ওয়াটলিংয়ের দ্বিশতক, স্যান্টনারের শতকে বিপদে ইংল্যান্ড
নিজের শতকটাকে দ্বিশতকে রূপ দিয়েছেন বিজে ওয়াটলিং। কিউই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান খেলেছেন নিজের টেস্ট ক্যারিয়ারের সেরা ইনিংসটি। তার পথে হেঁটে প্রথমবারের মতো টেস্ট সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন মিচেল স্যান্টনারও।
ওয়াটলিং ও স্যান্টনারের (সপ্তম উইকেটে রেকর্ড ২৬১ রানের পার্টনারশিপ) ব্যাটিং তাণ্ডবে ৯ উইকেটে ৬১৫ রানের পাহাড় গড়ে নিউজিল্যান্ড শুধু প্রথম ইনিংসই ঘোষণা করেনি। ম্যাচের নিয়ন্ত্রণও নিজেদের হাতে নিয়ে ফেলেছে। সঙ্গে বুনে ফেলেছে বড় জয়ের স্বপ্ন। আর এতেই মহাবিপদে আছে অতিথি ইংল্যান্ড। রান চাপা থেকে বেরিয়ে এসে ইনিংস হার এড়ানোটাই যেন এখন বড় চ্যালেঞ্জ তাদের জন্য।
হার এড়িয়ে ম্যাচ বাঁচাতে ব্যাট হাতে লড়ে যাচ্ছে ইংল্যান্ড। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে চতুর্থ দিন শেষে ৫৫ রান তুলতেই ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে সফরকারীরা। ররি বার্নস ৩১ ও ডম সিবলি করেন ১২ রান। ব্যাটিংয়ে আছেন জো ডেনলি (৭) ও জ্যাক লিচ (০)। ইনিংস হার এড়াতে ইংলিশদের দরকার আরো ২০৭ রান। হাতে রয়েছে ৭ উইকেট।
ইংল্যান্ডের তিনটি উইকেটই নেন অলরাউন্ডার মিচেল স্যান্টনার।
তার আগে মঙ্গানুইয়ে প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেটে ৩৯৪ রান নিয়ে রোববার, ২৪ নভেম্বর চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড।
আগের দিনের ১১৯ রানের ইনিংসটাকে ৪৭৩ বলে ২৪ বাউন্ডারি ও এক ছক্কায় ২০৫ রানের অনন্য এক ক্রিকেটীয় ইনিংস বানিয়ে ছাড়েন বিজে ওয়াটলিং। টেস্টে এটি তার অষ্টম সেঞ্চুরি ও প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি। নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেট ইতিহাসের কোনো উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যানের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি এটি। লাল বলের ক্রিকেটে এর আগে তার সর্বোচ্চ ইনিংস ছিল ১৪২*।
আর ৩১ রানের ইনিংসটাকে বদলে দিয়ে ২৬৯ বলে ১১ বাউন্ডারি ও ৫ ছক্কায় ১২৬ রানের চমৎকার এক ইনিংস খেলেন স্যান্টনার। তার সঙ্গে ৬৫ রান নিয়ে সাজঘরে ফেরেন কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম। ষষ্ঠ উইকেটে গ্র্যান্ডহোমের সঙ্গে ওয়াটলিং গড়েন ১১৯ রানের জুটি।
ইংল্যান্ডের হয়ে তিনটি উইকেট নেন স্যাম কুরান। দুটি করে উইকেট নেন বেন স্টোকস ও জ্যাক লিচ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
ইংল্যান্ড প্রথম ইনিংস: ৩৫৩/১০, ১২৪ ওভার (স্টোকস ৯১, ডেনলি ৭৪, বার্নস ৫২, বাটলার ৪৩, পোপ ২৯; সাউদি ৪/৮৮, ওয়াগনার ৩/৯০ ও গ্র্যান্ডহোম ২/৪১)।
নিউজিল্যান্ড প্রথম ইনিংস: ৬১৫/৯ ডি., ২০১ ওভার (ওয়াটলিং ২০৫, স্যান্টনার ১২৬, গ্র্যান্ডহোম ৬৫, উইলিয়ামসন ৫১, নিকোলস ৪১; কুরান ৩/১১৯, স্টোকস ২/৭৪ ও লিচ ২/১৫৩)।
ইংল্যান্ড দ্বিতীয় ইনিংস: ৫৫/৩, ২৭.৪ ওভার (বার্নস ৩১, সিবলি ১২, ডেনলি ৭ ব্যাটিং ও লিচ ০ ব্যাটিং; স্যান্টনার ৩/৬)।
*চতুর্থ দিন শেষে