তিন দিনেই টেস্ট শেষ, বাংলাদেশের বড় হার



আপন তারিক, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ইন্দোর (ভারত) থেকে
ভারতীয়দের উল্লাস তাকিয়ে দেখছেন মুশফিকুর রহিম, ছবি: সংগৃহীত

ভারতীয়দের উল্লাস তাকিয়ে দেখছেন মুশফিকুর রহিম, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হারের মঞ্চটা তো প্রস্তুতই ছিল। তারপরও তিন দিনেই এমন পরাজয় অপ্রত্যাশিত! তবে বিস্ময়কর নয়। আগের দিন প্রচণ্ড হতাশায় কোচ রাসেল ডমিঙ্গো বলেছিলেন, কাঠামোয় পরিবর্তন না আনলে টেস্টে হারতেই থাকবে বাংলাদেশ! ঠিক তাই হয়েছে ইন্দোরের হোলকার স্টেডিয়ামে। নাম্বার ওয়ান দলের বিপক্ষে মাঠে নেমে শুধু হতাশাই সঙ্গী হয়েছে টাইগারদের। ব্যাটসম্যানরা যেন ভুল গেলেন কিভাবে ব্যাট চালাতে হয়। এক আবু জায়েদ রাহি ছাড়া বোলাররাও সেই একই পথের পথিক!

শনিবার ইন্দোর টেস্টের তৃতীয় দিনে চা বিরতির পরে দ্বিতীয় ইনিংসে ২১৩ রানে অলআউট বাংলাদেশ। এর আগে ১ম ইনিংসে দল তুলেছিল মাত্র ১৫০ রান। জবাবে ভারত ১ম ইনিংস ঘোষণা করে ৬ উইকেটে ৪৯৩ রানে। ব্যবধানটা আকাশ-পাতাল! বাংলাদেশ আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই হারল ইনিংস ও ১৩০ রানে! দুই দিন আগেই হাসিমুখে মাঠ ছাড়ল বিরাট কোহলির দল।

দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল ভারত। ২২ নভেম্বর কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে শুরু সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট। যেখানে গোলাপি বলে দিবা-রাত্রির ম্যাচে লড়বে দুই দল।

তার আগে দুঃস্বপ্ন সঙ্গী করেই ইন্দোর ছাড়বে মুমিনুল হকের দল। অনুপ্রাণিত হওয়ার মতো কিছুই যে হোলকারের এই মাঠ থেকে মিলল না। ম্যাচে সম্ভবত একটাই প্রাপ্তি টস জয়। অবশ্য পেস বোলার আবু জায়েদ রাহির ৪ উইকেট শিকার স্পষ্ট করে জানিয়ে দিচ্ছে দুই পেসার নিয়ে খেলার সনাতনী ভাবনা থেকেও এবার বেরিয়ে আসতে হবে।

শনিবার টেস্টের তৃতীয় দিনে ছিল ইনিংস হার বাঁচানোর লড়াই। একইসঙ্গে প্রথম ইনিংসে দেড়শ রানে অলআউট যে ছিল নিছকই অঘটন সেটা বুঝিয়ে দেওয়ার মঞ্চও। কিন্তু কোথাও মিলল না তার আভাস। লেখা হলো ফের একই গল্প। ভারতীয় পেস তোপে সকালেই এলোমেলো ব্যাটিং লাইন আপ!

অবশ্য শুধুই বাংলাদেশ ব্যাটসম্যানদের এক তরফা দোষ দিয়ে লাভ নেই। ভারতীয় পেসাররা আগের মতোই ছিলেন দুর্দান্ত। ইন্দোরের উইকেটে তার সুইং আর বাউন্সারে ফুটে উঠেছে টাইগার ব্যাটসম্যানদের দৈন্যের চিত্র। স্কিলের ঘাটতিও যে চোখে পড়ার মতো!

সকালে শিশির ভেজা উইকেটের কথা মাথায় রেখে আর নামেননি ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা। বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠান বিরাট কোহলি। ইন্দোরে ১ম ইনিংস ভারত ঘোষণা করে ৬ উইকেটে ৪৯৩ রানে। ৩৪৩ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে অতিথিরা।

ইন্দোরের হোলকার স্টেডিয়ামের শিশির ভেজা সকালের উইকেটে দারুণ ছন্দে ছিলেন ভারতীয় পেসাররা। সকালের প্রথম এক ঘন্টা না যেতেই বিদায় নেন দুই ওপেনার ইমরুল কায়েস ও সাদমান ইসলাম।

ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে ভারত পেয়ে যায় তাদের প্রথম উইকেট। উমেশ যাদবের সুইংয়ে কাবু ইমরুল। জায়গায় দাঁড়িয়ে ড্রাইভ করার মাশুল তো গুনতেই হয়। লেগ স্টাম্প উড়ে যায় এই ওপেনারের। প্রথম ইনিংসের মতো এবারও দলে ফেরা এই ব্যাটসম্যান তুললেন মাত্র ৬ রান। খেলেন ১৩ বল।

তারপর আরেক ওপেনার সাদমান ইসলামকে সাজঘরের পথ দেখিয়ে দেন ইশান্ত। তার লেংথ বলে বোকা বনে যান সাদমান। উড়ে যায় তার স্টাম্প। বিদায়ের আগে করেন ২৪ বলে ৬।

প্রথম ইনিংসে কিছুটা সময় লড়েছিলেন তিনি। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে দলকে বিপর্যয় থেকে রক্ষা করতে পারলেন না মুমিনুল হক। তার বিপক্ষে রিভিউতে হাসিমুখ ভারতের। মোহাম্মদ শামির অফ স্টাম্পের বাইরে পিচ করা বলে শাফল করতে গিয়ে হলো না। বল লাগল প্যাডে। এলবিডব্লিউয়ের আবেদনে যদিও সাড়া দেননি আম্পায়ার রড টাকার। তারপর রিভিউতে আউট। হোলকার স্টেডিয়ামের গ্যালারি আরও একবার গর্জে উঠে। ৭ রানে আউট মুমিনুল।

মুমিনুলের পর মোহাম্মদ মিঠুনও কিছুই করতে পারলেন না। প্রতিপক্ষের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের জবাব দিতে হলে মাথা ঠাণ্ডা রেখে খেলা চাই। কিন্তু শামির শর্ট বলে মিঠুন পুল করতে চেয়ে ব্যর্থ। ব্যাটের এক পাশে লেগে বল চলে যায় শর্ট মিড উইকেটে ডাবল সেঞ্চুরিয়ান মায়াঙ্ক আগারওয়ালের হাতে। ২৬ বলে ১৮ রান করে আউট মিঠুন।

এমন বিপর্যয়ে হাল ধরেছিলেন মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। মনে হচ্ছিল তাদের ব্যাটে বুঝি অন্তত সম্মান বাঁচবে। এরমধ্যে রোহিত শর্মা স্লিপে ক্যাচ ফেলে দিলে প্রাণে বাঁচেন মুশফিক। তখন তার রান ৪। তবে মাহমুদউল্লাহকে আগের ইনিংসের মতোই নড়বড়ে দেখাল। লাঞ্চের পরই তাকে ফেরান শামি। তার সুইং বলটি ছেড়ে দিলেই পারতেন মাহমুদউল্লাহ। কিন্তু ব্যাট পেতে দিলেন তিনি। সঙ্গত কারণেই ব্যাটের কানায় লেগে বল স্লিপে রোহিত শর্মার হাতে। তিনি ফেরেন ৩৫ বলে ১৫ রানে। ৭২ রানেই ৫ উইকেট শেষ বাংলাদেশের।

তারপর অবশ্য কিছুটা সময় লড়লেন লিটন-মুশফিক। এই জুটিতে ভালোই এগিয়ে যাচ্ছিল দল। কিন্তু বড্ড বেশি তাড়াহুড়ো ছিল লিটনের। তিনিও উইকেট দিয়ে আসলেন। রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বলে উড়িয়ে খেলতে গিয়েই ভুল হলো। ফিরতি ক্যাচ নিয়ে লিটনকে দেখালেন সাজঘরের পথ। ৩৯ বলে ৩৫ করে তুলে ফিরেন তিনি। আর ভাঙে মুশফিকের সঙ্গে তার ৬৩ রানের জুটি।

উইকেট পতনের মিছিলে যা একটু লড়লেন মুশফিকুর রহিম। লিটনের পর মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গেও তিনি গড়েন ৫৯ রানের জুটি। এরমধ্যে মিরাজ ফেরেন ৩৮ রান তুলে। আর ১০১ বলে মুশি ছুঁয়ে ফেলেন ফিফটি। ভারতের বিপক্ষে বরাবরই সফল তিনি। সব মিলিয়ে ৫ টেস্টে তৃতীয়বার ফিফটি করলেন। কিন্তু দলকে বিপর্যয় থেকে বাঁচাতে পারেননি। ১৫০ বলে ৬৪ রান করে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের শিকার মুশি।

এর আগে ভারতকে রান পাহাড়ে নিয়ে যান মায়াঙ্ক আগারওয়াল। তিনি তুলে নেন তার তৃতীয় সেঞ্চুরি। এরমধ্যে তিনটি শতক পেয়েছে তার সবশেষ ৫ ইনিংসে! মেহেদি মিরাজকে ছক্কা হাঁকিয়ে তুলে নেন টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি। ৩২ রানে প্রাণ পেয়ে সুযোগটা কাজে লাগালেন তিনি। ফেরেন ২৪৩ রানে। ৩৩০ বলের ইনিংসে ছিল ২৮ চার ও ৮ ছক্কা।

মায়াঙ্কের ডাবল সেঞ্চুরি আর ইশান্ত, যাদব ও শামিমের আগুন ঝরা বোলিংয়েই পুড়ল বাংলাদেশ। শামি ২য় ইনিংসে নিয়েছেন ৪ উইকেট। যাদব ২টি ও অশ্বিন নিয়েছেন ৩ উইকেট।

যে দেশের টেস্ট দল গড়ে তোলার মতো অবকাঠামোই নেই তারা তো এভাবেই হারবে। ভারত শেখাল কিভাবে খেলতে হয় টেস্ট ক্রিকেট। কিন্তু বাংলাদেশ দল আর টিম ম্যানেজমেন্ট শিখল কীনা সেই প্রশ্নটাও তোলা থাকল সময়ের হাতে।

সংক্ষিপ্ত স্কোর-

বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস: ৫৮.৩ ওভারে ১৫০/১০ (সাদমান ৬, ইমরুল ৬, মুমিনুল ৩৭, মিঠুন ১৩, মুশফিক ৪৩, মাহমুদউল্লাহ ১০, লিটন ২১, মিরাজ ০, তাইজুল ১, আবু জায়েদ, ইবাদত; ইশান্ত ২/২০, উমেশ ২/৪৭, শামি ৩/২৭ ও অশ্বিন ২/৪৩)।

ভারত প্রথম ইনিংস: ১১৪ ওভারে ৪৯৩/৬ ডিক্লেয়ার্ড (মায়াঙ্ক ২৪৩, রোহিত ৬, পূজারা ৫৪, কোহলি ০, রাহানে ৮৬, জাদেজা ৬০*, ঋদ্ধিমান ১২, উমেশ ২৫*; ইবাদত ১/১১৫, আবু জায়েদ ৪/১০৮ ও মিরাজ ১/১২৫)।

বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংস: ৬৯.২ ওভারে ২১৩/১০ (মুশফিক ৬৪, মিরাজ ৩৮, লিটন ৩৫; শামি ৪/৩১, অশ্বিন ৩/৪২ ও উমেশ ২/৫১)।

ম্যাচ সেরা: মায়াঙ্ক আগারওয়াল।

ফল: ভারত ইনিংস ও ১৩০ রানে জয়ী। 

   

আফগানিস্তানের ১৬ বছর বয়সী স্পিনারকে দলে টেনেছেন শাহরুখ খান



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হাতের চোটে আইপিএলে খেলা হচ্ছে না আফগান স্পিনার মুজিব-উর-রহমানের। তার বদলি আফগানিস্তান থেকেই খুঁজে নিয়েছে আইপিএলের দল কলকাতা নাইট রাইডার্স।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু জানিয়েছে, মুজিবের বদলি হিসেবে ১৬ বছর বয়সী আফগান স্পিনার আল্লাহ ঘাজানফারকে দলভুক্ত করেছে বলিউড তারকা শাহরুখ খানের মালিকানাধীন দল নাইট রাইডার্স। এবারের আইপিএল নিলামে সবচেয়ে কমবয়সী খেলোয়াড় ছিলেন এই স্পিনার।

৬ ফুট ২ ইঞ্চি উচ্চতার ঘাজানফারের নিবাস আফগানিস্তানের পাক্তিয়া প্রদেশের জুরমাত জেলায়। উচ্চতার কারণে ক্রিকেটে তার শুরুটা হয়েছিল পেস বোলার হিসেবে। তবে আফগানিস্তানের সাবেক অধিনায়ক দৌলত আহমদজাইয়ের তত্ত্বাবধানে পেস বোলিং ছেড়ে একজন স্পিনার হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলেন।

চলতি বছর দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের প্রতিনিধিত্ব করেন ঘাজানফার। সেখানে ব্যাটিংয়ে ৫২ রান করেন আর বল হাতে ৮ উইকেট নিয়ে হয়েছিলেন দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি।

গত মাসে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় ঘাজানফারের।

;

সাকিব ফেরায় কোচের উচ্ছ্বাস



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় দলের জার্সিতে সাকিব আল হাসানকে সর্বশেষ দেখা গিয়েছিল গত বিশ্বকাপে, সময়ের হিসেবে প্রায় পাঁচ মাস আগে। আর দেশের হয়ে সাদা পোশাক গায়ে জড়িয়েছিলেন প্রায় বছরখানেক আগে। জাতীয় দলে তার অনুপস্থিতি আরও দীর্ঘ হওয়ার কথা ছিল। তবে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্ট খেলার ইচ্ছা নিজেই প্রকাশ করেন। অবধারিতভাবেই দলে ডাক পেয়ে যান সাকিব।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচে বড় ব্যবধানে হেরে যায় বাংলাদেশ। ৩২৮ রানে হারের ক্ষত ভুলে বাংলাদেশের সামনে এবার ঘুরে দাঁড়ানোর চ্যালেঞ্জ। এমন সময়ে সাকিবকে দলে পেয়ে খুশি হেড কোচ চণ্ডিকা হাথুরুসিংহের অনুপস্থিতিতে দলের ভারপ্রাপ্ত কোচ নিক পোথাস।

ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে সাকিবকে দলে স্বাগত জানিয়ে এই কোচ বলেন, ‘সাকিব যে দলেই খেলুক, তাদের ভাগ্যবান বলতে হবে। আমরা তাকে স্বাগত জানাই। ড্রেসিংরুমে তাকে পাওয়া সব সময়ই দারুণ ব্যাপার। তার শক্তিমত্তা খুব দ্রুত সবার মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে।’

আঙুলের চোটের কারণে গত বিশ্বকাপর শেষ ম্যাচে  খেলা হয়নি সাকিবের। তখন থেকেই মাঠের বাইরে সাকিব। এরপর চোখের চোটও বেশ ভুগিয়েছে তাকে। মাঝে বিপিএল এবং ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে খেলেছেন। সাকিবের ফিটনেস নিয়ে তাই কোনো দুশ্চিন্তা নেই পোথাসের, ‘মনে হয় সে (সাকিব) ওজন কমিয়েছে। ওর বিপিএলটা ভালো গেছে। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে ভালো শুরু করেছে। সে খুশি, আর আমরাও সাকিবকে খুশি দেখতে চাই।’

;

দলে ফিরলেন কেইন, ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে শঙ্কায় নয়্যার



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

 

বুন্দেসলিগায় অভিষেক মৌসুমে সর্বোচ্চ ৩০ গোলের রেকর্ডটি এতদিন ছিল হামবুর্গের কিংবদন্তি উয়ি সিলারের। ১৯৬৩-৬৪ মৌসুমে গড়া এই রেকর্ডটি ৬০ বছর ধরে ছিল অক্ষত। জার্মান শীর্ষ লিগটির এখনো বাকি ৮ রাউন্ড। এর আগেই সেই ৬০ বছরের রেকর্ড ভেঙে দিলেন ইংলিশ তারকা ফরোয়ার্ড হ্যারি কেইন। মৌসুমে এই অবস্থানেই কেইনের গোল সংখ্যা ৩১। গত ১৬ মার্চ ডার্মস্ট্যাড৯৮ এর বিপক্ষে ৫-২ গোলের বায়ার্নের জয়ের ম্যাচে একটি গোল করে সিলারের রেকর্ড ছাড়িয়ে যান সাবেক এই টটেনহাম ফরোয়ার্ড। 

তবে কীর্তি গড়ার সেই ম্যাচে গোড়ালির ইনজুরিতে পড়েন কেইন। এতে আন্তর্জাতিক বিরতিতে ইংল্যান্ডের দুই ম্যাচের দলে থাকলেও মাঠে নামেননি তিনি। তবে লিগ ম্যাচে ফেরার আগেই বায়ার্ন পেল সুসংবাদ। অনুশীলনে ফিরেছেন কেইন। সামনে টমাস টুখেলের দলের ম্যাচ বুরুশিয়া ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে। এই বিগ ম্যাচের আগেই দলে যোগ দিলেন ক্লাবটির সময়ের সেরা এই ফুটবলার। 

তবে আসন্ন ম্যাচটিতে বায়ার্ন কাপ্তান ম্যানুয়েল নয়্যারকে নিয়ে দেখা দিয়েছেন শঙ্কা। আগামীকাল (শনিবার) বাংলাদেশ সময় রাত ১১টা ৩০ মিনিটে শুরু হবে লিগের সবচেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচটি। 

লিগের এই অবস্থায় ২৬ ম্যাচে ৭০ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার সবার ওপরে বায়ার লেভারকুজেন। সমান ম্যাচে জাভি আলোন্সোর দলের চেয়ে ১০ পয়েন্ট কম নিয়ে দুইয়ে আছে বায়ার্ন। ডর্টমুন্ড আরও পিছিয়ে। ২৬ ম্যাচে ৫০ পয়েন্ট নিয়ে তাদের অবস্থান চারে।

;

৩৪ দিনের বিরতি শেষে আজ মাঠে গড়াচ্ছে বিপিএল ফুটবল



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

 

আন্তর্জাতিক বিরতি শেষ ফের মাঠে গড়াচ্ছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ ফুটবলের খেলা। সবশেষ ২৪ ফেব্রুয়ারি শেষ হয়েছে বিপিএলের প্রথম ভাগের খেলা। সেখান থেকে ৩৪ দিনের বিরতি শেষে আজ (শুক্রবার) থেকে শুরু হতে যাচ্ছে দ্বিতীয় ভাগের খেলা। মাঝের এই আন্তর্জাতিক বিরতিতে সুদানের বিপক্ষে একটি প্রীতি ম্যাচ এবং ফিলিস্তিনের বিপক্ষে ২০২৬ বিশ্বকাপ ও ২০২৭ এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের হোম-অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। 

বিরতিতে অবশ্য মাঠের বাইরের ফুটবল নিয়ে ব্যস্ত ছিল প্রিমিয়ার লিগের দলগুলো। এর মধ্যে দলগুলো সেরেছে মৌসুম মধ্যবর্তী দলবদল। প্রিমিয়ার লিগে আজ আছে তিনটি ম্যাচ। 

মুন্সিগঞ্জের শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে চট্টগ্রাম আবাহনী ও পুলিশ এফসি। গোপালগঞ্জের শেখ ফজলুল হক মনি স্টেডিয়ামে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব খেলবে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের বিপক্ষে। এবং ময়মনসিংহের রফিক উদ্দিন ভূঁইয়া স্টেডিয়ামে মোহামেডান খেলবে ফরটিস এফসির সঙ্গে। তিনটি ম্যাচই শুরু হবে বিকেল ৩টা ১৫ মিনিটে।

প্রথম লেগে বিদেশীদের নিয়ে বেশ ভোগান্তিতে পড়েছিল শেখ রাসেল ও বাংলাদেশ পুলিশ এফসি। এবার তাই সর্বোচ্চ চারজন করে বিদেশী খেলোয়াড় নিবন্ধন করিয়েছে এই দল। এদিকে তালিকার শীর্ষে থাকা বসুন্ধরা কিংস দলে ভিড়িয়েছে নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড এমফন উদোহকে। এর আগেও উদোহ বসুন্ধরার হয়ে খেললেও এবার নিবন্ধিত ফুটবলার হিসেবে তাকে দলে নিল টেবিল টপাররা। এদিকে জাতীয় দলের অধিনায়ক জামাল ভুঁইয়াকে নিবন্ধন করিয়ে দলে ভিড়িয়েছে আবাহনী। আর্জেন্টিনা ক্লাব সোল দে মায়োর ছাড়পত্র পাওয়াতেই এই সময়ে আকাশী-হলুদের হয়ে মাঠ মাতাবেন জামাল। 

এদিকে মধ্য মাঠকে শক্ত করতে উজবেক মিডফিল্ডার মুজাফফর মুজাফফরভের বিকল্প হিসেবে বেখরুজ সাদিলোয়েভকে দলে ভিড়িয়েছে মোহামেডান। এছাড়া চট্টগ্রাম আবাহনী ৩ জন, শেখ জামাল ২ জন এবং একজন করে বিদেশী ফুটবলার টেনেছে ফরটিস ও রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটি।  

;