিনায়ক হন নাজমুল হোসেন শান্ত।

এদিকে নেতৃত্ব তো ছেড়েছেনই, গত বছরের ৬ নভেম্বর বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচেই চোট পান সাকিব। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত খেলেনি আন্তর্জাতিক কোনো ম্যাচে। সেখান থেকে সাড়ে চার মাসেরও বেশি সময় পর ফের লঙ্কানদের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়েই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ফিরতে চলেছেন সাকিব।

দ্বিতীয় টেস্টে নিয়ে নিজের ভাবনা, শান্তর অধিনায়কত্ব এসব নিয়ে আজ (বৃহস্পতিবার) রূপায়ণ সিটি উত্তরার সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন সাকিব। সেখানে শান্তর লম্বা পথ দেখছেন দেশসেরা এই অলরাউন্ডার।

শান্তর অধিনায়কত্বে আস্থা রাখছেন সাকিব। জানালেন সাপোর্ট পেলে নেতৃত্বে শান্ত হয়ে উঠবেন দারুণ একজন। তবে শান্তর অধিনায়কত্ব নিয়ে এখনই কোনো মন্তব্য করতে চান না সাকিব, ‘খুবই আর্লি স্টেজ (শান্তর অধিনায়কত্বে মন্তব্য করা)। আমি  নিশ্চিত বিসিবি ওকে (শান্ত) লম্বা সময়ের কথা ভেবেই নিয়েছে। ওর শুরুটা খুব ভালো হয়েছে। কিছু ফলাফল ওর পক্ষে এসেছে যেটা ওকে সাহায্য করবে সামনে এগিয়ে যেতে। সবার সমর্থন থাকলে শান্ত অসাধারণ একজন অধিনায়ক হবে।’

;

শামীমের ব্যাটে রূপগঞ্জের হাসি, ৫ উইকেট নিয়েও মলিন রিশাদের মুখ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

টানা চার জয়ের পর মোহামেডানের কাছে হেরে ছন্দপতন হয়েছিল লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের। তবে সে হার ভুলে আবার জয়ের ধারায় ফিরেছে রূপগঞ্জ। শামিম পাটোয়ারি এবং তৌফিক খান তুষারের জোড়া ফিফটিতে পারটেক্সকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে তারা।

ফতুল্লার খানসাহেব ওসমান আলি স্টেডিয়ামে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন পারটেক্স অধিনায়ক মিজানুর রহমান। কিন্তু অধিনায়ক বাদে দলটির অন্য কেউ সে সিদ্ধান্তের মান রাখতে পারেননি। দলীয় সর্বোচ্চ ৮৮ রানের ইনিংস খেলে মিজান নিজেই যা দলের স্কোরকে ভদ্রস্থ করার চেষ্টা করেছেন। তার ৮৮ রানের ইনিংসে চড়ে ৪৭.২ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে ১৯১ রান পর্যন্ত পৌঁছে।

রূপগঞ্জের পক্ষে সর্বোচ্চ তিনটি করে উইকেট নেন শহিদুল ইসলাম এবং শুভাগত হোম। মাশরাফি ৯ ওভার বল করে ৩০ রান দিলেও কোনো উইকেট পাননি।

তবে রূপগঞ্জের দুই ব্যাটার শামিম এবং তুষারের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ২৫.৩ ওভারেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় রূপগঞ্জ। ওপেনার তুষারের ব্যাটে আসে ৮৩ রান। আর ৪৩ বলে ৬ চার এবং ৮ ছক্কায় ৮৬ রানের হার না মানা ইনিংস খেল দলকে জয় এনে দেন ম্যাচসেরা শামিম।

এদিকে ৫ উইকেট নিয়েও শাইনপুকুরকে জেতাতে পারেননি স্পিনার রিশাদ হোসেন। টানা দ্বিতীয় জয় তুলে নেয়ার পথে শাইনপুকুরকে ২৬ রানে হারিয়ে ব্রাদার্স ইউনিয়ন। দিনের অপর ম্যাচে বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে সিটি ক্লাবকে ৩৮ রানে হারিয়ে টুর্নামেন্টে প্রথম জয়ের দেখা পেয়েছে গাজী টায়ার্স।

;

‘লঙ্কানদের বিপক্ষে টেস্ট জেতা উচিৎ বাংলাদেশের’



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেট টেস্টে ৩২৮ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। এতে ১-০ তে পিছিয়ে স্বাগতিকরা। বড় হারের সে স্মৃতিকে পেছনে রেখে বাংলাদেশের সামনে এখন আরেকটি টেস্টের চ্যালেঞ্জ। চট্টগ্রামে লঙ্কানদের ধরাশায়ী সিরিজে সমতা ফেরাতে মরিয়া বাংলাদেশ, তাতে সিরিজ হার এড়ানোর পাশাপাশি প্রথম টেস্টে বড় হারের কষ্টও কিছুটা লাঘব হতে পারে।

গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচের আগে হেড কোচ চণ্ডিকা হাথুরুসিংহে ‘ব্যক্তিগত কারণে’ অস্ট্রেলিয়া গেছেন। কোচ না থাকায় কিছুটা ক্ষতির মুখে পড়বে বাংলাদেশ। তবে দল এবং একইসঙ্গে সমর্থকদের জন্য সুখবর, টেস্ট সিরিজে খেলার কথা না থাকলেও দ্বিতীয় টেস্ট দিয়ে দলে ফিরেছেন সাকিব আল হাসান। 

দলে ফিরেই সাকিব জানালেন, লঙ্কানদের বিপক্ষে টেস্ট জেতা উচিত বাংলাদেশের। টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডেতে ভালো ক্রিকেট খেলার পর এমনটাই চাইছেন সাকিব, ‘আশা তো সব সময় করি আমরা জিতব। কিন্তু টেস্ট ক্রিকেটে সব সময়ই আমরা স্ট্রাগল করেছি, আমাদের জন্য ডিফিকাল্ট। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি, আমাদের শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অনেক ভালো করা উচিত এবং টেস্ট ম্যাচ জেতা উচিত।’

অনভিজ্ঞ একটা দল নিয়ে টেস্ট ক্রিকেটের অথৈ সাগরে হাবুডুবু খেতে থাকা বাংলাদেশ দলের জন্য সাকিবের প্রত্যাবর্তন অনেক আনন্দের সংবাদ। প্রথম টেস্ট শেষে অধিনায়ক শান্ত সংবাদ সম্মেলনে সেটাই বলেছিলেন, ‘সাকিব ভাইয়ের অভিজ্ঞতা আমাদের কাজে লাগবে।’

;