ইডেনে আনা হচ্ছে না শান্তকে, জানাল বিসিবি
নতুন এক অভিজ্ঞতার মুখে বাংলাদেশ ক্রিকেট। অবশ্য দুরদর্শী চিন্তা না থাকলে যেমনটা হয়। শুরুতে মায়ের অসুস্থতার জন্য ইন্দোর থেকে দেশে ফিরে গিয়েছিলেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। এরপর আঙুলের চোটে সর্বনাশ হয়ে যায় ব্যাটসম্যান সাইফ হাসানের। কিন্তু তাদের কোনো বিকল্পই খুঁজে নেয়নি টিম ম্যানেজমেন্ট।
তার মাশুলও এখন গুনছে দল। ইডেন গার্ডেনে পিঙ্ক বল টেস্টে ভারতীয় পেসারদের আক্রমণে রীতিমতো দিশেহারা ব্যাটসম্যানরা। প্রথম দিনই চোট নিয়ে মাঠ ছাড়েন লিটন দাস ও নাঈম হাসান। তাদের আঘাত জনিত বদলি হিসেবে মাঠে নেমেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও তাইজুল ইসলাম। দলের অবস্থাটা এখন এমন হয়েছে যে আর কেউ চোটে পড়লে পানি টানার মতো দ্বাদশ ক্রিকেটারও মিলবে না।
এমন সিদ্ধান্তে যখন সমালোচনা শুরু, তখনই নড়েচড়ে বসে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। শনিবার (২৩ নভেম্বর) ইডেন টেস্টের দ্বিতীয় দিনে হঠাৎ খবর রটে দেশ থেকে আসছেন ক্রিকেটার নাজমুল হাসান শান্ত। বলা হয় ইমার্জিং কাপের ফাইনাল শেষে মুমিনুলদের সঙ্গে যোগ দেবেন তিনি।
কিন্তু শনিবার রাতে জানা গেল, শান্তকে কলকাতায় আনছে না বিসিবি। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ম্যানেজার সাব্বির আহমেদ খান জানান, 'নাজমুল হোসেন শান্ত দলের সঙ্গে যোগ দিচ্ছে না।'
যদিও বলা হচ্ছিল ইমার্জিং এশিয়া কাপের ফাইনাল শেষে সন্ধ্যায়ই কলকাতার পথে দেশ ছাড়বেন শান্ত। কিন্তু হঠাৎই আবার সিদ্ধান্ত হয় তাকে উড়িয়ে আনা হবে না। কারণটাও অনেকটা পরিষ্কার। গোলাপি বলে দিবা-রাত্রির টেস্টে হারের দ্বারপ্রান্তে টাইগাররা। ইনিংস হার বাঁচাতে এখনো চাই ৮৯ রান। হাতে মাত্র উইকেট ৪টি।
দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ তুলেছে ৬ উইকেটে ১৫২ রান। এখন আর দলের সঙ্গে যোগ দিয়েই লাভ কী!
যদিও শনিবার সন্ধ্যায় মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ডান পায়ের হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট নিয়ে মাঠ ছাড়েন। তিনিও পর্যবেক্ষণে আছে। তবে রোববার (২৪ নভেম্বর) তার ব্যাটিংয়ে নামা নিয়ে তেমন অনিশ্চয়তা নেই বলেই জানালেন দলের মিডিয়া ম্যানেজার রাবিদ ইমাম।