হারের আরেকটু কাছে বাংলাদেশ, ভারত জয়ের



স্পোর্টস এডিটর, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
মুশফিকুর রহিম, ছবি: বিসিবি

মুশফিকুর রহিম, ছবি: বিসিবি

  • Font increase
  • Font Decrease

এই টেস্টের যতই সময় যাচ্ছে, একটু একটু করে হারের সামনে বাড়ছে বাংলাদেশ। লাঞ্চে ছিল ৬০ রানে ৪ উইকেট। চা বিরতিতে গেল ৬ উইকেটে ১৯১ রান নিয়ে। তখনো ম্যাচে ইনিংস হার এড়ানো থেকে ১৫২ রান দূরে বাংলাদেশ। দিনের শেষ সেশনের পুরোটা বাকি ৪ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশ পার করে দিতে পারবে-এমন সম্ভাবনা যে ভীষণ ক্ষীণ!

এমন আশঙ্কা নিয়ে তৃতীয় দিন চা বিরতিতে যাওয়ার সময় মুশফিক রহিম খেলছিলেন ৫৩ রান নিয়ে। তার সঙ্গে থাকা মেহেদি হাসান মিরাজের রান ছিল অপরাজিত ৩৮। সপ্তম উইকেট জুটিতে এই দুজনে যোগ করেন হার না মানা ৫৬ রান।

মুশফিক এই হাফসেঞ্চুরির ইনিংসে ভারতের বিপক্ষে ব্যক্তিগত একটা মাইলস্টোনে পৌঁছালেন। টেস্টে ভারতের বিপক্ষে সবচেয়ে বেশি রান করা বাংলাদেশি ক্রিকেটার এখন মুশফিকুর রহিম। ৩৮৬ রান নিয়ে এতদিন মোহাম্মদ আশরাফুল ছিলেন এই তালিকার শীর্ষে।

দিনের দ্বিতীয় সেশনে বাংলাদেশ হারায় মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও লিটন দাসকে।

৪৪ রানে নেই শুরুর ৪ উইকেট। এই টলমলো পরিস্থিতি সামলে উঠার চেষ্টায় ছিলেন মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহ। দুজনের সামনে তখন একটাই লক্ষ্য সম্ভাব্য হারের ব্যবধান কতো কমিয়ে আনা যায়। আর এমন পরিস্থিতিতে বল খেলার চেয়ে বল ছাড়ার চেষ্টাই বেশি করতে হয়। মাহমুদউল্লাহ সেই পরিস্থিতির সঙ্গেই যে খাপ খাওয়াতে পারলেন না। অফস্ট্যাম্পে পড়া মোহাম্মদ শামির যে বলে মাহমুদউল্লাহ আউট হলেন, সেটা তিনি না খেলে ছেড়ে দিলেও পারতেন! ৩৫ বল খেলে ১৫ রানে রোহিত শর্মার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরার পথে নিশ্চয়ই সেই আফসোস করছিলেন মাহমুদউল্লাহ!

লিটন দাসের ব্যাটিংও পরিস্থিতির সঙ্গে মিলল না মোটেও। ব্যাট হাতে নেমেই ওয়ানডে স্টাইলে ব্যাট চালালেন তিনি। এমন উইকেটে এমন দক্ষ বোলারদের বিরুদ্ধে এমন কায়দায় ব্যাটিং করে বেশিক্ষণ টেকা যায় না। ৩৯ বলে ৬ বাউন্ডারিতে ৩৫ রান করে স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিনের হাতে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে সেই প্রমাণই রাখলেন যেন লিটস দাস। ১৩৬ রানে হারায় বাংলাদেশ ৬ উইকেট।

মেহেদি হাসান মিরাজ কোনোমতো ম্যাচে জোড়া শূন্যের হাত থেকে বেঁচে গেলেন। অশ্বিনের প্রথম বলেই লেগ স্লিপে ক্যাচ তুলেছিলেন। ভাগ্য ভালো সেখানে কোনো ফিল্ডার ছিল না। চা বিরতিতে যাওয়ার আগে মেহেদি খেলছিলেন ৩৮ রান নিয়ে।

এই ম্যাচে বাংলাদেশের হার নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। সেটা কখন? তৃতীয় দিনের শেষ সেশন কি নিরাপদে কাটাতে পারবে বাংলাদেশ? অপেক্ষা কেবল ওটুকুই!

স্কোরকার্ড: (তৃতীয় দিন চা বিরতি পর্যন্ত)

বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস: ১৫০/১০ (৫৮.৩ ওভারে, ইমরুল ৬, সাদমান ৬, মিঠুন ১৩, মুমিনুল ৩৭, মুশফিক ৪৩, মাহমুদউল্লাহ ১০, লিটন ২১, মিরাজ ০, তাইজুল ১, আবু জায়েদ ৭*, এবাদত ২, অতিরিক্ত ৪; শর্মা ২/২০, যাদব ২/৪৭, শামি ৩/২৭ ও অশ্বিন ২/৪৩)।

ভারত প্রথম ইনিংস: ৪৯৩/৬ ডিক্লেয়ার্ড (১১৪ ওভারে, রোহিত ৬, আগারওয়াল ২৪৩, পূজারা ৫৪, কোহলি ০, রাহানে ৮৬, জাদেজা ৬০*; আবু জায়েদ ৩/১০৮)।

বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংস: ১৯১/৬ (৫৪ ওভারে, ইমরুল ৬, সাদমান ৬, মুমিনুল ৭, মিঠুন ১৮, মুশফিক ৫৩*, মাহমুদউল্লাহ ১৫, লিটন ৩৫, মেহেদি ৩৮*; শামি ৩/২৫)।

   

জুভেন্টাস থেকে ১১৩ কোটি টাকা পেতে চলেছেন রোনালদো



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রিয়াল মাদ্রিদের ক্যারিয়ারের লম্বা সময় পার করে ২০১৮ সালে ইতালিয়ান ক্লাব জুভেন্টাসে পাড়ি জমান রোনালদো। সেখানে তিন মৌসুম খেলে ২০২১ সালে ফের ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে যান এই পর্তুগিজ। বর্তমানে তিনি খেলেন সৌদি আরবে আল নাসরে। ২০২৩ সালে ইউরোপের পাট চুকিয়ে যান সেখানে। তবে বর্তমান ক্লাবের বেত্ন বা নিজের ব্যক্তিগত খাতের অ্যায় ছাড়া দ্রুতই মোটা অঙ্কের টাকা ঢুকতে চলেছে রোনালদোর অ্যাকাউন্টে। 

সাবেক ক্লাব জুভেন্টাস থেকে ৮৩ লাখ পাউন্ড বকেয়া বেতন পাচ্ছেন তিনি। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ১১৩ কোটি ৭১ লাখ টাকা। ইতালির এক আদালত রোনালদোর এই অর্থ পরিশোধ করার নির্দেশ দিয়েছে সেরি আর ক্লাবটিকে। 

এই বকেয়ার ঘটনা মূলত ২০২০-২১ মৌসুমে, করোনা মহামারীর সময়ে। সে সময় পুরো বিশ্ব গিয়েছিল থমকে। ব্যক্তিক্রম ঘটেনি ক্রীড়াঙ্গনেও। এতে জুভেন্টাসের থেকে দেরীতে বেতন নেওয়ার বিষয়ে রাজি হয়েছিলেন রোনালদো। তবে পরে সেটি পরিশোধ করেনি ইতালিয়ান ক্লাবটি। যদিও রোনালদো যেই অর্থ পেতে চলেছেন সেটি তার দাবি করা অর্থের প্রায় অর্ধেক। তার মতে, জুভেন্টাস থেকে তিনি পাওয়া ছিল ১ কোটি ৭০ লাখ পাউন্ডেরও বেশি। 

কর এবং অন্যান্য ফি বাদ দেওয়ার পরই এই অর্থ পাবেন রোনালদো। এদিকে বিষয়টি নিয়ে জানিয়েছে জুভেন্টাস ক্লাব কর্তৃপক্ষ। এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা আদালতের এই সিদ্ধান্ত পর্যালোচনা করছে।

;

হাবিবুরের সেঞ্চুরিতে সুপার লিগে গাজী গ্রুপ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে শেষ রাউন্ডের ম্যাচ বড় জয় পেয়ে সুপার লিগ নিশ্চিত করেছে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স। হাবিবুর রহমানের সেঞ্চুরিতে সিটি ক্লাবকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে তারা।

ফতুল্লার খানসাহেব ওসমান আলি স্টেডিয়ামে টসে জিতে সিটি ক্লাবকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় গাজী। তবে দলটির বেশিরভাগ ব্যাটার ক্রিজে থিতু হয়েও উইকেট ছুঁড়ে দিয়ে আসায় তাদের সংগ্রহ বড় হয়নি। সমান তিনটি করে চার-ছক্কায় সর্বোচ্চ ৩৮ রান এসেছে ওপেনার হাসানের ব্যাটে। ৩৭ রান করেন রাফসান আল মাহমুদ।

গাজী গ্রুপের পক্ষে ৩ উইকেট নেন রুয়েল মিয়া। দুটি করে উইকেট পান হুসনা হাবিব মেহেদী, মঈন খান এবং আব্দুল গাফফার সাকলাইন।

জবাব দিতে নেমে শুরুতেই ওপেনার মেহেদী মারুফকে হারালেও বিপদে পড়তে হয়নি গাজীকে। বরং তিনে নামা হাবিবুর রহমানের সঙ্গে সেঞ্চুরির সঙ্গে অন্য ওপেনার আনিসুল ইসলামের ফিফটিতে বড় জয় নিয়েই মাঠ ছাড়তে সক্ষম হয় তারা।

৮১ বলে ১০ চার এবং ৬ ছক্কায় ১০২ রানে অপরাজিত থেকে ম্যাচসেরা হন হাবিবুর। ১০ চার এবং ১ ছক্কায় ৬১ রান আসে আনিসুলের ব্যাটে।

এই জয়ে ১১ ম্যাচ থেকে ১৪ পয়েন্ট পেয়ে ষষ্ঠ দল হিসেবে সুপার লিগে নাম লিখিয়েছে গাজী। অন্যদিকে ১১ ম্যাচে কেবল ৪ পয়েন্ট পাওয়া সিটি ক্লাব রয়েছে ৯ নম্বরে।

;

বাংলাদেশ কেন এমন করছে, আকাশ চোপড়ার প্রশ্ন



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মুস্তাফিজুর রহমানের আইপিএল খেলা নিয়ে সরগরম দেশের ক্রিকেট। তাকে আইপিএলে নিরবচ্ছিন্নভাবে খেলতে দেয়া উচিৎ নাকি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য মাঝপথে ফিরিয়ে আনা উচিৎ, তা নিয়ে চলছে পক্ষে-বিপক্ষে আলোচনা। বাংলাদেশের বোর্ড কর্তা থেকে শুরু করে সাবেক ক্রিকেটাররা বিষয়টি নিয়ে মত দিলেও ভারতীয় কেউ এতদিন এ সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করেননি।

তবে সে ধারা ভেঙে এবার মুস্তাফিজ ইস্যুতে মুখ খুলেছেন ভারতের সাবেক ক্রিকেটার ও বর্তমান ধারাভাষ্যকার আকাশ চোপড়া। মুস্তাফিজকে আইপিএলের মাঝপথ থেকে জিম্বাবুয়ে সিরিজের জন্য ফিরিয়ে আনার বিষয়ে বিসিবির সিদ্ধান্তে বিস্ময় প্রকাশ করে নিজের ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিও পোস্ট করেছেন আকাশ। সেখানে তার প্রশ্ন, ‘মুস্তাফিজুর রহমান চলে যাচ্ছে। সে চেন্নাইয়ের হয়ে (পুরো মৌসুম) খেলতে পারবে না। শুধু আর কয়েকদিনের জন্য আছে। বাংলাদেশ কেন এমন করছে?’

চেন্নাইয়ের হয়ে চলতি মৌসুমে দারুণ পারফর্ম করছেন মুস্তাফিজ। ৬ ম্যাচ খেলে এরই মধ্যে ১০ উইকেট ঝুলিতে পুরেছেন। চেন্নাইয়ের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারিও এই বাংলাদেশি পেসার। এমন অবস্থায় চেন্নাই যদি পুরো মৌসুম তার সার্ভিস না পায়, সেক্ষেত্রে দলটি বিপদে পড়বে বলে মনে করেন আকাশ, ‘তাকে (মুস্তাফিজ) খেলতে দাও। সে চলে গেলে চেন্নাইয়ের ক্ষতি হবে।’

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ শুরুতে মুস্তাফিজকে আইপিএলে অংশ নেয়ার জন্য ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি দেয়। পরে ছুটির মেয়াদ একদিন বাড়িয়ে ১ মে পর্যন্ত করা হয়।

;

নাসুমের ফাইফার, মোহামেডানের সহজ জয়



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সবশেষ ম্যাচে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে হারতে হয়েছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবকে। আর তাতে পয়েন্ট টেবিলেও হোঁচট খেয়েছে দলটি। সেই ধাক্কা সামলে নিয়ে এদিন ডিপিএলে মিরপুরের ম্যাচে ব্রাদার্স ইউনিয়নকে গুঁড়িয়ে দিয়েছে মোহামেডান। নাসুম আহমেদের ফাইফারে মাত্র ১৩৫ রানেই আলআউট ব্রাদার্স। যা ব্যাট হাতে ৫ উইকেট হাতে রেখে মাত্র ২৩.২ ওভারে টপকে গেছে মোহামেডান।

এদিন বল হাতে শুরু থেকেই প্রতিপক্ষের ব্যাটারদের ওপর চড়াও হন নাসুম। নিজের প্রথম ওভারেই সাজঘরে ফেরান রহমাতুল্লাহ আলিকে। এরপর একে একে সাজঘরে ফিরিয়েছেন ইমতিয়াজ, মাহমুদুল হাসান, রাহাতুল ও ব্রাদার্স অধিনায়ক মনির হোসাইনকে। তার বোলিং তোপের সামনে সুবিধা করতে পারেননি ব্রাদার্সের তেমন কেউই।

বল হাতে নাসুম দারুণ সঙ্গ পেয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজের থেকেও। তার শিকার ৩ উইকেট। মোহামেডানের স্পিনারদের দাপুটে দিনে মাঝে মাহমুদুল হাসান ও রাহাতুল ফেরদৌসের ৪৫ রানে ভর করে কোনো রকমে ৩৪.৩ ওভারে স্কোরবোর্ডে ১৩৫ রানের পুঁজি পায় ব্রাদার্স।

জবাব দিতে নেমে ওপেনিং জুটিতেই জয়ের ভিত গড়ে ফেলে মোহামেডান। দলীয় ৬৬ রানে প্রথম উইকেট হারায় মোহামেডান। সাজঘরে ফেরেন ১০ রানে থাকা রনি তালুকদার। এরপর অবশ্য নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট পড়েছে মোহামেডানের। তবে উইকেটের একপ্রান্ত আগলে রেখেছিলেন দলটির অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। মিরাজকে সঙ্গে নিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন তিনি। শেষ পর্যন্ত ইমরুল অপরাজিত ছিলেন ৭১ বলে ৯২ রানে।

লিগে এটি মোহামেডানের ৮ম জয়। আর এ জয়ে ১১ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে দলটির অবস্থান তালিকার তিন নম্বরে। অন্যদিকে শীর্ষে থাকা আবাহনী ১১ ম্যাচের সবকটিতেই জয় নিয়ে পয়েন্ট ২২।

;