স্বর্গোদ্যানে এক ঝলক!



আপন তারিক, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ইন্দোর (ভারত) থেকে
ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

গেট দিয়ে ঢুকতেই এক ভারতীয় সাংবাদিক বললেন, ভিতরে স্বর্গ প্রতীক্ষায় আছে!

-কথাটার মানে মিনিটের মধ্যেই বুঝে যাব কে জানতো? বাস থেকে নেমেই দেখি ফুল হাতে দাঁড়িয়ে স্কুলের ছেলে-মেয়েরা। যেন আমাদের অপেক্ষাতেই ঠায় দাঁড়িয়ে! তারপরের প্রতিটি মিনিট, সেকেন্ডই সঙ্গী হয়েছে স্বর্গ সুখের অনন্য অভিজ্ঞতা।

ইন্দোর শহর ছাড়িয়ে আমরা গিয়েছিলাম এবি রোডে আকাশবাণী অফিসের ঠিক বিপরীত পাশের এক স্বর্গোদ্যানে। হ্যাঁ এটা তো স্বর্গই! দ্য এমেরাল্ড হাইটস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল! উপলক্ষ্যটা ছিল বাংলাদেশ ও ভারতের সাংবাদিকদের মধ্যে প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচ। মধ্য প্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন এমন চমক রাখবে আঁচ করতে পারিনি।

অনিন্দ্য সুন্দর দ্য এমেরাল্ড হাইটস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ভবন

আসলে পুরো ইন্দোরই ছবির মতো সাজানো। আর ইংলিশ মিডিয়াম এই স্কুলটি স্বপ্নের মতো এক জায়গা। স্কুলের প্রধান ভবন পেরোতেই চোখে পড়ল শুধুই রঙের মিছিল। কেজি থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা চলে এই স্কুলে। ভারতের দ্বিতীয় সেরা বোর্ডিং স্কুল। একশ একরের ওপর বিশাল ক্যাম্পাস! স্কুলের দালানগুলো দেখে মন জুড়িয়ে গেল। বিস্ময়ের ঘোরে মনে হলো যেন হ্যারি পটারের জাদুর স্কুল হগওয়ার্টসে পা রেখেছি আমরা।

সেই স্কুলেরই ফুটবল মাঠে সোমবার মুখোমুখি হলো বাংলাদেশ-ভারত ইন্দোর টেস্ট কাভার করা সাংবাদিকরা। অতিথি দলের নেতৃত্বে থাকলেন ইএসপিএন-ক্রিকইনফোর বাংলাদেশ প্রতিনিধি মোহাম্মদ ইসাম। অবশ্য ম্যাচটা নিছকই প্রীতির লড়াই, যেখানে বন্ধুত্বার বার্তাটাই ছিল সবার আগে!

টেপ টেনিস বলে যখন ক্রিকেটে মেতেছেন সাংবাদিকরা, আমার চোখ তখন অনিন্দ সুন্দর এই ক্যাম্পাসে। কথা হচ্ছিল স্কুল ছুটি শেষে বোর্ডিংয়ে ফেরা শিশুদের সঙ্গে। যেন চোখ-মুখ ঠিকরে বেরোচ্ছে ওদের বুদ্ধিমত্তা। ওদেরই একজন ক্লাস সেভেনে পড়া চেতন রাঠৌর।

যোদপুরের এই কিশোর বলছিল- 'বিশাল ক্যাম্পাস আমাদের। একশ একরের বেশি জায়গা নিয়ে এই স্কুল। এখানে তিনটি ফুটবল মাঠ, বড় একটি ক্রিকেট গ্রাউন্ড রয়েছে। যেখানে খেলে গেছেন চেতেশ্বর পূজারার মতো ক্রিকেটার। আছে শ্যুটিং রেঞ্জ, সুইমিংপুল, জিমন্যাসিয়াম।'

সঙ্গে আছে ২৫টি টেবিল বসানো টেবিল টেনিস হল, ৬টি ডেকো টার্ফ টেনিস কোর্ট, ৯টি ব্যাডমিন্টন কোর্ট, ৬টি স্কোয়াশ কোর্ট, বিলিয়ার্ড রুম, রানিং ট্র্যাক, সাইক্লিং ট্র্যাক ও ৪টি ভলিবল কোর্ট!

ছেলে-মেয়েদের সহশিক্ষা পরিচালনা করছে স্কুলটি সেই ১৯৮২ সাল থেকে। সময়ের হাত ধরে এটি মধ্য প্রদেশের সেরা তো হয়েছেই রেটিংয়ে ভারতের দ্বিতীয় সেরা বোর্ডিং স্কুল। চেতন রাঠৌর জানাচ্ছিল, 'আমরা বেশির ভাগ স্টুডেন্টই বোর্ডিংয়ে থেকে পড়াশোনা করছি। ছেলে ও মেয়েদের জন্য আছে আলাদা হোস্টেল। আমরা শুধু এখানে দিন-রাত পড়াশোনাই করি না! নানা ধরনের খেলাতেও ব্যস্ত থাকি।'

এমেরাল্ড হাইটস ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের সাঁতারুরা- ছবি: বিসিবি

অবশ্য মোবাইল ফোন একেবারেই নিষিদ্ধ স্কুলের শিক্ষার্থীদের জন্য। তারপরও বাইরের বিশ্বের খোঁজ-খবর বেশ ভালোই জানা আছে তাদের। এমন কী বাংলাদেশ ক্রিকেটের টুকটাক খবরও রাখে ওরা। বাংলাদেশ থেকে এসেছি শুনেই একজন-সাকিব আল হাসানের নাম নিল।

একেক জন গড় গড় করে বলে উঠল বাংলাদেশের বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারের নাম- মুশফিকুর রহিম, মুস্তাফিজুর রহমান, সৌম্য সরকার, তামিম ইকবাল। সদ্য নিষিদ্ধ অলরাউন্ডার সাকিব সম্পর্কে ভালোই তথ্য জানা আছে ইন্দোরের এই স্কুলের শিক্ষার্থীদের।

প্রীতি ম্যাচ শেষে এক ফ্রেমে বন্দী বাংলাদেশ-ভারতের সাংবাদিকরা, ছবি: রতন গোমেজ, বিসিবি

একজন মনে করিয়ে দিল, বিশ্বকাপে তো দারুণ খেলেছে তোমাদের সাকিব। ক্লাস সেভেনের ছাত্র মনীষ বিক্রম বলছিল, 'ও বেশ ভালো একজন অলরাউন্ডার। বিশ্বকাপে দারুণ খেলেছে। আর আইপিএলেও ও ভালো খেলেছে।'

শুধু খেলাধুলাই নয়, নানা বৈচিত্র্যের নিজেদের দেশটা নিয়েও এমেরাল্ড হাইটস ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের শিক্ষার্থীদের গর্বের শেষ নেই। চশমা চোখে ছোট্ট রনবীর বলছিল, 'আমি আমার দেশকে খুব ভালোবাসি, এখানে অনেক ধর্ম আর অনেক ভাষার মানুষ রয়েছে। আর উৎসবের শেষ নেই। আমাদের দেশটা অনেক বড়। জনসংখ্যায়ও আমরা বিশ্বের দ্বিতীয়। আমাদের শিল্প সংস্কৃতি অনেক সমৃদ্ধ। দিওয়ালি আর হোলিতে অনেক আনন্দ করি আমরা।'

স্কুলের ছোট্ট এই শিশুদের সঙ্গে যখন কথা বলছিলাম, তখন মাঠের ক্রিকেট প্রায় শেষ। ভারতের ক্রীড়া সাংবাদিকদের একশ ছাড়ানো সংগ্রহটা টপকে যেতে পারেনি বাংলাদেশ। ইয়াসিন রাব্বি ব্যাট হাতে ঝড় তুললেও লক্ষ্যটা ঠিক পূরণ হয়নি। তবে শেষ ওভার পর্যন্ত লড়াইয়ের উত্তেজনাটা রাখলেন-ইসাম, বর্ষণ কবির, সামি, সাকিব, সবুজ, অনন্ত, বাপ্পা, শোয়েব, একুশ, সাদি ও সাইফুলরা!

দ্য এমেরাল্ড হাইটস ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের ছেলেদের সঙ্গে আলাপচারিতার ফাঁকে সেলফিতে বন্দী

আমার তখন বিদায় নেওয়ার পালা। সেলফিতে ওদের সঙ্গে সময়টা ধরে রেখে যখন উঠতে যাবো তখনই এমন চমক অপেক্ষা করছে কে জানতো। এক মুহূর্তের জন্য স্তব্ধ হয়ে গেলাম। যাদের সঙ্গে প্রায় ঘন্টা খানেক কথা বলে কতোকিছু জানলাম-তাদেরই একজন এসে পা ছুঁইয়ে আমাকে শ্রদ্ধা জানিয়ে বসল। কোনোভাবেই তাকে আটকাতে পারলাম না। এরপর দেখি বাকীরাও কী ভেবে যেন একইভাবে বিদায় জানাল আমাকে!

কী বলবো, কী করবো কিছুই বুঝে উঠতে পারছিলাম না। বিব্রত আমি, ওরা বুঝতে পারছিল নিশ্চয়ই। ওদেরই একজন কাছে এসে স্পষ্ট ইংরেজিতে যা বলল তার অর্থ দাঁড়ায়, 'আমরা যদি গুরুজনকেই শ্রদ্ধা জানাতে না পারি, তাহলে বড় হবো কিভাবে?'

এরপর আর কথা থাকে না। এটাও আর জানার প্রয়োজন পড়ে না এমেরাল্ড হাইটস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, উচ্চতায় কেন সবাইকে ছাড়িয়ে? অন্যরকম মুগ্ধতা সঙ্গী করেই ভারতের সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন শহরের এক স্বর্গ থেকে ফিরলাম!

কেমন যেন মায়ায় জড়িয়ে গেলাম, ফের একটিবারের মতো ফিরে আসতে চাই এই শহরে.. এই স্বর্গোদ্যানে।

   

২০২৬ বিশ্বকাপ পর্যন্ত জার্মানির কোচ নাগেলসমান



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইউরো পর্যন্তই তার জার্মানির ডাগআউটে থাকার গুঞ্জন ছিল। কিন্তু সে গুঞ্জনকে মিথ্যে প্রমাণ করে জার্মানির সঙ্গে নতুন চুক্তি করেছেন ইউলিয়ান নাগেলসমান। ২০২৬ বিশ্বকাপ পর্যন্ত এই কোচকে রেখে দিচ্ছে চারবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন জার্মানি।

টালমাটাল অবস্থায় জার্মান দলকে পেয়েছিলেন নাগেলসমান। দায়িত্ব নিয়ে ধীরে ধীরে দলকে নিজের মতো করে গড়ে নিচ্ছেন। গত সেপ্টেম্বরে জার্মানদের দায়িত্ব নিয়ে এখন পর্যন্ত ৬ ম্যাচে ডাগআউটে দাঁড়িয়েছেন। এর মধ্যে তিন ম্যাচে দলকে এনে দিয়েছেন জয়। যার দুটি আবার ইউরোপীয় ফুটবলের দুই পরাশক্তি নেদারল্যান্ডস ও ফ্রান্সের বিপক্ষে।

কাজের স্বীকৃতি হিসেবে নতুন চুক্তি-নাগেলসমানের উচ্ছ্বাস বাঁধ মানছে না, ‘সিদ্ধান্তটা হৃদয় থেকে নিয়েছি। জাতীয় দলকে প্রশিক্ষণ দিতে পারা এবং দেশের সেরা খেলোয়াড়দের সঙ্গে কাজ করতে পারা আমার জন্য অনেক সম্মানের ব্যাপার।’

নাগেলসমানের ধ্যানজ্ঞান এখন আগামী জুন-জুলাইয়ে জার্মানিতে অনুষ্ঠিতব্য ইউরো। নতুন চুক্তি স্বাক্ষরের পরই সে টুর্নামেন্টে ভালো কিছু করার লক্ষ্যের কথা জানিয়ে দিলেন ৩৬ বছর বয়সী এই তরুণ জার্মান কোচ, ’আমরা নিজেদের মাঠে সাফল্যমণ্ডিত ইউরো খেলতে চাই। আমি এখন সেদিকেই তাকিয়ে আছি এবং (এরপর) আমার কোচিং দলকে নিয়ে বিশ্বকাপ চ্যালেঞ্জ নেওয়ার অপেক্ষায় থাকব।’

;

জরিমানার মুখে পড়লেন রাহুল ও গায়কোয়াড



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শুক্রবার রাতে চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) চলতি আসরের ৩৪ তম ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল স্বাগতিক লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস। যেখানে ৮ উইকেটের বড় জয় তুলে নিয়েছে লক্ষ্ণৌ। তবে স্লো ওভার-রেটের রাখার কারণে লক্ষ্ণৌয়ের অধিনায়ক লোকেশ রাহুলকে জরিমানা করা হয়েছে। পাশাপাশি চেন্নাইয়ের অধিনায়কও পাবেন একই শাস্তি।

ওভার-রেট সংক্রান্ত জরিমানার অধীনে এবারই লক্ষ্ণৌকে প্রথমবার জরিমানার মুখে পড়তে হলো। নিয়ম অনুযায়ী লোকেশ রাহুলকে ১২ লাখ রুপি জরিমানা বহন করতে হবে। একই পরিমাণ জরিমানার সম্মুখীন হবেন রুতুরাজ গায়কোয়াডও।

এদিন টসে জিতে শুরুতে বোলিংয়ে যেয়ে ধোনিদের দল চেন্নাইকে ১৭৬ রানে আটকায় লক্ষ্ণৌ। জবাবে ব্যাট হাতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখান কেএল রাহুল এবং কুইন্টন ডি ককের উদ্বোধনী জুটি। রাহুল ৫৩ বলে ৮২ এবং ডি কক ৪৩ বলে ৫৪ করেন যা তাদের জয়ে মুখ্য ভূমিকা পালন করে। তবে ফিল্ডিংয়ের সময় স্লো-ওভার রেটের আওতায় জরিমানার মুখে পড়তে হলো লক্ষ্ণৌ এবং চেন্নাইয়ের অধিনায়ককে।

;

বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে দৌড়ালেন শান্ত-মুশফিক-তানজিমরা



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম, দেশের ক্রিকেট যাত্রা শুরু হয়েছিল এই মাঠের মাধ্যমেই। ২০০৬ সালের আগে আন্তর্জাতিক অথবা ঘরোয়া ম্যাচের বেশিরভাগই গড়াতো এই মাঠে। এরপর এই মাঠ ফুটবলের জন্য বরাদ্দতা পায় এবং ক্রিকেটের নতুন ঠিকানা হিসেবে পরিচিতি পায় মিরপুরের শেরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম।

আজ অনেক বছর পর আবারও দেশের প্রথম সারির ক্রিকেটারদের দেখা পেল বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম। তবে ক্রিকেট খেলার মাধ্যমে নয়, বরং অ্যাথলেটিক্স ট্র্যাকে দৌড়ের মাধ্যমে। ফিটনেস টেস্টকে উদ্দেশ্য করেই মুলত এই আয়োজন।

মে মাসের শুরতেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ খেলতে নামবে বাংলাদেশ, এরপরই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এই টুর্নামেন্টকে মাথায় রেখেই খেলোয়াড়দের ফিটনেস বিষয়ে বেশ সচেতন ক্রিকেট বোর্ড। তাই আজ (শনিবার) থেকে শুরু হয়েছে ক্রিকেটারদের ফিটনেস টেস্ট। যেখানে অংশ নেবেন সিরিজের জন্য বিবেচনায় থাকা ৩৫ জন ক্রিকেটার। ফিটনেস টেস্টের শুরুর ধাপটা হয়ে গেল বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের অ্যাথলেটিক্স ট্র্যাকে ১৬০০ মিটার দৌড়ের মাধ্যমে।

ভোর ৬টায় পৌঁছে ৪০০ মিটারের এই ট্র্যাকে মোট চারটি চক্কর মেরে দৌড় সম্পন্ন করেছেন টাইগার ক্রিকেটাররা। ১৬০০ মিটারের দৌড় শেষে ৪০ মিটারের স্প্রিন্টেও অংশ নেন সবাই। এরপর মিরপুরে যেয়ে জিম সেশন দিয়ে শেষ হবে আজকের ফিটনেস ট্রেনিংয়ের পর্ব। ট্রেনিংয়ের এই পর্বগুলো পর্যবেক্ষণ করছেন দলের নতুন ট্রেইনার নাথান কেলি।

এখনও আন্তর্জাতিক দলে খেলছেন এমন ক্রিকেটারদের মধ্যে এই ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ম্যাচ খেলেছেন এমন অভিজ্ঞতা আছে মাত্র দুইজনের, তারা হলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এবং মুশফিকুর রহিম। দীর্ঘ বছর পর এখানে আবারও এসে বেশ স্মৃতিচারণ করছেন তারা। গ্যালারির আশেপাশে তাকিয়ে এবং ঘুরে দেখছিলেন মাহমুদউল্লাহ।

জাতীয় দলের ম্যানেজার নাফিস ইকবালের খেলোয়াড়ি জীবনের শুরুটাও এখানে। তিনি পুরোনো স্মৃতি মনে করে বলেছেন, ‘সবকিছুই দেখি বদলে গেছে! কী স্টেডিয়াম ছিল রে ভাই। খেলার সময় গেট বন্ধ করে রাখা লাগত, কী মনে নাই ভাই?’

বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের মাহাত্ম্য উল্লেখ করে নাফীস আরও বলেন, ‘এখনকার প্রজন্ম হয়তো এখানে খেলেনি। কিন্তু এই স্টেডিয়ামের কথা নিশ্চয়ই শুনেছে। অনেকের জন্ম ২০০০ সালের আশপাশে তাই তাদের খেলার কথাও নয়। তবে আইকনিক স্টেডিয়াম যেহেতু, এটার গল্প নিশ্চয়ই শুনেছে। দেখুন, সাধারণত সকাল ছয়টায় ফিটনেস টেস্ট দেখতে এত মানুষের আশার কথা নয়। যেহেতু বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম, তাই সবাই এসেছে। সবার জন্যই দারুণ অভিজ্ঞতা এটা।‘

মুশফিকুর রহিম মজার ছলে বলেছেন, অ্যাথলেটদের মতো যেহেতু তারা দৌড়াবেন, সেহেতু তাদের জন্য পুরষ্কারের ব্যবস্থা থাকলে আরও ভালো হতো। বিসিবির এক কর্মকর্তাকে তিনি মজা করে জিজ্ঞেস করছিলেন, ‘পতাকা কই? পতাকা আনবেন না!’ 

;

আইপিএলে ধোনির যে রেকর্ড ভাঙলেন রাহুল



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লক্ষ্ণৌয়ের মাঠে গতকাল চেন্নাই সুপার কিংসের মুখোমুখি হয়েছিল লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস। যেখানে ৮ উইকেটের বড় জয় তুলে নিয়েছে স্বাগতিকরা। লক্ষ্ণৌ ম্যাচ জিতে নিলেও চেন্নাইয়ের প্রাণ ও মধ্যমণি মহেন্দ্র সিং ধোনি বরাবরের মতোই জিতে নিয়েছেন দর্শক এবং সমর্থকদের মন।

মাঠ লক্ষ্ণৌয়ের হলেও গ্যালারির বেশিরভাগ স্থান জুড়েই ছিল হলুদের ছড়াছড়ি। কারণটা খুব স্বাভাবিকভাবেই হলো ‘ধোনি’। কালকের ম্যাচেও তিনি খেলেছেন ৯ বলে ২৮ রানের বিধ্বংসী এক ইনিংস। ধোনি যতক্ষণ ২২ গজে ব্যাট হাতে দাঁড়িয়ে ছিলেন ততক্ষণ গগনবিদারী চিৎকারে পুরো স্টেডিয়াম কাঁপিয়ে রেখেছিলো ধোনির সমর্থকরা।

ঘরের মাঠে লক্ষ্ণৌয়ের এই জয়ের দিন দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন অধিনায়ক লোকেশ রাহুল। ৫৩ বলে ৮২ রান এসেছে তার ব্যাট থেকে। এই ইনিংসের সঙ্গে রাহুল ছুঁয়ে ফেললেন ধোনির অনন্য এক রেকর্ডকেও।

আইপিএল ইতিহাসে উইকেটকিপার–ব্যাটার হিসেবে সবচেয়ে বেশি পঞ্চাশোর্ধ্ব (৫০‍+) ইনিংস খেলার রেকর্ডটি এতদিন ছিল ভারতের বিশ্বকাপজয়ী এবং চেন্নাইয়ের অধিনায়ক ধোনির দখলে। ২৫৭টি ম্যাচে ২৪ বার ন্যূনতম ৫০ রানের ইনিংস খেলেছেন সময়ের অন্যতম সেরা এই ব্যাটার। গতরাতের ৮২ রানের ইনিংসের মাধ্যমে ধোনির রেকর্ডটি নিজের নামে করে নিয়েছেন লোকেশ রাহুল। আইপিএলে উইকেটকিপার–ব্যাটার হিসেবে এটি ছিল তার ২৫তম পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের ইনিংস।

তবে রেকর্ড ভাংলেও নিজের সিনিয়র এবং আইডলের প্রতি শ্রদ্ধাবোধটা ঠিকই বজায় রেখেছেন রাহুল। ম্যাচশেষে ধোনির সঙ্গে হাত মেলানোর সময় নিজের মাথা থেকে ক্যাপটা খুলে ফেলে হাতে নেন তিনি। ধোনির প্রতি সম্মান প্রদর্শনের জন্যই মূলত এই কাজটি করেছেন রাহুল। এতে এটাই বোঝা যায় যে ধোনি শুধুমাত্র জনসাধারণের প্রিয় নয়, বরং ভারত দলের খেলোয়াড়দেরও সম্মানের ও পছন্দের ব্যক্তিত্ব।

;