ভারতের রান উৎসব, চেয়ে শুধু দেখল বাংলাদেশ!



আপন তারিক, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ইন্দোর (ভারত) থেকে
বোলিংয়ে আবু জায়েদ, ছবি: সংগৃহীত

বোলিংয়ে আবু জায়েদ, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সকাল নাকি বলে দেয় দিনটা কেমন যাবে। ইন্দোরের হোলকার স্টেডিয়ামে দিনের শুরুটা তো ছিল বাংলাদেশেরই। আবু জায়েদ রাহির দুর্দান্ত বোলিংয়ে ইঙ্গিত ছিল লড়াইয়ে ফেরার। চেতেশ্বর পূজারা-বিরাট কোহলিকে দ্রুত ফিরতেই প্রাণ ফিরে এসেছিল ম্যাচে। কিন্তু মধ্য প্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের মাঠে সূর্যের আলো যতো বাড়ছিল, ততোই যেন ফিকে হচ্ছিল টাইগারদের সম্ভাবনা!

আগের দিন মাত্র ১৫০ রানে অলআউটের পর পিছিয়ে পড়েছিল লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। এরপর শুক্রবার টেস্টের দ্বিতীয় দিনে যোগ হয়েছে ভারতের রান পাহাড়ের চাপ!

আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে অভিষেকটা দুঃস্বপ্নের মতো হতে যাচ্ছে সফরকারীদের। ইন্দোর টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষেও স্পষ্ট দাপট কোহলিদের। ৬ উইকেটে ৪৯৩ রান তুলে নিয়েছে তারা। এরইমধ্যে ১ম ইনিংসে লিড ৩৪৩ রানের। স্বাগতিকরা হয়তো দ্বিতীয় ইনিংসে আর নামতে চাইছে না। দিনভর ভারতের রান উৎসব, শুধুই চেয়ে দেখল বাংলাদেশ! একদিনে ৪০৭ রান!

অবশ্য ক্যাচ মিসের মহড়া দিলে তো এমনই হবে। যার হাত ধরে ভারত পা রেখেছে রান পাহাড়ে সেই মায়াঙ্ক আগারওয়াল প্রাণ পেয়েছেন একাধিকবার। বৃহস্পতিবার বিকেলে ৩২ রানেই ফিরতে পারতেন তিনি। কিন্তু তার তুলে দেওয়া সহজ ক্যাচ ফেলে দেন ইমরুল কায়েস। এরপর শনিবার সকালে তিনি যখন ৮২ রানে, তখন আম্পায়ার আউট দিলেও রিভিউ বাঁচিয়ে দেয় তাকে।

সেই ধাক্কা সামলে অষ্টম টেস্ট খেলতে নামা মায়াঙ্ক তুলে নেন তার তৃতীয় সেঞ্চুরি। এরমধ্যে তিনটি শতক পেয়েছে তার সবশেষ ৫ ইনিংসে!

এরপর সেই শতকটাকেই ডাবল বানিয়ে ফেলেন মায়াঙ্ক। মেহেদি মিরাজকে ছক্কা হাঁকিয়ে তুলে নেন টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি। এমন দাপুটে শতরান দেখে হাততালিতে বাহাবা দিতে বাধ্য হলেন মুশফিক-ইমরুল কায়েসরা! কে বলবে ক্যারিয়ারের অষ্টম টেস্ট ম্যাচটি খেলতে নেমেছেন তিনি?

টেস্টে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতের একমাত্র ডাবল সেঞ্চুরিয়ান ছিলেন বিরাট কোহলি। ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে তার ব্যাট থেকে আসে ২০৪। এবার তাকেও ছাড়িয়ে গেলেন মায়াঙ্ক। তবে টপকাতে পারলেন না শচীন টেন্ডুলকারকে। বাংলাদেশের বিপক্ষে ভারতের সর্বােচ্চ সংগ্রাহক এখনো সেই মাস্টার ব্যাটসম্যানই। যিনি ২০০৪ সালে ঢাকায় করেন ২৪৮ রান।

তার আগে সকালটা ছিল টাইগার পেসার আবু জায়েদ চৌধুরী রাহির। চেতেশ্বর পূজারাকে ফুল লেংথ বলে বোকা বানালেন তিনি। জায়গায় দাঁড়িয়ে ড্রাইভ করতে গিয়ে সুইং বলে ব্যাটে ঠিকঠাক লাগল না। বল ওয়াইড স্লিপে দাঁড়িয়ে মুঠোবন্দী করেন বদলী ফিল্ডার সাঈফ হাসান।

সকালে এই রাহির বলেই ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন পূজারা। কিন্তু হাতে জমাতে পারেননি মেহেদী হাসান মিরাজ। মজার ব্যাপার হলো তার বদলি হিসেবে নেমে সাঈফ ক্যাচ ধরতে ভুল করলেন না। পূজারা ফেরেন ৭২ বলে ৫৪ রানে। তার আগে মায়াঙ্কের সঙ্গে গড়েন ৯১ রানের জুটি।

এরপর লাঞ্চের আগেই ভারতের সবচেয়ে বড় উইকেটটিই তুলে নেন আবু জায়েদ। ফিরিয়ে দেন বিরাট কোহলিকে। তার লেংথ বল ব্যাট ফাঁকি দিয়ে আঘাত হানে পেছনের পায়ে। যদিও বাংলাদেশের ফিল্ডারদের আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার। পরে রিভিউতে স্পষ্ট দেখা যায়- ইম্প্যাক্ট লাইনে ছিল। আর বল লাগতো লেগ স্টাম্পে।

কোহলি আউট শূন্য রানে। বাংলাদেশের বিপক্ষে ২০ আন্তর্জাতিক ম্যাচে এবারই প্রথম কোনো রান না করেই ফিরলেন তিনি। আর সবমিলিয়ে টেস্টে দশমবারের মতো ফিরলেন কোনো রান না করেই।

ইন্দোর টেস্টের দ্বিতীয় দিনে বাংলাদেশের সাফল্যের গল্প এখানেই শেষ। বোলাররা বল করেছেন, আর ফিল্ডারদের বল কুড়িয়ে কেটেছে সময়। চলেছে ভারতীয় ব্যাটসম্যান মায়াঙ্ক ও রাহানের দাপট। এদিনই একটা মাইলফলকের দেখাও পেয়ে যান রাহানে। ভারতের সহ-অধিনায়ক চার হাজারি ক্লাবে নাম লেখালেন। ব্যক্তিগত ২৫ রান হতেই ৬২ টেস্টে ১০৪ ইনিংসে পূর্ণ হয় তার চার হাজার রান।

মনে হচ্ছিল ইন্দোরে গ্যালারিতে হাজির দর্শকদের আনন্দে ভাসিয়ে সেঞ্চুরিটাও তুলে নেবেন রাহানে। মায়াঙ্কের সঙ্গে তার জুটিটাও বেশ জমে উঠেছিল। টাইগার বোলারদের যেন শুধুই বল করে যাওয়া ছাড়া কিছুই করার ছিল না! ঠিক এমনই এক দৃশ্যপটে ফের আবু জায়েদের আঘাত। সিলেটের এই বোলার বুঝিয়ে দিলেন এই উইকেটে আরেকজন পেসার নিয়ে খেলতেই পারতো দল। তাতে অন্তত কিছুটা বিশ্রাম পেতেন তিনি।

১৭২ বলে ৯টি চারে ৮৬ রান করা রাহানেকে ফেরান আবু জায়েদ। তার আগে মায়াঙ্কের সঙ্গে মিলে ভারতীয় সহ-অধিনায়ক জমা করেন ১৯০ রান। চতুর্থ উইকেট জুটির কাছেই যেন পিছিয়ে পড়ে দল! মজার ব্যাপার হলো- এর আগেও টাইগারদের বিপক্ষে সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়ে ফিরেছিলেন সাজঘরে। একবার ৯৮ রানে আবার ফেরেন ৮২-তে!

সঙ্গী হারালেও দারুণ দাপট ছিল আগাওয়ালের। ক্যারিয়ারের সেরা ইনিংস গড়েই থামেন তিনি। মিরাজের বলে আউট হওয়ার আগে খেলেন ৩৩০ বলে ২৪৩ রানের দেখার মতো এক ইনিংস। রবিন্দ্র জাদেজার সঙ্গে পঞ্চম উইকেট জুটিতে তুলেন ১২৩ রান। শেষ বেলায় উমেশ যাদব-জাদেজার টি-টোয়েন্টি স্টাইলে খেলে রান বাড়িয়ে নেন। জাদেজা ৭৬ বলে ৬০ ও উমেশ ১০ বলে ২৫ রান নিয়ে মাঠ ছাড়েন।

অধিনায়ক মুমিনুলের নেতৃত্বের দ্বিতীয় দিনটাও ভালো কাটল না। অবশ্য তিনি নিজেও তেমন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করলেন কোথায়? দিনভর দুই পেসার আর দুই স্পিনারকেই একটানা বল করিয়ে গেলেন। অনিয়মিত বোলারের দ্বারস্থ হলেন শেষ বিকেলে। রাহি, এবাদত হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ ও তাইজুলের বাইরে কাউকে ভাবতে ভাবতেই দিন প্রায় শেষ! যদিও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ৩ ওভার বল করলেও সাফল্য পাননি।

এরমধ্যে আবু জায়েদ রাহি দুর্দান্ত বল করে আক্ষেপটাই বাড়ালেন। নিশ্চিত করেই এই টেস্টে আরও একজন পেসার বাড়তি নিয়ে খেলতে পারতো। রাহি একাই নিয়েছেন ৪ উইকেট।

ইন্দোর টেস্টের ভবিষ্যৎটা দিনের আলোর মতো স্পষ্ট। ভারত জয়ের সুবাস পেতে শুরু করেছে। কে জানে, তৃতীয় দিনেই না আবার ১-০ তে এগিয়ে যায় বিরাট কোহলির দল!

সংক্ষিপ্ত স্কোর:-

বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ১৫০/১০।

ভারত ১ম ইনিংস: ১১৪ ওভারে ৪৯৩/৬ (মায়াঙ্ক ২৪৩, রোহিত ৬, পূজারা ৫৪, কোহলি ০, রাহানে ৮৬, জাদেজা ৬০*, ঋদ্ধিমান ১২, উমেশ ২৫*; ইবাদত ১/১১৫, আবু জায়েদ ৪/১০৮ ও মিরাজ ১/১২৫)।

   

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দেখাবে টফি



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আগামী দুই বছর আইসিসি আয়োজিত সব টুর্নামেন্ট ডিজিটাল মাধ্যমে বাংলাদেশে সম্প্রচারের স্বত্ব পেয়েছে মোবাইল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বাংলালিংকের স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম টফি। চলতি বছরের জুনে শুরু হতে যাওয়া ছেলেদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দিয়ে শুরু হবে তাদের আইসিসি ইভেন্ট সম্প্রচার।

জানা গেছে, টোটাল স্পোর্টস ম্যানেজমেন্টের (টিএসএম) সঙ্গে কৌশলগত চুক্তির মাধ্যমে টফি ২০২৫ সাল পর্যন্ত আইসিসি ইভেন্টে পুরুষদের ৭১টি ও নারীদের ৯৫টি ম্যাচ সম্প্রচারের স্বত্ব পেয়েছে।

এই সময়ের মধ্যে আইসিসি পুরুষ ও নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২৪, আইসিসি পুরুষ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫ সহ আরও কিছু টুর্নামেন্টের খেলা সরাসরি সম্প্রচার করবে টফি। সাবস্ক্রিপশন ফি দিয়ে দর্শকরা খেলা টফির অ্যাপে খেলা উপভোগ করতে পারবেন।

গত মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) ঢাকার একটি পাঁচ তারকা হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলালিংক ও টফির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই ঘোষণা দেন।

;

বাংলাদেশ সফরের জিম্বাবুয়ে দলে অ্যালিস্টার ক্যাম্পবেলের ছেলে  



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটকে বিশ্ব দরবারে পরিচয় করা অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার, গ্রান্ট ফ্লাওয়াদের নাম সবচেয়ে বেশি এলেও সেই তালিকায় আরও এক নাম অ্যালিস্টার ক্যাম্পবেল। ৯০-এর দশকে জিমাম্বুয়ে ক্রিকেট মাতিয়েচেন তারাই। সেই দলের ক্যাম্পবেলের ছেলেও আসতে চলেছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। আসন্ন বাংলাদেশ সফরে প্রথমবারের মতো জিম্বাবুয়ের দলে ডাক পেলেন জোনাথন ক্যাম্পবেল। 

পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজটিকে সামনে রেখে আজ (বুধবার) ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করলো জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট। সেই দলের একমাত্র আনক্যাপড ক্রিকেটার জোনাথনই। নেতৃত্বে থাকছেন দলটির সময়ের অন্যতম তারকা ক্রিকেটার সিকান্দার রাজা এবং এই সিরিজে কোচের ভূমিকায় থাকবেন স্টুয়ার্ট মাতসিকেনিয়েরি।

সবশেষ শ্রীলঙ্কা সফরের দল থেকে ১২ জনের মিলেছে এই দলে জায়গা। এছাড়া দলে ফিরেছেন তাদিওয়ানাশে মারুমনি এবং ফারাজ আকরাম। সিকান্দার রাজা, শন উইলিয়ামস, ক্রেইগ আরভিন, ব্লেসিং মুজারাবানিদের মিলিয়ে বেশ অভিজ্ঞ দল নিয়েই শান্ত-হৃদয়দের বিপক্ষে খেলতে আসছে জিম্বাবুয়ে। 

এদিকে জোনাথন ছিলেন সবশেষ আফ্রিকান গেমসে সোনাজয়ী জিম্বাবুয়ে ইমার্জিং দলে। সেখান থেকেই বিবেচিত হলেন জাতীয় দলে। টপ-অর্ডার ব্যাটার ছাড়াও নিয়মিত লেগ স্পিনার হিসেবেও কার্যকরী এই ২৬ বছর বয়সী ক্রিকেটার। 

আগামী ৩ মে শুরু হবে সিরিজের প্রথম ম্যাচটি। সেই ম্যাচ সহ সিরিজের পরের দুই ম্যাচ যথাক্রমে ৫ ও ৭ মে অনুষ্ঠিত হবে চট্টগ্রামে। সিরিজের সেই দুই ম্যাচ মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে, ১০ ও ১২ মে। 

বাংলাদেশ সফরের জিম্বাবুয়ে দল: সিকান্দার রাজা (অধিনায়ক), ফারাজ আকরাম, বেনেট ব্রায়ান, রায়ান বার্ল, জোনাথন ক্যাম্পবেল, ক্রেইগ আরভিন, জয়লর্ড গাম্বি, লুক জংওয়ে, ক্লাইভ মাদান্দে, তাদিওয়ানাশে মারুমানি, ওয়েলিংটন মাসাকাদজা, ব্লেসিং মুজারাবানি, আইনস্লে এন্ডলোভু, রিচার্ড এনগারাভা, শন উইলিয়ামস। 

;

হাল ছেড়ে দেয়ার আক্ষেপ পচেত্তিনোর



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রিমিয়ার লিগের তথাকথিত ‘বিগ সিক্স’-এর দুই দলের খেলা। যদিও ফর্ম আর ক্লাবের বর্তমান পারিপার্শ্বিকতার দিক দিয়ে আর্সেনাল-চেলসি এখন দুই মেরুতে। আর্সেনাল যেখানে লিগ শিরোপার দৌড়ে ম্যানচেস্টার সিটি আর লিভারপুলকে টক্কর করে দিচ্ছে, সেখানে চেলসি কোনো মতে লিগ টেবিলের প্রথমভাগে থাকার চেষ্টা করছে। গত রাতে লিগে এই দুই দলের খেলায় চেলসিকে ৫-০ গোল ধসিয়ে দিয়েছে আর্সেনাল।

খেলোয়াড়রা দ্বিতীয়ার্ধে হাল ছেড়ে দিয়েছেন বলে ম্যাচশেষে আক্ষেপ করেছেন চেলসি কোচ মরিসিও পচেত্তিনো, ‘আমরা মাঝবিরতিতে কথা বলেছিলাম যে, এমন ম্যাচ আমরা এভাবে শুরু করতে পারি না। দ্বিতীয়ার্ধে আমরা আবার বাজেভাবে শুরু করি। দুই গোল হজম করার পর দলের সবাই হাল ছেড়ে দেয়। এরপর তো আমরা ম্যাচেই ছিলাম না।’

আর্সেনালের সামনে এমন অসহায় আত্মসমর্পণে খেলোয়াড়দের চারিত্রিক দৃঢ়তা নিয়ে তার মনে প্রশ্ন জেগেছে কিনা এমন কথা নাকচ করে দিয়ে পচেত্তিনো বলেন, ‘না, এটা আসলে চারিত্রিক দৃঢ়তার বিষয় না। আমি ফুটবল খেলেছি, অনেক বড় বড় খেলোয়াড়দের সঙ্গে খেলার সময় এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছি। আমি ম্যারাডোনা, বাতিস্তুতা, রোনালদিনহোদের সঙ্গে খেলেছি। মৌসুমের কোনো এক সময় যখন এমন কিছু হয়, তখন এই বড় মাপের খেলোয়াড়রাও হাল ছেড়ে দেয়।’

তবে মৌসুমের এই পর্যায়ে এসে চেলসির জন্য এমন হাল ছেড়ে দেয়ার মানে সমূহ বিপর্যয়। আর্সেনালের কাছে বড় হারের পর চেলসির পয়েন্ট এখন ৩২ ম্যাচে ৪৭, পয়েন্ট টেবিলে অবস্থান নবম। আগামী মৌসুমে অন্তত ইউরোপা কনফারেন্স লিগে খেলতে হলেও তাদের পেছনে ফেলতে হবে সাতে থাকা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড এবং আটে থাকা ওয়েস্ট হ্যাম ইউনাইটেডকে। ৩৪ ম্যাচ খেলা ওয়েস্ট হ্যামের পয়েন্ট এখন ৪৮ আর চেলসির সমান ৩২ ম্যাচ খেলে ম্যান ইউনাইটেডের প্রাপ্তি ৫০ পয়েন্ট।

;

শুভ জন্মদিন ‘লিটল মাস্টার ব্লাস্টার’



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শচীন রমেশ টেন্ডুলকার, যিনি শুধুমাত্র একজন ক্রিকেটারই নন, বরং প্রজন্মের পর প্রজন্মের জন্য একজন অনুপ্রেরণা। বিশ্বজুড়ে কত খেলোয়াড় যে শচীনের খেলা দেখে এবং শচীনের খেলার ধরণকে অনুসরণ করেই ক্রিকেটকে ভালোবেসেছেন তার হিসেব বের করা দুষ্কর।

ক্রিকেট খেলাটাকে যারা পছন্দ করেন তারা শচীনকেও পছন্দ করেন বা ভালোবাসেন। বিশ্বের বেশিরভাগ খেলোয়াড়েরই ভক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষীর পাশাপাশি ‘হেটার’ থাকলেও শচীনকে অপছন্দ করে এমন কাউকে আপনি খুঁজে পাবেন না।

ভারতীয়দের কাছে শচীন টেন্ডুলকার একজন দেবতা সমতুল্য। ভারতীয়রা ক্রিকেট খেলাটাকে যেভাবে মনেপ্রাণের সঙ্গে মিশিয়ে রেখেছেন, ঠিক তার পাশাপাশি শচীনের জন্যও তাদের হৃদয়ে একটি বিশেষ জায়গা আছে। তাই তো ভারতীয় ক্রিকেট দলের কথা শুনলে বা ভাবলেই তাদের মাথায় সর্বপ্রথমেই ভেসে ওঠে শচীনের ছবি।

বর্ণিল ক্রিকেট ক্যারিয়ারে ব্যাট হাতে কতশত রেকর্ড যে শচীন নিজের নামে করেছেন তার সঠিক হিসেব হয়ত তিনি নিজেও জানেন না। ২০১১ সালে নিজ দেশ ভারতের মাটিতে বিশ্বকাপের শিরোপাটি হাতে তুলে নিয়ে ক্যারিয়ারকে দিয়েছেন পূর্ণতা, নিজেকে নিয়ে গেছেন অনন্য এক উচ্চতায়।

আজ ২৪শে এপ্রিল শচীনের জন্মদিন। হাফ সেঞ্চুরি পেরিয়ে ৫১তে পা রাখলেন সাবেক ভারতীয় এই তারকা ক্রিকেটার। সর্বকালের সেরা ক্রিকেটারের মধ্যে একজনের জন্মদিন আজ, খুব স্বাভাবিকভাবেই সোশ্যাল মিডিয়া যেন ভেসে যাচ্ছে শচীনময় পোস্টে। জন্মদিনের উইশ করে তাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন দেশি-বিদেশি একাধিক ক্রিকেটার এবং ক্রীড়া জগতের মানুষেরা।

চলমান আইপিএলের প্রায় সব ফ্র্যাঞ্চাইজির অফিশিয়াল পেজ ও প্রোফাইল থেকেই তাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে পোস্ট। এছাড়াও ভারত জাতীয় দলের পেজ ছাড়াও অন্যান্য দেশের বিভিন্ন পেজেও তার ছবি শেয়ার জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে তাকে।

শুভেচ্ছা জানানোর এই তালিকা থেকে বাদ পড়েননি শচীনের সতীর্থরাও। তার সঙ্গে একই স্কোয়াডে বিশ্বকাপ খেলা যুবরাজ সিং লিখেছেন, ‘শুভ জন্মদিন ক্রিকেট ঈশ্বর! মাঠে বোলারদের নাস্তানাবুদ করা থেকে শুরু করে জীবনের প্রতিটি ধাপের সকল অর্জন, আপনার থেকেই শিখেছি জীবনের লক্ষ্য কিভাবে আরও উচ্চতায় নিতে হয়। অনেক অনেক ভালোবাসা!’

আরেক সাবেক ভারতীয় ব্যাটার সুরেশ রাইনা বলেছেন, ‘আপনার বর্ণিল ক্যারিয়ার লক্ষ লক্ষ মানুষকে অনুপ্রাণিত করেছে, মাঠে এবং মাঠের বাইরে উভয় ক্ষেত্রেই আপনি আদর্শ। আপনার স্বাস্থ্য, জীবন যেন সুন্দর-সুখের হয় এবং আপনার কভার ড্রাইভের মতোই যেন দুর্দান্ত একটি বছর আপনার কাটুক এই কামনা করছি!’

তার সঙ্গে খেলার সুযোগ না হলেও তাকে আদর্শ মানেন বর্তমান প্রজন্মের ভারতীয় ক্রিকেটাররাও। যার যার সোশ্যাল মিডিয়ায় শচীনকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে পোস্ট দিয়েছেন শুবমান গিল, বিরাট কোহলি সহ আরও অনেক ভারতীয় ক্রিকেটার। এছাড়াও তাকে ভিডিও বার্তার মাধ্যমে উইশ করেছেন বিভিন্ন দেশের ক্রিকেটাররা।

;