স্বর্গোদ্যানেই নরক দর্শন!



এম. এম. কায়সার, স্পোর্টস এডিটর, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়ছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা, কোহলিদের মুখে হাসি, ছবি: বিসিবি

হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়ছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা, কোহলিদের মুখে হাসি, ছবি: বিসিবি

  • Font increase
  • Font Decrease

এমন উৎসবের আয়োজন আগে একবারই দেখে ছিল বাংলাদেশের ক্রিকেট। ১৯ বছর আগের সেই অভিষেক টেস্টে ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম সেজে ছিল ফুলেল সৌরভে। পূর্বানুমান অনুযায়ী সেই টেস্টে হারলেও প্রথম দফায় দলের ৪০০ রানের ইনিংস এবং আমিনুল ইসলাম বুলবুলের (১৪৫ রান) মহাকাব্যিক সেঞ্চুরি; ঐতিহাসিক সেই ম্যাচের ফলাফলকে ছাপিয়ে বিশ্ব ক্রিকেট স্বাগত জানিয়ে ছিল টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের জন্মকাহিনীকে।

ঠিক ১৯ বছর পরের আরেকটি নভেম্বর ফিরে এসে ছিল বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেটকে গোলাপি রংয়ে বরণ করতে। তাও আবার কোথায়? উপমহাদেশের ক্রিকেটের সেরা মাঠ-ইডেন গার্ডেন্সে। কিন্তু সেই স্বর্গোদ্যানে ক্রিকেটীয় স্বর্গসুখ দেখার বদলে বাংলাদেশ সোয়া দু’দিনেরও কম সময়ের আয়ু পাওয়া টেস্টে যা দেখল, তার পুরোটাই যে নরক দর্শন!

ক্যারিয়ারের বাকি সময় ইডেনের পিঙ্ক টেস্টের প্রসঙ্গ যখনই উঠবে- এই টেস্টের অধিনায়ক মুমিনুল হক দ্রুতই প্রসঙ্গ পাল্টানোর জন্য অনুরোধ করবেন। এটি তার জোড়া শূন্যের টেস্ট ম্যাচ। দুই ইনিংসেই শূন্য রানে আউট তিনি।

শূন্যের আরো বড় এবং বেশ কিছু কাহিনী আছে ইডেনের পিঙ্ক টেস্টে বাংলাদেশ পর্বে।

প্রথম ইনিংসে চারজন ব্যাটসম্যান শূন্য রানে আউট। দ্বিতীয় ইনিংসে আরো তিনজন। সাত শূন্যের এই বাংলাদেশ দলে জোড়া শূন্যের মালিক আবার অধিনায়ক মুমিনুল হক।

আরো আছে। প্রথম ইনিংসে দলের তিন-চার ও পাঁচ, এই তিন ব্যাটসম্যানের সবাই শূন্য রানে আউট! প্রথম ইনিংসে ১৪.২ ওভারে ৩৮ রানে নেই ৫ উইকেট। দ্বিতীয় দফায়ও সেই করুণ চিত্র; ৬.৪ ওভারে ৪ উইকেট হাওয়া, রান তখন মাত্র ১৩!

আরও পড়ুন: বলটাই শুধু গোলাপি, খেলাটা কিন্তু ক্রিকেটই!

৯ উইকেটে ভারত যে রান করল বাংলাদেশ দু’দফায় সব মিলিয়ে ২১ জন ব্যাটিং করেও ভারতের সেই রানের নিচেই থাকল! এমন একতরফা, প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন ম্যাচ পিঙ্ক টেস্টের উৎসবের আমেজেই যে কালি ছিটাল। ম্যাচটা শেষ হয়ে গেল মাত্র সোয়া দুদিনেরও কম সময়ে! অথচ এই টেস্টে উৎসব-আনন্দ যজ্ঞে সামিল হতে শুরুর চার দিনের সব টিকিট বিক্রি হয়ে গিয়ে ছিল।

আয়োজনের কোনো কর্নারেই কমতি কিছু রাখেননি সৌরভ গাঙ্গুলি। বাহারি রংয়ের ছড়াছড়ি চারধারে। মাঠের তারকা থেকে রাজনীতির মঞ্চের তারকা- কে ছিলেন না এই আনন্দ সম্ভারে? কিন্তু পিঙ্ক বলের টেস্ট ম্যাচে বাংলাদেশ দল যে ব্যথায় নীল!

মোহাম্মদ শামির বাউন্সার হেলমেটে লেগে লিটন দাস রিটায়ার্ড হার্ট। খানিকবাদে নাঈম হাসানও বাউন্সারের আঘাতে এই ম্যাচে মাঠের বাইরে চলে গেলেন। ইশান্ত শর্মার লাফিয়ে উঠা বাউন্সারে মোহাম্মদ মিঠুনের হেলমেটে যে জোরে লাগল তাতেই উড়ে গেল তার ব্যাটিং আত্মবিশ্বাস। সেই ধাক্কায় নড়বড়ে শট খেলে খানিকবাদে ক্যাচ তুলে ফিরে এলেন। শরীরে বাউন্সারের চোট সইতে হলো মেহেদি হাসান মিরাজকেও। ওপেনার ইমরুল কায়েসের টেকনিকের বড় ফুটো বেরিয়ে এল ভরা মজলিসে। এই ধরনের উইকেটে, রাইজিং বলের বিরুদ্ধে কিভাবে রুখে দাঁড়াতে হয় সেই দক্ষতা একমাত্র মুশফিক রহিম ছাড়া এই দলের আর কারোরই যে জানা নেই!

গোলাপি বলের তেজ। সামনে জেনুইন গতির দুরন্ত ফাস্ট বোলার। উইকেটে বাড়তি বাউন্স। চিবুক এবং পাঁজরের হাড় লক্ষ্য করে ছুঁটে আসা বল সামাল দেওয়া। চারকোনার গ্যালারিতে প্রতিপক্ষের সমর্থক। বল হাতে ভারতের পেসাররা ছুটছেন আর গ্যালারি জুড়ে যুদ্ধজয়ের চিৎকার। ইডেনের গোটা সবুজ মাঠ তখন যেন প্রাচীন গ্রিসের অ্যাম্ফিথিয়েটারে রূপ নিয়েছে। যে লড়াইয়ে ভারতীয় দল বিশালদেহী হারকিউলিস আর বাংলাদেশ ক্রিকেট দল আগাম আত্মসমর্পণের ভঙ্গিতে নতজানু; গিলোটিনে গর্দান!

এমন ম্যাচ শুধুমাত্র একটা দলই উপভোগ করতে পারে; জয়ী দল। অংশগ্রহণকারী অন্য দল তখন দুঃসহ যন্ত্রণায় বিদ্ধ। ক্রিকেটের নন্দন কানন থেকে সেই দুঃস্মৃতি নিয়ে ফিরছে ক্রিকেট দল!

   

আইপিএলে ধোনির যে রেকর্ড ভাঙলেন রাহুল



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লক্ষ্ণৌয়ের মাঠে গতকাল চেন্নাই সুপার কিংসের মুখোমুখি হয়েছিল লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস। যেখানে ৮ উইকেটের বড় জয় তুলে নিয়েছে স্বাগতিকরা। লক্ষ্ণৌ ম্যাচ জিতে নিলেও চেন্নাইয়ের প্রাণ ও মধ্যমণি মহেন্দ্র সিং ধোনি বরাবরের মতোই জিতে নিয়েছেন দর্শক এবং সমর্থকদের মন।

মাঠ লক্ষ্ণৌয়ের হলেও গ্যালারির বেশিরভাগ স্থান জুড়েই ছিল হলুদের ছড়াছড়ি। কারণটা খুব স্বাভাবিকভাবেই হলো ‘ধোনি’। কালকের ম্যাচেও তিনি খেলেছেন ৯ বলে ২৮ রানের বিধ্বংসী এক ইনিংস। ধোনি যতক্ষণ ২২ গজে ব্যাট হাতে দাঁড়িয়ে ছিলেন ততক্ষণ গগনবিদারী চিৎকারে পুরো স্টেডিয়াম কাঁপিয়ে রেখেছিলো ধোনির সমর্থকরা।

ঘরের মাঠে লক্ষ্ণৌয়ের এই জয়ের দিন দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন অধিনায়ক লোকেশ রাহুল। ৫৩ বলে ৮২ রান এসেছে তার ব্যাট থেকে। এই ইনিংসের সঙ্গে রাহুল ছুঁয়ে ফেললেন ধোনির অনন্য এক রেকর্ডকেও।

আইপিএল ইতিহাসে উইকেটকিপার–ব্যাটার হিসেবে সবচেয়ে বেশি পঞ্চাশোর্ধ্ব (৫০‍+) ইনিংস খেলার রেকর্ডটি এতদিন ছিল ভারতের বিশ্বকাপজয়ী এবং চেন্নাইয়ের অধিনায়ক ধোনির দখলে। ২৫৭টি ম্যাচে ২৪ বার ন্যূনতম ৫০ রানের ইনিংস খেলেছেন সময়ের অন্যতম সেরা এই ব্যাটার। গতরাতের ৮২ রানের ইনিংসের মাধ্যমে ধোনির রেকর্ডটি নিজের নামে করে নিয়েছেন লোকেশ রাহুল। আইপিএলে উইকেটকিপার–ব্যাটার হিসেবে এটি ছিল তার ২৫তম পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের ইনিংস।

তবে রেকর্ড ভাংলেও নিজের সিনিয়র এবং আইডলের প্রতি শ্রদ্ধাবোধটা ঠিকই বজায় রেখেছেন রাহুল। ম্যাচশেষে ধোনির সঙ্গে হাত মেলানোর সময় নিজের মাথা থেকে ক্যাপটা খুলে ফেলে হাতে নেন তিনি। ধোনির প্রতি সম্মান প্রদর্শনের জন্যই মূলত এই কাজটি করেছেন রাহুল। এতে এটাই বোঝা যায় যে ধোনি শুধুমাত্র জনসাধারণের প্রিয় নয়, বরং ভারত দলের খেলোয়াড়দেরও সম্মানের ও পছন্দের ব্যক্তিত্ব।

;

এক ম্যাচ নিষিদ্ধ আর্জেন্টিনার মার্তিনেজ 



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

 

ইউরোপা কনফারেন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে লিলের বিপক্ষে দুটি হলুদ কার্ড দেখলেও লাল কার্ড দেখতে হয়নি অ্যাস্টন ভিলার বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্তিনেজকে। নিয়মের মারপ্যাঁচে সে যাত্রায় বেঁচে যান তিনি। তবে শেষ পর্যন্ত দেখতে হলো শাস্তির মুখ। লিলের বিপক্ষে ম্যাচটির টাইব্রেকারে আরও একবার নৈপুণ্য দেখিয়ে দলকে সেমিতে পৌঁছান মার্তিনেজ। তবে আগামী ২ মে কনফারেন্স লিগের সেমির প্রথম লেগের ম্যাচে খেলতে পারবেন না এই আর্জেন্টাইন তারকা গোলরক্ষক। সেমিতে অ্যাস্টন ভিলার প্রতিপক্ষ অলিম্পিয়াকোস। 

মার্তিনেজকে এক ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করেছে ইউরোপীয় ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা উয়েফা। তবে না আগের ম্যাচের জোড়া হলুদ কার্ড বা কোনো আচরণজনিত বিষয়ের জের ধরে নয়, শেষ আটের দুই লেগের ম্যাচ মিলিয়ে মোট তিনটি হলুদ কার্ড দেখায় এই নিষেধাজ্ঞায় পড়তে হচ্ছে মার্তিনেজকে।  

লিলের বিপক্ষে শেষ আটের প্রথম লেগের ম্যাচে ২-১ ব্যবধানে জিতলেও ফিরতি লেগের ম্যাচের ১২০ মিনিটে ঠিক ২-১ ব্যবধানে পিছিয়ে থাকে অ্যাস্টন ভিলা। এতে ৩-৩ ব্যবধানে ড্র হওয়ায় ম্যাচ যায় টাইব্রেকারে। সেখানে আরও একবার পেনাল্টি শ্যুটআউটে নিজেকে প্রমাণ করেন মার্তিনেজ। দুটি শট ঠেকিয়ে দলকে ৪-৩ ব্যবধানে এনে দেন জয়। সেখানেই দেখেন ম্যাচের দ্বিতীয় হলুদ কার্ড।

এতেই প্রশ্ন উঠেছিল কেন লাল কার্ড দেখতে হয়নি মার্তিনেজকে? সেই গেরো অবশ্য ইতিমধ্যেই খুলেছে। উয়েফার নিয়ম অনুযায়ী টাইব্রেকারে হলুদ কার্ড খেলে তা মূল ম্যাচের ৯০ এবং অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে কোনো কার্ডের সঙ্গে যোগ হয় না। এতে সে যাত্রায় বেঁচে যান তিনি। তবে আগের লেগের আরও একটি হলুদ কার্ড খাওয়ায় সব মিলিয়ে এবার এক ম্যাচ ডাগ আউটেই কাটাতে হচ্ছে ২০২২ কাতার বিশ্বকাপ ফাইনালের এই নায়ককে। 

;

টিভিতে যা দেখবেন আজ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আইপিএলে আজ দিল্লির মুখোমুখি হায়দরাবাদ। এদিকে এফএ কাপের সেমিতে চেলসির বিপক্ষে নামবে ম্যানচেস্টার সিটি। এছাড়াও টিভিতে যা যা থাকছে।


বাংলাদেশ প্রিমিয়ার ফুটবল

ফর্টিস এফসি–বসুন্ধরা কিংস

বিকেল ৩টা, টি স্পোর্টস

২য় টি–টোয়েন্টি

পাকিস্তান–নিউজিল্যান্ড

রাত ৮টা ৩০ মিনিট, এ স্পোর্টস ও জিও সুপার

আইপিএল

দিল্লি–হায়দরাবাদ 

রাত ৮টা, স্টার স্পোর্টস ১, টি স্পোর্টস ও গাজী টিভি

এফএ কাপ (সেমিফাইনাল)

ম্যান সিটি–চেলসি

রাত ১০টা ১৫ মিনিট, সনি স্পোর্টস টেন ২

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ

লুটন টাউন–ব্রেন্টফোর্ড

রাত ৮টা, স্টার স্পোর্টস সিলেক্ট ১

উলভারহ্যাম্পটন–আর্সেনাল

রাত ১২টা ৩০ মিনিট, স্টার স্পোর্টস সিলেক্ট ১

বুন্দেসলিগা

ইউনিয়ন বার্লিন–বায়ার্ন মিউনিখ

রাত ১০টা ৩০ মিনিট, সনি স্পোর্টস টেন ৫

;

লক্ষ্ণৌয়ের কাছে পাত্তাই পেল না মুস্তাফিজের চেন্নাই



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঘরের মাঠে চেন্নাই সুপার কিংসকে নিয়ে রীতিমত ছেলেখেলা করল লক্ষ্ণৌ সুপারজায়ান্টস। চেন্নাইকে ১৭৬ রানে আটকে দিয়ে কুইন্টন ডি কক আর কেএল রাহুলের জোড়া ফিফটিতে এক ওভার এবং ৮ উইকেট হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় তারা।

লক্ষ্ণৌয়ের একানা স্পোর্টস সিটি স্টেডিয়ামে টসভাগ্য স্বাগতিকদের পক্ষে ছিল। টস জিতে আগে অতিথিদের ব্যাটিংয়ে পাঠান লক্ষ্ণৌ অধিনায়ক কেএল রাহুল। আইপিএলের চলতি আসরে দুইশ রানকে মামুলি বানিয়ে ফেলেছে বেশ কয়েকটি দল। তবে লম্বা ব্যাটিং লাইনআপ নিয়েও তাদের সঙ্গে কুলিয়ে উঠতে পারছে না চেন্নাই। আইপিএলে নিজেদের সপ্তম ম্যাচে এসেও সে 'ম্যাজিক ফিগার' ছোঁয়া হয়নি তাদের।

রবীন্দ্র জাদেজার ৪০ বলে অপরাজিত ৫৭ রানের সঙ্গে রাহানে (৩৬) আর মঈনের (৩০) ছোট দুটি ইনিংসে লড়াকু সংগ্রহ পায় চেন্নাই। শেষদিকে মহেন্দ্র সিং ধোনির ৯ বলে ২৮ রানের জাদুকরী ক্যামিও'র কথা ভুলে গেলে চলবে না। তাতে ২০ ওভারে চেন্নাইয়ের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৬ উইকেটে ১৭৬।

লক্ষ্ণৌয়ের পক্ষে ৩ ওভার বল করে ১৬ রান খরচায় সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন ক্রুনাল পান্ডিয়া।

জবাব দিতে নেমে মুস্তাফিজ-তুষারদের তুলোধুনো করে ওপেনিং জুটিতেই ডি কক-রাহুল মিলে তুলে ফেলেন ১৩৪ রান। ১৫তম ওভারের শেষ বলে মুস্তাফিজ যখন ডি কককে ধোনির ক্যাচ বানিয়ে ফেরান, ম্যাচ তখন লক্ষ্ণৌয়ের করতলে। তাই তো সেই উইকেটের উদযাপনও তেমন হল না বললেই চলে। ফেরার আগে ৫৪ রান করে দিয়ে গেছেন ডি কক।

লক্ষ্ণৌকে জয়ের দোরগোড়ায় রেখে মাতিশা পাতিরানার বলে আউট হয়েছেন ৮২ রান করা লক্ষ্ণৌ অধিনায়ক রাহুল। বাকি কাজটা নির্ঝঞ্ঝাটে সেরেছেন নিকোলাস পুরান (২৩*) ও মার্কাস স্টয়নিস (৮*)।

বল হাতে আরও একবার চেন্নাইয়ের সবচেয়ে খরুচে বোলার মুস্তাফিজ। একটি উইকেট পেলেও ৪ ওভারে খরচ করেছেন ৪৩ রান।

এই জয়ে লক্ষ্ণৌয়ের পয়েন্ট হয়েছে চেন্নাইয়ের সমান ৮। তবে নেট রানরেটের ব্যবধানে চেন্নাই এখন টেবিলের তিনে, আর লক্ষ্ণৌয়ের অবস্থান ৫ নম্বরে।

;