বদলে যাওয়ার পথও দেখালেন টাইগার কোচ



আপন তারিক, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ইন্দোর (ভারত) থেকে
টাইগার কোচ রাসেল ডমিঙ্গোর সঙ্গে ক্যাপ্টেন মুমিনুল হক, ছবি: বিসিবি

টাইগার কোচ রাসেল ডমিঙ্গোর সঙ্গে ক্যাপ্টেন মুমিনুল হক, ছবি: বিসিবি

  • Font increase
  • Font Decrease

ইন্দোর টেস্টের ভবিষ্যৎটা দিনের আলোর মতোই পরিষ্কার। এ কারণেই হোলকার স্টেডিয়ামের সংবাদ সম্মেলন কক্ষে ঠিক চেনা গেল না তাকে। সদা হাস্যময় রাসেল ডমিঙ্গোকে কেমন যেন বিবর্ণ দেখাল। হাসি উধাও। বাস্তবতার জমিনে পা রেখে অনেক সত্য অকপটে মেনে নিয়েছেন। আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে দল যখন ভয়াবহ চাপে তখন বাংলাদেশ কোচ প্রস্তুতির ঘাটতির সঙ্গে তুলে এনেছেন নানা প্রসঙ্গ।

কথাটা ভুল বলেননি রাসেল ডমিঙ্গো। নাম্বার ওয়ান দল ভারতের বিপক্ষে তাদের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে প্রস্তুতি ম্যাচও খেলার সুযোগ মিলেনি। টি-টোয়েন্টি থেকে সরাসরি পাঁচ দিনের ম্যাচে। আক্ষেপ নিয়ে রাসেল ডমিঙ্গো জানাচ্ছিলেন, 'দেখুন, প্রথম টেস্ট শুরুর আগে সত্যিকার অর্থে দলটা নিয়ে কাজ করার জন্য মাত্র দুটো দিন পেয়েছি। প্রথম দিকে টি-টোয়েন্টি হওয়ার কারণে অনেকটা ফোকাস ছিল সে দিকেই। এমন কী ইমরুল কায়েসের মতো যারা দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছে, তাদের নিয়েও কাজ করার পর্যাপ্ত সময় পাইনি।'

এ কারণেই টাইগার কোচ মনে করেন প্রথম ইনিংসটা ঠিকঠাক মতো হয়নি। দল অলআউট মাত্র ১৫০ রানে। এরপর ভারত উঠেছে রান পাহাড়ে। ৬ উইকেটে ৪৯৩। এরইমধ্যে ১ম ইনিংসে লিড ৩৪৩ রানের। টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে শুক্রবার জয়ের সুবাস পাচ্ছে স্বাগতিকরা।

অধিনায়কত্বের অভিষেকেই মনে রাখার মতো কিছুই পাচ্ছেন না মুমিনুল হক। কোচ ডমিঙ্গো অবশ্য তার শিষ্যের পাশেই দাঁড়ালেন। তিনি বলছিলেন, 'মুমিনুলের অধিনায়কত্বের অভিষেক হলো। সামনে কঠিন দিন আসছে। কিন্তু ও শান্ত ও ধীর-স্থীর একজন মানুষ। ভারতে দুটো কঠিন দিন কাটল। তবে আমি নিশ্চিত যে সামনে ও অনেক কিছু শিখবে। ওর যথাযথ দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে আর মুমিনুল একজন ভালো তরুণ ক্রিকেটার।'

শুক্রবার ইন্দোরের হোলকার স্টেডিয়ামে দিনভর শুধু বোলিং করে গেছে বাংলাদেশ দল। ফিল্ডাররা শুধুই বল কুড়িয়েছেন। রান উৎসবে মেতে উঠে দুই টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে জয়ের দ্বারপ্রান্তে বিরাট কোহলির দল। হতাশ করা দিনটাতে চোখ রেখে রাসেল ডমিঙ্গো জানাচ্ছিলেন, 'অবশ্যই এটি একটি কঠিন দিন ছিল। অবশ্যই পুরো কৃতিত্ব ভারতের। ওরা টেস্টের প্রথম দুই দিন দাপট দেখিয়েছে। এখনো টেস্টের তিন দিন বাকি। আমরা রয়েছি খুবই কঠিন পরিস্থিতিতে। তবে সুযোগ কিন্তু ফুরিয়ে যায়নি। দ্বিতীয় ইনিংসে মায়াঙ্কের মতো কেউ যদি বড় শতক খেলে দিতে পারে তবে দৃশ্যপট পাল্টেও যেতে পারে।'

যদিও সেটা সহজ নয়। ভারতীয় পেসাররা রয়েছেন দারুণ ছন্দে। মোহাম্মদ শামি, ইশান্ত শর্মা আর উমেশ যাদবদের আটকানো তো আর সহজ নয়। ১ম ইনিংসে তাদের কাছেই তো নাজেহাল হয়েছিল দল। এ অবস্থায় প্রশ্ন উঠছে বাংলাদেশ একাদশ নিয়েও। ভারতীয় দলে যখন তিন পেসার বাংলাদেশে সেখানে দু'জন। সকালে আবু জায়েদ রাহির দুর্দান্ত বোলিংয়ের পর আক্ষেপ যেন বাড়ল। আরেকজন পেসার দলে থাকলে মন্দ হতো না!

এই সত্যটা অনুধাবন করেন টাইগার কোচও। শুক্রবার যেমনটা বলছিলেন তিনি, 'দলের কাঠামোর দিকে নজর দেওয়া দরকার । দু'জন সিমার নিয়ে খেলা খুব কঠিন। এ অবস্থায় আমাদের অবশ্যই তৃতীয় পেসারের সন্ধান করা দরকার যিনি ব্যাট করতে পারেন। আমি মনে করি সাইফুদ্দিনের মতো কেউ সেটা পূরণ করতে পারে। কিন্তু ও ইনজুরির সঙ্গে লড়ছে। প্রথমে বোলিংয়ের পরে ব্যাট হাতে সাত বা আট নম্বরে খেলতে পারেন এমন একজন পেসার খুঁজতে হবে আমাদের।'

জোড়াতালি দিয়ে দল গড়ে আসলে টেস্ট জেতা যায় না। বাংলাদেশের এই দক্ষিণ আফ্রিকান কোচ সেই সত্যটা মনে করিয়ে দিলেন। তিনি বলেন, 'টেস্ট ম্যাচ জিততে আপনার একটি ভালো বোলিং ইউনিট দরকার। আমাদের চার-পাঁচ-ছয়জন বোলার দরকার। এ কারণেই ভারত এতো সাফল্য পাচ্ছে। ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকাও দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছে এবং তাদের পাঁচ থেকে ছয়জন বোলার রয়েছে। তারা যে কেনো অবস্থাতেই উইকেট তুলতে পারে। বাংলাদেশের স্পিনাররা সবসময় উইকেট তুলেছে তবে আমাদের পেস বোলারদের সুযোগ দেওয়া দরকার।'

বাংলাদেশের কোচ হিসেবে এটি দ্বিতীয় টেস্ট রাসেল ডমিঙ্গোর। প্রথমটিতে দল হেরেছে আফগানিস্তানের কাছে। এবার ভারতের বিপক্ষে দল বেকায়দায়। এ অবস্থায় টেস্টে বাংলাদেশের দৈন্যের কথাই যেন উঠে এসেছে রাসেল ডমিঙ্গোর কথায়। ১১৫ টেস্ট খেলে মাত্র তেরটিতে জয়। এই ব্যর্থতার বলয় থেকে বেরিয়ে আসার পথটা অবশ্য জানা আছে ডমিঙ্গোর।

হতাশা নিয়েই জানাচ্ছিলেন, ‘টেস্ট ম্যাচে বাংলাদেশের রেকর্ডটা ভালো নয়। এ অবস্থা থেকে বের হয়ে যদি সিরিয়াস টেস্ট দল হতে চান তবে আমাদের কাঠামো পরিবর্তন করা দরকার। আমাদের নির্বাচকদের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে এবং অধিনায়কের সঙ্গেও বসতে হবে। এখন আমি আমার দ্বিতীয় টেস্টে কয়েকজন ভালো টেস্ট খেলোয়াড়কে দেখেছি। আশা কিছু একটা পাল্টাবে।'

তবে এটা ঠিক ইন্দোরের আশা ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছেন রাসেল ডমিঙ্গো। কারণ ম্যাচটা আর হাতে নেই। তার চোখ এখনই কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে।

   

কানসেলোর মেয়ের মৃত্যু কামনা করলো ক্ষুব্ধ সমর্থকরা



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঘরের মাঠে পিএসজির সঙ্গে কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে হেরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের চলতি আসর থেকে বাদ পড়েছে বার্সেলোনা। এইরকম হতাশাজনক বিদায় মেনে নিতে পারছে না কাতালান ক্লাবটির সমর্থক ও ভক্তরা। বেশ ক্ষুব্ধ হয়েই নিজেদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তারা।

তবে সমর্থকদের তোপের মুখে বেশ বাজেভাবেই পড়তে হয়েছে বার্সার পর্তুগিজ ডিফেন্ডার কানসেলোকে। তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হামলে পড়েছে বার্সা সমর্থকরা। তাকে আলাদাভাবে এরকম আক্রমণ করার মূল কারণ তিনি আশানুরূপ পারফরম্যান্স দেখাতে পারেননি, গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে করেছেন কিছু ভুলও। তার করা ফাউলের দরুণ পেনাল্টি পায় পিএসজি, যার ফল পেতে হয়েছে পুরো দলকেই।

ইএসপিএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কানসেলো বলেছেন, ‘লোকেরা যাচ্ছেতাই লিখেছে। ইনস্টাগ্রামে এমনও মন্তব্য দেখেছি যেখানে আমার মেয়ের মৃত্যু কামনা করা হয়েছে। অথচ ওর এখনো জন্মই হয়নি।‘

কানসেলোর প্রেমিকা দানিয়েলা মাসাদো নিজেও একজন অনলাইন ব্লগার। বর্তমানে দ্বিতীয় কন্যাসন্তান জন্ম হওয়ার অপেক্ষায় আছেন কানসেলো দম্পতি। তার প্রোফাইলের কমেন্টেও বেশ আক্রমণাত্মকভাবে ক্ষোভ ঝেড়েছেন বার্সেলোনার ক্ষুব্ধ সমর্থকরা। এ প্রসঙ্গে কানসেলো জানান, ‘তারা আমার সঙ্গী, মেয়ে ও অনাগত সন্তানকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেছে। পৃথিবীটা বড়ই নিষ্ঠুর। আপনাকে নিষ্ঠুরতার সঙ্গে বসবাস করতে জানতে হবে। আমি জানি কীভাবে চলতে হয়। কিন্তু তাদের নিয়ে কী বলব, সেটা জানা নেই।‘

পিএসজির সঙ্গে হতাশাজনক হারের রাতে নিজেও অনুতপ্ত এবং দুঃখিত ছিলেন কানসেলো, ‘সেই রাতে আমি ঘুমাতে পারিনি। যে দিন আমরা জিততে পারি না, সে রাতে আমার সহজে ঘুম আসে না। বারবার মনে হয়, আমি আমার কাজটা ঠিকভাবে করতে পারিনি, ভালো খেলতে পারিনি।’

;

৪২ বছর বয়সেও যেন রান ক্ষুধা কমেনি ধোনির 



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আগের ম্যাচে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে ৪ বলের ২০, স্ট্রাইক রেট ৫০০। এবার লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের বিপক্ষে ৯ বলে ২৮, স্ট্রাইক রেট ৩০০-এর ওপরে। ৪২ বছর বয়সে এসেও চলতি আইপিএলে একের পর এক বিধ্বংসী ইনিংস খেলে চলেছেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। বর্তমানে আইপিএল ছাড়া আর অন্য কোন ধরণের টুর্নামেন্টে খেলেন না চেন্নাইয়ের সাবেক এই অধিনায়ক। আইপিএলও আসে পুরো বছর ঘুরে। তবুও ধোনির দৃঢ়তা, ফর্ম, রানের ক্ষুধা সবেই অবাক বনে নিয়ে গেছেন সাবেক অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার টম মুডিকে। 

আইপিএলে পাঞ্জাব কিংসের (তৎকালের কিংস এলেভেন পাঞ্জাব) পর দীর্ঘদিন সানরাইজার্স হায়দরাবাদের কোচ ছিলেন মুডি। এতে আইপিএলে সরাসরি ধোনির খেলা দেখার সুযোগও হয়েছে তার। গত রাতের লক্ষ্ণৌয়ের বিপক্ষে ম্যাচের শেষ ওভারে একটি ছক্কা হাঁকিয়ে টুর্নামেন্ট ইতিহাসে ইনিংসের শেষ ওভারে ৬৫টি ছক্কা মারার রেকর্ড গড়েন তিনি। বয়সটা বুড়ো কাতারের দিকে গেলেও এখনো ব্যাট হাতে রানে কুঁড়ে বেড়ানোর ক্ষুধা যেন কমেনি আর। ম্যাচের পর ইএসপিএনের সঙ্গে আলাপকালে তাই ধোনির বন্দনায় মাতেন মুডি। 

সেখানে মুডি বলেন, ‘৪২ বছর বয়স। তবে এখনো কতটা ফিট, কতটা মনযোগী, কতটা ক্ষুধার্ত। তবে অবাক করার মতো বিষয় হলো, আইপিএল ছাড়া এখন তিনি কোনো ধরণের ক্রিকেটই খেলেন না। হঠাৎ করে এসে এমন অভিজাত স্তরের টুর্নামেন্টে প্রত্যাশামাফিক পারফর্ম করা প্রায় অসম্ভব।’

ম্যাচটিতে লক্ষ্ণৌয়ের কাছে ৮ উইকেটে হেরেছে চেন্নাই। তবে ওই চেন্নাইয়ের সমর্থকদের মতো লক্ষ্ণৌয়ের বড় ব্যবধানের এই জয় ছাপিয়ে লাইমলাইটে ধোনির সেই ‘মাস্টার ক্যামিও’ ইনিংসটি। 

;

এফএ কাপ সেমিফাইনালে হালান্ডকে নিয়ে শঙ্কায় সিটি



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বাদ পড়ে ট্রেবল জয়ের স্বপ্ন শেষ হয়ে গেছে ম্যানচেস্টার সিটির। তবে ডাবল জয়ের সম্ভাবনা এখনো টিকে আছে। প্রিমিয়ার লিগ শিরোপার দৌড়ে ভালোভাবে টিকে আছেই পেপ গার্দিওলার দল। আজ (শনিবার) রাতে এফএ কাপের সেমিফাইনালে মাঠে নামছে সিটিজেনরা, প্রতিপক্ষ চেলসি।

কিন্তু সে ম্যাচের আগে বড়সড় একটা দুঃসংবাদ পাচ্ছেন সিটি সমর্থকরা। চেলসির বিপক্ষে ম্যাচটিতে দলটির তারকা স্ট্রাইকার আরলিং হালান্ডের মাঠে নামা নিশ্চিত নয়। রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের দ্বিতীয় লেগের পর গার্দিওলা জানিয়েছিলেন, ‘কঠিন ম্যাচ ছিল। হালান্ডের পেশিতে সমস্যা অনুভব করেছিল। তাই আমাকে বলেছিল তাকে উঠিয়ে নিতে।’

তাই এফেএ কাপের সেমিফাইনালে হালান্ডের খেলা নিয়ে ঘোর অনিশ্চয়তা রয়েছে। রিয়ালের বিপক্ষে ম্যাচে কিছু সময় খেলার পর উঠে গিয়েছিলেন কেভিন ডি ব্রুইনাও। তবে চেলসির বিপক্ষে ম্যাচে তাকে নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই বলে জানিয়েছে বিবিসি স্পোর্ট।

এদিকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে রিয়ালের বিপক্ষে ১২০ মিনিট খেলতে হয়েছে ম্যান সিটিকে। যার ফলে চেলসির বিপক্ষে ম্যাচের আগে সিটিজেনদের ফিটনেস নিয়ে বড়সড় একটা প্রশ্নবোধক চিহ্ন থেকে যাচ্ছে।

সেমিফাইনালে সিটির বিপক্ষে মাঠে নামার আগে বিষয়টি মনে করিয়ে দিয়েছেন চেলসি কোচ পচেত্তিনো। তবে এর ফলে নিজেদের মোটেই এগিয়ে রাখছেন না এই আর্জেন্টাইন কোচ, ‘তাদের জন্য এটা কঠিন হবে, আমাদের জন্যও। তবে আমাদের মনে রাখতে হবে যে, তাদের একটা অবিশ্বাস্য স্কোয়াড রয়েছে।’

বাংলাদেশ সময় আজ রাত সোয়া ১০টায় ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে মাঠে নামবে ম্যান সিটি ও চেলসি।

;

২০২৬ বিশ্বকাপ পর্যন্ত জার্মানির কোচ নাগেলসমান



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইউরো পর্যন্তই তার জার্মানির ডাগআউটে থাকার গুঞ্জন ছিল। কিন্তু সে গুঞ্জনকে মিথ্যে প্রমাণ করে জার্মানির সঙ্গে নতুন চুক্তি করেছেন ইউলিয়ান নাগেলসমান। ২০২৬ বিশ্বকাপ পর্যন্ত এই কোচকে রেখে দিচ্ছে চারবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন জার্মানি।

টালমাটাল অবস্থায় জার্মান দলকে পেয়েছিলেন নাগেলসমান। দায়িত্ব নিয়ে ধীরে ধীরে দলকে নিজের মতো করে গড়ে নিচ্ছেন। গত সেপ্টেম্বরে জার্মানদের দায়িত্ব নিয়ে এখন পর্যন্ত ৬ ম্যাচে ডাগআউটে দাঁড়িয়েছেন। এর মধ্যে তিন ম্যাচে দলকে এনে দিয়েছেন জয়। যার দুটি আবার ইউরোপীয় ফুটবলের দুই পরাশক্তি নেদারল্যান্ডস ও ফ্রান্সের বিপক্ষে।

কাজের স্বীকৃতি হিসেবে নতুন চুক্তি-নাগেলসমানের উচ্ছ্বাস বাঁধ মানছে না, ‘সিদ্ধান্তটা হৃদয় থেকে নিয়েছি। জাতীয় দলকে প্রশিক্ষণ দিতে পারা এবং দেশের সেরা খেলোয়াড়দের সঙ্গে কাজ করতে পারা আমার জন্য অনেক সম্মানের ব্যাপার।’

নাগেলসমানের ধ্যানজ্ঞান এখন আগামী জুন-জুলাইয়ে জার্মানিতে অনুষ্ঠিতব্য ইউরো। নতুন চুক্তি স্বাক্ষরের পরই সে টুর্নামেন্টে ভালো কিছু করার লক্ষ্যের কথা জানিয়ে দিলেন ৩৬ বছর বয়সী এই তরুণ জার্মান কোচ, ’আমরা নিজেদের মাঠে সাফল্যমণ্ডিত ইউরো খেলতে চাই। আমি এখন সেদিকেই তাকিয়ে আছি এবং (এরপর) আমার কোচিং দলকে নিয়ে বিশ্বকাপ চ্যালেঞ্জ নেওয়ার অপেক্ষায় থাকব।’

;