সাকিব-তামিম সিরিজেই নেই, অথচ তারাই আলোচনায়!
পুরো সিরিজেই দলে না থেকেও আলোচনায় ছিলেন তারা দু'জন। ভারত সফরে যেখানেই বাংলাদেশ দল খেলতে গেছে প্রশ্নটা অবধারিতভাবেই ছিল-সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবালকে কী মিস করছেন আপনারা?'
শেষটাতে এসেও পুরনো সেই প্রশ্ন! বাংলাদেশ দলের ব্যর্থতার প্রসঙ্গ টেনে এই দু'জনের অনুপস্থিতিও অন্যতম কারণ বলে জানালেন বিরাট কোহলি। তবে সেই পথে হাঁটেননি মুমিনুল হক। বাংলাদেশ অধিনায়ক জানাচ্ছিলেন, 'সিরিজের প্রথম থেকেই বলে যাচ্ছি তাদের অবশ্যই মিস করেছে সবাই। তবে এই অজুহাত দেওয়াও ঠিক না। আমরা যারা ছিলাম তাদের সুযোগ ছিল। আমার ব্যক্তিগতভাবে সুযোগ ছিল অধিনায়ক হিসেবে। তা এই জায়গায় কাজে লাগাতে পারিনি।'
তাহলে ভারতে ০-২ এ সিরিজ হেরে কি শিখল বাংলাদেশ? ইন্দোরের পর কলকাতা দুটোতেই তিন দিনে হারল বাংলাদেশ। তাহলে কি শিখলেন মুমিনুল হকরা? রোববার ইডেন গার্ডেন্সের সংবাদ সম্মেলন কক্ষে এমন নানা প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় মুমিনুলকে। সেই সংবাদ সম্মেলনের কিছুটা অংশ তুলে ধরা হলো এখানে-
ইন্দোরের পর এখানে প্রথমবারের মতো আপনারা গোলাপি বলে টেস্ট খেললেন? দল হারল সোয়া দুই দিনে। কি শিখলেন?
শিক্ষার তো অনেক কিছুই আছে। কীভাবে পেস বলের চ্যালেঞ্জ নেওয়া যায়। সেশন বাই সেশন কিভাবে খেলবে। গোলাপি বলে শিক্ষা হয়েছে। নতুন বলে গোলাপি বল কঠিন, এটা কাজে দেবে।
এটি ছিল অধিনায়ক হিসেবে আপনার প্রথম সিরিজ। কতটা সমর্থন পেয়েছেন সতীর্থদের?
আমার মনে হয় পুরোপুরি সমর্থন পেয়েছি। ম্যানেজমেন্ট থেকে অবশ্যই সমর্থন পেয়েছি। শতভাগ সমর্থন পেয়েছি। মানসিকভাবে পরিবর্তন হতে হবে সবারই। যুদ্ধ করার মন মানসিকতা উন্নতি করতে হবে। আপনারা একটু অপেক্ষা করেন, ইনশাল্লাহ সব ঠিক হয়ে যাবে।
ভারতের পেস আক্রমণ কি বিশ্ব সেরা?
হ্যাঁ এটা তো প্রথম থেকেই বলা হচ্ছে। আমার মনে হয় বিশ্বের অন্যতম সেরা পেস আক্রমণ। স্কিলের দিক থেকে তারা অনেক এগিয়ে। টেকটিকও খুব ভালো বোঝে।
এক ফরম্যাটে খেলছেন আপনি। অনেক দিন পর ম্যাচ। মানিয়ে নেওয়া কতোটা কঠিন?
আমার কাছে কোনো সমস্যা মনে হয় না। আমার নিজের মানিয়ে নিতে হবে। এটা কিন্তু কিছু করার থাকে না। এটা আমার হাতে থাকে না। মানিয়ে নিতে হবে। নির্দিষ্ট বছরে যখন খেলা কম থাকে তখন স্ট্রাগল করতে হয়। জিনিসটা মনের ব্যাপার। আমি নিজেকে ওইভাবে মানিয়ে নিয়েছি। দিন শেষে মানিয়ে নিতে হয়। আমার আল্লাহর রহমতে কোনো সমস্যা হয় না। আন্তর্জাতিক খেলা যখন থাকে না ঘরোয়া যত খেলা থাকে, এ দলের খেলা থাকে আমি সব খেলি।
এই সিরিজ শেষে দলের তরুণদের কি বার্তা দেবেন?
সে শিক্ষাটা হয়েছে, এই সিরিজ থেকে যদি নিতে পারে তাহলে পরের সিরিজে দেখতে পারবেন। না পেলে মনে হবে শিক্ষাটা নিতে পারেনি।
গোলাপি বলে টেস্ট কি জনপ্রিয়তা বাড়াচ্ছে?
আমার মনে হয় তো হ্যাঁ। যে পরিমাণ দর্শক দেখেছি, আপনারাও দেখেছেন- ৫০ হাজার হবে মনে হয়। আমার মনে হয় গোলাপি বলের দিবারাত্রির টেস্ট হলে দর্শক বাড়বে। কারণ দর্শকরা চ্যালেঞ্জ দেখতে পছন্দ করেন।
আপনার কী মনে হয়-টেস্টে গুরুত্ব কম দিচ্ছে বাংলাদেশ?
আমার তা মনে হয় না। গত দুই তিন বছর খেলা বেড়েছে, টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ নিয়েও অনেক গুরুত্ব দিচ্ছে। আমার মনে হয় গুরুত্ব ঠিকই আছে।
দেশে পেস উইকেট খেলার ব্যাপারে আপনার মতামত কি?
প্রত্যেক দল ঘরোয়া সুবিধা নিয়ে থাকে। আফগানিস্তানের বিপক্ষেও হয়তো সেভাবে উইকেট বানানো হয়ে ছিল। জাতীয় লিগেও কিন্তু ওইভাবে করা যায় (পেস উইকেট)। যত বেশি খেলা হবে বাইরে খেলতে গেলে সুবিধা হবে।
এমন ব্যর্থতা মানসিকভাবে কতটা প্রভাব ফেলে?
আমি মনে করি স্ট্রাগল কিন্তু মানুষকে পরিপূর্ণ করে। এইরকম স্ট্রাগল আসবে, এখান থেকে হতাশ না হয়ে, আপনি কি শিখছেন এটা হলো গুরুত্বপূর্ণ। পেশাদার খেলোয়াড়রা ওই চিন্তাই করে।